১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মার্কিন ভিসা বাতিলের তালিকা কি দীর্ঘ হচ্ছে

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মার্কিন ভিসা বাতিলের বিভিন্ন কাহিনী-গালগল্প এবং গুজব নিয়ে ইদানীংকালের বাংলাদেশে যে সরগরম আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে এমনটি আমি আমার জীবৎকালে আর কখনো দেখিনি। র‌্যাবের প্রতি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং এই বাহিনীর ছয়জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় পুরো বাংলাদেশ যেভাবে নড়েচড়ে উঠেছে তা গত এক যুগের পিনপতন জাতীয় নীরবতা এবং বিরাটসংখ্যক মানুষের মূক ও বধিরতার অন্তমূলে বজ্রপাত ঘটিয়ে দিয়েছে। মানুষ যখন বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে ভাবছে কী দেখলুম! কী শুনলুম! কী হোপে! কই যামু! ঠিক তখন দ্বিতীয় বজ্রাঘাতের তোড়ে তারা দেখতে পেলেন যে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের মার্কিন ভিসা বাতিল হয়েছে। প্রায় একই সময়ে ডা: মুরাদ হাসানের মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়া এবং কানাডার একটি বিমানবন্দর থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে দুবাই বিমানবন্দরে আশ্রয়- অতঃপুর দুবাই শহরে যেখানে লাখ লাখ দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ অনায়াসে কাজ করছেন এবং অবাধে সেই শহরে বাংলাদেশ থেকে যাতায়াত করতে পারছেন সেখানে সদ্য বিদায়ী মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য তকমাযুক্ত ব্যক্তি ঢুকতে কেন ব্যর্থ হলেন তা নিয়ে দেশ-বিদেশে হরদম তর্ক-বিতর্কের আতশবাজি ফুটতে শুরু করল।

উল্লিখিত প্রেক্ষাপটে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্তারা সুতীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালেন। কেউ বললেন, র‌্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না- বরং মানবাধিকার রক্ষা করে। আরেকজন বললেন, আমরা সংবিধান মেনে সব কাজ করি। র‌্যাবের সাবেক ডিজি এবং বর্তমান আইজি বললেন, হুয়াই মি! আমার ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। বাহিনীর কর্তাদের প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি আওয়ামী সরকার ও দলের কর্তারাও মার্কিন সিদ্ধান্তের ওপর সুতীব্র বাক্যবাণ ছুড়তে শুরু করলেন। তারা বললেন, র‌্যাবের বিরুদ্ধে মাত্র ৬০০ বিচারবহির্ভূত হত্যা বা গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে গত দশ-বারো বছরে- অথচ মার্কিন মুল্লুকে এক বছরে সেই দেশের পুলিশ যে অপকর্ম করে তা র‌্যাবের ১২ বছরের খতিয়ানের ১০০ গুণ।

বাংলাদেশের ক্ষমতাধরদের সুতীব্র সমালোচনার জবাবে মার্কিন প্রশাসন টুঁ শব্দও করেনি। এর ফলে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশের সব মহলে আলাপ-আলোচনা-সমালোচনা-প্রতিক্রিয়া-হাস্যরস-তর্ক-বিতর্ক-আতঙ্ক এবং আনন্দ ফুর্তির যে বহুমাত্রিক রসায়ন শুরু হয়েছে তা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ, মূল ধারার গণমাধ্যমের ওপর জনগণের যেমন আস্থা নেই তেমনি তারাও জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করছে না। ফলে লোকজন তখন বিদেশী গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় পিলে চমকানো কিছু তথ্যের পাশাপাশি অসংখ্য গুজব প্রতিদিন আবহমান বাংলার সমসাময়িক আবহাওয়া উত্তাল করে তুলছে। এত্তো সব কর্মকাণ্ডের মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভ্যালের বাংলা বিভাগের সঙ্গে সুদীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দেন।

ডয়েচে ভ্যালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জেনারেল আজিজ বলেন, তিনি বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর মারফত জেনেছেন যে তার মার্কিন ভিসা বাতিল হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে তিনি এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ পাননি। তিনি মার্কিন সরকারের ইমিগ্রেশন আইনের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে বলেন, আইনত তিনি ভিসা বাতিলের নোটিশ পেতেন যদি সত্যিই তেমন কিছু ঘটত। যেহেতু তিনি কোনো নোটিশ পাননি সেহেতু তিনি মনে করেন যে তার মার্কিন ভিসা বহাল রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি মার্কিন সরকারের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, শেষবার সেনাপ্রধানরূপে গত বছর যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করছিলেন তখন তাকে নজিরবিহীন সম্মান দেখানো হয়েছিল। তিনি যখন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদর দফতরে সেই দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তখন বৈঠকপূর্ব গার্ড অব অনারে জেনারেল আজিজের সম্মানে মোট ১৬ বার তোপধ্বনি অর্থাৎ কামানের গোলা ফোটানো হয়। তাকে বলা হয়েছিল যে, আপনি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। কারণ ইতঃপূর্বে কোনো বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানের সম্মানেও ১৬ বার কামানের গোলা ফোটানো হয়নি।

জেনারেল আজিজ উল্লিখিত সাক্ষাৎকারের সময় দুবাইতে ছিলেন। তার পুত্র সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। পুত্রের উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি দুবাই অবস্থান করছেন এবং চিকিৎসা শেষে তিনি যথারীতি বাংলাদেশে ফেরত আসবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। জেনারেল আজিজের ঘটনা শেষ না হতেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়। একই সঙ্গে আরো কয়েকজন মন্ত্রী-সরকারি কর্তা-এমপিদের নিয়েও শুরু হয় গুজব। এসব গুজবের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চুপ থাকলেও জেনারেল আজিজের মতো মন্ত্রী পলকও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। তার সেই প্রতিক্রিয়া একটি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং সেই খবরটি আবার আরেকজন মন্ত্রী তার ফেসবুকে প্রচার করেন।

পলক সম্পর্কে প্রচার করা হচ্ছিল যে, তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কিন্তু পলক তার ফেসবুক প্রোফাইলে ঘোষণা করেন যে, গত ২৫ ডিসেম্বর তিনি টরেন্টো থেকে প্রথমে বোস্টন শহরে যান এবং পরে সেখান থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে ভ্রমণ করেন। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে আমেরিকা গিয়ে কী কী করেছেন এবং সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তারা তাকে কিভাবে আদর যত্ন করেছেন ইত্যাদি অনেক কিছু অতি যত্নসহকারে প্রকাশ করেছেন। তিনি তার বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রপাগান্ডাকে বিএনপি-জামায়াতের অ্যাজেন্ডা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফেসবুকে দেয়া তার সেই নাতিদীর্ঘ স্ট্যাটাসটি অনেকে শেয়ার করেছেন এবং নানা রকম বাক্য প্রয়োগ করে রসাত্মক মন্তব্য করেছেন। অনেকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন এবং তার বক্তব্যের বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, সেসব নিয়ে লিখতে গেলে নতুন এক মহাভারত হয়ে যাবে। সুতরাং এসব বিষয়ে আলোচনা না করে বরং আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করি।

বাংলাদেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষজনকে যদি বিদেশে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয় তবে বেশির ভাগ মানুষই আমেরিকা যেতে চাইবে। যারা দেশটি একবার ভ্রমণ করেছেন তারা যেমন সপরিবারে সেখানে স্থায়ী বসবাসের চেষ্টা করেন তেমনি যারা এখনো যাননি তারা শয়নে-স্বপনে আমেরিকা যাবার স্বপ্নে বিভোর থাকেন। অন্য দিকে বাংলাদেশের নব্য ধনী, ক্ষমতাধর লোকজন এবং সব ব্যাপারে নাক সিটকানো লোকজন নিজেদের পাসপোর্টে মার্কিন ভিসা থাকাটা এক ধরনের গৌরবের বিষয় মনে করে থাকেন। অর্থ-বিত্ত-ক্ষমতা ও প্রভাবের ক্ষেত্রে মার্কিনিদের বিশ্বজোড়া আধিপত্য ছাড়া নিজ দেশে তারা ধনী-দরিদ্র-দেশী-বিদেশী-সাদা-কালো প্রভৃতি সব ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠীর লোকের জন্য যে ন্যায়বিচার-সুশাসন-জবাবদিহিতা বাকস্বাধীনতা-চলাফেলার স্বাধীনতা যেভাবে নিশ্চিত করেছে তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ আজ অবধি করতে পারেনি। কর্মক্ষেত্রে সুষম প্রতিযোগিতা, সম্পদের সুরক্ষা, সব মানবীয় প্রয়োজন মেটানোর সুষম ব্যবস্থা, উন্নত গণতন্ত্র এবং প্রচুর উপার্জনের সুযোগ থাকার কারণে বিশ্বের সব মানুষই স্বপ্ন দেখে আমেরিকা যাওয়ার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের বৈদেশিক নীতি-যুদ্ধনীতি-সাম্রাজ্যবাদী নীতি অথবা টাকা কামানোর ধান্ধা অর্থাৎ স্বার্থবাদী পুঁজিকেন্দ্রিক অর্থব্যবস্থার জন্য যতই সমালোচনা করি না কেন কিন্তু বাস্তবতা হলো- আমেরিকার রাজনীতিবিদরা তাদের নিজেদের ভূখণ্ডকে ন্যায়বিচার ও সুশাসন এবং নাগরিক স্বাধীনতার সৌন্দর্যে এতটাই রোশনাই বানিয়ে ফেলেছে যে, পৃথিবীবাসী অবাক বিস্ময়ে দেশটির দিকে তাকিয়ে থাকে এবং যেকোনো মূল্যে সেখানে যেতে চায়। তো আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান তবে তাদের যে ভিসা প্রক্রিয়া রয়েছে তা তুলনামূলক সহজ এবং আপনি যদি সে দেশের বাসিন্দা হতে চান তবে তা লন্ডন-অস্ট্রেলিয়া-কানাডা প্রভৃতি দেশের চেয়ে আরো সহজতর। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো- প্রথমত, আপনাকে ভালো মানুষ হতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, মার্কিনি তাঁবেদার হতে হবে। আপনি যদি হঠাৎ ভালো মানুষ থেকে মন্দ মানুষে পরিণত হন তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব সম্ভাবনার দ্বার আপনার জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

মার্কিন ভিসা পাওয়ার দ্বিতীয় যোগ্যতা অর্থাৎ মার্কিনিদের তাঁবেদার হওয়ার বিষয়টি বেশ জটিল। সাধারণত রাজনৈতিক বিবেচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনো-সখনো কোনো ব্যক্তি-পরিবার-গোষ্ঠী বা দলকে কাছে টেনে নেয়। কিন্তু প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তারা এসব লোক থেকে কেবল দূরে থাকে না বরং ওসব লোককে প্রয়োজন মনে করলে দূরে সরিয়ে দেয়। অথবা দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দেয়। ইরানের রেজাশাহ পাহলভী এবং তার বংশ, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন এবং তার বংশ, ওসামা বিন লাদেন এবং তার বংশ, নব্বইয়ের দশকের তালেবান গোষ্ঠীসহ দুনিয়ার অনেক ক্ষমতাধর লোককে তারা কৌশলগত কারণে কাছে টেনে নিয়েছে এবং প্রয়োজন শেষে কী করেছে তা কমবেশি আমরা সবাই জানি।

আপনি যদি মার্কিন ভিসা নীতির প্রথম শর্তটি মেনে ভিসাপ্রাপ্ত হন কিংবা সেই দেশে স্থায়ী বসবাসের চেষ্টা করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো দিনই অহেতুক বা অনাহূত কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। কিন্তু আপনি যদি নিজেকে মার্কিনি তাবেদার বানিয়ে অথবা কোনো দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা অথবা রাষ্ট্রীয় পদ ব্যবহার করে ভিসাধারী হন তবে আপনার ভাগ্য মার্কিন সরকারের কর্তাব্যক্তিদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। মার্কিনি সরকারের বৈদেশিক নীতির অধীন যেমন ভিসা বাতিল নিষেধাজ্ঞা, গ্রেফতার, ড্রোন হামলা অথবা যুদ্ধের মতো ঘটনা ঘটতে পারে তদ্রুপ কোনো রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তার খামখেয়ালির কারণেও রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রাপ্ত ভিসা বাতিল হতে পারে।

১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের অনেক আগে থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কিন তাঁবেদার হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং আমৃত্যু নিজের সেই তাঁবেদারি চরিত্রের কোনো পরিবর্তন ঘটাননি। তিনি যখন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা হলেন তখন পুরো দলটিকে মার্কিন ঘেঁষা করে তুললেন এবং নিজের চ্যালা চামুন্ডাদেরও মার্কিনমুখী বানিয়ে ফেললেন। সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা বিচক্ষণতা দক্ষতা এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাদীক্ষার অভাবে মার্কিন লবিটি ঠিক রাখতে পারেনি। ফলে অনেকের জীবন পরবর্তীতে মার্কিন নীতির কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গত একযুগ ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের পরিচালিত সরকারের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অনেকটা দুর্বোধ্য অস্পষ্ট এবং টানাহেঁচড়ার মধ্যে চলে আসছে। এ অবস্থায় মার্কিন সরকার তাদের স্বার্থে রাজনৈতিক বিবেচনায় দল ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অনেককে ভিসা দিয়েছে অবাধে আমেরিকা গিয়ে সহায় সম্পত্তি ক্রয়সহ আরো নানাবিধ কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিয়েছে এবং এগুলো তারা করেছে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু হাল আমলে তারা বুঝতে পারছে যে, তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি উল্টো সূত্র প্রয়োগ করতে হবে। ফলে তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ অনেকের মার্কিন ভিসা বাতিল করেছে। বাংলাদেশে যেসব মার্কিন নীতি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তারা সবাই প্রায় একবাক্যে সরকারকে সতর্ক করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে তা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়বে এবং তাদের যে ঐতিহ্য সেটা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি কারো বিরুদ্ধে লাগে তবে সম্পূর্ণ জয় বা পরাজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে না।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরো সংবাদ



premium cement