২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মেলা শুরু, বই হোক নিত্যসঙ্গী

- ছবি : সংগৃহীত

প্রকৃতিতে এখন ফাগুনের হাওয়া। বসন্তের আগমনের মধ্যেই আজ মঙ্গলবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে প্রাণের মেলা- বাংলা একাডেমির অমর একুশের গ্রন্থমেলা ২০২২।

করোনা মহামারী সব কিছুই এলোমেলো করে দিয়েছে। বইমেলাও এর ব্যতিক্রম নয়। মহামারীর কারণে মেলারও ছন্দপতন ঘটেছে। গত বছর ফেব্রুয়ারির মেলা মার্চে অনুষ্ঠিত হলেও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারেনি। মেলাটা প্রাণের মেলায় পরিণত হয়নি। মেলায় পাঠক আসেনি, বই বিক্রি হয়নি এবং অগত্যা নিষ্ফলভাবেই শেষ হয় বইমেলা। এবারের মেলাও মহামারীর কারণে নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুরু করা যায়নি। মেলা উদ্বোধন হচ্ছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। মেলা কতটা জমবে, পাঠক কেমন আসবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

তবে বাংলা একাডেমির চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠে কয়েক দিন ধরেই বিপুল কর্মযজ্ঞ চোখে পড়ছে। গড়ে তোলা হচ্ছে স্টল ও প্যাভিলিয়নের অবকাঠামো। দু-এক দিনের মধ্যেই সব স্টল নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে। এরই মধ্যে একাডেমির চত্বরে মূলমঞ্চ নির্মাণ শেষ হয়েছে। পুকুর পাড় ও বটতলার পাশ দিয়ে স্টলের অবকাঠামো তৈরি চলছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণের পাশাপাশি দ্রুত চলছে পায়ে চলার পথ, শৌচাগার তৈরি, পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার মতো জরুরি কাজগুলো।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, মেলা শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। সে কারণে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেও বন্ধ রাখা হয়। এখন দ্রুত কাজ শেষের পথে। নতুন নির্ধারিত তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি যাতে মেলাটা শুরু করা যায় সেটিই আমাদের প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বইমেলার সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেছেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ দিনের বইমেলা চলবে। মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না- সেটি আগামী দিনগুলোতেই বলা যাবে। তবে বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে মহামারী পরিস্থিতি খারাপের দিকে না গেলে ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলার মেয়াদ বাড়তে পারে।

এবারের মেলায় ৫২০টি প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। মেলায় আট শতাধিক ইউনিট স্টল থাকবে। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৬টি। মেলার শিশু কর্নার এবার বড় করা হয়েছে। এতে ১০৫টি স্টল থাকছে। বেলা ২টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শক পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি সময় প্রকাশনীর ফরিদ আহমেদ বলেছেন, তারা এক মাসের মেলা চেয়েছিলেন। আপাতত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এটিই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মেলার ইতিহাসটা বেশ মজার
মহান ভাষা আন্দোলন তথা একুশের চেতনা ধারণ করেই বাংলা একাডেমিতে প্রতি বছর হচ্ছে অমর একুশের গ্রন্থমেলা। আগে মেলা হতো একাডেমি চত্বরে। এখন একাডেমি চত্বর পেরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিস্তৃত হয়েছে। মেলাটা প্রথম শুরু হয় ১৯৬৫ সালে। সে এক মজার কাহিনী। মরহুম কথাসাহিত্যিক সরদার জয়েনউদ্দীন ‘ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড অব বুকস’ নামে একটি বই পড়ে এ বিষয়ে কৌতূহলী হন। কত কিছুর মেলা হয়। বইয়েরও যে মেলা হতে পারে এবং বইয়ের প্রসারে এ মেলার যে গুরুত্ব আছে তা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক থাকাকালে তিন ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির সামনে শিশুদের জন্য একটি বইমেলার আয়োজন করেন। কিন্তু এতে পুরোপুরি তৃপ্ত হতে পারেননি।

১৯৭০ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সহযোগিতায় সেখানে বইমেলা করেন। মেলায় প্রচুর বই বিক্রি হয়। জাতিসঙ্ঘ সংস্থা ইউনেস্কো ১৯৭২ সালকে গ্রন্থবর্ষ ঘোষণা করলে ওই বছর তিনি বাংলা একাডেমি চত্বরে বইমেলার আয়োজন করেন। তবে ফেব্রুয়ারির বইমেলার রেওয়াজটা শুরু হয় মুক্তধারার প্রতিষ্ঠাতা চিত্তরঞ্জন সাহার উদ্যোগ, উৎসাহ ও তৎপরতায়। তিনি বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউজের সামনে বটতলায় ১৯৭২ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি এক টুকরো চট বিছিয়ে তার ওপর ৩২টি বই সাজিয়ে মেলার সূচনা করেন। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত একাই বইমেলা করেন। এরপর অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থা মেলায় যোগ দিতে শুরু করে। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক ড. আশরাফ সিদ্দিকী বইমেলার সাথে বাংলা একাডেমিকে সম্পৃক্ত করেন। ১৯৭৯ সালে মেলার সাথে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক মনজুরে মওলা একুশের চেতনার সাথে সম্পৃক্ত করে মেলার নাম দেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ১৯৮৪ সাল থেকে সাড়ম্বরে এ মেলা হতে থাকে। এখন এই মেলা এত বিস্তৃত হয়েছে যে বিশাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুরোটাই যেন পরিণত হয় মেলায়। মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যায় বই প্রকাশিত হয়। মেলায় নানা শ্রেণীর পাঠকদের আগমন ঘটে। বাবা-মা খুব উৎসাহে ছেলেমেয়েদের মেলায় নিয়ে যান। বই কিনে দেন। এতে পাঠের অভ্যাসও বাড়ছে। বাংলা একাডেমির বইমেলাকে অনুসরণ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বইমেলা হচ্ছে। এই তো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম শহরেও একই সাথে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিভাগীয় অন্য শহরগুলোতেও বইমেলা হচ্ছে। অবশ্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে ঢাকা বইমেলার আয়োজন করা হলেও সেই মেলা ফেব্রুয়ারি বইমেলার মতো জমতে দেখা যায় না।
করোনা মহামারীর কারণ দুই বছর ধরে বইমেলার ছন্দপতন ঘটলেও একে অবহেলা করা ঠিক হবে না। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে মা-বাবাদের সন্তানের নিয়ে বইমেলার যাওয়া উচিত। একে তো দুই বছর ধরে ছেলেমেয়েরা ঘরে বন্দি, দ্বিতীয়ত মোবাইল, কম্পিউটার ইন্টারনেটসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি ঝুঁকে পড়ায় এরা যান্ত্রিক হয়ে পড়ছে। ফলে সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই মা-বাবাদের তাদের সন্তানদেরকে বইয়ের সাথে নিবিড় সম্পর্ক বা সান্নিধ্য গড়ে তুলে দিতে সহায়তা করতে হবে। একবার বইপড়ার মজা পেয়ে গেলে বই-ই হবে তাদের সঙ্গী। হেনরি ওয়ার্ড বিশার ঠিকই বলেছেন, ‘বইয়ের মতো ভালো সঙ্গী আর কিছু নেই। বইয়ের সাথে কথা বলা যায়, বই উপদেশ দেয়, কিন্তু কিছু করতে বাধ্য করে না।’ প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে হলে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সৃজনশীল নানা বই সন্তানদের পড়তে দিতে হবে। বই পড়াকে আনন্দে পরিণত করতে দিতে হবে।

জরিপে বই পড়ুয়া
বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কেমন- এ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো জরিপ হয়নি। তবে তরুণদের বই পড়া নিয়ে একটি জরিপের বিষয়ে পড়েছিলাম। ওআরজি-কোয়েস্ট পরিচালিত এই জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশের তরুণরা দিনে দিনে বইবিমুখ হয়ে পড়ছে। বই পড়া কমছে। ২০১৭ এর চেয়ে ২০১৯ সালে তরুণদের পাঠ্যসূচির বাইরে বই পড়ার হার প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ কমেছে। এখন চলছে ২০২২ সাল। করোনা মহামারীকবলিত ২০২০ ও ২০২১ সালের প্রায় পুরোটা সময়ই মানুষ ঘরবন্দী অবস্থায় কাটিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ছিল। এ সময়টায় বই পড়ার অবস্থা কী দাঁড়িয়েছে? মানুষ কি আবার বই পড়ায় ফিরেছে না অলস সময় কাটিয়েছে, সেটি বলা যাচ্ছে না; কারণ এমন কোনো পর্যবেক্ষণ কোনো সংস্থা বা ব্যক্তির উদ্যোগে হতে দেখা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘গ্লোবাল ইংলিশ এডিটিং’ নামের একটি সংস্থার জরিপ প্রকাশিত হয়েছে।
সংস্থাটি প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের পাঠাভ্যাস নিয়ে জরিপ করে থাকে। সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, বই পড়ুয়া জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে স্থান করে নিচ্ছে প্রতিবেশী ভারতীয়রা। শীর্ষ বই পড়ুয়া জাতির তালিকায় টানা দুই বছর ধরে ভারতীয় মানুষদের কথাই বলা হয়েছে। এরা সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ব্যয় করে বই পড়ায়। এর পরের অবস্থান থাইল্যান্ডের। এরা বই পড়ায় ব্যয় করেছে সপ্তাহে ৯ ঘণ্টা ২৪ মিনিট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। এরা বই পড়ায় ব্যয় করে সপ্তাহে ৮ ঘণ্টা। জরিপটিতে বলা হয়, গত বছর ১৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন জাতি একটিও বই পড়েনি। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ পুরুষ ও ২২ শতাংশ নারী। বই পড়ার দিক থেকে ব্রিটিশ পুরুষের চেয়ে নারীরা এগিয়ে আছে। শতকরা ২৭ জন নারী স্বীকার করেছেন তারা দৈনিক কিছু না কিছু পড়েন। পড়ার চেয়ে শুনতে পছন্দ করেন ৮ শতাংশ ব্রিটিশ। এশীয়দের মধ্যে ভারত ও থাইল্যান্ডের কথা আগে বলা হয়েছে। শিক্ষার হারের দিক থেকে সিঙ্গাপুর সবচেয়ে এগিয়ে সাক্ষরতার হার ৯৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সিঙ্গাপুরেও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বই পড়ায় এগিয়ে। সেখানকার ৭৫ ভাগ মেয়ে বই পড়েন, অন্য দিকে ছেলেদের হার ৫৯ শতাংশ। ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বই ছেপেছে চীন। এ বছরে ছেপেছে চার লাখ ৪০ হাজার বই। দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র, তারা ছেপেছে তিন লাখ চার হাজার ৯২টি বই। যুক্তরাজ্য ছেপেছে এক লাখ ৮৪ হাজার বই। ভারতের মানুষ বই পড়ায় এগিয়ে থাকলেও ২০২০ সালে বই ছেপেছে মাত্র ৯০ হাজার।

বই হোক নিত্যসঙ্গী
মনীষীরা সব সময়ই বই পড়তে উৎসাহিত করে গেছেন। তাদের উক্তিগুলোই এর প্রমাণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বইকে অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্য সাঁকো বলে বর্ণনা করেছেন। তার উক্তিটি হচ্ছে- ‘মানুষ বই নিয়ে অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে সাঁকো বেঁধে দিয়েছে।’ সিডনি স্মিথের উক্তি হচ্ছে- ‘গৃহের কোনো আসবাবপত্রই বইয়ের মতো সুন্দর নয়।’ বই নিয়ে লিও টলস্টয়ের উক্তি তো আমরা ছোটবেলা পড়েছি- ‘জীবনে মাত্র তিনটি জিনিসের প্রয়োজন বই, বই এবং বই।’ প্রমথ চৌধুরীর বই পড়া প্রবন্ধটিও একসময় পাঠ্যবইয়ে ছিল। সেখানে বই কেনার গুরুত্ব বলতে গিয়ে প্রমথ চৌধুরীর উক্তি- ‘বই কিনে কেউ কোনো দিন দেউলে হয় না।’ অর্থাৎ যত পারো বই ক্রয় করো। বই তোমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। ইবসেন যথার্থই বলে গেছেন, ‘যার বাড়িতে একটি লাইব্রেরি আছে, মানসিক ঐশ্বর্যের দিক দিয়ে সে অনেক বড়।’ আর লাইব্রেরি থাকার অর্থই হচ্ছে বই থাকা। বাংলাদেশে বই পড়াকে কিছুটা হলেও জনপ্রিয় করেছেন শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ‘আলোকিত মানুষ চাই’ স্লোগান নিয়ে ১৯৭৮ সালে তিনি শুরু করেন বই পড়ার আন্দোলন। সেটি এখন সফলতার কাহিনী। করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর ধরে এ আন্দোলন স্তিমিত। এর আগে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের তথ্য হচ্ছে বই পড়া কর্মসূচিতে প্রতি বছর ২৫ লাখ পাঠক বই পড়ার সুযোগ পায়।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি বিল গেটস শুধু মাইক্রোসফট নিয়েই পড়ে থাকেন না, বরং তাকে বলা হয় বইয়ের পোকা বা গ্রন্থকীট। বছরে তিনি ৫০টি বই পড়ে থাকেন। প্রতি বছর তিনি তার দৃষ্টিতে ১০টি সেরা বই পড়তে উৎসাহিত করেন তার ‘গেটস নোট’-এ। তেমনি বই পড়েন ওয়ারেন বাফেট, বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন, শি জিন পিংসহ বিশ্ব নেতারাও।

আমাদের বই পড়ার অভ্যাসটা এমনিতেই কম। সুযোগ হিসেবে একুশের বইমেলা এসেছে। এটি কাজে লাগাতে হবে। কে বলেছে আমাদের ভালো বই নেই। কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বই লিখে আমাদের কত বিনোদন দিয়ে গেছেন। বই পড়াকে আনন্দে পরিণত করেছেন তিনি। এখনো বইমেলায় হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের বিক্রিই বেশি। এখন নতুন নতুন লেখক এসেছেন। তাদের বইও বেশ আকর্ষণীয়। যেমন মেলাকে কেন্দ্র করে টুনটুনি প্রকাশন কিশোরদের জন্য প্রকাশ করেছে ইনাম আল হকের ‘রূপসী বাংলার পাখি’ নামে একটি বই। আটটি পাখির মনকাড়া গল্প শুধু কিশোরই নয়, যেকোনো পাঠককেই মুগ্ধ করবে। তেমনি ‘সুনীল সাগর মজার প্রাণী’ বইটিতে সাগর আর প্রাণীদের নিয়ে হাসান হাফিজের লেখা পাঠকদের মুগ্ধ না করে পারে না। বইমেলা জমে উঠুব, দলে দলে পাঠকরা মেলায় আসুক এবং বই হোক সবার নিত্যসঙ্গী।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাতীয় প্রেস ক্লাব
ই-মেইল : abdal62@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement