১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা দিয়ে তারা প্রতারণা করল

-

৪ ফেব্রুয়ারি ক্যান্সার দিবসে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, প্রতিদিন ক্যান্সারে দেশে ২৭৩ জন মারা যান। বছরে মারা যান এক লাখ মানুষ। একই দিন আয়োজিত ডাক্তারদের অন্য একটি সেমিনার থেকে জানা যাচ্ছে প্রতি বছর ক্যান্সারে দেড় লাখ মানুষ মারা যান। আমাদের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা চিকিৎসা ব্যবস্থার মতোই দুর্বল। তাই ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যাটি মন্ত্রীর প্রদত্ত পরিসংখ্যান থেকে বেশি হওয়ারই কথা।

অসংক্রামক ব্যাধিতে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর চার কোটি মানুষ মারা যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বক্ষব্যাধি, স্ট্রোক, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস। এসব রোগের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব অনেক বেশি। একজন ব্যক্তির দেহে ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পর তার পরিবার প্রচণ্ড চাপে পড়ে। আমাদের দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল। আবার বিদেশে চিকিৎসা নিতে গেলে তা আরো বেশি ব্যয়বহুল ও দুঃসাধ্য হয়ে যায়। ক্যান্সার চিকিৎসা করাতে গিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। ডায়াবেটিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মানুষ অন্যান্য নানা জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এর ধারাবাহিক দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করতে গিয়ে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুহার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যারা বেঁচে যাচ্ছেন তাদেরও ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। দরিদ্র ও প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষ এসব রোগের চিকিৎসায় কোনো সক্ষমতা রাখেন না। সে হিসেবে এসব রোগ যথেষ্ট গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল।

বিগত দুই বছরে করোনা মানুষের সব মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব, শারীরিক দূরত্ব, কোয়ারেন্টিন, মহামারী ও ভাইরাস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। শব্দকোষে এ-সংক্রান্ত বহু নতুন শব্দ যোগ হয়েছে। বিশ্বের তাবত দেশের নেতারা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুধু করোনা নিয়ে কথা বলে যাচ্ছেন। মনে হচ্ছে মানবজাতির একটিই রোগ, একটিই সমস্যা। তাদের মতে, করোনাকে মোকাবেলা করলে সবার উদ্বেগ নিরসন হয়ে যাবে। এমন অবস্থান গ্রহণ উদ্দেশ্যমূলক কি না আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। তবে এর মধ্যে অনেক ধরনের ফায়দা হাসিল হয়ে যাচ্ছে। করোনার ডামাডোলে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী মানুষদের আয় কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাদের সম্পত্তি বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হয়ে গেছে। ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতির চরিত্র বদলে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি নতুন ধনিক শ্রেণী।

অসংক্রামক ব্যাধির প্রধান কারণ তামাক, মাদক ও জাঙ্ক ফুড। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এন্ড্রেস কনস্টানটিন লিখেছেন বিশ্বব্যাপী এসবের উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা জনস্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাবকে খাটো করে দেখান। এখন তারা করোনার হুজুগকে ব্যবহার করছেন ক্ষতিকর এসব পণ্য বিক্রি বাড়ানোর কাজে। সামাজিক দায়িত্ববোধ বা সিএসআর নামের কার্যক্রমকে এ সময় তারা বাড়িয়ে দিয়েছেন। মানুষের মনোযোগকে তারা কৌশলে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। আর তাদের পণ্যের পরিচিতি বাড়াচ্ছেন ও সেগুলোর প্রয়োজনীয়তার কথা বাড়িয়ে বলছেন।

২০২০ সালের মার্চ থেকে জুলাইতে পরিচালিত একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করেন তিনি। ১৮টি দেশে ২৮০টি নমুনা নিয়ে এটি করা হয়। কোকাকোলা, ম্যাকডোনাল্ডস, নেসলে ও পেপসিকো কিভাবে করোনাকালীন জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করছে এই সমীক্ষায় তা উঠে আসে। এ সময় তারা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়ার আয়োজন করে। রোগ প্রতিরোধ দাওয়াই হিসেবে তারা নিজেদের কোমল পানীয়কে সরবরাহের সুযোগ নেয়। অথচ এসব আপাত সুস্বাদু পণ্য সাধারণ অবস্থাতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া অবস্থায় এগুলো খেলে তার ক্ষতিকে আরো বাড়িয়ে দেবে।

তামাকজাত পণ্যের উৎপাদকরাও করোনা মহামারীর মধ্যে তাদের সামাজিক কার্যক্রম সিএসআর বাড়িয়ে দেয়। এটিকে তারা সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছানোর কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এর মাধ্যমে তারা সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করে ধূমপান বাড়িয়ে অধিক আয় করতে চান। সমীক্ষায় দেখা যায় একটি সিগারেট কোম্পানি গ্রিস ও ইউক্রেনের হাসপাতালে ভেন্টিলেটর দান করছে। এভাবে করোনার পুরো সময় মূলত এমন কাজ হয়েছে, যা অসংক্রামক ব্যাধির মহামারী বাড়ানোর আয়োজন বলতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যসেবার বৈষম্য সারা বিশ্বে বেড়ে চলেছে। মূলত অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এমন হচ্ছে। অধ্যাপক এন্ড্রেস বলেছেন, সরকারকে তার নাগরিকদের স্বাস্থ্য রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি তৃতীয়পক্ষের নাম উল্লেখ করেছেন। এ ‘তৃতীয়পক্ষ’ বহুজাতিক খাদ্য এবং পানীয় কোম্পানি ও তামাক উৎপাদক ও প্রক্রিয়াজাতকারীরা। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে প্রকৃত মহামারী ঠেকানোর জন্য।

করোনা নিয়ে চলা প্রচারণা আর এ ধরে ভাইরাসটির ব্যাপারে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত আমাদের ‘পূর্বধারণা’ অসার প্রমাণ করবে। প্রথমে আমরা দেখেছি, মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর ধারায় এই মহামারী কোনো পরিবর্তন আনেনি। সারা বিশ্বে দুই বছরে করোনায় ৫৮ লাখ মারা গেছে। শুরুতে আমরা উল্লেখ করেছি, শুধু চারটি অসংক্রামক ব্যাধিতে বিশ্বে প্রতি বছর চার কোটি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। করোনা আমাদের দেশের ঠাণ্ডাজনিত জ্বর বা নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ। ওমিক্রন নামের নতুন ধরনটি শীতকালীন ঠাণ্ডা লাগা রোগের লক্ষণ ধারণ করেছে। এবার সরকারি হিসাবে দেশে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ হয়েছে। গড়ে কয়েক দিন সর্বোচ্চ ৪০ জন করে এ ভাইরাসে প্রাণ গেছে। নিউমোনিয়া-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত ঘাঁটলে দেখা যাবে, মৌসুমে ঠাণ্ডা রোগের একটি স্বাভাবিক সংক্রমণ প্রতি বছর দেশে রয়েছে। আবার মানুষের প্রাণহানির এটি নিয়মিত একটি কারণ। দেশে এ পর্যন্ত ১৯ লাখের কিছু বেশি মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ হাজারের কাছাকাছি। নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগের আগের বছরের তথ্য-উপাত্ত যদি পাওয়া যায় এর সাথে তুলনা করে দেখা যেতে পারে।

টিকা গ্রহণ নিয়ে চার দিকে বিপুল প্রচারণা চলছে। সরকার, চিকিৎসক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন। আগে বলা হয়েছিল, টিকা নিলে সংক্রমণ ঘটবে না। দেখা গেল, সংক্রমণের সাথে টিকার সেভাবে সম্পর্ক নেই। ভাইরাসটি তার নিজস্ব পদ্ধতিতে সংক্রমণ ঘটায়। পরে বলা হলো, টিকা গ্রহণ করলে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। টিকা গ্রহণসংক্রান্ত পরিসংখ্যান ঘাঁটাঘাঁটি করলে এসব বক্তব্যের সত্যতা সম্ভবত পাওয়া যাবে না। আফ্রিকার উদাহরণটি দেয়া যায়। এ মহাদেশে বসবাস করে ১৩০ কোটি মানুষ। এসব মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র। তাদের টিকা কেনার পয়সা ও ক্ষমতা কম। তাই তারা নির্ভর করছে ধনী বিশ্বের টিকা দেয়ার পর বেঁচে থাকা বাড়তি টিকার ওপর। এখন পর্যন্ত মহাদেশটির মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন।

৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৮৫ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে চীনে। অন্য দিকে সারা বিশ্বের ৫৩ শতাংশ মানুষ পূর্ণ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন। ধনী দেশগুলোতে মানুষেরা আবার বুস্টার ডোজ নিচ্ছেন। আমাদের দেশেও অনেকে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। আফ্রিকার মানুষের টিকা গ্রহণ না করায় সেখানে করোনা মহামারী বেড়ে যাচ্ছে, এমন দেখা যাচ্ছে না। টিকা কম বেশি গ্রহণের সাথে করোনার সংক্রমণ ও এতে মানুষের মৃত্যুর জোরালো সম্পর্ক সম্ভবত দেখানো যাবে না।

আলজেরিয়ার দুই লাখ ৬১ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ছয় হাজার ৭১৫ জন। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। কেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে তিন লাখ ২২ হাজার, মারা গেছে পাঁচ হাজার ৬২৯ জন। দেশটির জনসংখ্যা সাড়ে ৫ কোটি। ইথিওপিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে চার লাখ ৬৭ হাজার, মারা গেছে ৭ হাজার ৪২১ জন। দেশটির জনসংখ্যা সাড়ে ১১ কোটি। এগুলো আফ্রিকার দরিদ্র দেশের অন্তর্ভুক্ত। এসব দেশে টিকা প্রাপ্তির হারও একেবারে কম। তাই বলে এসব দেশে করোনায় বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে এবং বেশি করে তারা প্রাণ হারাচ্ছে এমন হচ্ছে না। অথচ এসব দেশের প্রতিটিতে খরা বা দুর্ভিক্ষ লেগেই আছে। জাতিগত বিরোধ ও হানাহানি রয়েছে। এর সাথে রয়েছে অসংক্রামক ব্যাধির মহামারী। প্রতি বছর বহু মানুষ দেশগুলোতে মারা যায়, যা হয়তো নিরাময় হতে পারত বা প্রতিরোধ করা যেত।

