২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নয়া ভারত- ‘মোদি এক অবতার’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতি-মহারাষ্ট্র বিজেপি
-

ছোটবেলা থেকে আমরা ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতিতে ৩৩ কোটি দেবতার কথা শুনে আসছি। এর মধ্যে তাত্তি¡ক গুরুত্ব রয়েছে বৈকি। সৃষ্টিকর্তা যখন নিজেকে বিকশিত করলেন বা তার সৃষ্ট বস্তুর মধ্যে উদ্ভাসিত হলেন দেবদৃষ্টিসম্পন্নরা সব সৃষ্ট বস্তুতে ঈশ্বরের উপস্থিতি দেখে তাদের মস্তক ঝুঁঁকিয়ে দিয়েছে। যখন আমরা কোটি দেবতার বিষয়টি আলোচনা করি তখন এই বিশ্লেষণ সামনে রাখলে অনেক বিরোধ কমে যায়। সুফিজমেও এসব বিষয় কম আলোচিত হয়নি। প্রজ্ঞাবান সুফিরা অনেক কথাই বলেন, ‘আমাকে তো কোথাও দেখছি না, চার দিকেই সৃষ্টিকর্তাকে দেখছি’- এমন হাজারো কথা। পঞ্চমহাভ‚তের কথাও আমরা জানি- পৃথিবী, আকাশ, পানি, বায়ু ও অগ্নি। সব সৃষ্টিতে এগুলো রয়েছে। অবশ্য সুফিবাদের আলোচনা আজকের লেখার বিষয়বস্তু নয়।

মহারাষ্ট্র বিজেপি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বৈদিক স্তরের বলে ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘মোদি বিষ্ণুর ১১তম অবতার’। টুইট বার্তায় বিজেপি নেতা অবধূত জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ১১তম অবতার’। তিনি আরো বলেন, হিন্দু দর্শন শাস্ত্রানুসারে ৩৩ কোটি দেবতা রয়েছে। তিনি মনে করেন ‘ভারত মাতা’ একজন দেবি। ‘মোদিজি ভারত মাতার একজন একনিষ্ঠ প্রধান সেবক। তাই তিনি আমাদের কাছে একজন অবতার বা গড’ বহির্বিশ্বে মোদিকে একজন ধর্মশাস্ত্রের পণ্ডিতও মনে করা হয়।

২৪ আগস্ট, ২০১৯ মোদিকে আরব আমিরাত সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘অর্ডার অব জায়িদ’ প্রদান করেছে। মোহাম্মদ বিন জায়িদ ব্যক্তিগতভাবে সোনার তকমা মোদির গলায় পরিয়ে দেন। বিশ্বব্যাপী পরিদৃশ্যমান মহৎ কাজ ও অর্জনের জন্য আমিরাতে এমন খেতাব দেয়ার প্রচলন রয়েছে। আমিরাত কেন মোদিকে এই তকমা দিলো তারও হয়তো ব্যাখ্যা আছে।

বিশ্ব দরবারে মোদির প্রথম যে রেকর্ড আছে, সেটি হলো ২০০২ সালের গুজরাট গণ-হত্যাকাণ্ড। তিনি তখন গুজরাটের চিফ মিনিস্টার ছিলেন বিধায় দায় এড়াতে পারেন না। এ কারণে তখন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল। একই কারণে ইউরোপের অনেক দেশ তার সফরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে কানাডা ভারতীয় সেনা ও ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের নিতে অস্বীকার করে। সংখ্যালঘু নিপীড়নের কারণে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শঙ্কা প্রকাশ করে। জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল ভারতের নিষ্ঠুর আচরণে চরম উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে জাতিসঙ্ঘ, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, ওআইসি এবং আরো অনেক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দা জানিয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল।

৫ আগস্ট ২০১৯ কাশ্মিরকে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনে অন্তর্ভুক্তি বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হয়েছে। বিশ্বের সব বড় শহরে বিশাল বিক্ষোভ, আন্দোলন, মিছিল করে কাশ্মিরের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ এবং ভারতের নিন্দা করেছে। কাশ্মির ইস্যু নিয়ে ইউএসএসসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতকে জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবকে সম্মান করতে বলা হয়েছিল এবং জাতিসঙ্ঘ সনদ অনুযায়ী কাশ্মির সমস্যা সমাধানের উপর জোর দেয়া হয়েছিল। ইউনিয়নের অংশ ঘোষণা করার ভারতীয় পদক্ষেপ, সব প্ল্যাটফর্মে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

৫ আগস্ট থেকে কাশ্মির অবরুদ্ধ রয়েছে। প্রায় ১০ লাখ সেনা ১৫ মিলিয়ন কাশ্মিরিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সম্পূর্ণ কারফিউ জারি, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত, কাশ্মির উপত্যকায় প্রবেশের জন্য মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, সব বিদেশী ও দর্শনার্থীকে কাশ্মির থেকে সরিয়ে নিয়ে বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বø্যাকআউট এবং সম্পূর্ণ কাটঅফ রয়েছে। হত্যা, নির্যাতন, হয়রানি, অপহরণ, আটক ও ধর্ষণ ব্যাপকভাবে প্রত্যক্ষ করা হয়েছে মর্মে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

কাশ্মিরের জনগণকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও ক‚টনৈতিক সমর্থন দেয়ার জন্য পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘ, নিরাপত্তা পরিষদ, ইউরোপীয় সম্প্রদায়, এসসিও, ওআইসি, আন্তর্জাতিক অ্যামনেস্টি এবং সমগ্র সভ্য বিশ্ব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ছে। জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাব কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ক‚টনৈতিক, রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে কাশ্মিরি জনগণকে সমর্থন জানাতে পাকিস্তান শক্ত অবস্থান নিয়েছে। কাশ্মির থেকে সব সেনা প্রত্যাহার এবং জাতিসঙ্ঘের পর্যবেক্ষণের অধীনে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত করতে পাকিস্তান ও কাশ্মিরি জনগণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপর গত ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, নির্বাচন শেষে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদায় ফিরবে জম্মু-কাশ্মির!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৯৭০ সাল থেকে, প্রায় ১০০ বছর আগে মোহনদাস গান্ধীর সমসাময়িক কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার নামে একজন ডাক্তারের প্রতিষ্ঠিত চরমপন্থী হিন্দু সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএসের সদস্য ছিলেন। একটি হিন্দু সমাজকে কাঠামোগতভাবে হিন্দুরাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার জন্য এই সংগঠনের একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। অন্তত ৪০ লাখ স্বেচ্ছাসেবকের সহায়তায় আরএসএসের যুব শাখা ‘অখিল ভারতীয় বিদ্যা পরিষদ’এর মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অংশ হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সংগঠনে আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকরা আনুগত্যের শপথ নেয় এবং আধাসামরিক মহড়ায়ও অংশ নেয়।

আরএসএস সদস্যরা মৌলিকভাবে বিশ্বাস করে, শত শত বছরের অ-হিন্দু শাসন, ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ এবং তারও আগে মুঘল সাম্রাজ্য- ভারতীয়দের মধ্যে নিজেদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে দৃঢ় ধারণা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে। সংস্থাটি একটি পুনরুজ্জীবনবাদী মতাদর্শ ধারণ করে, আসল বা প্রকৃত ভারত বানাতে চায়।

মহাত্মা গান্ধী, একজন ভারতীয় রাষ্ট্রনায়ক, যিনি সারা বিশ্বে শ্রদ্ধেয়। নাথুরাম বিনায়ক গডসে নামে একজন আরএসএস সদস্য তাকে হত্যা করে। ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কিছু দিন আগে নাথুরাম গডসের শেষ কথাগুলো তার মানসিক অবস্থা এবং দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সাহায্য করে।
তিনি বলেছিলেন,
হে স্নেহময় মাতৃভ‚মি, আমি তোমাকে চিরপ্রণাম করি
হে হিন্দুদের দেশ, তুমি আমাকে স্বাচ্ছন্দ্যে লালন পালন করেছ
হে পবিত্র ভ‚মি,
আমার এই দেহটি তোমার প্রতি উৎসর্গীকৃত হোক এবং
আমি বারবার তোমার সামনে প্রণাম করি!

এখন নাথুরাম গডসেকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়া হচ্ছে। বিবিসি হেডলাইনে লিখেছে, ‘মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী : দু-হাজারের নোটে আর বাবুদের কোটেই কি শুধু টিকে থাকবেন ভারতের জাতির জনক?’ সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘মুখে গান্ধী, মনে গডসে’।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধীরা সবচেয়ে বড় যে ভুলগুলো করেন তা হলো, তারা যে ব্র্যান্ডের রাজনীতি বিশ্বাস করেন সে সম্পর্কে তাদের নিজস্ব পূর্বনির্ধারিত ও পূর্বপরিকল্পিত ধারণা এবং প্রচারণার আশ্রয় নেন। তারা মোদি যে কর্মকাণ্ড নিয়ে কাজ করেন সেগুলো তাদের সঙ্কীর্ণ সংজ্ঞা এবং ‘কঠিন হিন্দুত্ব’-এর পাঞ্চ লাইনে অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন। মোদি শুধু হিন্দুত্ববাদের জপমালা নিয়ে বিশাল ভারতকে জয় করতে পারেন না। সেটি তিনি বোঝেন এবং সে জন্য জনগণের আশু সুযোগ-সুবিধার জন্যও কাজ করছেন। গত সাত বছরে তিনি ৯টি জরুরি প্রকল্প চালু করেছেন, যা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছে, জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছে। যেমন- হার ঘর জল (প্রতি ঘরে পানি), হার ঘর শৌচালয় (শৌচ ভারত অভিযান বা প্রতিঘরে শৌচ সুবিধা), হার ঘর বিজলি (সৌভাগ্য যোজনা বা বিদ্যুৎ সুবিধা), হার ঘর গ্যাস সিলিন্ডার (উজালা যোজনা বা গ্যাস সুবিধা), হার ঘর রেশন (গরিব কল্যাণ যোজনা বা কম দামে পণ্যসামগ্রী), হার ঘর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (জনধন যোজনা বা সঞ্চয় উৎসাহ প্রদান), হার ঘর স্বাস্থ্য (আইউশমান যোজনা বা সুস্বাস্থ্য কার্যক্রম), হার ঘর টিকা (ভ্যাকসিন প্রকল্প), হার ঘর পাক্কা ঘর (আউয়াশ যোজনা বা প্রতি ঘর পাকা করা)।

এই ৯টি প্রকল্প হতদরিদ্রদের জীবনযাত্রা উন্নত করছে। সামাজিক উন্নয়নের কাজ নিয়ে রাজনীতি ও ভোট ব্যাংক ভারতে নতুন কোনো ব্যাপার নয়। তবে সেগুলো গুছিয়ে এগিয়ে নেয়ার কৌশল ভিন্নতা পেয়েছে মোদির সময়ে। মোদি তার নতুন ভারত রাজনৈতিক মঞ্চে লেখাপড়া, দারিদ্র্য, ব্যবসায়, নতুন অস্ত্র সংগ্রহ করে নিরাপত্তাবলয় তৈরি থেকে মহাকাশ পর্যন্ত সব কিছু নিয়ে এসেছেন।

‘হার ঘর শৌচালয়’ বা ‘শৌচ ভারত’ অভিযান ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। ভারতের মতো দেশে এটি কত গুরুত্বপূর্ণ সেটি কাছ থেকে সমাজকে না দেখলে বোঝা যাবে না। প্রকল্প শুরুর সময় জাতীয় স্যানিটেশন কভারেজ ছিল মাত্র ৩৮.৭ শতাংশ। ২ অক্টোবর, ২০১৯ ভারতের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সব গ্রামকে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত (ওডিএফ) ঘোষণা করা হয়। এটি একটি বড় সাফল্য। অন্যান্য প্রকল্পের সাফল্যও এমন উল্লেখযোগ্য।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় উচ্চশিক্ষায় রূপান্তরমূলক সংস্কার সম্পর্কিত কনক্লেভ জাতির কাছে পেশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০, ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি, এনইপি-২০২০-এর গুরুত্ব এবং শিক্ষা খাতে যে সংস্কারগুলো চালু করার পরিকল্পনা করেছেন তা তুলে ধরেন। মোদি ভারতে শিক্ষার উন্নতির জন্য সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সাজানো প্রয়োজন মনে করেন এবং একবিংশ শতাব্দীর এনইপি শিক্ষার বিকাশকে গ্রোথ ইঞ্জিনে রূপান্তরিত করতে চান, যা একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করবে যার ওপর ‘নয়া ভারত’-এর ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে। এনইপি ব্যাপক ও পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুশীলনের পর ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে গ্রামের স্কুল থেকে শুরু করে অ্যাকাডেমিক থিঙ্কট্যাঙ্ক পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এনইপি শিক্ষক ও শিক্ষক-প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং যখন কোনো শিক্ষক শেখেন, তখন একটি জাতি নেতৃত্ব দেয় বলে মোদি মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরো বলেন, নতুন শিক্ষানীতি-২০২০-এর আওতায় ‘হোয়াট টু থিঙ্ক’ শেখানো থেকে ‘হাউ টু থিঙ্ক’-এর ওপর জোর দেয়া হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানী হওয়ার ক্ষমতা এবং যুক্তিবোধের বিকাশ ঘটাবে।

ভারতে এখন যে আন্তঃধর্ম বিদ্বেষের জন্ম হয়েছে বিরোধী ও বামপন্থী দলগুলো তার কঠোর সমালোচনা করেছে। হর্ষ মান্দার, যিনি সাবেক আইসিএস কর্মকর্তা থেকে মানবাধিকারকর্মী হয়ে সরকারের উপদেষ্টার পদে আসীন, বলেন, ‘আসাম ও কাশ্মিরে যা ঘটছে তা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, সংবিধানসহ এমন একটি দেশের ধারণার ওপর আঘাত, যেখানে সবাই সমানভাবে জড়িত।’ মুসলিমবিরোধী অভিযানের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘মুসলমানদের শত্রু বলা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’। বেশির ভাগ সমালোচক এই মত পোষণ করেন যে, আসাম ও কাশ্মিরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো এসব অঞ্চলে জনবিন্যাস ও জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের একটি প্রচেষ্টা।

পণ্ডিতরা বলছেন, বিজেপি সরকার কী করছে এবং কেন নিজের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে? কেন ভারতীয় নেতৃত্ব কাশ্মির থেকে আসামে রক্তপাত করানোর জন্য অনড়? কেন বিশ্বের অন্যতম বড় গণতন্ত্রে সংখ্যালঘুদের অধিকার দমন করা হচ্ছে? সংখ্যালঘুবিরোধী নীতি ও ফ্যাসিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কি এখন গণতন্ত্রের সংজ্ঞা? এ অবস্থান কেবল গণতন্ত্রের মতবাদকে চ্যালেঞ্জ করছে না, ভারতের ঐতিহাসিক মতাদর্শকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement