২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কংগ্রেস সদস্যদের আমন্ত্রণ জানালেই তো হয়

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আমাদের সরকার যে আমাদেরকে বোকা হিসেবে দেখছে তার কারণ রয়েছে। অন্যথায়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্রের অস্তিত্ব মেনে নিয়েও নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে শাসনতন্ত্রের মূল কথা অবাধ নির্বাচন অসম্ভব করে তোলা রাজনৈতিক নেতৃত্বের কথা হতে পারে না। গণতান্ত্রিক রাজনীতির নামে ভোট ডাকাতি করে একটি স্বাধীন দেশে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকার শাসনতান্ত্রিক ভিত্তি দাবি করতে পারে না। রাজনীতি এখন ক্ষমতাসীনদের জমিদারি প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা। যিনি যেখানকার নেতা সরকারি অর্থ ও ক্ষমতার বলে তিনি সেখানকার জমিদার। পুলিশ তো তার কথায়ই চলে। বাস্তবতাকে অস্বীকার করে কোনো সরকার সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না। সরকার এই সত্য এখন বুঝতে শুরু করেছে।

আমাদের চাকরিজীবী শিক্ষিত লোকেরা নিজেরাই একটা সুবিধাবাদী শ্রেণী, যারা জনগণের অংশ নন। সরকারের বৈধতা, জনসম্পদের লুটপাট কিংবা আইনের শাসনের সুশাসন নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। সর্বসময়ে তারা বিশেষ সুবিধাভোগী এবং সমাজের ভিআইপি।

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর মানবাধিকার রক্ষায় নেতৃত্বের দাবিদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি নজর দিয়েছে এবং বেপরোয়াভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য উচ্চপর্যায়ে কতিপয় পুলিশ ও সামরিক অফিসারের ওপর স্যাংশন আরোপ করেছে। অর্থাৎ হত্যা ও গুমের মতো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পরিণতি হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। পুরো বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ব্যক্তিবিশেষের ওপর স্যাংশন দিলে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি আটক করা হয়। তাদের আমেরিকায় প্রবেশ সম্পর্কে বাধানিষেধ আরোপ করা হয়। স্যাংশন দেয়াটাই অবমাননাকর।

আমেরিকাকে নিয়ে সমস্যা হলো, দেশটি রাশিয়া ও চীনে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অতিমাত্রায় সম্পৃক্ত, অথচ সেখানে বিদ্যমান কমিউনিস্ট শাসনে আদর্শগতভাবে মানবিক অধিকারের কোনো স্বীকৃতি নেই। যেসব দেশে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চলছে এবং জনগণের মৌলিক অধিকার ভয়ঙ্করভাবে পদদলিত হচ্ছে, সেসব দেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অনেকাংশেই উদাসীন।

দুঃখজনকভাবে দীর্ঘকাল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টির বাইরে থেকে গেছে। ফলে মিথ্যার রাজত্ব কায়েম হয়েছে এবং ধোঁকাবাজি অব্যাহত রয়েছে। অমানবিক পন্থায় কত জীবনের অবসান ঘটেছে তা বলা যাবে না। এমনকি হত্যা ও গুমের ভয়াবহ অবস্থা দেখে পঙ্গু বিচারব্যবস্থাও নীরব থাকতে পারেনি।

দীর্ঘকাল ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে থাকার পর আমেরিকা স্যাংশন ঘোষণা করায় সরকারের ‘উপদেষ্টা ও বিজ্ঞ ব্যক্তিরা’ উদ্বিগ্ন। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন এতদিন যারা অবাধে বিচারবহিভর্‚ত হত্যা ও গুম সংঘটন করেছেন। তারা এখন মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এটা বোঝাতে যে, তাদের সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তা সত্য নয়, সবই মিথ্যা। কিন্তু হত্যা ও গুমের রাজনীতির কথা তো আমাদের দেশের পত্রপত্রিকায়ও কম বলা হয়নি। পত্রপত্রিকায় খবরও অনেক এসেছে।

সরকারের জনবিচ্ছিন্ন আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালাতে হলে জনজীবনে আতঙ্কের ব্যবস্থা থাকতেই হয়। সব কর্তৃত্ববাদী শাসক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ওপর নির্ভরশীল। সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যাতে না হয় সেজন্য সরকারের কাছে সন্ত্রাসী কায়দায় আতঙ্ক সৃষ্টি জরুরি ছিল। র‌্যাব-পুলিশি ভীতি সরকারের স্বার্থ রক্ষার জন্যই প্রয়োজন ছিল। ফল তাই হয়েছে। আমরা সব আধমরা হয়ে বেঁচে থাকাই জীবন রক্ষার জন্য শ্রেয় মনে করেছি। আমাদের ছেলেরা পাকিস্তানি সেনাদের মতো এত নিষ্ঠুর হতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছি না। ১৭ কোটি লোকের দেশ কয়েক কোটি লোকজনের জন্য স্বর্গে পরিণত হয়েছে। তাদের অবৈধ অর্থ বিদেশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

একজন গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সিনেটর গ্রেগরি ডবিøউ মিকসের বিবৃতিকে সরকারি প্রচারযন্ত্র এমনভাবে বিকৃত করেছে যে, বাংলাদেশে তিনি খারাপ কিছু দেখতে পাননি। একজন সিনেটরের বক্তব্যকে আমাদের কূটনৈতিক মিশনের বরাতে মিথ্যা অপপ্রচার বলা বাংলাদেশ সরকারের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক হয়েছে। পরে তিনি জোরালোভাবে স্যাংশনের সমর্থন দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

আলোচ্য সিনেটর স্যাংশনকে লঘু করে দেখার মতো কিছু বলেননি। তিনি তার ২৬ মিনিটের বক্তৃতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রধান প্রধান মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলেছেন, র‌্যাবের ওপর স্যাংশনের কথা বলেছেন এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে বলেছেন। সেই সাথে তিনি ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন নিয়েও সমালোচনার সুরে কথা বলেছেন এবং সেই নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্য হয়, তা নিবিড়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র মনিটর করবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একজন নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছি, তিনি যোগদান করার পর তার সাথে আমার কাজ করার সুযোগ হবে।’

জনাব মিকস এ কথাও বলেছেন যে, এ বছর তিনি বাংলাদেশ সফর করতে আসবেন, তখন তিনি মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং অন্যান্য ইস্যু খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আমাদের দূতাবাস যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে এসব বিষয় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, বক্তব্য আংশিকভাবে এবং ভুলভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। জনাব মিকস ১৯৯৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসছেন এবং ২০২১ সাল থেকে পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউজ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জনগণের জন্য অবাধ নির্বাচন অসম্ভব করে তোলায় প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ কত তীব্র। পুলিশ দিয়ে ভোট ডাকাতি করতে হচ্ছে। সরকার কেন ভাবছে যে, সরকারের ভাবমূর্তি সবার অজানা। পুলিশি ক্ষমতার চরম বাড়াবাড়ি তো প্রকাশ্যে করা হয়েছে। গরিব দেশের অর্থ শৌখিন কর্মকাণ্ডে অপচয় করতে রীতিমতো দুঃসাহস দেখানো হয়েছে।

অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লক্ষ্যভেদী হস্তক্ষেপ ছাড়াই সরকারের কাঠামোগত শৃঙ্খলায় ফাটল ধরেছে। আমাদের ভয় হচ্ছে, যদি শান্তিপূর্ণ সমঝোতার মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের উদ্যোগ এখনো গৃহীত না হয়, তাহলে পরিস্থিতি ভয়ানক বিশৃঙ্খলা ও হিংসার দিকে ধাবিত হবে।

শোনা যাচ্ছে, স্যাংশন যুক্তিযুক্ত হয়েছে কি হয়নি, এ সম্পর্কে সরকার দু’টি কমিটি গঠন করেছে। তারা আমেরিকায় যাবেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য। সরকারি সদস্যদের মতামত কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। তারা ব্যয়বহুল বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ নেবেন, যেমনটি তারা জনগণের অর্থে করে আসছেন। আমরা কেবল সেটিই প্রত্যক্ষ করব।

সিনেটরের বক্তব্য বিকৃত করার পর তারা ঢাকা থেকে য্ক্তুরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা পাবেন কি না, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না। ভিসা ঢাকা থেকে নিয়ে গেলেও আমেরিকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে কি না তা-ও ভাববার বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা সত্যিকারভাবে নির্বাচিত এবং ক্ষমতাধর।

ইতিবৃত্তে তাকালে দেখা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশে সরকার গুপ্তহত্যার সূত্রপাত করে রক্ষীবাহিনীর মাধ্যমে। এরপর আমাদের সব অধিকার হরণের জন্য গঠন করা হয় বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আদলে একদলীয় ব্যবস্থা বাকশাল। যেখানে দলীয় রাজনীতির বাইরে বিচারব্যবস্থার অস্তিত্ব ছিল না। বাকশালের বিয়োগান্ত পরিণতি আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
কিন্তু ক্ষমতায় থাকার পথ হিসেবে বিধিবহিভর্‚ত হত্যা-গুমের ধারা পরিত্যাগ করা হলো না। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই হত্যা করার নতুন ভয়ঙ্কর সংস্থা গঠন করা হলো এবং নাম রাখা হলো র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। বঙ্গবন্ধুর নতুন দল বাকশাল নামের পরিবর্তন না করলেই ভালো হতো।

আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া উচিত হবে যে, প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের সরাসরি দোষারোপ করাই যথেষ্ট হবে না। জীবনকে তুচ্ছ মনে করার অমানবিক রাাজনীতি আমাদের রাজনীতিতে ছিল না। বামপন্থী আমলাতান্ত্রিকের ভূত আমাদের কাঁধে বসে গেছে। নির্বাচন সাজানো খেলায় পরিণত হয়েছে।

কোথা থেকে এবং কাদের বুদ্ধিতে খুনখারাবি ও পুকুরচুরির ভয়ানক রাজনীতি এ দেশে এসেছে তা-ও প্রকাশ পেতে হবে। আইনকানুন না মেনে খেয়ালখুশি মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন করে দেশটিকে জাহান্নাম বানিয়েছে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছিলেন যে, ‘দেশটিকে জাহান্নাম বানাবেন না।’ তিনি পাকিস্তানিদের উদ্দেশে ‘জনগণকে দাবিয়ে রাখতে পারবা না’ বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ কী বাস্তবতার মধ্যে আছে তা তো বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকারেরই জানা। আইনকানুনের গুরুত্ব কমই দেয়া হচ্ছে। মানুষ অভাবনীয়ভাবে অসহায়।

পাকিস্তান আমলে আমাদের জনগণের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের অস্তিত্ব ছিল না; কিন্তু বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে। সরকারের কাছে জীবন মূল্যহীন হয়ে গেল। ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় আমরা আশা করেছিলাম বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ সুগম হবে; কিন্তু ভয়-ভীতি ও জীবনের অনিশ্চয়তার শাসন প্রতিষ্ঠা করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে দেশ শাসন করা সম্ভব হচ্ছে। দেশটি জীবনের নিরাপত্তাহীন ও সন্ত্রাসীদের দেশে পরিণত হয়েছে। আমেরিকার স্যাংশন চাপানোয় কিছুটা সংযত আচরণ লক্ষ করা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ভিন্ন অস্ত্রের শাসনের সহিংসতা বৃদ্ধি পাবেই।

আমাদের সুচিন্তিত অভিমত এই যে, সরকারের যদি সৎসাহস থাকে তাহলে তারা যেন য্ক্তুরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের তথ্য সন্ধানী মিশনে বাংলাদেশে আসবার আমন্ত্রণ জানান। তারা এসে নির্দলীয় সিভিল সোসাইটি অথবা যাদের সাথে কথা বলতে চান তাদের সাথে বসুন। সরকারের উদ্দেশে বলব, দুর্নীতিপরায়ণ কুচক্রীদের পালানোর সময় এসেছে। নির্বাচনবিহীন নির্বাচন কমিশন গঠনের মহড়া অর্থহীন।

দেশে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আসুন আমরা শাসনব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক সিস্টেম আনতে শিক্ষিত লোকেরা সঙ্ঘবদ্ধ হই। ব্যবসায়ী রাজনীতিকদের রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখা যাবে না। তারা জমিদার হয়ে গেছেন। দেশ আর জনগণের নেই। গণতন্ত্র তথা আইনের শাসনের সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলাদেশে একটি ন্যায়ভিত্তিক সুখ ও শান্তির আদর্শ পরিবেশে আমরা সবাই মিলে বসবাস করতে পারতাম বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। হিংসা-বিদ্বেষ ও খুনখারাবির রাজনীতি আমাদের জাতীয় চরিত্রের প্রতিফলন নয়। আমরা দায়িত্বশীল সৎ লোকদের যোগ্য নেতৃত্ব দেখেছি।

আমাদের সরকারি ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক সিস্টেম থাকতে হবে। এখনো দেশে গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র রয়েছে। যদিও নামে মাত্র। কার্যত গণতন্ত্রসম্মত অবাধ নির্বাচনই হতে পারছে না। হত্যা, গুম ও পুলিশি মামলার রাজনীতির অর্থই হলো দেশে ভয়-ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি চলতে থাকবে। আইনকানুন, শাসনতন্ত্র মানা সরকারের নিজস্ব ব্যাপার, এটা তো শাসনতান্ত্রিক সিস্টেমের কথা হতে পারে না। সিস্টেম ছাড়া সরকার হয় না। সরকার চাটুকারিতার বিষয় নয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সিস্টেমকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

বর্তমান সরকার বিশ্বস্ত কিছু আমলার অভিসন্ধির বাইরে যেতে পারবে বলে মনে হয় না। নির্বাচন এখনো অনেক দূরে। নির্বাচনে বিজয়ের নিশ্চয়তার ওপর ভরসা রেখে বসে থাকার সময় বা সুযোগ নেই।
লেখক : সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট


আরো সংবাদ



premium cement