২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সুইডেনে উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীর তাণ্ডব

সুইডেনে উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীর তাণ্ডব - ছবি : সংগ্রহ

ইউরোপের দেশ সুইডেনের বিভিন্ন শহরে বিশেষ করে নরকপিং, লিংকোপিং, রিঙ্কেবি, মালর্মো, ওরেব্রো ও রাজধানী স্টকহোমে সপ্তাহান্তে সংঘর্ষ ও সহিংসতা শুরু হয়। রাসমুস পালুদান একজন ডেনিস-সুইডিশ চরমপন্থী যার নেতৃত্বে সুইডেনের অতি-ডান, অভিবাসী-বিরোধী, ইসলামবিরোধী গ্রুপ স্ট্রাম কুরস বা হার্ডলাইন সংগঠনের পরিকল্পনা অনুযায়ী রমজান মাসে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগামীতে কুরআন পোড়ানোর ঘটনা আরো ঘটানোর ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। এটি সুইডেনের মতো সার্বভৌম দেশের নাগরিক আইন এবং রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী। ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমানদের অনুভূতিকে ক্ষুব্ধ করার মতলবে কিছু চরমপন্থী পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করে। এটিকে উসকানিমূলক অপরাধ বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। ধর্ম ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে চরমপন্থা ও ঘৃণাকে পরাস্ত করার বৈশ্বিক প্রচেষ্টার বিপরীতে এ হামলাকে শান্তিপ্রিয় মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ-জাতীয় বিদ্বেষপ্রসূত ঘটনা মোকাবেলা করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে জোরদার করার কথা বলছেন বোদ্ধামহল।

জাতিসঙ্ঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) রেজ্যুলিউশন ১৬/১৮-এর কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে, ধর্ম ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে ঘৃণা, বৈষম্য ও সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেয়ার দাবি উঠেছে। সংলাপ, সহনশীলতা, সহাবস্থানের মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে, ঘৃণা, চরমপন্থা বর্জন এবং সব ধর্ম ও পবিত্র স্থানগুলোর অবমাননা রোধে সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দিতে হবে।

অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠীর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সমাবেশে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। সংঘর্ষে ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে- নরকপিং থেকে আটজন ও লিংকোপিং শহর থেকে ১৮ জন। পুলিশের বিবৃতি উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নরকপিংয়ে পুলিশ সতর্ক করে গুলি ছুড়লে তিনজন আহত হয়। কয়েক দিন ধরে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা চলছে। এতে বহু মানুষ আহত হয় ও যানবাহন পুড়ে গেছে। ২৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ১৪ জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসেন। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানি ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর ক্ষেত্রে চরম ডানপন্থী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি আরব জানিয়ে দিয়েছে, সব ধর্ম ও উপসনালয়ের অবমাননা বন্ধ করতে হবে। ইরাক কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় বাগদাদে সুইডিশ চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হাকান রুথকে তলব করে প্রতিবাদ জানায়।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষক ড. হামদান আল-শেহরি বলেন, ‘সন্ত্রাসী ও অপরাধী যারা অন্য ধর্ম ও সংস্কৃৃতিকে সম্মান করে না এবং যারা মতবিরোধকে উসকে দিতে চায় ও বিশ্বকে ধর্মীয় যুদ্ধে টেনে আনতে চায়, তাদের কর্মতৎপরতার পরিণতি যাই হোক, কোনোক্রমে ঘৃণা প্রকাশের অবারিত সুযোগ দেয়া উচিত নয়। অতীতে মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রথাগত বা মিডিয়ার মাধ্যমে, একটি ভয়ঙ্কর প্রচারণা দেখেছি; মুসলমানরা বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। এসব প্রচারাভিযান প্রকাশ্যে প্রতিকূলভাবে পরিচালিত হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে গণতন্ত্র বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলে চালিয়ে দেয়া হয়।’ মুসলমানরা সবসময় সংস্কৃতি ও ধর্মকে সম্মান করতে আগ্রহী। সেন্টার ফর ইন্টারফেইথ ডায়ালগের অধীনে আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপের জন্য কিং আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভিয়েনায়। সৌদি আরব, অস্ট্রিয়া, ভ্যাটিকান ও স্পেন এই আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। একাধিক ধর্ম ও সংস্কৃতির অনুসারীদের মধ্যে সংলাপ ও বোঝাপড়ার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে চায় এ সংস্থা। এটি বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধার সংস্কৃতিকে প্রচার করে এবং জাতি ও জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচার ও শান্তির নিয়ম প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করে। এর পরিচালনা পর্ষদে মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইহুদি, বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মীয় নেতারা রয়েছেন। (আরব নিউজ, জেদ্দা, ১৯ এপ্রিল-২০২২)

আশ্চর্যের বিষয় হলো যে, বাকস্বাধীনতা, মানবতা, সভ্যতা, মূল্যবোধের কথা মুখে বলা হলেও অন্য ধর্মের সংস্কৃতি বা ধর্মীয় প্রতীকগুলোকে অবমূল্যায়ন করা বা তাদের উপহাসের শিকার করা রীতিমতো ফ্যাশনে পরিণত করা হয়েছে। অতীতে স্বাধীন মতপ্রকাশের এ ব্যাখ্যাটি ৩০ সেপ্টেম্বর-২০০৫ ডেনিশ পত্রিকা ‘জিলান্ডস পোস্টেন’-এ নবী মুহাম্মদ সা:-এর ১২টি ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল। ১০ জানুয়ারি-২০০৬-এ নরওয়েজিয়ান পত্রিকা ম্যাগাজিনেট, জার্মান সংবাদপত্র ডাই ওয়েল্ট, ফরাসি সংবাদপত্র ফ্রান্স সোয়ার এবং ইউরোপের অন্যান্য সংবাদপত্র ছবিগুলো পুনঃপ্রকাশ করে। তাদের প্রকাশনা মুসলমানদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুভূতিতে আহত করেছিল এবং মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক স্তরে ব্যাপক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছিল। মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ উসকে দেয়ার আরেকটি ধরন ছিল উপাসনালয়ে আক্রমণ, যেমন- ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ সন্ত্রাসী হামলা, ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারান্ট, একজন অস্ট্রেলিয়ান সন্ত্রাসী সে দু’টি মসজিদে ৫১ জনেরও বেশি মুসলমানকে হত্যা করে। এ ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্ম শান্তি, সহাবস্থান ও সভ্য বিশ্বের মূল্যবোধ প্রকাশ করে না। বরং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অজুহাতে তারা মুসলমানদের অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে (প্রাগুক্ত)। প্যারিসে ‘চার্লি হেবডো’ ম্যাগাজিনে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা:-কে অবমাননা করে কার্টুন ছাপে। এটি ২০০ কোটি মুসলমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।

একটি সঙ্ঘবদ্ধ গোষ্ঠী ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলাম, নবী মুহাম্মদ সা:-কে অবমাননা ও কুরআন পোড়ানোর মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। আসলে ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে ধর্মের অগ্রযাত্রা রোধ করা যায় না। এটি নিচু মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। এতে সমাজ ও রাষ্ট্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এবং এটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে অসম্ভব করে তোলে। ২০১৭ সাল থেকে ডেনমার্কে কুরআনকে অপবিত্র করা বৈধ। হার্ডলাইন পার্টির (ড্যানিশ : স্ট্রাম কুর্স) একটি নিয়মিত ঘটনা হলো কুরআন পোড়ানো। ২০০৫ সালের মাঝামাঝিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক গুয়ান্তানামো বে বন্দিশিবিরে মুসলিম বন্দীদের সামনে কুরআনের ইচ্ছাকৃত অবমাননা করার অভিযোগ, কিউবায় ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয় এবং দাঙ্গার দিকে পরিচালিত করে। একটি মার্কিন সামরিক তদন্ত কমিশন মার্কিন কর্মীদের দ্বারা কুরআনি অপবিত্রতার চারটি ঘটনা নিশ্চিত করেছে (যার মধ্যে দু’টিকে ‘অনিচ্ছাকৃত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে) এবং মুসলিম বন্দীদের দ্বারা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ অপবিত্র করানোর ১৫টি ঘটনা উদঘাটিত হয়েছে। সিবিসি নিউজের মতে, ‘বিবৃতিতে কেন আটক ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব পবিত্র গ্রন্থের অপব্যবহার করতে পারে, সে সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।’ গুয়ান্তানামো বে ঘাঁটি, আরো মুসলিম অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে।

২০১০ সালে ডোভ ওয়ার্ল্ড আউটরিচ সেন্টারের খ্রিষ্টান যাজক টেরি জোনস ফ্লোরিডার গেইনসভিলে একটি গির্জায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে একটি কুরআন পোড়ানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর আন্তর্জাতিক নিন্দার কারণ হয়ে ওঠেন। তিনি পরে পরিকল্পনা বাতিল করেন; তবে ২০ মার্চ, ২০১১-এ তিনি কুরআন পোড়ানোর তদারকি করেন। জবাবে আফগানিস্তানে মুসলমানরা প্রতিবাদ জানায় এবং সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়।

২০১১ সালে লুই থেরাক্স ডকুমেন্টারি আমেরিকাস মোস্ট হেটেড ফ্যামিলি ইন ক্রাইসিসে, ওয়েস্টবোরো ব্যাপটিস্ট চার্চের মেগান ফেলপস এক সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এবং প্রকাশ্যে কুরআনের একটি কপি পুড়িয়েছে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সামরিক বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে কুরআন অবমাননার জন্য আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা ‘আমেরিকার মৃত্যু হোক’ স্লোগান দেয় এবং মার্কিন পতাকা পুড়িয়ে দেয়। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। এতে ছয়জন মার্কিন সেনা প্রাণ হারায়। ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই নরম্যান্ডি চার্চে হামলার কয়েক দিন পর, মাল্টার মেটার দেই হাসপাতালের প্রার্থনা কক্ষে কুরআনের বেশ কয়েকটি কপি অপবিত্র করা হয়েছিল। পবিত্র ধর্মগ্রন্থের ভেতরে শূকরের মাংসের টুকরা রাখা হয়েছিল। হামলাকারীরা ক্যাথলিক ধর্মযাজক জ্যাক হ্যামেলের একটি ছবিও রেখে যায়, যার ক্যাপশন ছিল ‘ভিকটিম অব ইসলাম’। এ ছাড়া বিভিন্ন মুসলিম দেশে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে নালা নর্দমা ও ডোবায় পবিত্র কুরআন নিক্ষেপ করে। সৌদি আরবের তায়েফেও এমন বহু ঘটনা সংঘটিত হয়।

২০১৭ সালের পিউ রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে সুইডেনের ১০ মিলিয়ন মোট জনসংখ্যার ৮.১ শতাংশ (প্রায় আট লাখ ১০ হাজার) মুসলিম বলে প্রকাশ করা হয়েছে। আধুনিক সুইডেনে প্রথম নিবন্ধিত মুসলিম গোষ্ঠী ছিল ফিনিশ তাতার যারা চল্লিশের দশকে ফিনল্যান্ড ও এস্তোনিয়া থেকে অভিবাসিত হয়েছিল। ষাটের দশকে অভিবাসন সুইডেনে ইসলাম ছড়িয়ে দেয়ার প্রধান চালিকাশক্তি। সত্তরের দশকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অভিবাসনের সাথে সুইডেনে ইসলামের লক্ষণীয় উপস্থিতি শুরু হয়। সাবেক যুগোশ্লাভ প্রজাতন্ত্র এবং সম্প্রতি সোমালিয়া থেকে অভিবাসীদের আরো ঢেউ সুইডেনে এসেছিল। ইরাক, সোমালিয়া ও আফগানিস্তান থেকে আসা অভিবাসীরাই সুইডেনে বসতি স্থাপন করে। সুইডেনে বেশ কয়েকটি মসজিদ রয়েছে। ১৯৮৪ সালে মালমে মসজিদ এবং পরে ১৯৯৫ সালে উপসালা মসজিদ নির্মিত হয়। ’২০-এর দশকে আরো মসজিদ নির্মিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে স্টকহোম মসজিদ (২০০০), উমিয়া মসজিদ (২০০৬) ও ফিট্টজা মসজিদ (২০০৭), স্টকহোমে বাংলাদেশ জামে মসজিদ, হ্যানিং (দক্ষিণ স্টকহোম) ব্র্যান্ডবার্গেন মসজিদ, স্কোগাস মসজিদ, গোথেনবার্গ (হিসিঙ্গেনে) তুর্কি মসজিদ ও গুরাবা মসজিদ প্রভৃতি। সৌদি আরব ও লিবিয়া সরকার সুইডেনের কয়েকটি বৃহত্তম মসজিদ নির্মাণে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। ২০১৬ সালে গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ এসওএম জরিপে, ৫৩ শতাংশ সুইডিশের মধ্যে ইসলামের ধারণা নেতিবাচক যেখানে ৭ শতাংশ ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে, ৪০ শতাংশ অমীমাংসিত। সুইডেনের বিভিন্ন স্থানে ইসলামিক কালচারাল সেন্টার, মুসলিম সোসাইটি, মহিলা সমিতি, দাওয়াহ কমিটি ধর্মপ্রচার, কুরআন শিক্ষা, কমিউনিটি উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে। সুইডেনে বসবাসকারী মুসলমানরা রাষ্ট্রীয় আইন ও বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নিয়মরীতি মেনে চলতে অভ্যস্ত। যেকোনো মূল্যে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। চরম উসকানির মুখেও তারা সহনশীলতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।

লেখক : শিক্ষক ও গবেষক

drkhalid09@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement