২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুর্ভিক্ষের পুনরাবৃত্তি কি সম্ভব

- ছবি : নয়া দিগন্ত

গগণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, ‘দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে’। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি খুব বিস্তারিত বলেননি। তবে উল্লেখ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. অমর্ত্য সেনের একটি লেখার উদ্ধৃতি। অমর্ত্য সেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোথাও লিখেছেন, ১৯৭৪ সালে এ দেশে সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভিক্ষে তিন লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখন মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু অর্ধাহার ও অপুষ্টিতে আছে অনেকে।

আমরা এই মুহূর্তে একটি ভয়াবহ বিপর্যয়কর মহামারীর অবসানের পর্যায়ে রয়েছি। এই মহামারীতে দেশের জনজীবন কিভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, কত মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে, যারা আগে থেকেই গরিব তারা দিনে কয় বেলা খেতে পারছে বা সন্তানের মুখে খাবার জোগাতে পারছে, তার কোনো হিসাব নেই। বেসরকারি পর্যায়ে কিছু জরিপ হলেও সরকারিভাবে এরকম কোনো জরিপ বা সমীক্ষা করা হয়নি। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর জরিপে যেসব তথ্য উঠে এসেছে তা রীতিমতো আতঙ্কজনক। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির পরিসংখ্যান বলছে, করোনার আগে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল তিন কোটি ৪০ লাখ। কোভিড-১৯ মহামারীতে আরো তিন কোটি ৪০ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্রের কাতারে নেমে এসেছে। মোট দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এখন ছয় কোটি ৮০ লাখ। মানে, প্রায় সাত কোটি মানুষ দরিদ্র। শতকরা হার ৪-এর মতো। দুই বছর আগে অর্থাৎ মহামারী শুরুর আগে দেশে দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশ ছিল বলে দাবি করা হতো।

আমরা যারা ষাটোর্ধ্ব বয়সী তারা দুর্ভিক্ষের কথা শুনলেই আতঙ্কিত হই। কারণ স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ আমরা দেখেছি। এক মুঠো খাবার নয়, এক বাটি ভাতের মাড়ের জন্য ক্ষুধার্ত মানুষের আকুতি, মানুষের দুঃখ দুর্দশা মৃত্যু, হাহাকার আমরা দেখেছি। নিজেরা ভুগেছি এবং এত বছর পরও সেই দিনগুলো আমাদের কাছে ভয়াল রাতের দুঃস্বপ্ন হয়ে আছে। তাই দুর্ভিক্ষের কথা শুনলেই শরীর শিউরে ওঠে। গায়ে কাঁটা দেয়। আর এ কথাও ঠিক যে, ওই দুর্ভিক্ষের জন্য যত বাস্তব কারণই ওই সময় বা পরবর্তীকালে তুলে ধরা হোক না কেন, চরম সত্য এটাই যে, ওটা ছিল মানবসৃষ্ট। অমর্ত্য সেনের খাদ্য উৎপাদনের তথ্য পরিবেশন সেই সত্যের দিকে ইঙ্গিত করে।

কিন্তু গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের যে বিপুল অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে তাতে কি ’৭৪-এর মতো একটি দুর্ভিক্ষের পুনরাবৃত্তি সম্ভব? আমরা সাধারণ আলোচনায় অনেককেই বলতে শুনি, ‘সেই দিন আর বাংলাদেশের নেই। এখন খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে বিপুল পরিমাণে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। উন্নয়নের অনেক সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে, ক্ষেত্রবিশেষে ভারতকেও। বাংলাদেশ উন্নয়নের ট্রেনে চড়ে বসেছে এবং সে ট্রেন ছুটছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে গেছে দেশ, এখন উন্নত দেশে পরিণত হতে আর মাত্র সামান্য সময়ের অপেক্ষা।’ স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের একটা দায় ছিল। খাদ্য ঘাটতি ছিল বিপুল। ’৭৩ সালে আরব দেশগুলোর প্রথমবারের মতো তৈলাস্ত্র প্রয়োগের কারণে বিশ্বে জ্বালানি তেল ও খাদ্যের দাম বেড়ে যায়। বাড়তি দামে খাদ্য কিনতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তখন একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। আর আমেরিকার ‘খাদ্যের রাজনীতি’ নামের অস্ত্র তো ছিলই। এখন এই ২০২২ সালে দেশে তেমন কোনো পরিস্থিতি নেই। বরং বৈদেশিক মুদ্রার এত স্ফীত মজুদ আছে যে, সেখান থেকে শুধু যে নিজের দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ জোগান দেয়া যায় তা-ই নয়, বরং ঋণ দিয়ে বিপদে পড়া বিদেশী রাষ্ট্রকে উদ্ধারও করা যায়।

কথাগুলোর অনেকটাই সত্য বটে। তবে শঙ্কারও কারণ আছে। দেশে দ্রব্যমূল্য বেশুমার বেড়েছে। মানুষ ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে। টিসিবির ট্রাকে করে কিছুটা কম দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। সেই ট্রাকের পেছনে ভিড় কেবল বাড়ছে তাই নয়, রীতিমতো মল্লযুদ্ধ শুরু হয়েছে। কারণ ট্রাকে যে পরিমাণ পণ্য থাকে তার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা থাকে দ্বিগুণ। টিসিবির ট্রাক থেকে পুলিশ এমনকি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকেরা গায়ের জোরে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে। তারা টাকা দিয়েই নিচ্ছে বটে। দেখার বিষয়, এক হাজার টাকার জিনিস হয়তো ৬০০ টাকায় পাবে এ জন্য সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত মানুষও সুযোগ নিচ্ছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে বেশ কিছু খবর মিডিয়ায় এসেছে। এমনকি টিসিবির পণ্য পুলিশের ট্রাকে তোলার সময় ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশি হেনস্তার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাকের পণ্য কিনতে না পেরে প্রকাশ্য রাস্তায় কান্নায় ভেঙে পড়ছে গরিব মানুষ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রংপুরে মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন শ্রমিকরা। ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান জাতীয় শ্রমিক ঐক্যজোটের ব্যানারে শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা সিটি করপোরেশনের মেয়রকে স্মারকলিপি দেন। তাদের অন্যতম দাবিÑ ‘নিত্যপণ্যের দামের সাথে সঙ্গতি রেখে রিকশা-ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানের ভাড়া বাড়াতে হবে।’ এসব তো বাস্তবেই ঘটছে এখনকার বাংলাদেশে।

গত সোমবারের দৈনিক সমকালের শীর্ষ খবরে বলা হচ্ছে, ‘বাজারে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি ও করোনা মহামারীতে গরিবের সংখ্যা বাড়লেও স্কুল ফিডিং, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও গার্মেন্টশ্রমিক এবং টিআর (টেস্ট রিলিফ) খাতে খাদ্যশস্য বিতরণ বন্ধ রয়েছে। দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি), দুস্থদের খাদ্যসহায়তা (ভিজিএফ), মুক্তিযোদ্ধা, কাবিখা ও জিআর (খয়রাতি সাহায্য) খাতে নামমাত্র খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে। ফলে সব গরিব মানুষ ওএমএসের (খোলাবাজারে বিক্রি) ট্রাকের লাইনে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে অর্থবছর শেষ হওয়ার পাঁচ মাস আগেই ওএমএসের বরাদ্দ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখন ওএমএসের চাল-আটা না পেয়ে খালি হাতে ফিরছে মানুষ।

বাজারে সয়াবিন তেল নিয়ে যে তেলেসমাতি কাণ্ডকারখানা ঘটে চলেছে, সেটি এক দুঃসময়ের কথাই মনে করিয়ে দেয়। আসন্ন রোজাসহ প্রায় দেড় মাসের চাহিদার তুলনায় ভোজ্যতেলের মজুদ বেশি আছে। অথচ বাজারে দাম কমছে না। সরবরাহে কৃত্রিম ঘাটতি সৃষ্টি করে এখনো খুচরা বাজারে বাড়তি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। শুরু হয়েছে মজুদদারি ও কালোবাজারি। শুধু ব্যবসায়ীরা নন, সরকারি কর্মচারীর বাসা থেকেও উদ্ধার হয়েছে তেল। কিন্তু ধরা পড়ছে না বা ধরা যাচ্ছে না এমন মজুদদারের সংখ্যা কত তা কেউ জানতে পারছে না। পুরোটাই মুনাফাখোরির ব্যাপার। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল ’৭৪ সালে।

সাধারণ মানুষ যখন তেল ছাড়া রান্নার কায়দা কৌশল খুঁজছে তখন সরকার বলছে, ‘দেশে তেলের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। পাশাপাশি মিল থেকে সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো।’ কিন্তু বাজারে তেলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তার মানে হলো, সরকারের কাছে মজুদ থাকলেও সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। দায়ী করছে বিরোধী দলের সমর্থক ব্যবসায়ীদের। কিন্তু অন্যের ওপর দোষ চাপানোর একই কৌশল বারবার প্রয়োগ করা হলে তার আর ধার থাকে না। মানুষ এসব কথায় বরং মজা পায়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সে কথাই বলেছেন, ‘বিএনপি যদি দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তবে ওনারা (আওয়ামী লীগ) সরকারে আছে কেন? ক্ষমতা বিএনপির হাতে ছেড়ে দিক।’ তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে তাতে মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এসবের জন্য সরকারের উদাসীনতা ও চরম ব্যর্থতা দায়ী।’ ফখরুল বলেন, ‘জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে জনগণের প্রতি এ সরকারের দায়বদ্ধতা নেই।’

দেশের এই অবস্থা কিন্তু হওয়ার কথা ছিল না। উন্নয়নের যে বিশাল ডামাডোল তাতে তো স্কুল ফিডিং, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও গার্মেন্টশ্রমিক এবং টিআরের খাদ্য বিতরণ বন্ধ হওয়ার কথা নয়। বরং আরো বাড়ার কথা। ভিজিডি, ভিজিএফ, মুক্তিযোদ্ধা, কাবিখা ও জিআর খাতে নামমাত্র নয়, ঢেলে দেয়ার কথা। সেটা হচ্ছে না কেন, আল্লাহ মালুম।

আমরা শুধু বলতে চাই, বেশির ভাগ দুর্ভিক্ষই আসলে মানবসৃষ্টই হয়। যে পঞ্চাশের মন্বন্তরের কথা আবাল্য শুনে আসছি সেটিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিলের একক সিদ্ধান্তের পরিণতি। সেই দুর্ভিক্ষে শুধু তৎকালীন বাংলা প্রদেশে মারা গিয়েছিল ৩০ লাখ মানুষ। ‘চার্চিলস সিক্রেট ওয়্যার’ নামে এক বইয়ে ভারতীয় লেখিকা মধুশ্রী মুখার্জি ওই দুর্ভিক্ষের জন্য চার্চিলকে দায়ী করেন। শুধু তাই নয়, এর পেছনে চার্চিলের বর্ণবাদী মানসিকতাও দায়ী বলে উল্লেখ করেন লেখিকা।

এটাই যদি সত্যি হয়, তাহলে বর্তমান বাংলাদেশেও দুর্ভিক্ষ হবে না বা হওয়া অসম্ভব এমন চ্যালেঞ্জ দেয়ার সুযোগ নেই।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের ‘খাদ্য ও দুর্ভিক্ষের রাজনীতি’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ কিছুদিন আগে ছেপেছিল দৈনিক বণিক বার্তা। নিবন্ধে ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের হাজারটা কারণ উল্লেখ করেন তিনি। দেশের খাদ্য বণ্টন ব্যবস্থার দুর্বলতা, তখনকার সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ‚মিকা প্রয়োজনের চেয়েও বেশি বিস্তারিতভাবে বলেছেন বঙ্গবন্ধুর পরম ভক্ত রেহমান সোবহান। তবে শেষ পর্যন্ত যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেন সেই অংশটুকু উদ্ধৃত করি। রেহমান সোবহান বলছেন, ‘বন্যার ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো কোনো দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যু দেখা দেয়। বৃহত্তর রংপুর সবচেয়ে চরম দুর্গত এলাকায় পরিণত হয়। সেখানে আনুমানিক ২৫ হাজার লোক দুর্ভিক্ষে মারা যায়। সেখানকার দুর্ভিক্ষগ্রস্ত লোকজনের একটি অংশ জমিজমা ও হালের বলদ বিক্রি করে ঢাকার রাজপথে এসে অনাহারে মারা যায়। দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর সংখ্যার হিসাবে নানা তারতম্য দেখা যায়। সরকারি হিসাবে ২৭ হাজার এবং বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী এক লাখ লোক দুর্ভিক্ষে মারা গেছে বলে প্রকাশ। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত এলাকায় পাঁচ হাজার ৮৬২টি লঙ্গরখানা খুলে বহু অনাহার-মৃত্যু ঠেকানো গেছে। ... এ থেকে দেখা যায় যে, চরম খাদ্য ঘাটতি অপেক্ষা দুর্ভিক্ষ অনেকাংশে মানুষের তৈরি ছিল। এর আশু কারণ ছিল ফসল উৎপাদনকারী এবং খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীদের মজুদ ও ফটকাবাজি। অবশ্য এর স্থানীয়ভাবে তীব্রতার মূলে ছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের রক্ষণশীলতা। এ মন্ত্রণালয় বিধিবদ্ধ রেশনের পরিমাণ কমিয়ে রংপুরের মতো চরম খাদ্যাভাবগ্রস্ত এলাকার লোকদের খাওয়াতে পারত।’

এখনকার বাংলাদেশে কিন্তু শুধু ব্যবসায়ীদের মজুদদারি বা ফটকাবাজি চলছে না। দুর্নীতি, লুটপাট কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তার বিবরণ দেয়া অসম্ভব। শুধু রাজনীতিকরাই নন, এবারের এসব অপকর্মে যুক্ত হয়েছে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সেক্টরের বহু সুযোগসন্ধানী। পত্র-পত্রিকায় একেকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কেনাকাটার মাধ্যমে যেসব লুটতরাজ চলছে সেটুকুই আমরা দেখতে পাই। আর শোনা যায়, কানাডার বেগমপাড়ায় কারা যেন বাড়ি কিনে পাড়ি জমানোর তালে আছে। ঋণখেলাপিদের কথা না হয় নাই বলি।
সব কিছু দেখে শুনে আমাদের সত্যি শরীর শিউরে উঠছে, গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।
ইমেল : mujta42@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement