২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সৃষ্টির রহস্য সন্ধানে ওয়েব টেলিস্কোপ

-

‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে এবং বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করোনি।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত : ১৯০-১৯১)
মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্যের সন্ধানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো গত ২৫ ডিসেম্বর। এ দিন মহাকাশে পাঠানো হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল স্পেস টেলিস্কোপ। মানব জাতির চন্দ্র অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী জেমস ওয়েবের নামে নামকরণ করা এই টেলিস্কোপটিকে James Webb Space Telescope-JWST সংক্ষেপে যাকে শুধু ‘ওয়েব’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। এটি তার পূর্বসূরি হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে তিনগুণ বড় এবং ১০০ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। দীর্ঘ দিনের নিরলস প্রচেষ্টায় আমেরিকার নাসা, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ও কানাডার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা এটি তৈরি করেছেন। এতে সংযোজন করা হয়েছে সর্বাধুনিক এমন সব যন্ত্রপাতি যার ব্যর্থ হওয়ার কোনো অবকাশ রাখা হয়নি। যুক্ত হয়েছে অপটিক্যাল প্রযুক্তির সর্বশেষ আবিষ্কারগুলো। ব্যয় হয়েছে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ৫ থেকে ১০ বছর হবে এই মিশনের মেয়াদ। এটিকে বলা হচ্ছে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদক্ষেপ।

আগে হাবল টেলিস্কোপ থেকে আমরা কী কী নতুন জেনেছি তার একটি সামান্য খতিয়ান নিয়ে নিতে পারি। আমরা জানি, ১৬০৯ সালে ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও যখন টেলিস্কোপ বা দুরবিন আবিষ্কার করেন তখনই প্রথম দৃষ্টির বাইরের বস্তুগুলো মানুষ দেখতে সক্ষম হয়। সেই দুরবিন দিয়েই মহাশূন্যের বস্তু যেমন বৃহস্পতির চাঁদ দেখা সম্ভব হয়, যা পৃথিবীকে নয়, বৃহস্পতিকে ঘিরে আবর্তিত হয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষ যে পৃথিবীকেন্দ্রিক বিশ্বজগৎ কল্পনা করত সেটি চিরকালের জন্য পাল্টে যায়। এর প্রায় চার শ’ বছর পর ১৯৯০ সালে হাবল টেলিস্কোপ মহাশূন্যে পাঠানো হলে সূচনা হয় বিশ্বজগতকে জানার ক্ষেত্রে এক নতুন বৈপ্লবিক যুগের। হাবল টেলিস্কোপে নব্বইয়ের দশকের অপটিক্যাল প্রযুক্তির সর্বশেষ সুবিধাগুলো যুক্ত করা হয়। সেটি পৃথিবী থেকে ৩৪০ মাইল দূরের আকাশে অবস্থান করে প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করছে। এর ফলে পৃথিবী থেকে বহির্বিশ্ব বা মহাকাশ দেখার যেসব বাধা ছিল সেগুলো দূর হয়। এ মানমন্দিরটি এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি পর্যবেক্ষণ পৃথিবীতে পাঠিয়েছে যেগুলোর তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা গ্রহের গঠনপ্রক্রিয়া থেকে শুরু করে দানবাকারের ব্লাকহোল পর্যন্ত বহু বিস্তৃত বিষয়ে ১৮ হাজারের বেশি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ লিখেছেন। এসব নিবন্ধের রেফারেন্স দিয়ে লেখা হয়েছে নানা ধরনের ৯ লক্ষাধিক রচনা। আর তা প্রতিদিন বিপুল হারে বাড়ছে। বর্তমান সময়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানের এমন কোনো বই নেই, যাতে হাবল থেকে পাওয়া তথ্যের উল্লেখ নেই। হাবল এখনো সক্রিয় আছে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (European Space Agency -ESA) উপদেষ্টা মার্ক ম্যাক কফরেন (Mark McCaughrean) বলেন, হাবল যখন তৈরি করা হয় তখন মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক কিছুই আমাদের জানা ছিল না। এর মধ্যে একটি অজানা বিষয় ছিল, মহা বিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাংয়ের কয়েক শ’ লাখ (a few hundred million years) বছরের মধ্যেই নক্ষত্র ও গ্যালাক্সির সৃষ্টি হয়েছে।

জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী ম্যারিও লিভিও বলেন, সত্যিকার অর্থে জ্যোতির্বিজ্ঞান বা জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে হাবল খুবই অর্থবহ অবদান রাখেনি। হাবলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার সম্ভবত সেফিড নক্ষত্রপুঞ্জের আবিষ্কার। এটি একটি পরিবর্তনশীল নক্ষত্রমণ্ডল যার ঔজ্জ্বল্য একটি নিয়মিত চক্রে পাল্টে যায়। সেই উজ্জ্বলতার পরিবর্তনের আছে নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি। এর ফলে বিজ্ঞানীরা বিশ্বজগতের বয়স অনুমান করার একটি সূত্র খুঁজে পান।
এবার চলুন ওয়েবের নানা দিক নিয়ে জানার চেষ্টা করি। হাবলের মেয়াদ ফুরিয়ে আসার আগেই তার উত্তরসূরি হিসেবে জেমস ওয়েবকে পাঠানো হলো। এর নির্মাণ সম্পন্ন হয় ২০১৬ সালে। পরের বছরই এটি মহাশূন্যে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ব্যাপকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ২৫ ডিসেম্বর শনিবার একটি রকেট দিয়ে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

সর্বোত্তম প্রযুক্তির এই মানমন্দিরের রয়েছে চারটি মূল লক্ষ্য।
বিগ ব্যাংয়ের পর কয়েক লাখ বছরের মধ্যে প্রথম যেসব নক্ষত্রের সৃষ্টি হয়, যেগুলো থেকে প্রথম আলো এসে এই অন্ধকার নিখিল বিশ্বের ওপর পড়ে, সেসব তারা খুঁজে বের করা। ২. গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের সৃষ্টির রহস্য ও তাদের বিবর্তনের স্বরূপ অনুসন্ধান। ৩. নক্ষত্র ও গ্রহমণ্ডলীর সৃষ্টির প্রক্রিয়ার প্রাথমিক স্তর সম্পর্কে জানা। অর্থাৎ এগুলো কিভাবে সৃষ্টি হলো তা জানার চেষ্টা করা এবং ৪. আমাদের সৌরজগতসহ অন্যান্য গ্রহমণ্ডলীর ভৌত ও রাসায়নিক উপাদানগুলোর পরিমাপ করা ও সেসব গ্রহমণ্ডলীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না সে বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো। কোন গ্রহে প্রাণ সৃষ্টির মতো আবহাওয়া সেটি নিরূপণের মাধ্যমে এই অনুসন্ধান চলবে।
মহাশূন্যের বিভিন্ন বস্তু থেকে যে আলোর বিকিরণ ঘটে তার মধ্য থেকে ওয়েব টেলিস্কোপ অবলোহিত (infra-red) আলোকরশ্মি ধারণ ও বিশ্লেষণ করবে। এ বিশ্লেষণের প্রক্রিয়ায় সে বহির্বিশ্বের বা সুদূর আকাশের তারা বা নক্ষত্র, নীহারিকা, ছায়াপথ, গ্রহ-উপগ্রহ ইত্যাদি বস্তুকে চিহ্নিত করবে। দূর আকাশের বস্তুগুলোর ছবি ধারণ করাই শুধু নয়, সেগুলোর চরিত্র বিশ্লেষণ করার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ওয়েবে সংযোজন করা হয়েছে। বিশ্লেষণের এ পদ্ধতিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় বলে স্পেকট্রোস্কোপি (spectroscopy)। এতে বস্তুগুলোর বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণ করা হয় তাদের আলোকরশ্মি শোষণের মাত্রাগত তারতম্য নিরূপণের মাধ্যমে। যেহেতু বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গপ্রবাহের আলোকরশ্মি শোষণ করে তাই সেগুলোর ভিন্নতা অনুধাবনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এগুলোর চরিত্র বুঝতে পারেন।

ওয়েব দিয়ে বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতেও নজরদারি করবেন। মঙ্গল গ্রহ থেকে শুরু করে তার চেয়েও দূরের বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুনের আজ পর্যন্ত অজানা তথ্য জানার চেষ্টা করবে ওয়েব। চেষ্টা করবে ‘কুইপার বেল্টের’ রহস্য জানারও। কুইপার বেল্ট হলো নেপচুন গ্রহের কক্ষপথের বাইরের অর্থাৎ আমাদের সৌরজগতের আওতার বাইরে মহাশূন্যের একটি অংশ যেখানে রয়েছে অসংখ্য ধূমকেতু, গ্রহাণু ও অন্যান্য বস্তু। অত্যন্ত শীতল ওই জায়গার রহস্য মানুষ এখনো উদঘাটন করতে পারেনি। কারণ ওই সব বস্তু থেকে খুব সামান্যই আলো বিচ্ছুরিত হয়।

১৯৯৫ সালে প্রথম এমন দু’টি গ্রহ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়, যা আমাদের সূর্যকে নয় বরং অন্য কোনো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এরপর বিভিন্ন আকার আকৃতির হাজার হাজার এমন গ্রহ-উপগ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। তাই ওয়েবের লক্ষ্য আরো বেশিসংখ্যক গ্রহ-উপগ্রহ খুঁজে পাওয়া নয়। বরং সেগুলোর বৈশিষ্ট্য নিখুঁতভাবে জানাই ওয়েবের লক্ষ্য। এর ফলে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত এমন সব রহস্যের দুয়ার খুলে যেতে পারে, যা আমরা এ মুহূর্তে কেবল কল্পনাই করতে পারি।

জেমস ওয়েব পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরের মহাশূন্যে ভেসে মাইনাস ২৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করবে। এর ফলে এর যে ইনফ্রারেড রশ্মি দিয়ে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সেটি নিখুঁতভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে। হাবল বিশ্ববাসীকে মহাকাশের লাখো নতুন গ্রহ-নক্ষত্রের সন্ধান দিয়েছে, দিয়েছে নতুন নতুন গ্যালাক্সির সন্ধানও। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, জেমস ওয়েব ১৩৮০ কোটি বছর আগে কথিত যে বিগ ব্যাং বা মহা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়ের তথ্যও উদঘাটনে সহায়ক হবে; অর্থাৎ বিশ্বজগৎ সৃষ্টির পর এতে যা যা আছে- গ্যালাক্সি, গ্রহ-তারা, এমনকি মানুষসহ প্রাণিকুল পর্যন্ত সব কিছুই কী করে এলো, তারও আভাস পাওয়া যেতে পারে জেমস ওয়েবের পর্যবেক্ষণ থেকে।

জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা ও তার ফলাফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষেরও আগ্রহ আছে। কারণ সবাই মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য জানতে চায়। বিশেষ করে আমরা যারা ইসলামে বিশ্বাস করি তাদের কাছে এটি একধরনের ধর্মীয় বিষয়ও। ইসলাম মূলত চিন্তাশীলদের ধর্ম। পবিত্র কুরআনে সত্য অনুসন্ধান ও অনুধাবনের জোরালো তাগিদ দেয়া হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে বেছে নেয়া হয়েছে আকাশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সত্যের সূত্র উদঘাটনের বিষয়টি। বলা হচ্ছে, ‘নিশ্চয়ই মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং দিবা-রাত্র আবর্তনের মধ্যে জ্ঞানবান মানুষের জন্য নিদর্শন রয়েছে; যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে এবং বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করোনি। সব পবিত্রতা একমাত্র তোমারই। আমাদেরকে তুমি দোজখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত : ১৯০-১৯১) এ ধরনের বেশ কিছু আয়াতে কুরআন আমাদেরকে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে সত্য উপলব্ধির তাগিদ দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ইসলামে গবেষণার ওপর সীমাহীন গুরুত্বারোপ করলেও কুরআনের অনুসারী বলে আমরা যারা নিজেদের দাবি করি তারাই অর্থাৎ মুসলিমরাই বর্তমান বিশ্বে জ্ঞানবিজ্ঞানের অনুশীলনে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। অমুসলিমরা কিন্তু এ কাজটি নিষ্ঠার সাথে করছেন এবং পার্থিব সব ক্ষেত্রে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন। মধ্যযুগের ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, কিভাবে মুসলিম মনীষীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশ্বকে সমৃদ্ধির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন। কীভাবে বিশ্বের চিন্তধারাকে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রণ করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতা হারানো এবং আত্মকলহের পথ ধরে মুসলিমরা ক্রমেই জ্ঞানচর্চায় পিছিয়ে পড়ে এবং গত কয়েক শ’ বছরে পুরোই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে।

আমরা বিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণার বিষয়গুলোকে সবসময় স্বাগত জানাই; কারণ সত্য উদঘাটন গোটা মানব জাতির জন্যই কল্যাণকর বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক সাম্প্রতিক আবিষ্কারের মধ্যে দেড় হাজার বছর আগে কুরআনে উল্লিখিত তথ্যসূত্রের প্রতিফলন দেখতে পাই। কুরআন যে অভ্রান্ত, তা প্রমাণের জন্য বিজ্ঞানের আবিষ্কারের দৃষ্টান্ত দেয়া হয়তো সবার জন্য প্রয়োজন নেই; তবে এতে দুর্বল ঈমানের মুসলমানদের মনের দ্বিধা ও দ্ব›দ্ব কিছুটা হলেও কাটতে পারে।

জেমস ওয়েব বিশ্ববাসীকে যেসব তথ্য সরবরাহ করতে যাচ্ছে সেসব জানার জন্য অপেক্ষায় থাকব। সেই সাথে আশা করব, বিশ্বে কুরআনের অনুসারী যেসব মেধাবী মানুষ তারাও বিশ্বমানের জ্ঞানচর্চায় দ্রুত এগিয়ে যাবেন। নিশ্চয়ই আমাদের মধ্যে মেধাবী মানুষের জন্ম রুদ্ধ হয়ে যায়নি।
e-mail : mujta42@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement