১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীন যাবেন নাকি আমেরিকা

চীন যাবেন নাকি আমেরিকা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশকে নিয়ে ইদানীং প্রকৃতির লীলাখেলা শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এমনসব অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা ঘটছে যা কিনা মানুষজন ঘটনা ঘটার খানিক আগেও কল্পনা করতে পারছে না। মানুষের স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধির বাইরে যখন কোনো ঘটনা ঘটে অথবা মানুষের দীর্ঘশ্বাস হা-হুতাশ যখন প্রকৃতিকে প্রভাবিত করে এবং প্রকৃতির পক্ষ থেকে যখন মানুষকে বিনোদিত করতে কিছু সংঘটিত হয়; তখন সেগুলোকে প্রকৃতির লীলাখেলা হিসেবে অভিহিত করা হয়। প্রকৃতির লীলাখেলা মানুষের লীলাখেলার মতো ছলচাতুরী অথবা মোনাফেকির মতো নয়। প্রকৃতির খেলা হয় আলোর মতোন- অর্থাৎ আলো যেভাবে সরল পথে চলে সেভাবেই প্রকৃতির অবারিত আশীর্বাদ অথবা অভিশাপ সরল পথে আসে।

দ্বিতীয়ত, আলোর গতিপথে যদি কোনো বস্তু পড়ে তবে আলো চেষ্টা করে তা ভেদ করার; অন্যথায় অভেদ্য বস্তুর পেছনে আঁকাবাঁকা ছায়ামালা সৃষ্টি করে।

প্রকৃতির লীলাখেলাতেই বাংলাদেশ এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। এক দিকে চীন দেশের প্রেম- অন্য দিকে প্রবল ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেম। রাধাকৃষ্ণের প্রেমকাহিনীতে রাধা যে বিপত্তিতে পড়েছিল ঠিক একই বিপত্তির মধ্যে পড়ে আমরা এখন হাবুডুবু খাচ্ছি। তবে প্রাচীন সাহিত্যে রাধার প্রেমজনিত রসায়ন, তার সামাজিক অবস্থান এবং স্বামীর ভাগিনা কৃষ্ণের সাথে লীলাজনিত পারিবারিক-সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার মূলে শুধুই প্রেম ছিল বলে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম ইতিহাসে অমরত্ব পেয়েছে। কিন্তু হাল আমলে চীন ও আমেরিকার দ্বৈত প্রেমের কবলে পড়ে আমরা যা কিছু করেছি কিংবা চীন-আমেরিকা যা কিছু করেছে সেগুলোর মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য, ক্ষমতা, আধিপত্যবাদ, ছলচাতুরী, কূটকৌশল, মানুষ ঠকানোর জঘন্য প্রক্রিয়ার পাশাপাশি জুলুম অত্যাচার দুর্নীতি থেকে শুরু করে গুম, খুন হত্যা, ভোট চুরি, ব্যাংক চুরি ইত্যাদির রসায়নগুলো এমন জটিল দুর্বিপাক সৃষ্টি করেছে, যার সমাধান এখন আর ভূমিতে নেই আসমানে চলে গেছে। ফলে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে দৈবাৎ-দুর্বিপাক বলেই মনে হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ থেকে একজন প্রতিমন্ত্রীর ন্যক্কারজনক বিদায় এবং পরবর্তী সময়ে তার পরিণতি যখন দেশ-বিদেশে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে ঠিক তখন বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি এবং কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ তাদের সহায় সম্পত্তি ও লেনাদেনার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সারা দুনিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার এক দিন পর আবার খবর বের হলো যে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এসব ঘটনা যখন নানান গল্প-গুজব ও গুঞ্জন তৈরি করছিল তখন আরেকটি খবর বাংলাদেশে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত তার এবং তাদের দেশের সব ঐতিহ্য, রীতিনীতি, অভ্যাস ইত্যাদি পরিহার করে সরাসরি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ অবলম্বন করে বিবৃতি দেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্য দ্বারা যা বুঝাতে চান তার মোদ্দা কথা হলো, বাংলাদেশে চমৎকার গণতন্ত্র রয়েছে। দেশের লোকজন আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে এবং মার্কিনিরা যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা অন্যায় অবৈধ এবং এসব নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি করবে না। অন্য দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এসব ঘটনার আগে মার্কিন মুলুকে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর কারণে নজিরবিহীনভাবে রাশিয়া বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছিল এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, গণতন্ত্র সম্মেলনে কেবল দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে দাওয়াত করা হয়েছে। বাংলাদেশ যেহেতু সবদিক থেকে শক্তিশালী গণতন্ত্রের দেশ সেহেতু এ ধরনের সম্মেলনে বাংলাদেশকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই মন্ত্রী হাল আমলে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির পর বললেন, এসব নিষেধাজ্ঞা লোকদেখানো, যেসব দেশ খুব ভালো উন্নয়ন করছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে তাদের ভয় দেখিয়ে ফায়দা লোটার জন্য অথবা তাদের বিপদে ফেলে উন্নয়ন বিনষ্ট করতে আমেরিকা প্রায়ই এসব কর্ম করে।

উল্লিøখিত ঘটনাপঞ্জির মধ্যে আরো একটি খবর আমাদের দেশে আলোড়ন তুলেছে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নজিরবিহীনভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠিয়েছে এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছে। এর বাইরে শাসকদলের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রী এমপি যার যার সাধ্যমতো আমেরিকার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন। কেউ বলছেন, ওদের কারণে ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, আবার অনেকে বলছেন, ওরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে সপ্তম নৌবহর পাঠাতে চেয়েছিল। কিছু বিজ্ঞজন মার্কিন মুলুকে গণতন্ত্রহীনতা এবং তাদের দেশে গুম হত্যা এবং ক্রসফায়ারের বার্ষিক হিসাব উল্লেখ করে বলার চেষ্টা করছেন যে, আমেরিকার তুলনায় বাংলাদেশে কিছুই হয়নি।

আমেরিকা যে র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফেলেছে সেই সংগঠনটির সরকারি বক্তব্যও যথেষ্ট হইচই ফেলে দিয়েছে। আমেরিকার অভিযোগ, র‌্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আর র‌্যাব বলছে, আমরা মানবাধিকার রক্ষা করছি। র‌্যাব প্রধান বলছেন, আমরা সংবিধান অনুযায়ী চলি এবং আইনের বাইরে যাই না। র‌্যাবের সাবেক প্রধান এবং বর্তমান আইজিপির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রতিক্রিয়ায় তার ভক্ত অনুরক্ত এবং কর্মী সমর্থকরা নিদারুণ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে তার পক্ষে নজিরবিহীনভাবে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন। তারা আইজিপিকে জাতীয় বীর, বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার প্রাণপুরুষ এবং নিজেদের জীবন-জীবিকার আইকন পরিচয় দিয়ে একটার পর একটা পোস্টার তৈরি করছেন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উল্লিখিত কাণ্ডকারখানার মধ্যে আমরা এ কথাও জানতে পারলাম যে, তিনজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং আইনমন্ত্রীকে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টি মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগ অতীতকালে আমেরিকাকে যেভাবে মোকাবেলা করেছে একইভাবে বর্তমান সঙ্কটও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবে। আওয়ামী বক্তারা বিগত দিনের মতো এখনো উঁচু গলায় বলার চেষ্টা করছেন যে, বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার মতো বর্তমান রাষ্ট্রদূতকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

উল্লিখিত অবস্থায় আওয়ামী লোকজন মনে করেন যে, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমেরিকা এখন দুর্বলতম অবস্থায় রয়েছে। অন্য দিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মহাকালের ইতিহাসে সবচেয়ে সুবিধাজনক এবং শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সুতরাং দুর্বল আমেরিকা শক্তিশালী বাংলাদেশের সঙ্গে সংঘাতে গেলে আখেরে তাদেরই ক্ষতি হবে। এসব কথাবার্তা যারা প্রচার করছেন তাদের দাবি হলো, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে কেবল মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠিয়ে সরকারের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলে হবে না। তাকে অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তারা আরো বলার চেষ্টা করছেন যে, মার্কিন সরকার যেভাবে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের নিষিদ্ধ করেছে একইভাবে আমাদেরও উচিত আমেরিকান এফবিআই, সেনাকর্মকর্তা এবং অন্যান্যের বিরুদ্ধে সমানসংখ্যক নিষেধাজ্ঞা জারি করা।

আওয়ামী লোকজনের উল্লিখিত আত্মবিশ্বাস ও প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধবাদীরা মনে করেন, আমেরিকা যা করেছে তা বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। আওয়ামী লীগ যেভাবে দিনকেদিন কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের কণ্ঠ রোধ করে চলেছে সে ক্ষেত্রে আমেরিকার মতো গণতন্ত্রকামী শক্তিশালী দেশের হস্তক্ষেপ ছাড়া এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ অসম্ভব। তাদের মতে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী সরকার মোকাবেলা করতে পারবে না। কারণ তারা যে ঋণনির্ভর উন্নয়ন, হুমকি-ধমকি ভয়ভীতির স্থিতিশীল পরিবেশ এবং ভারতমুখী কূটনীতি এবং চীনমুখী গুপ্তনীতি অনুসরণ করছে তা দীর্ঘ মেয়াদে চলবে না। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়, কর্মসংস্থান এবং রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের প্রবল আস্থা ছাড়া কোনো দিন টেকসই উন্নয়ন হয় না। এর জন্য গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। সুতরাং এইসব বিষয় বিবেচনা করলে আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থা সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নব্বই দিনের মতোই প্রতীয়মান হয়।

সরকারের সমালোচকরা আরো বলার চেষ্টা করছেন যে, সরকার সম্পর্কে সাধারণ জনগণ এবং সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে বিশ্বাস ও আস্থার সঙ্কট রয়েছে এবং সরকারি জুলুমের যে আতঙ্ক তারা অনুভব করেন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি সঙ্কট রয়েছে সরকারি দলের মধ্যে এবং সরকারের সুবিধাভোগী আমলা-কামলাদের মধ্যে। উদাহরণ হিসেবে তারা বিগত এক বছরের দলীয় কোন্দল, নিজেদের মধ্যে মারামারি হানাহানি এবং এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষের সর্বনাশ করার নিদারুণ সফলতার যে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে তা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, আওয়ামী লীগের হাতে বছরে আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি হয়েছে দলটির জন্মের পর থেকে তাদের সব শত্রু, সব প্রতিদ্বন্দ্বী, সব প্রাকৃতিক হিংস্র প্রাণী যথা বাঘ ভাল্লুক সাপ ছাড়াও প্রকৃতির অভিশাপ বা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির সমন্বিত যোগফলের চেয়ে অনেকগুণ বেশি হবে।

সমালোচকদের মতে, আওয়ামী নেতৃত্ব তাদের কথা ও কাজের সমন্বয় তো করতে পারছেই না অধিকন্তু কোনো কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে না পারার কারণে দেশীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে একটার পর একটা বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে। নিজেদের দলে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোক থাকা সত্ত্বেও কেবল করুণা ও দয়ার পাত্রপাত্রী দ্বারা যখন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিষ্পত্তির চেষ্ট করা হয় তখন কোনো সমস্যার সমাধান তো হয়ই না বরং উল্টো নিত্যনতুন সমস্যার উদ্ভব হয়। বর্তমানকালে সরকার কি চীনমুখী নীতি গ্রহণ করবে নাকি মার্কিনমুখী হবে তা নিয়ে পরামর্শ যারা দেবেন তাদের যদি দেশ দুইটির পাঁচ শ’ বছরের ঐতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে পাঁচ মিনিট কিছু বলতে বলা হয়, তখন অনেকেই মূক ও বধিরে পরিণত হবেন। এরপর তাদের যদি কোনো বিমানবন্দরে নিয়ে বলা হয় এবার বিমানে উঠুন এবং নিজের পছন্দমতো দেশে যান- চীন যান নইলে আমেরিকা। এ অবস্থার মুখোমুখি হলে তারা বিমানে না উঠে নৌপথে তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার জন্য যুৎসই একখানা ডিঙ্গি নৌকার তালাশ শুরু করে দেবেন।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতি কেমন হওয়া উচিত এসব বিষয় নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের মতে, চীন ও আমেরিকাকে একত্রে সামাল দেয়ার মতো যে দক্ষ আমলাতন্ত্র দরকার তা আমাদের নেই। এমনকি ভারত ও চীনকে একত্রে সামাল দেয়ার দক্ষতাও নেই। আজ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেভাবে দক্ষতার সাথে রাশিয়া আমেরিকা চীন এবং আফগানিস্তান সামলাচ্ছে অথবা পাকিস্তানের আমলাতন্ত্র যেভাবে চীন আমেরিকা ও ইরানের সাথে ত্রিমাত্রিক বন্ধুত্ব রক্ষা করছেন, তার ফলে চীন-ভারত সীমান্তে যখন যুদ্ধ চলে তখন বেইজিং ভারত সরকারকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়। অন্য দিকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যখন যুদ্ধ চলে তখনো দুই দেশের শীর্ষ নেতা এবং শীর্ষ আমলাদের মধ্যে সরাসরি লাল টেলিফোনে কথাবার্তা হয়। ভারত-পাকিস্তানের মন্ত্রী এবং আমলারা বিষয়টি কিভাবে করেন সেই বিষয়ে অভিজ্ঞতা না থাকলে যে তিনজন মন্ত্রীকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা সমস্যার কোনো সমাধান তো দূরের কথা উল্টো তিন গুণ তিন অর্থাৎ নয়টি নতুন সমস্যার জন্ম দেবেন।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরো সংবাদ



premium cement