২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সঙ্কট উত্তরণে সততার নীতি নিন

- ছবি : সংগৃহীত

একটি ঘটনার সত্য বয়ান একটি। উদাহরণ হিসেবে একটি চুরির ঘটনার বর্ণনা আমরা দেখতে পারি। চুরিটি কখন সংঘটিত হয়েছে, কার বাড়িতে হয়েছে এবং চোর কে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দ্ব্যর্থবোধক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর সুনির্দিষ্ট উত্তর রয়েছে। আদালত যখন রায় দেন বিচারক বলেন ‘ক’ ঠিকানায় অবস্থিত জনাব ‘খ’ এর বাড়িতে ‘গ’ নামক ব্যক্তি চুরি করেছে। এ জন্য তার ‘অত’ বছরের জেল জরিমানা দেয়া হলো। বিপত্তি বাধে অপরাধ স্বীকার না করে সেটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে নিজেদের সুযোগ হাসিল করতে চাইলে। প্রকৃত ঘটনাকে যখন আড়াল করার চেষ্টা করা হয়, তখন ঘটনার বয়ান রচনা করতে হয়। পরিস্থিতি বদলে গেলে বয়ানও বদলাতে হয়। ফলে একই ঘটনার এক সেট ভিন্ন ভিন্ন বয়ান তৈরি করে ‘বিশ্বাস’ করানোর চেষ্টায় নামতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আমরা সত্য বিবরণ প্রকাশ করে তাদের রুখে দিতে পারতাম। দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা, কেবলই একের পর এক বিপরীতমুখী বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে জটিল করছি।

পিছনের ঘটনাগুলো আমাদের একটু তলিয়ে দেখা দরকার। উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের খবর আমরা পেতাম। যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি রাষ্ট্রকে ‘দুর্বৃত্ত’ রাষ্ট্র বলেও ঘোষণা দিয়েছিল। এখন খোদ আমরাই আংশিক উত্তর কোরিয়ার কাতারে চলে গেলাম। যুক্তরাষ্ট্রও তার নিষেধাজ্ঞাকে উত্তর কোরিয়া কোনো পাত্তা দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না। দেশটি একেবারে একঘরে হয়ে আছে। আমরা উত্তর কোরিয়ার কাতারে যেতে চাই না। তাই আমাদের ন্যায্য পন্থায় জবাব দিতে হবে। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে আমাদের একটি বাহিনী ও তার কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে। বিচারবহিভর্‚ত হত্যা ও গুমের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকার শুরু থেকে বলেছে কোনো ধরনের বিচারবহিভর্‚ত হত্যা ও গুম আমাদের বাহিনী করে না। এখন এর স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ হাজির করলেই যুক্তরাষ্ট্রের আনা অভিযোগ খণ্ডন হয়ে যাবে। নিয়ম অনুযায়ী, তাদের আরোপ করা, নিষেধাজ্ঞাও উঠে যাবে।

বাস্তবে দেশ শাসনের একটি ‘বিকৃতি’ ক্রমে ভারী হয়ে জেঁকে বসেছে আমাদের ওপর। প্রতীয়মান হচ্ছে সমাজের একটি অংশের জীবনের নিরাপত্তা স্বীকার করছে না রাষ্ট্র। বিচারিক প্রক্রিয়ায় প্রতিকার পাওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলে এ অংশটি। প্রথমে সমাজের এ প্রান্তিক গোষ্ঠীটির আওতা ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলের সামান্য একটি অংশের ওপর। যেমন প্রধান বিরোধী দলের সাহসী নেতা ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমের মতো মানুষেরা ও তাদের পরিবার। ক্রমে এর বিস্তৃতি ক্ষমতাসীন দলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল পর্যন্ত পৌঁছায়। নিজেদের একেবারে ‘ঘরের লোক’ একরাম। দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধার ভাগ নেয়ার কথা তিনি। বর্তমান সরকারের আমলে দলীয় পদে থাকা নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। ফরিদপুর ছাত্রলীগের এক নেতা একাই দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করার কথা স্বীকার করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরাম তার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নেতা নন। দুর্ভাগ্য, উল্টো তাকে ক্ষমতার জন্য জীবন দিতে হলো।

এই ক্ষেত্রে ইলিয়াসের পরিবার যেমন রাষ্ট্রের কাছে জবাব পায়নি তেমন ওই কাউন্সিলরের পরিবারও কোনো জবাব কিংবা প্রতিকার পায়নি। অর্থাৎ রাষ্ট্রে শাসনতান্ত্রিক বিকৃতি ঘটলে তাতে শুধু বিরোধী দলের ছোট একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এমন নয়। এটি শেষ পর্যন্ত পুরো সমাজকে গ্রাস করে নেবে। এক পর্যায়ে সেটি ক্ষমতা চর্চাকারী গোষ্ঠী ছাড়া সবার জীবনকে অনিরাপদ করে দেবে। এমন কি আশঙ্কা থাকে একসময় ক্ষমতার দ্ব›দ্ব শুরু হলে ক্ষমতাসীনরা একে ওপরকে শেষ করে দেয়ার জন্য চড়াও হতে পারে; ক্ষমতা যারা করায়ত্ত করবেন তারা বাকিদের ওপর চড়াও হতে একই নীতি অবলম্বন করবেন।

গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হওয়া পরিবারগুলোর নিজেদের আপনজনদের খোঁজ চাইতে গিয়ে অবজ্ঞা অবহেলা ও ভয়াবহ সব লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। ওইসব পরিবারগুলোর সদস্যদের করুণ আহাজারি আকাশ বাতাস ভারী করেছে। স্বজন হারানোর জন্য তারা যাদের দায়ী মনে করেন প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্ধে অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছেন। এমন কি তাদের কেউ কেউ একই পরিণতি চেয়েছেন যারা তাদের প্রিয়জনদের জীবন নিয়ে খেলেছেন তাদের জন্য।

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ এসব জবরদস্তিমূলক প্রাণহানি ঘটাচ্ছেন এটা দেশের ভেতর প্রায় সবার জানা। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত, তাই এসব খবর আর গোপন থাকে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার একেবারে প্রথম দিকের একটি হেফাজতে মৃত্যুর বর্ণনা পাওয়া গেল হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে। তখন চারদিকে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছিল। কারণ হেফাজতে মৃত্যুর বেশ কয়েকটি ঘটনা ততদিনে ঘটে গিয়েছিল। সরকারি বাহিনীর লোকেরা তাকে ধরে নিয়ে যায়।

সামরিক বাহিনীতে তার এক আত্মীয় কর্মরত ছিল। সেই আত্মীয় র‌্যাবে তার পরিচিত কর্মকর্তাকে ফোন করেন। র‌্যাব কর্মকর্তা তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন, অন্তত প্রাণ যাবে না ধৃত রাজনৈতিক ব্যক্তির। কয়েক দিন পরে সরকারি বাহিনী ঠিক তার লাশটি পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়। পারিবারিক সম্পর্ক, আত্মীয়তার সম্পর্ক, বন্ধুত্ব কোনো কিছুই বিচারবহির্ভূত হত্যাকে রোধ করতে পারেনি। আমরা এমনই এক অমানবিক নিষ্ঠুর সমাজে প্রবেশ করলাম। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দায়িত্বশীল বাহিনী এসব মৃত্যুর ঘটনায় তাদের বক্তব্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করেছে। আগের বক্তব্যের সাথে পরের বক্তব্যের কোনো মিল ছিল না। কিভাবে একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতটা দায়দায়িত্বহীন হতে পারে? মানবাধিকার সংগঠনটির প্রতিবেদনে সেই প্রশ্ন করা হয়।

জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রæপের বৈঠক চলছে জেনেভায়। মানবাধিকার নিয়ে এই গ্রুপটি স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে। নিজেদের তত্ত্বাবধানে গুমবিষয়ক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে থাকে তারা। গত বছরের ডিসেম্বরে এ গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের ৭৬টি গুমের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়। এসব ঘটনায় তারা বাংলাদেশ সরকারের জবাব চেয়েছিল। সরকার সন্তোষমূলক কোনো জবাব না দেয়ায় ঘটনাগুলো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের উত্থাপিত অভিযোগের বিপরীতে অব্যাহতভাবে সরকার অস্বীকারের নীতি অবলম্বন করে আসছে। অথচ শুরু থেকে তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চললে আরো শত শত ঘটনা থেকে জাতি রেহাই পেত। আরো অনেক প্রাণহানি হয়তো এড়ানো যেত। র‌্যাব ও এর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত অভিযোগ এমনকি তার সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব পাস হতো না। বাইডেন প্রশাসনও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজন মনে করত না। সরকারের প্রতারণাপূর্ণ ভ্রান্ত নীতি অনেকের জন্য বিপদ ও দেশের জন্য দুর্নাম টেনে এনেছে।

নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দেশে বিদেশে ধাঁধা তৈরি করেছে। বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগাগোড়া এলোমেলো বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করেছেন। সর্বশেষ তিনি দাবি করেছেন, ‘জাতিসঙ্ঘের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান গুমের তালিকায় যে লোকজনের নাম দিয়েছিল, তাদের অনেকের ভূমধ্যাসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে।’ এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির সত্যিই যদি সলিলসমাধি হয় তাহলে সেটা তিনি শুরুতে বললেন না কেন? নিষেধাজ্ঞা আরোপ হঠাৎ করে হয়নি। বেশ কয়েক বছর এসব বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দেনদরবার করছে। গুম হওয়া পরিবারগুলোর সংগঠন মায়ের ডাক বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অসত্য। এর পরেও আমরা ধরে নিলাম তার বক্তব্য সঠিক, তাহলে সলিলসমাধির তথ্য-উপাত্ত যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসঙ্ঘ ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসহ সবার কাছে তুলে ধরুন। সর্বসাধারণের জানার জন্য এসব তথ্য উন্মুক্ত করে দিন।

এক ডাক্তারের বাবা একটি নাগরিক অনুষ্ঠানে এসে চিৎকার করে কাঁদছেন। তিনি অভিশাপ দিচ্ছেন যারা তার ছেলেকে গুম করেছেন। বিচার চাইতে গিয়ে তার ভয়াবহ লাঞ্ছনার কথাও তিনি তুলে ধরেন। তিনি জানান, নিরাপত্তাবাহিনী শেষ পর্যন্ত তার কাছে থাকা সব প্রমাণ ছিনিয়ে নিয়েছে। সরকারি বাহিনীর কোন কোন সদস্য এসব করেছেন প্রকাশ্যে তাদের নামও তিনি বলছেন। এই ধরনের বহু মানুষের আর্তচিৎকারে ভারী হয়ে আছে আমাদের চারদিক। সামরিক বাহিনীর অবসরে যাওয়া শীর্ষ কর্মকর্তা, পরিচিত ব্যবসায়ীসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি আছেন যাদের প্রকাশ্যে তুলে নেয়া হয়েছে। সরকারের কোন বাহিনীর সদস্য কখন অভিযান চালিয়েছে গুমের শিকার পরিবারের সদস্য সেটা নির্দিষ্ট করে জানিয়েছেন। এসব ব্যক্তি মানবপাচারকারী দলকে অর্থ দিয়ে অবৈধ পথে ইউরোপ পাড়ি দেবেন এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। গুরুতর একটি বিষয়কে এভাবে মোকাবেলা করার অর্থ কী, আমরা জানি না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও এ ব্যাপারে দিশা হারানো বক্তব্য দিয়ে তার সাথে প্রতিযোগিতা করেছেন। তিনি একবার সংসদে বলেছিলেন, আমাদের কাছে ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি করোনার টিকা চাইছে; পরে হাঙ্গেরি তার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দেয়। ভারতের সাথে টিকা নিয়ে চুক্তি হওয়ার পর উচ্ছ¡সিত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহান সংসদে দাঁড়িয়ে সেই বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেই সময় ভারত আমাদের সাথে করা চুক্তি ভঙ্গ করে। অন্যান্য উৎস থেকে পরে আমাদের চড়া মূল্যে টিকা সংগ্রহ করতে হয়েছে। এবার সংবাদমাধ্যমে যখন আমেরিকায় সরকারের লবিস্ট নিয়োগের খবর প্রকাশ হয়। লবিস্ট প্রতিষ্ঠানের নাম ও তাদের পেছনে খরচের তালিকাও তাতে ছিল। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কোনো বক্তব্য না দিয়ে বিরোধী দল বিএনপির বিরুদ্ধে ‘কামান দাগান’। বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু কোনো তথ্য প্রমাণ এ ব্যাপারে তুলে ধরতে পারেননি।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ও পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউজ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যাপারে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মন্তব্য করেন। তার মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস হয়ে দেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে একটি খবর প্রকাশ করা হয়। তার আগেই মিকসের বক্তব্যের ভিডিওটি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী খুব উৎসাহী হয়ে তার সামাজিকমাধ্যমে পেজে শেয়ার করেন। পরে দেখা গেল, মিকস নিজে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। ওই বিবৃতির লক্ষ্য ছিল, তার নামে প্রচার হওয়া ‘বিকৃত করা বক্তব্যের’ সংশোধন করা। দুর্ভাগ্যজনক হলো, বক্তব্যটি যাচাই-বাছাই না করে আমাদের প্রায় সব সংবাদমাধ্যমই প্রচার করে দিয়েছিল। আমরা সবাই মিলে প্রতারণাপূর্ণ এক ধোঁয়াশার চাষবাস করছি। এটি জাতিগত দেউলিয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়।

জাতি হিসেবে গর্ব অহঙ্কারের কমতি নেই আমাদের। আমরা সাহসী ও সৎ এই আমাদের দাবি। গুম খুনসহ বিচারব্যবস্থার ত্রুটি বিচ্যুতির যেসব অভিযোগ এখন বাইরে থেকে আসছে এগুলোর শিকার এবং সাক্ষী প্রথমে আমরা নিজেরাই।

ক্ষমতাসীন সরকার এসব অন্যায় সংঘটনে সময়মতো নিজেদের লাগাম টেনে ধরতে পারেনি। অন্যদিকে মিডিয়া, নাগরিক সমাজ ও জনগণের পক্ষ থেকে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়নি। নাগরিকদের দায় এই ক্ষেত্রে মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের চেয়ে কম। কারণ নাগরিকদের একটি অংশ সরাসরি অন্যায় নীতির শিকার। বেশির ভাগ সময় তাদের প্রতিবাদ করার অধিকারের স্বীকৃতি ছিল না রাষ্ট্রের কাছ থেকে। জাতির পক্ষ থেকে এসব অন্যায় নিয়ে সোচ্চার হওয়ার কথা ছিল মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের। মিডিয়ার পেশাদারিত্ব এই ক্ষেত্রে বড় দাগে প্রশ্নবিদ্ধ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অধিকাংশ ঘটনায় তারা জঙ্গিবাদ, নাশকতার নামে সরকারের সমর্থনে থেকেছে। খবর প্রকাশের চেয়ে তারা এসব উৎপাটনের নামে সহায়কের ভ‚মিকা রেখেছে। আর অভিজাত নাগরিক সমাজ রাষ্ট্রের বিকারের শিকার জনগোষ্ঠীকে ভিন্ন মতাবলম্বী হিসেবে ট্রিট করেছে। শেষ পর্যন্ত ঘরের খবর পরে জেনে গেল। তাদের কাছে সত্যিকার অর্থে এগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন। এখনো প্রতারণার আশ্রয় নেয়া আমাদের কোনো মতে উচিত নয়। সততার ওপর ভর করে সংশোধনের উদ্যোগ নিলেই ভালো।
jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি : মিশা সভাপতি, ডিপজল সম্পাদক ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল