১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উৎসব হতে পারে কার্যকর অস্ত্র

-

কাওয়ালি প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে দেশে শবে বরাতের মতো ধর্মীয় সামাজিক উৎসবের রেওয়াজ থেকে বেরিয়ে আসার প্রবণতার কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম, ধর্মীয় শুদ্ধতার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে আমরা এই দিবস পালন নিরুৎসাহিত করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে এই উৎসব আর পালিত হয় না বললেই চলে। এর ফলে সামাজিক দিক থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কী কী ক্ষতি হচ্ছে তারও কিঞ্চিৎ আভাস দিয়েছিলাম। এই প্রসঙ্গ একটু বিস্তারিত করতে চাই। তার আগে আজ একটি উৎসবের কথা বলি।

ইরানের নওরোজ উৎসবের মাতামাতির কথা আমরা সবাই জানি। উৎসবটির ইসলামবহির্ভূত বা বেদাত। কিন্তু দেশটিতে ইসলামী বিপ্লবের পরও সেটি নিষিদ্ধ করা হয়নি। ইরানিরা এখনো অবাধে নওরোজ উৎসব পালন করেন। ইরানেরই আরেকটি উৎসবের কথা বলব। উৎসবটির নাম ‘শবে ইয়ালদা’ বা ইয়ালদার রাত। এই উৎসবের সাথেও ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। নিছকই লোকজ বিশ্বাসভিত্তিক একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় উৎসব। ইয়ালদা শব্দের অর্থ সূচনা বা জন্ম। শবে ইয়ালদা মানে ‘জন্মের রাত’, ‘সূর্যের জন্মোৎসব রাত’। শীত মওসুমে নিরক্ষরেখা থেকে সূর্যের দূরতম অবস্থানকালে উত্তর গোলার্ধের দীর্ঘতম রাতে অর্থাৎ ডিসেম্বরের ২০ বা ২১ তারিখ রাতে উদযাপিত হয় শবে ইয়ালদা। ইরান ছাড়াও আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং কিছু ককেশীয় অঞ্চলের দেশ যেমন আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ায় এ উৎসব উদযাপিত হয়। এসব অঞ্চলের মানুষ মনে করে অন্ধকার অশুভর প্রতীক। আর শবে ইয়ালদার পরে প্রথম সকাল অন্ধকার ও অশুভ শক্তির উপর সূর্য এবং আলোর বিজয়ের সূচনা। অর্থাৎ এ রাতেই মানবজাতির জন্য সুদিনের পালা বইতে শুরু করে। খ্রিষ্টজন্মের দুই শ’ থেকে তিন শ’ বছর আগে জরথুস্ত্রের ধর্মের অনুসারীরা যে সূর্য উপাসক ছিল এ উৎসবের মধ্যে তারই রেশ রয়ে গেছে কিনা আমাদের জানা নেই। আমরা এ উৎসবের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছি এতে যেসব কর্মকাণ্ড ইরানিরা করেন সেই বিষয় তুলে ধরতে।

বিশ্বখ্যাত ইরানি কবি জালালুদ্দিন রুমি রাতকে অশুভের প্রতীক এবং দিনকে ঔজ্জ্বল্য, শুভ্রতা, সচ্ছলতা, নির্মলতা ও পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গজল সম্রাট হাফিজ শিরাজি তার শবে ইয়ালদা ও সূর্যের আবির্ভাবকে তুলে ধরেছেন এভাবে :
‘ভণ্ড স্বেচ্ছাচারী শাসক আর অন্ধকার সুদীর্ঘ শর্বরী
দুয়ারে মশাল হাতে সূর্য ছানা ডানা মেলা পরী!’
মহাকবি শেখ সাদি লিখেছেন :
‘যদি না ফুরায় ব্যথা, এ জীবনে আসে না তো সুখ
ইয়ালদার রাত শেষে তবে ফোটে ভোরের কিংশুক।’

আল বিরুনী তার আল বাকিয়াহ গ্রন্থে ইয়ালদাকে ‘মিলাদে আকবর’ বা ‘শ্রেষ্ঠতম জন্মদিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এমনকি আল্লামা ইকবালও দীর্ঘতম রাতের তথা শবে ইয়ালদার মাহাত্ম্য বর্ণনায় পিছিয়ে থাকেননি। তিনি বলেছেন :
‘কাজল পরানো যেন ওই দুটি মনোময় চোখের নজর
রোদেলা দিবস ঠিক পাল্টে হয় দীর্ঘতম রাতের দোসর।’

এ রাতে কী করেন ইরানিরা? পরিবারের সবাই একত্র হয়ে এবং আত্মীয় ও বন্ধুদের সাথে মিলে আনন্দ উপভোগ করেন। তবে আমাদের আকর্ষণ করেছে এ উৎসবের সঙ্গে কাব্যের নিবিড় সম্পৃক্ততা। এ রাতে উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে কবিতা চর্চা। সাথে থাকে ঐতিহ্যবাহী তরতাজা ফলমূলের সমাহার। অনেকেই গল্প বলা ও গানবাজনা করে রাত কাটিয়ে দেয়। কিছু মানুষ আবার নিজেদের ভাগ্য গণনাও করে এ রাতে। ভাগ্য গণনার পদ্ধতিটাও রীতিমতো অভিনব। সেটা বলেই এই প্রসঙ্গের ইতি টানব।

মহাকবি হাফিজের প্রতিটি গজলের রয়েছে আলাদা তাৎপর্য। তার কাব্য সঙ্কলন সামনে রেখে পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তি শুরু করেন ভাগ্যগণনা। যার ভাগ্যগণনা করা হবে তিনি পাক-পবিত্র হয়ে চোখ বন্ধ করে তিনবার সূরা এখলাস পড়ে মনে মনে কিছু একটা চাইবেন। এরপর বয়স্ক ব্যক্তি হাফিজের কাব্য সঙ্কলনটি তার সামনে খুলে ধরে বলবেন, ডান পৃষ্ঠা নাকি বাম পৃষ্ঠা? চোখ বন্ধ রেখেই লোকটি নিজের ডান হাত দিয়ে কোনো এক পৃষ্ঠা স্পর্শ করবেন। বয়স্ক ব্যক্তি তখন সেই পৃষ্ঠায় যে কবিতা বা গজলটি রয়েছে তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করবেন। সেই কবিতার মর্মার্থের মধ্যেই রয়েছে ওই ব্যক্তির ভাগ্যের আভাস। আবার ইরানের কোনো কোনো অংশে শবে ইয়ালদার রাতে মহাকবি ফেরদৌসীর শাহনামা থেকে সুরে সুরে আবৃত্তি করা হয়। কোথাও কোথাও সারা রাত কবিতার লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো সবই লোকজ সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের অংশমাত্র, এর বেশি কিছু নয়। ইসলামের মহৎ আদর্শ যেমন ইরানিদের বিপ্লবের প্রেরণা দেয় তেমনি এই উৎসবগুলোও তাদের জাতিকে প্রাণবন্ত রাখে।

উৎসব সব মানুষের মেলামেশা ও সৌহার্দ্য বিনিময়ের সুযোগ ঘটে। ইসলামে দুটি ঈদ উৎসবের বাইরে এমন আর একটিও সুযোগ নেই যেখানে সারা দেশের মানুষ একসাথে নির্মল আনন্দময় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে পারে। আমরা সচেতন যে, ইসলাম মানুষকে আল্লাহর স্মরণ ভুলে গিয়ে কোনোরকম কর্মকাণ্ডেই বুঁদ হয়ে থাকার অনুমতি দেয়নি। এমনকি বৈষয়িকতা ভুলে কেবল খোদার অন্বেষণে বৈরাগ্য গ্রহণের সুযোগও ইসলামে নেই। এ কারণেই রাসূল সা:-এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও প্রিয় সাহাবীগণ যারা সংসার জীবন পরিত্যাগ করে শুধুই আল্লাহর ধ্যানে মশগুল হয়েছিলেন সেই ‘আসহাবে সুহফা’র জীবনধারা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আছে যে, আসহাবে সুহফার জীবনযাত্রা প্রণালী কি বিধিসম্মত?

মূল কথা হলো, ইসলাম মানুষকে কর্মজীবন ও অধ্যাত্মজীবনের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয় সাধনের সুপারিশ করে। বিশ্বের শতকোটি মুসলমান তাদের প্রতিদিনের প্রতি ওয়াক্তের নামাজে এ বলে পরম করুণাময়ের কাছে আকুল প্রার্থনা জানায়, ‘হে আমাদের পরওয়ারদেগার, আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচান।’

এই যে মুনাজাত সারা বিশ্বের মুসলমানরা দিনে রাতে অসংখ্যবার উচ্চারণ করছি তাতে পারলৌকিক কল্যাণ নিশ্চয়ই হবে, কিন্তু এ মুহূর্তে তা জানার উপায় নেই। তবে জাগতিক জীবনে বৃহত্তর কোনো কল্যাণ আদৌ হচ্ছে কিনা সে নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। কারণ, গত প্রায় দেড় শ’ বছর ধরে গোটা বিশ্বেই মুসলমানদের অবস্থা অন্য সব জাতির চেয়ে হীনতর হয়েছে। ইউরোপ আমেরিকার কথা না হয় বাদই দিই। এশিয়ার যে বৃহত্তর অংশে মুসলমানদের বসবাস, যারা কমপক্ষে ৫৪টি স্বাধীন দেশের অধিবাসী সেগুলোর দিকে খেয়াল করলেই বিষয়টি পরিষ্কার। মুসলিম দেশগুলোর কোনোটিরই সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক শক্তিমত্তা বিধর্মী রাষ্ট্রগুলোর সাথে এমনকি তুলনা করার মতো অবস্থায়ও নেই। পরাশক্তি হওয়া তো দূরের কথা। অথচ মহান আল্লাহ কিন্তু মুসলিম বিশ্বকে ধন সম্পদ মেধা ভূখণ্ড কিংবা জনবল কোনো দিক থেকেই বঞ্চিত করেননি। তাহলে সমস্যা কোথায়?

সমস্যা নানাভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। ব্যাখ্যা করাও হচ্ছে। ব্যাখ্যার প্রধান একটি দিক হলো, মুসলমানদের আদর্শচ্যুতি। এটি যে মুসলমানদের অধঃপতনের অন্যতম কারণ তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আরেকটি দিক হলো, বিধর্মীদের ষড়যন্ত্র। তারা মুসলমানদের ইসলামের আদর্শ থেকে সরিয়ে আনার জন্য শত শত বছর ধরে অবিরাম ষড়যন্ত্র চালিয়ে এসেছে এখনো তা অব্যাহত। এসব ষড়যন্ত্র কেবল যে, ক্রুসেড বা রণকৌশলের আশ্রয়ে হয়েছে তা নয়। বরং ষড়যন্ত্রের বড় অংশ হয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার মধ্য দিয়ে। সুতরাং সংস্কৃতি যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট। যে কথা বলার জন্য এতসব মুসাবিদা করছি সেটি এই যে, উৎসবের ভেতর দিয়ে আমরা আমাদের সন্তানদের মনে ইসলামের মর্মবাণীর অন্তত জোশটুকু জাগিয়ে দিতে পারি। সেটি কিভাবে সম্ভব?

বাংলাদেশে মুসলমানদের সুস্থ বিনোদনের উপায় উপকরণ তেমন নেই। সিনেমা, নাটক, গান-বাজনা সবকিছুই নিষিদ্ধের তালিকায় ফেলেন অনেকে। শিক্ষাব্যবস্থাও সম্পূর্ণ বিপরীত। সাধারণ শিক্ষা থেকে শুধু ইসলামবিমুখ নয় বরং প্রায়শ চরম ইসলামবিদ্বেষী মানুষ বেরিয়ে আসে। পাশ্চাত্য ও প্রতিবেশী মুশরিকদের অব্যাহত প্রচারণায় এমন একটি আবহ এই মুহূর্তে বিশ্বকে গ্রাস করেছে যে, মুসলমান মানেই মূর্খ, জঙ্গি এবং প্রগতিবিরোধী। এমনই পরিবেশে তরুণরা উৎসবের বিকল্প খুঁজছে। দুর্গাপূজার আদলে বর্ষবরণ হচ্ছে, ভালোবাসা দিবসের নামে নতুন উৎসবের প্রচলন হচ্ছে।

কাওয়ালির আসর বা অন্য কোনো উৎসবের মাধ্যমে চরম ইসলামবিদ্বেষী মানুষগুলোকে হয়তো ফেরানো যাবে না, তবে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এই সর্বৈব বিভ্রান্তিকর বাণীর আকর্ষণে কৌতূহলের বশে বা নিছক আনন্দ বিনোদনের লক্ষ্যে যেসব মুসলিম তরুণ দল বেঁধে বিধর্মীদের উৎসব আয়োজনে অংশ নিতে যায়, নেচে গেয়ে উল্লাস করে তাদের ফেরানো সম্ভব মনে করি। কাওয়ালির মতো সঙ্গীত, শবে বরাত, ঈদে মিলাদুন্নবী সা: ও মহররমের মতো উৎসবের সেই শক্তি আছে।

প্রতিপক্ষ যখন মুসলিম তরুণদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে তখন আমরা অন্য ধর্মের মানুষদের ডেকে নিজের উৎসবে শামিল করা তো দূরের কথা ঘরের সন্তানদেরও দূরে ঠেলে দিচ্ছি। উৎসবের আনন্দ থেকে বিরত রাখছি। এভাবে তারুণ্যকে বেঁধে রাখা যায় না। এটি তারুণ্যের ফিতরাতের বিরোধী। বিশ্ব এখন এক গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বের কোণে কোণে ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের সন্তানেরা এবং বৈরী পরিবেশে আত্মপরিচয় হারিয়ে ফেলছে। অথচ বিশ্ব গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা এমন খবরও পাই যেখানে মুসলমানদের নামাজ পড়ার জায়গা দিয়েছে ইহুদিদের সিনাগগ। ফিলিস্তিনে বা মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন। কানাডার একটি শহরে ইহুদি ও মুসলিমদের পারস্পরিক সহমর্মিতার এ দৃষ্টান্ত আমাদের মুগ্ধ করে। সব পথ বন্ধ করে দিয়ে কোনো আদর্শ কখনো বিকশিত হয় না। রাসূল সা: জেনেশুনেও এমনকি মুনাফিকদেরও সাথে রেখেছিলেন। আধুনিককালে ইমাম খোমেনির বিপ্লবের সময় ইরানের সব শ্রেণীর এমনকি বামপন্থী পক্ষগুলোও সর্বান্তকরণে তাকে সমর্থন দিয়েছিল এবং তিনি সেই সমর্থন কখনো নাকচ করে দেননি।

আমরা মুসলমানরা বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হয়ে শঙ্কিত হওয়ার পরিবর্তে নিজেরাই আগ্রাসী সংস্কৃতির চর্চা করতে পারি কিনা সেটি ভেবে দেখার সময় বোধ হয় এসেছে। আগ্রাসী সংস্কৃতি বলতে বোঝাতে চাই এমন এক সংস্কৃতি যা মুসলিম তরুণদের পাশাপাশি অন্যদেরও আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে এবং আমরা সেই ‘অন্যদের’ এই সংস্কৃতির ভেতরে প্রবেশ করতে আমন্ত্রণ জানাব। ইউরোপে ইসলামের বিস্তারের পর অনেক খ্রিষ্টান তরুণ ‘আল্লাহু’ লেখা লকেট গলায় ঝুলিয়ে ঘুরত বলে কোথাও পড়েছিলাম। বর্তমান বিশ্বে তেমন বিজয়ের সম্ভাবনা সুদূরপরাহত। এখন সংস্কৃতি দিয়েই জয় করতে হবে। যেমনটা করছে হিন্দুর সংস্কৃতি। আমরা ষোলো কোটি মুসলমান জাতীয়সঙ্গীত হিসাবে সেই গানটি প্রতিদিন গাইছি যে গানে রয়েছে,
‘ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে-
দে গো তোর পায়ের ধুলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে
ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে’-

গানটি কোন মা’কে উদ্দেশ করে রচিত আশা করি পাঠকের অজানা নয়। এটি বিশ্বাসের পুরো শিকড় কেটে আমাদের অস্তিত্বহীন করে ফেলার পরও আমরা ঠিক যেন বুঝেও উঠতে পারি না। তারাপদ রায়ের সেই কবিতার মতো শুধু ভাবি-
আমরা টের পাইনি
আমাদের ঝরনাকলম কবে ডট্পেন হয়ে গেছে
আমাদের বড়বাবু কবে হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে গেছেন
আমাদের ‘আব্বা’ কবে ‘বাবা’ হয়ে গেছেন।
আমরা বুঝতে পারিনি
আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে।
(মূল কবিতায় রয়েছে, ‘আমাদের বাবা কবে বাপি হয়ে গেছেন’)

মুসলিম বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি এই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব বুঝতে পারার মতো নেতৃত্ব যারা উদারভাবে সংস্কৃতির একটি পৃথক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে পারেন।

(শবে ইয়ালদা বিষয়ক কবিতার উদ্ধৃতিগুলো ফারসি জানা এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া। কাব্যিক তরজমা আমার নিজের)

ই-মেইল: mujta42@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement