নবীর প্রতি অবমাননা বৈশ্বিক সম্প্রীতির অন্তরায়
- ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
- ১২ জুন ২০২২, ২১:২৯

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল নবীজি সা: ও আম্মা হজরত আয়েশা রা:-কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করে মুসলিম উম্মার অনুভূতিতে গভীরভাবে আঘাত করেছে। ১৬টি মুসলিম দেশ এ জন্য ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদপত্র হস্তান্তর করে এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়। ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সাধারণ মানুষ রাজপথে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং ভারত সরকারকে মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে বিজেপি সরকার অভিযুক্ত দু’ব্যক্তিকে দল থেকে বহিষ্কার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটা কোনোভাবেই ভারত সরকারের মনোভাবের প্রতিফলন নয়। ভারত সরকার বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সাংস্কৃতিক পরম্পরা অনুযায়ী, সব ধর্মকেই সর্বোচ্চ সম্মান দেয়। এসব কিছু উটকো লোকের কাজ। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবার এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিজেপি সব ধর্মকে সম্মান করে এবং যেকোনো ধর্মীয় ব্যক্তির অবমাননার তীব্র নিন্দা করে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং এক বিবৃতিতে বলেন, দল যেকোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগকে সম্মান জানায়। কোনো ধর্মের অপমান বিজেপি বরদাস্ত করে না। ভারতের হাজার বছরের ইতিহাসে প্রতিটি ধর্মেরই বিকাশ ঘটেছে। যে কোনো ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির অবমাননার তীব্র নিন্দা করে বিজেপি (মানবজমিন, ঢাকা ৬ জুন, ২০২২)।
রাজনীতি বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে যেকোনো উসকানিমূলক কাজ বন্ধ করতে ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে। ভারতের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক ও উগ্রবাদী শক্তির উত্থান পুরো দক্ষিণ এশিয়াকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ভারতের ধর্মীয় উগ্রবাদীরা মূলত ইসলাম বিরোধিতা ও মুসলিমবিদ্বেষকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাবরি মসজিদ দখলের পর উগ্রবাদীরা নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। পবিত্র কুরআন পরিবর্তনের চক্রান্ত, জ্ঞানবাপী মসজিদ, আগ্রার তাজমহল, দিল্লির কুতুবমিনার, আজমির শরিফ দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন, কর্নাটকে ছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ, গোমাংস রাখার কথিত অপরাধে ৩৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা, বুলডোজার দিয়ে মুসলমানদের বাড়িঘর ধ্বংস সাধন, উত্তরপ্রদেশে মসজিদে মাইকে আজান নিষিদ্ধ, আসামে মাদরাসায় সরকারি অনুদান বন্ধ, কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনবিষয়ক সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, ইউনিফর্ম ফ্যামিলি কোড প্রবর্তন, দেওবন্দ মাদরাসার ফতোয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ মূলত ভারতকে মুসলিম শূন্য করে একক হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে শাসকশ্রেণী। মুসলমানদের বেঁচে থাকার এবং স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ভারতে একটি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে এবারই ভারত প্রথম প্রচণ্ড কূটনৈতিক চাপে পড়ে ঝাঁকুনি খেল। ধর্মের সাথে অর্থনীতির স্বার্থ বিজড়িত। উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ আট হাজার ৭০০ কোটি ডলার। শুধু ওমানে সাত লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় চাকরি করেন। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির প্রবাসী রেমিট্যান্সের অর্ধেকের বেশি আসে উপসাগরীয় ছয়টি দেশ থেকে। ভারতের প্রবাসী শ্রমিকদের একটি প্রধান গন্তব্য হলো জিসিসিভুক্ত দেশগুলো। ভারতের এক কোটি ৩৫ লাখ প্রবাসী শ্রমিকের মধ্যে ৮৭ লাখই থাকে জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে। মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বিপণিবিতানে ভারতীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ এমন ব্যানার টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। এ দিকে কলকাতার সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, নূপুর শর্মার হজরত মুহাম্মদ সা:-কে আক্রমণ করার প্রেক্ষিতে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে। কোনো ভারতীয় দর্শককে কাতারে ঢুকতে দেয়া হবে না। জ্বালানি, ব্যবসা এবং রেমিট্যান্সের জন্য উপসাগরীয় এসব মুসলিম দেশের ওপর ভারত ভীষণভাবে নির্ভরশীল। এসব দেশের সাথে ভারতের ক‚টনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কও খুব ঘনিষ্ঠ। ইসলামবিদ্বেষী রাজনীতির কারণে ভারতের সাথে আরব বিশ্বের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়েছে।
জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ও মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নূপুর শর্মা হলো মুখোশ, নবীজিকে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে অন্য কোনো মুখ আছে। সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, মোদি সরকার ধর্মকে ভিত্তি করে এক বিভাজনের খেলায় মেতেছে। কোটি কোটি ভারতবাসী এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো বাণিজ্য তুলে নিলে ভুগবেন কারা? কাতার গ্যাস বন্ধ করলে সঙ্কট কাদের হবে? তিনি বলেন, বিবৃতি দিয়ে নয়, বহিষ্কার করে নয়- এমন কিছু করতে হবে যাতে নূপুর শর্মার মতো ব্যক্তিদের কণ্ঠরোধ করা যায় (মানবজমিন, ঢাকা, ১০ জুন ২০২২)। ইসলামের অত্যন্ত প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান মিসরের আল-আজহার আল-শরিফ এক বিবৃতিতে নবী সা:-কে নিয়ে বিজেপি নেতার বক্তব্যকে ‘সন্ত্রাসী আচরণের’ সাথে তুলনা করে বলেছে, এমন আচরণ পুরো বিশ্বে ভয়াবহ সঙ্কট তৈরির উসকানি। ‘কিছু কট্টর লোকজনের ভোটের জন্য ইসলামের এমন অবমাননা উগ্রবাদের সমার্থক। এর ফলে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক ঘৃণা ও অবিশ্বাস জন্ম নেবে’ (নয়া দিগন্ত, ৮ জুন, ২০২২)।
প্রতিবাদকারী দেশগুলো হলো, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্দান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাহরাইন, মালদ্বীপ, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং তুর্কিয়ে। এসব দেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভারতে ইসলামোফোবিয়ার গুরুতর ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি অবিলম্বে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে মুসলমানদের তাদের বিশ্বাস ও ধর্মীয় বিশ্বাস পালনের অধিকার ক্ষুন্ন করতে ভারতকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় অবশ্যই ভারতকে ‘জাফরানাইজেশন’-এর নিন্দনীয় প্রচার থেকে বিরত করতে হবে। একই সাথে নিশ্চিত করতে হবে যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার চেয়ে ভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য মুসলমানরা যেন বঞ্চনার শিকার না হয়। ভারতে মুসলিমদের হিন্দুত্ব-অনুপ্রাণিত হিন্দু উগ্রবাদীদের হাতে আসন্ন গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে বিশ্বকে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতে হবে (ইনকিলাব, ঢাকা, ১১ জুন, ২০২২)।
স্মর্তব্য যে, ইসলাম ঊষালগ্ন থেকেই বৈরী শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার। দ্বীনে হকের উজ্জ্বল প্রদীপ নির্বাপিত করার বহুমুখী প্রয়াস সব সময় লক্ষণীয়। একশ্রেণীর হীন, পাশবেতর ও অতি নিচু মানসিকতাসম্পন্ন লোক সব কালে সব যুগে ইসলাম, কুরআন ও হাদিসের খুঁত বের করে বিষোদগার করতে আনন্দ পায়। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ সা: ও তাঁর মর্যাদাবান সাহাবায়ে কেরামদের প্রতি কটাক্ষ ও বিদ্রুপাত্মক কার্টুন অঙ্কন তাদের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য। সাম্প্রতিক সময়ে আরো দু’টি উপসর্গ যোগ হয়েছে- একটি পবিত্র কুরআনে অগ্নি সংযোগ এবং অপরটি নবীজি সা:-কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক সিনেমা তৈরি। এ ঘৃণ্য অপরাধের সাথে একশ্রেণীর হিন্দু, ইহুদি ও খ্রিষ্টান জড়িত। এরা মানবতার দুশমন; মূল্যবোধ বিবর্জিত বর্বর সন্ত্রাসী। অন্য কোনো ধর্ম তাদের টার্গেট নয়, টার্গেট শুধু ইসলাম। এর পেছনে চারটি কারণ স্পষ্ট। প্রথমত, ইসলাম বিকাশমান ধর্ম। ইসলাম সারা বিশ্বে বিস্তৃতি লাভ করছে ক্রমেই; এমনকি ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন জনপদ ইসলামের আলোকধারায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে; মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে চোখে পড়ার মতো বহু দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। ইসলামের অগ্রযাত্রায় হতাশ হয়ে ওই চক্রের হোতারা বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, মিথ্যা, অশালীন ও বিদ্রুপাত্মক বিষোদগারের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে অমুসলমানদের মনে ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করা, যাতে তারা এ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট না হয়।
ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে মু’মিনদের ইবাদত, কৃষ্টি, জীবনাচার ও দাওয়াতি কর্মপ্রয়াসে শৈথিল্য আনা। তৃতীয়ত, মুসলমানরা গভীর ঘুমে অচেতন, না জাগ্রত অতন্দ্রপ্রহরী তা পরখ করা এবং ঈমানি শক্তির প্রচণ্ডতা যাচাই করা। চতুর্থত, প্রতিটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। ইসলাম ধর্মাবমাননার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ সংক্ষুব্ধ মুসলমানরা দেশে দেশে বিক্ষোভ ও সহিংস পন্থার যদি আশ্রয় নেয়, তা হলে তাদের দমনের নামে বিভিন্ন বাহিনী হামলে পড়বে ওই সব দেশে। তারপর শুরু হয়ে যাবে জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের তাণ্ডব। ষড়ন্ত্রকারীরা কিন্তু একা নয়; এদের পেছনে আছে তাদের স্বধর্মী ও সমগোত্রীয়দের এক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশ্বের বহুল পরিচিত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া, ফেসবুক ও গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন।
ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নিয়ে উপহাস ও কটাক্ষ করতে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’র বুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। আমরা মনে করি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতারও সুনির্দিষ্ট শর্ত ও নীতিমালা থাকা চাই। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’র নামে অন্য ধর্ম ও ধর্ম প্রচারকের প্রতি ঘৃণার আগুন ছড়ানো অব্যাহত থাকলে চলমান আন্তঃধর্ম সংলাপ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এবং অসম্ভব হয়ে উঠবে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার মহৎ উদ্যোগ। হিংসা ডেকে আনে হিংসা; বিদ্বেষ শত্রুর সংখ্যা বাড়ায়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, নিবর্তন, চক্রান্ত, উচ্ছেদ, হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মাবমাননা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদি কারণে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইসলাম ধর্মকে হেয় করার কাজে চক্রান্তকারীদের আশকারা দেয়ার পরিণতি আগামীতে বুমেরাং হতে পারে।
গোটা পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষ বিশেষ কোনো ধর্মের অনুসারী হবে, এটা অসম্ভব। নানা ধর্মের মানুষের পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই পৃথিবীর বৈচিত্র্য। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও সমাজবদ্ধ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ধর্মাবমাননার সব পথ বন্ধ করতে হবে এবং এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করে ধর্মদ্রোহী কুলাঙ্গারদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় পৃথিবীর পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলতে পারবে না। আমরা এ ব্যাপারে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ ও জৈন ধর্মের সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসার আহŸান জানাই। একে অপরের ধর্মানুভ‚তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন বিশ্বশান্তির পূর্বশর্ত।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক
drkhalid09@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা