১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আরেকজন খলনায়কের খোঁজে!

-

মর্নিং শোজ দ্য ডে- দিনটি কেমন যাবে, তা সকাল দেখেই অনেকটা অনুমান করা যায়। দিনের শুরুটা যদি ভালো হয়, তা হলে দিনের বাকি সময়টাও ভালো কাটে। কিন্তু গোড়াতেই যদি গলদ হয়, তা হলে পুরো দিনে ভালো কিছুর আর আশা করা যায় না।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ‘নির্বাচন কমিশন গঠন আইন-২০২২’ যা সংক্ষেপে ইসি গঠন আইন হিসেবে পরিচিত সংসদে পাস এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন করিয়েছে। এই আইন ও সরকারের মনোভাবই বলে দিচ্ছে আগামী নির্বাচনটি কেমন হবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়ী হয়ে যে সরকারটি ক্ষমতায় আসে, তারাই এখন ক্ষমতায়। ক্ষমতার এই ১৩-১৪ বছরে সরকার এমন কাজ নেই যা করেনি। ছলচাতুরী, প্রতারণা, জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েই ক্ষমতা ধরে রেখেছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। গণতন্ত্র নির্বাসনে চলে গেছে। আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কী হাল তা সংবাদমাধ্যমের সাথে জড়িতরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।

এ সময়ে সরকার ক্ষমতায় থেকেই নামকাওয়াস্তে দু’টি নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে। একটি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। আরেকটি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এর চেয়ে কলঙ্কজনক নির্বাচনের নজির নেই। নির্বাচন নয়, সরকার নিজস্ব নীলনকশা অনুযায়ী প্রহসন সংঘটিত করেছে মাত্র। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি ছিল ভোটহীন, ভোটারহীন ও প্রার্থীহীন ইতিহাসের একটি বড় নির্বাচনী প্রহসন। এটি ছিল দেশে-বিদেশে চরম প্রশ্নবিদ্ধ একটি ‘ভুয়া নির্বাচন’। নির্লজ্জ প্রহসনের অংশ হিসেবে এ নির্বাচনে ভোট ছাড়াই সংসদের ১৫৪টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে দেখানো হয়। বাকি ১৪৬ আসনে ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে কুকুর-বিড়াল ঘুমিয়ে থাকার দৃশ্য সে দিনের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। ওই নির্বাচনটি করতে আগেই একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল সরকার। সিইসি হিসেবে এর খলনায়ক ছিলেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনটিতে করা হয়েছে অন্য জালিয়াতি। দিনের ভোট রাতেই সম্পন্ন করে ফেলা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের দিনের বেলার নির্বাচনটি করা হয় ২৯ ডিসেম্বর রাতের বেলায় ব্যালট বাক্স জাল ভোটে বোঝাই করে। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যেই প্রহসনটি সম্পন্ন করে ফেলা হয়েছিল। অসংখ্য কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ এবং এর ও বেশি ভোট পড়েছে দেখা যায় এ নির্বাচন করতে যে আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল খলনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বে রয়েছেন কে এম নুরুল হুদা। কমিশনের সদস্য হিসেবে মাহবুব তালুকদারকে রাখা হয় বিরোধী দলগুলোর সাইনবোর্ড হিসেবে। মাঝে মধ্যে গণমাধ্যমে হুদা কমিশনের কর্মকাণ্ডের কিছু সমালোচনা করাই ছিল তার কাজ। ইসির মাধ্যমে নির্বাচনী জালিয়াতি বন্ধে তার করার কিছুই ছিল না। বলা যায়, সিইসি নুরুল হুদা তাকে গোনার বাইরে রেখে অন্যান্য কমিশনারকে সাথে নিয়েই সরকারের যাবতীয় ইচ্ছা পূরণ করে গেছেন।

সামনে দ্বাদশ নির্বাচন। বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন একটি কমিশন লাগবে। সেটিও যাতে আজ্ঞাবাহী কমিশন হতে পারে তারই তৎপরতা চলছে। প্রথমে রাষ্ট্রপতির সংলাপের নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অনেক দলই ওই সংলাপে যায়নি। সরকারের কথায় উঠেবসে এমন দলগুলোই গেছে। সর্বশেষ সংলাপে গেছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। তাদের মন মতো নির্বাচন নির্বাচন খেলা করা যায় সেসব বিষয়েই সংলাপে তুলে ধরেছে রাষ্ট্রপতি বরাবরে। সংলাপে মূল প্রস্তাব ছিল ইসি গঠনে এবার আইন হবে। ভাবখানা এমন যে, নির্বাচনের জন্য অনেক কিছুই তারা করে ফেলেছেন। যেই কথা, সেই কাজ। মন্ত্রিসভায় ইসি আইনের খসড়া অনুমোদন করিয়ে তা সংসদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইনটি নিয়ে কয়েক ঘণ্টা আলোচনা করে ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার তা সংসদে পাস করানো হয়। ওই দিন রাতেই আইনটিতে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ।

বিএনপি থেকে বলা হয়েছিল এই আইন দ্বারা একটি গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আগে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। সেই সরকারই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করেই দেশকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেবে। কিন্তু এসব কথায় সরকার পাত্তাই দেয়নি। নাগরিক সমাজ বিশেষ করে সুজনের পক্ষ থেকে অন্তত একটি পূর্ণাঙ্গ ইসি গঠন আইন করার কথা বলা হয়েছিল। আলোচনায় আয়োজন করে সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারের নামের তালিকা আগে প্রকাশ করা হোক। যাতে তারা, অতীতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম বা অন্যান্য অপকর্মের জন্য অভিযুক্ত কি না সততা, সাহসিকতা, স্বচ্ছতা ও দলনিরপেক্ষতা আছে কি না তা যাচাই করা যাবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা? সরকারের প্রয়োজনটা হচ্ছে ক্ষমতায় থাকা। অন্য কেউ যাতে ক্ষমতার ধারে কাছে না আসতে পারে। সেটির জন্য তারা যা চায়, তাই হতে হবে। এখন যে আইন হয়েছে তাতে সার্চ কমিটি একটি নামের তালিকা করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে সিইসি ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ দেবেন।

বর্তমান সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। রাষ্ট্রের বাকি সব কাজ রাষ্ট্রপতিকে করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে। সার্চ কমিটি যে নামের তালিকা করতে বা প্রধানমন্ত্রী দেখেই কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। আর বর্তমান যে রাষ্ট্রপতি তিনিও কি প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের ইচ্ছার বাইরে নাকি? প্রধানমন্ত্রী যা ইচ্ছা করবেন, রাষ্ট্রপতি খুশি হয়েই তাতে সম্মতি দেবেন। তিনি তো বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ নন যে, ফাইল ফেরত পাঠাতে পারেন। তাই নির্বাচনের জন্য ইসি গঠনের আলামত থেকে স্পষ্ট ক্ষমতাসীন সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকেই এগোচ্ছে। এর জন্য আরেকটি আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন এবং একজন খলনায়ক সিইসি প্রয়োজন। এবার হয়তো ভোটারবিহীন ভুয়া নির্বাচন কিংবা রাতের ভোটের নির্বাচন হবে না। দাবার ঘুঁটির চাল হয়তো অন্যভাবে হবে। হতে পারে সেটা ইভিএম জালিয়াতি কিংবা আরো বড় কোনো জালিয়াতি বা প্রহসন!

খলনায়ক হুদার কাণ্ড!
বিদায়ী সিইসি মোহাম্মদ নূরুল হুদা কতটা আজ্ঞাবাহী দায়িত্ব ছাড়ার কয়েক দিন আগেও প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি জানেন আবার সিইসি তিনি হতে পারবেন না। আইনে সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। তবে বিগত পাঁচ বছর সিইসি হিসেবে যে মজাটা তিনি পেয়েছেন, সে স্বাদ ভুলতে পারছেন না। হয়তো অন্য কোনো দায়িত্ব সরকার তাকে দিতেও পারে; অন্তত এ আশায় সরকারের পক্ষে সাপাই হিসেবে কিছু বক্তব্য রেখেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশন ভবনে কয়েক দিন আগে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি (আরএফইভি) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি শিরোনাম ছিল ‘আরএফইডি টক উইথ কেএম নুরুল হুদা’। এটা সিইসি নুরুল হুদার বিদায়ী ভাষণই বলা যায়। অনুষ্ঠানে তিনি সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম এবং বর্তমান ইসির কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে এক হাত নিয়েছেন। সরকার ইসি গঠনে যে আইন করেছে তারও বাহবা দিয়েছেন। ইসি গঠনের আইনটি নতুন কিছু নয়। পুরনো পদ্ধতিকেই আইনের কাঠামোর মধ্যে আনা হয়েছে। এ আইন দিয়ে আগের দুটো ইসির গঠনের বৈধতা দেয়া হয়েছে।

যা হোক বলছিলাম সিইসি নুরুল হুদার কথা। তিনি শামসুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তার নেতৃত্বাধীন কমিশন নাকি আর্থিক অনিয়ম করে গেছে। এ ছাড়া শামসুল হুদা কমিশনের নেতৃত্বাধীন ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনটিও যে ‘ধুয়া তুলসী পাতা’ নয় তাও ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন কে এম নুরুল হুদা। বলেছেন, ‘বন্দুকের নলের মুখে একবারই নির্বাচন করা যায়, বারবার সেটি সম্ভব নয়।’ অর্থাৎ নেপথ্যে সেই নির্বাচনেও বড় জালিয়তি হয়েছে সেটিই বোঝাতে চেয়েছেন। এটি ঠিক তখনকার সেনাসমর্থিত জরুরি সরকার তাদের প্রয়োজনের একটি সরকার দেখতে চেয়েছিল।

তা ছাড়া তৎকালীন সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি অসন্তুষ্ট যে ছিলেন, দায়িত্ব ছাড়ার পর তার এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ পায়। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করতে ছেয়েছেন। পরে আর করেননি; কারণ সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বিশ্বব্যাংক থেকে ডক্টর ফখরুদ্দীন আহমদকে এনে গভর্নর করেন, এটাই ছিল তার ক্ষোভের কারণ। প্রথম আলোতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই এ কথা বলেছেন। ফলে সে নির্বাচনে তিনি কী করতে পারেন, তা সহজেই বোঝা যায়।

সিইসি কে এম নুরুল হুদা কেন তার ওপর চটলেন? কারণ সুজনের আলোচনায় সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা বলেছিলেন- নতুন ইসি গঠনে যেন ‘দাগ-লাগা’ লোক আনা না হয়। ‘দাগ-লাগা’ বলতে কে এম নুরুল হুদাকেই সম্ভবত তিনি বুঝিয়েছেন। কারণ তার নানা দুষ্কর্মের কথা এর আগে সংবাদমাধ্যমে এসেছে।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সম্পর্কে যেসব অভিযোগ তিনি এনেছেন এরই মধ্যে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা তাকে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, একজন ‘খলনায়ক’ সিইসির পক্ষেই এমন অবাস্তব অভিযোগ করা সম্ভব। আর মাহবুব তালুকদার বলেছেন, তিনি সিইসি নুরুল হুদার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।

এক দফার আন্দোলন ও বিএনপি
একতরফা ইসি গঠন আইন করার পর বিএনপির প্রতিক্রিয়া হলো দলটি সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট গঠন করে এক দফার আন্দোলনে নামবে। দলের নীতিনির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি এ সিদ্ধান্ত নেয়। সভাটি পাঁচ ঘণ্টা চলে। এতে সিদ্ধান্ত হয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদে নির্বাচন অনুষ্ঠানে এক দফার আন্দোলন ছাড়া গত্যন্তর নেই। বিএনপি বলেছে, সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচনের জন্য পছন্দমতো ইসি গঠন করছে। এ সরকারকে আর বেশি সময় দেয়া হবে না। এক দফার আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।

এটি ঠিক, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্বাচনকালীন সরকারের ধরনটা কেমন হবে তার ওপরই সব নির্ভর করে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন হলেও কাজ হবে না। নির্বাচনকালীন সরকার আইনের মৌলিক পরিবর্তন লাগবেই। সরকার বিগত বছরগুলোতে পেশিশক্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে কী করেছে সবার সামনে তা স্পষ্ট। গায়েবি মামলা, গ্রেফতার, হত্যা-গুমের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে দেশে। এর থেকে পরিত্রাণে নির্বাচনকালীন সরকার প্রয়োজন। সেটি আন্দোলন করেই আদায় করতে হবে। বিএনপি কতটা পারবে তাই এখন দেখার।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব
abdal62@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আইসিসি! ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ‘কেন্দ্র’ ইসফাহান : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের সেই ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’

সকল