২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এত বিদ্যার দরকার নেই

- ছবি : নয়া দিগন্ত

‘এত বিদ্যার দরকার নেই’ কথাটি বাবার, বলেছিলেন সখেদে। খেদের কারণ সবাই আশায় ছিল ওকালতিতে সুখ আর সুখ। ওকালতির শুরুটা চৈত্রের খরার চেয়েও তাতিয়ে থাকার বিষয়টি কারো জানা ছিল না। নাটক ও ছায়াছবি ছাড়া বাস্তব উকিল-মুক্তারের সাথে পরিচয় ছিল না বললেই চলে -সেখানে সুখ আর ঐশ্বর্য ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি।

এক দিকে দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে অশীতিপর মা-বাবাসহ শিশুসন্তানদের ভবিষ্যৎ, অন্য দিকে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে ভেঙে পড়তে শুরু করেছে সালমার শরীর। আমাদের দাম্পত্য জীবনেও পার হতে চলেছে ১৫ বসন্ত। সালমার সংসারে বেড়েছে নতুন তিন অতিথি। ভগ্ন শরীরে চতুর্থ সন্তান প্রসব ঝুঁকিপূর্ণ। চতুর্থ সন্তান প্রসবের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ঝুঁকি আর আতঙ্ক। দিশেহারা হয়ে কম ভাড়ায় বাসা খুঁজতে শুরু করি। কোর্টের টাইপিস্ট মল্লিক। সালমার বোনঝি জামাই। টাইপিস্ট হলেও রোজগার ভালো। সেও পরিবার নিয়ে যাবে ঢাকায়। দু’জন মিলে আইজি গেটে বাসা ঠিক করি। বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি। দুই বেড, এক বারান্দা, এক বাথরুম। সিঙ্গেল পরিবারের জন্য নির্মিত কলোনি অনেকে ভাড়া দিয়ে রাখেন। ভাড়া এক হাজার টাকা। মাস্টার বেডরুম ৬০০ আর ছোটটির ভাড়া ৪০০ টাকা। তিন ছেলেমেয়েসহ অন্তঃসত্ত্বা সালমাকে নিয়ে ৪০০ টাকার রুমেই প্রবেশ করি।

তিন সন্তান তাদের বাবার ওকালতির সুখপাখির ডানায় ভর করে শহরের রঙিন জগতে প্রবেশের জন্য মায়ের সাথে ঢাকা শহর এসে হাজির হয়। কলোনির দক্ষিণ দিকের প্রথম সারির মাঝামাঝি ছিল আমাদের বাসা। তখন বড় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণী, ছেলে তৃতীয় শ্রেণী আর ছোট মেয়ে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। প্রথমে খোঁজখবর নিতে শুরু করি, তিনজনের স্কুলে ভর্তির বিষয়ে। শহরের আর গ্রামের স্কুল এক নয়। গ্রামের স্কুল পায়রাবন্দের বেগম রোকেয়ার স্কুলের মতো। শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের উৎসাহিত করে শিক্ষার্থী নিয়ে আসেন। শহরের চিত্র ভিন্ন, কমিটির অনুমোদন ছাড়া যখন-তখন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যায় না। এলাকার বড় বড় লোক স্কুল কমিটির সদস্য। তাদের খুঁজে পাওয়াও কঠিন।

সালমার নিরাপদ সন্তান প্রসবের জন্য খুঁজে বের করি দাতব্য মাতৃসদন। পুরান ঢাকার মধ্যে অন্যতম ‘বাংলাবাজার শহীদ ময়েজউদ্দিন মাতৃসদন’। আইজি গেটের কাছেই বাংলাবাজার। এক দিন নিয়ে গিয়ে সালমার নাম রেজিস্ট্রি করে আসি। শিশুদের স্কুল ভর্তি অনিশ্চিত রেখেই আদালতের কাজে মন দিই। কোর্টে আসা-যাওয়া, দুপুরের খাওয়াসহ মোট খরচ ২০ টাকা। বাসা থেকে ২০ টাকা নিয়ে আদালতে যাই। যে দিন পরিচিত মুহুরিদের মামলায় জামিন মঞ্জুর হয় সেদিন জামিননামা সম্পাদককালে ১০০-৫০ টাকা পাই। যেদিন কাজ না থাকে, বসে থাকি মল্লিকের টাইপ মেশিনের পাশে। গল্প করি, মাগনা চা খাই। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই খালি হাতে ফিরে আসি।
বড় মেয়েটা দেখতে অনেকটা ওর মায়ের মতো। পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় কবুতরের খোপের মতো বাসায় বসে কাঁদছিল।
নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে বাসায়ও। এক দিন কোর্ট থেকে বাসায় ফিরে জানতে পারি, একদল কম বয়সী উচ্ছৃঙ্খল ছেলে বাসার সামনে আড্ডা দেয়। বারান্দার সামনেই দেয়াল। দেয়ালের ওপর বসে শিস দেয়, গান গায়, নতুন উৎপাত। দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখলে ঢিল ছোড়ে। বাসায় থাকাই দায়।

কলোনিতে বাস করেন আমাদের কোর্টেরই একজন আইনজীবী, নাম সিদ্দিকুর রহমান। তার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করি। আলাপ করি সন্তানদের স্কুল ভর্তির বিষয় নিয়েও। স্কুল ভর্তির বিষয়ে সিদ্দিক সাহেব যা বললেন, তার মর্ম -‘কলোনির ভেতরে একটি স্কুল রয়েছে। এই স্কুল শুধু ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছেলেমেয়েদের জন্য। বাইরের ছেলেমেয়েদের জন্য বাইরের স্কুল। বাইরের স্কুলে ভর্তির জন্য নির্ধারিত সময় আছে। নির্ধারিত সময়ে ইন্টারভিউ দিয়ে ভর্তি হতে হয়। প্রাইভেট কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হতে লাগে ডোনেশন। হাজার হাজার টাকা ডোনেশন দিয়ে ভর্তি হওয়া যায় যেকোনো সময়।’

‘উচ্ছৃঙ্খল ছেলেদের উৎপাত থেকে রক্ষার একটাই পথ, বাসা পাল্টানো। কলোনিতে ঢোকার প্রধান গেটে ২৪ ঘণ্টা দারোয়ান থাকে। আপনার বাসা ওয়ালের পাশে। যারা উৎপাত করে তারা ওয়ালের বাইরের পোলাপান। কলোনির বাইরে নিম্নবিত্ত মানুষের বাস। তাদের বখাটে কিছু ছেলে এসব করে থাকে। এদের বাধা দিতে গেলে যেকোনো সময় ঘটিয়ে দিতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের কিশোর-তরুণরা স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের চলার পথে জোরে হর্ন বাজিয়ে, দ্রুতগতিতে সাইকেল চালিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছে, কেউ কেউ মাইক বাজিয়ে পাড়া-মহল্লা মাথায় তুলছে।’

দু’টি জটিল সমস্যায় জটিল সমাধান নিয়ে দুঃখভারাক্রান্ত মনে বাসায় ফিরি। বাসায় সবাইকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ওকালতির কাজে মন দিই। ওকালতির কাজ বলতে সকালে ঘুম থেকে উঠেও, গোসল করে, নাশতা খেয়ে, আদালতের ড্রেসকোড অনুযায়ী গলায় টাই বেঁধে, কালো কোট গায়ে চড়িয়ে বুক ফুলিয়ে কোর্টে যাই আর সন্ধ্যায় বাসায় ফিরি বায়ুশূন্য বেলুনের মতো বুক নিয়ে। মরিয়া হয়ে কাজ খুঁজতে থাকি।
মুহুরিমহলে যেদিন কোনো কাজ না থাকে, সে দিন পাঁচানি (পাঁচ আইনি) মামলার আসামির আশায় বসে থাকি। এর মধ্যেই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ঘটে অনাকাক্সিক্ষত একটি ঘটনা। বেলা ৩-৪টার দিকে হাজতখানা থেকে পাঁচানি মামলার আসামি কোর্টে উঠানো হয়। শনপাটের রশি কোমরে বেঁধে এক সাথে ৪০-৫০ জন আসামি কোর্টে নেয়ার সময় হইচই পড়ে যায়। ঢাকা শহর মেট্রোপলিটন সিটি হওয়ার আগে ছোট অপরাধগুলো আলাদা যে পাঁচটি আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হতো ওই পাঁচটি আইনকে বলে ‘পাঁচ আইনি বা পাঁচানি’ মামলা।
শহরের রাস্তায় প্রস্রাব-পায়খানা করা, বেলেল্লাপনাসহ সন্দেহমূলক ঘোরাঘুরির অপরাধে অপরাধী হলে পাঁচানি মামলায় জরিমানা করা হয়, যা ডিএমপি অ্যাক্ট বা মহানগর পুলিশ অ্যাক্ট নামেও পরিচিত। পাঁচানি মামলার আসামিদের জামিন না চেয়ে দোষ স্বীকার করলে কোর্ট খুশি হন। দোষ স্বীকার করলে ২৫ থেকে ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়। দোষ স্বীকার না করলে কয়েক দিন সাজা খাটতে হয়।

এসব আসামির মধ্যে অনেক ভালো মানুষও থাকতেন। কেউ গ্রাম থেকে শহরে এসে সিনেমা দেখে গভীর রাত করে বাসায় ফেরার পথে, কিংবা দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার ধারে প্রস্রাব করার সময় পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে। পরিস্থিতির শিকার, এসব লোক পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারটি অনেকের আত্মীয়স্বজনও জানেন না। আমরা খুঁজে খুঁজে এরকম মক্কেলই বের করতাম। হাজত থেকে এজলাসে উঠানোর সময় মাঝপথে হাঁটাচলার মধ্যেই চুক্তি করে ফেলতাম। মৌখিক চুক্তি, মুখেমুখেই পাকা করে ফেলতাম। চুক্তির শর্তানুসারে আসামি বের করা পর্যন্ত সব খরচ চালিয়ে যাবেন উকিল সাহেব। মক্কেল বের হয়ে উকিলসহ ঠিকানায় গিয়ে চুক্তি মতো টাকা পরিশোধ করবেন। পকেটের পয়সায় জরিমানাসহ আনুষঙ্গিক খরচপাতি দিয়ে আসামি বের করি। এসব মৌখিক চুক্তির বেলায় শিকার নির্বাচন করতে ভুল করলে উকিল নিজেই ‘শিকার’ হয়ে যান। ক্রিমিনাল আর ক্রিমিনাল কোর্টের আইনজীবী অনেকটা সাপ আর সাপুড়ের মতো সম্পর্ক। বিষধর সাপ নিয়ে ঠিকমতো খেলতে না পারলে সাপকে কুপোকাত করার আগে সাপুড়ে নিজেই কুপোকাত হয়ে পড়েন। এমনটাই ঘটেছিল আমার বেলায়। ১৯৮৪ সালের জুলাই-আগস্টের দিকে।

পাঁচানি মামলার বহর থেকে পছন্দ মতো মক্কেল খুঁজছি। এক যুবক কান্নাকাটি করে বলে, ‘আমি একজন দোকান মালিক, দোকানেই থাকা-খাওয়া করি। রাত ১টার দিকে দোকানের পকেট গেট খুলে বাইরে এসে রাস্তার ধারে প্রস্রাব করতে বসি, অমনি পুলিশের গাড়ি পেছনে এসে থামে। কোনো কথাই শুনল না, একেবারে হিড়হিড় করে টেনে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে এলো। দোকানটিও বন্ধ করতে দিলো না। আমার সারা মাসের বেচাকেনার টাকা না-জানি কী হয়েছে!’

বলেই হু হু করে কেঁদে ওঠে। আমি তো এ ধরনের মক্কেলই খুঁজছিলাম, পেয়েও গেলাম। ৫০০ টাকায় দফারফা শেষ করলাম। ৫০ টাকা জরিমানা ও অন্যান্য খরচ ২০ টাকা। মক্কেল ছাড়া পেয়ে বাইরে এসেই বলে, ‘আমার খিদা পাইছে। ভীষণ খিদা। স্যার, আপনি আমার বাপ-মা। যা পারেন খাওয়ান, নইলে হাঁটতে পারমু না।’

পানাহার করানোর পর ১০ টাকা রিকশা ঠিক করে বাড্ডা রওনা হয়ে পড়ি। রিকশার ডান দিকে আমি আর বাম দিকে মক্কেল। রিকশায় যাচ্ছি আর মনে মনে হিসাব করছি, আজ দিনটি ভালো, সব খরচ বাদ দিয়েও শ’চারেক টাকা ব্যবসায় হবে। এক ঘণ্টায় এক মাসের বাসা ভাড়া। এ মাসেই সালমার ডেলিভারি। নতুন সন্তান আগমনের কথা শুনলেই ছুটে আসবেন বাবা-মা। ডেলিভারিসহ সেখানেও মেলা খরচ। গত মাসের বাড়িভাড়া সালমাই দিয়েছিল। শহরে আসার আগেরই কথা, সালমা চালাবে বাড়িভাড়া। আমি চালাব সংসার খরচ। সালমার ডেলিভারির আগে ‘আল্লাহ আল্লাহ’ করে এরকম আর দু’-একটা পাঁচানি কেস ধরতে পারলেই চলে। এক্কেবারে বাম্পার। এমন না হলে কী আর উকিলরা রাতারাতি বড় হতে পারে!

বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতে দেখতে রিকশা মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় চলে আসে। মেঘলা আকাশ থেকে বৃষ্টি নামতে শুরু করেছে। বৃষ্টির তোড় বাড়লে রিকশার হুড তুলে দিই। দু’জন গুটিসুটি হয়ে হুড ও পর্দার ভেতর ঢুকে পড়ি। রামপুরায় কাছাকাছি আসতেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। রিকশা যখন রামপুরা টিভি সেন্টারের কাছাকাছি পৌঁছায়, তখন আমার পাশে বসা মক্কেল সামনের পর্দা সরিয়ে এক লাফে নিচে নেমে পড়ে। আমি বুঝতে না বুঝতেই টিভি সেন্টারের দক্ষিণ দিকের দেয়ালঘেঁষে পূর্ব দিকে ভোঁ দৌড়। রিকশাওয়ালা রিকশা থামিয়ে দেয়। দু’জনই হতভম্ব, বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে মক্কেলের দৌড় দেখছি! কতক্ষণ পর নীরবতা ভেঙে রিকশাওয়ালা বলে, স্যার, বাড্ডা যাবেন, না এখান থেকেই আমাকে বিদায় করবেন?

সময় ও স্রোত কারো জন্য বসে থাকে না। বসে রয়নি সালমার ডেলিভারির সময়কালও। যে দিন তাকে মাতৃসদনে ভর্তি করি, পরদিনই কন্যাসন্তান প্রসব করে। আমাদের চতুর্থ সন্তান। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি। সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচাতে স্কুটারের চারদিক চাদর ঢাকা দিয়ে ডেলিভারির পরদিনই বাসায় নিয়ে আসি। মাতৃসদন কর্মচারীদের বকশিশ দেয়ার সৌজন্য থেকে বাঁচতে নিয়ে এসেছিলাম কর্তৃপক্ষের অজান্তেই।

নাতনী হওয়ার খবর পান মা-বাবাও। বাবার একমাত্র ছেলে বশ মানেনি। তাই, প্রথম নাতনীকে বশ মানাতে শুরু করেছেন শৈশব থেকেই। এ উদ্দেশ্যে বাবা তার বড় নাতনীকে নিজের সাথে রাখতেন। তার সাথে নিয়ে যেতেন মাঠ-ঘাটে। বর্ষাকালে বাবা নায়ে বসে থাকতেন, আর নাতনী লগি ঠেলে ছেলেদের মতো নাও চালাত। এ হেন নাতনী ছাড়া বাবার দিনকালও ভালো কাটছিল না। বাবা মাঝে মধ্যেই বলতেন, কন্যাসন্তান ভাগ্যের প্রতীক। নাতনী হয়েছে, খবর প্রাপ্তির পরদিনই মাকে নিয়ে চলে আসেন বাবা।

আমার ওকালতির দশমী দশাসহ শিশুদের কষ্ট দেখে মাঠঘাটের ভাষায় বকাবকি আরম্ভ করেন, ‘এই কুঁড়ের বাচ্চাকে তখনই বলেছিলাম, আমাদের এত বিদ্যার দরকার নেই, দরকার নেই এত টাকা-পয়সারও। আল্লাহর দান নদী থেকে তাজা মাছ, ক্ষেতের ফসল, বাগানের সবজি, গাছের ফল ও খোলা মাঠের বাতাস পাই। এসব ছেড়ে শহরে এ রকম শিয়ালের গর্তে মানুষ বাস করতে পারে? শহরের এসব বাসি-পচা মাছ, গন্ধযুক্ত চালের ভাত ও পাউডার মেশানো দুধ, আমার বাড়ির কুকুর-বিড়ালও খাবে না। (নতুন নাতনী কোলে নিয়ে) কয়দিনে কী হাল হয়েছে আমার নাতি-নাতনীদের। এদের কষ্ট আমার সহ্য হবে না। আমি আমার নাতি-নাতনীদের এ অবস্থায় রেখে বাড়ি গেলে ঘুম হবে না, পেটে ভাত ঢুকবে না। এখনই বাড়ি চললাম। মাঝি-মাল্লা নিয়ে কালই ফিরে আসব, নাতি-নাতনীদের বাড়ি নিয়ে যাবো, তুই থাকিস তোর মজার ওকালতি নিয়ে।’
লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক
E-mail : adv.zainulabedin@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিখ্যাত চালকবিহীনবিমানের আবিষ্কারক কটিয়াদীতে আসছেন গাজার গণকবরের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন’ তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পেকুয়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৪ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ : টিআইবি লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ উত্তর গাজায় আবারো ইসরাইলের গোলাবর্ষণ ধামরাইয়ে তাপদাহে জনজীবন কাহিল, ডায়রিয়াসহ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশী

সকল