ধনী দেশগুলোর প্রাপ্তবয়স্ক সবাই টিকা পেয়েছে। তার পরও চলতি বছরে ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনার প্রকোপ দেখা গেছে। প্রতিদিনকার করোনার বিশ্ব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যাবে, আফ্রিকার দেশগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাব ধনী দেশের চেয়ে অনেক কম। এটি ঠিক যে, আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণের সঠিক চিত্র পাওয়া কঠিন। সংক্রমণ ও মৃত্যুহার সাধারণত এসব দেশে আরো কিছুটা বেশি হতে পারে। তার পরও করোনার প্রকোপ টিকা পাওয়া ধনী দেশগুলোর চেয়ে আফ্রিকায় অনেক কম। টিকা করোনার সংক্রমণ ঠেকায় এবং এর ফলে সৃষ্ট উপসর্গ প্রতিরোধে কার্যকর তা প্রমাণ করা যাবে না।

করোনা নিয়ে সরকারের সতর্কতামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ হতে দেখা যাচ্ছে কানাডায়। আমেরিকা থেকে আসা ট্রাকচালক যারা করোনার টিকা নেননি তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করে কানাডা সরকার। এর প্রতিবাদে তারা আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা রাজধানী অটোয়া অবরোধ করে। এ আন্দোলনের বিশেষ দিকটি হলো, সাধারণ মানুষের বিপুল অংশের সমর্থন। মূলত ট্রাকচালকদের ৯০ শতাংশ টিকা নিয়েছে। টিকা না নেয়া ১০ শতাংশ চালকদের পক্ষে বিপুল জনমত পাওয়া যাচ্ছে।

আন্দোলনকারীরা করোনার প্রতিরোধে নেয়া টিকাসহ নানা সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করছে। রাস্তায় সারি বেঁধে ট্রাক দিয়ে দখল করে সেখানে তারা নাচছে। স্মারক চিহ্ন অবমাননা, মাস্ক না পরাসহ তাদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অটোয়া ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন। এ আন্দোলনের নাম দিয়েছেন তারা ‘ফ্রিডম কনভয়’। এ নামে ফ্রান্সেও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে।

করোনা পৃথিবীর একমাত্র মহামারী নয়। এর আগেও বহু মহামারী হয়েছে। ওই সব মহামারী ভয়াবহতার দিক দিয়ে করোনার চেয়ে কম ছিল না। পার্থক্য হচ্ছে, এর বৈশ্বিক রূপ ধারণ। এর সাথে রয়েছে বিপুল প্রচারণা। এতে মহামারীর মোকাবেলায় খুব বেশি সফলতা দেখানো গেছে এমনটি হয়নি। হয়তো অনেকে বলতে চাইবেন ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে টিকা আবিষ্কার হয়েছে। আমাদের উল্লিখিত উপাত্ত বলছে, টিকা গ্রহণ মানে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া নয়। আবার টিকা গ্রহণ না করলে করোনা আক্রান্ত হয়ে গড়ে মারা যাওয়াও নয়। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে হাজির নতুন রাজনীতি ও অর্থনীতি।

টিকার ব্যাপারে একটি কথা শোনা যায়। এর উৎপাদকরা এ থেকে একটি ব্যবসা করতে চান। ফলে তাদের লবি সারা বিশ্বের সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। সব মিলিয়ে তারা সাড়ে সাত শ’ কোটি মানুষের কাছে কমপক্ষে দুই ডোজ টিকা বিক্রি করতে চান। বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তাও কখনো ফুরিয়ে যাবে না। কোম্পানিগুলোর করা বিনিয়োগ এখন সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে। রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণকারীরা এর মধ্যেই তাদের আখের গুছিয়ে নিয়েছে। এই দুই বছরের করোনার বিধিনিষেধের আড়ালে সারা বিশ্বে কর্তৃত্ববাদ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। আমরা এর শিকার হয়েছি।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা মানবিক নরকে পরিণত হয়েছে : জাতিসঙ্ঘ প্রধান রাফা হামলার পরিকল্পনা ইসরাইলের ত্যাগ করা উচিত : চীন গাজা যুদ্ধে নতুন যে কৌশল অবলম্বন করল ইসরাইল হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক শিশু ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ইসরাইলকে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করলো আইআরজিসি সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৮তম প্রয়াণ দিবসে স্মরণ সভা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ

সকল