২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার

-

আমাদের দেশের বাজার পরিস্থিতি সবসময়ই ঊর্ধ্বমুখী। ‘সিন্ডিকেট’ ও এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর অতি মুনাফাখোরীসহ নানাবিধ কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলেও এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করা এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর রীতিমতো মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অনেক কমলেও দেশের বাজারে উল্টো বাড়ছে পণ্যটির দাম। গত এক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে মণপ্রতি পাম অয়েলের দাম কমেছে ৩০৯ টাকা। কিন্তু দেশীয় বাজারে উল্টো ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর কমে যাওয়ার পরও আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তর পাইকারি বাজারগুলোতে পণ্যটির দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চলতি সপ্তাহে দোকানগুলোতে প্রতি মণ (৪০.৯০ কেজি) পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে পাঁচ হাজার ৫০ টাকা দরে যা এক সপ্তাহ আগেও মাত্র চার হাজার ৬০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়েছে।

ট্রেডিংইকোনমিকস ডটকমের তথ্যমতে, গত ৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৯৬৬ দশমিক ০৪ টাকায়। টনপ্রতি ১০ হাজার টাকা খরচ যোগ করে প্রতি মণ পাম অয়েলের ক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯৭৯ টাকা। এক সপ্তাহ পর টনে সাত হাজার ১০৭ দশমিক ৯৪ টাকা কমে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ৯৭ হাজার ৮৫৮ দশমিক ১১ টাকায়। সেই হিসেবে গত এক সপ্তাহে মণপ্রতি পাম অয়েলের দাম কমেছে ৩০৯ টাকা। কিন্তু দেশের বাজারে পণ্যটির দাম না কমে উল্টো ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইভাবে, এক সপ্তাহ আগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৪০০ ডলারে যা বর্তমানে এক হাজার ১৮০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে, গত এক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে টনে ২২০ ডলার।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে দামবৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সরকারের সময়োচিত ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাবেই চালের বাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, ইরি-বোরোর ফলন ভালো হওয়া সত্তে¡ও সরকার পর্যাপ্ত ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি। এ ছাড়াও, আড়তদার ও চালকল মালিকদের কাছে কী পরিমাণ ধান-চাল মজুদ আছে সে তথ্যও সরকারের কাছে নেই। তাই চালের বাজারে কোনো শৃঙ্খলা ফেরানো যায়নি।

চালের দাম অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রী ও চালকলের মালিকদের মধ্যে এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিলগেটে প্রতি কেজি সরু মিনিকেট চাল ৫১ টাকা ৫০ পয়সায় আর প্রতি ৫০ কেজির বস্তা দুই হাজার ৫৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মাঝারি মানের চাল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা এবং বস্তা দুই হাজার ২৫০ টাকায় নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু চাল বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারের বেঁধে দেয়া দাম অনুসরণ করছেন না ব্যবসায়ীরা। এজন্য তাদের পক্ষে নানা অজুহাতও দাঁড় করোনা হচ্ছে। মিলমালিকদের বক্তব্য হলো, ‘কৃষক ও আড়তদারদের কাছ থেকে তারা বেশি দামে ধান কিনছেন। তাই সরকার নির্ধারিত দামে চাল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

ফলে সরকারি উদ্যোগের কোনো ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়েনি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে - রাজধানীতে সরু চাল ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা, মাঝারি চাল ৪৮ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা চাল ৪৬ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। গত এক মাসে মোটা চালের দাম প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। সরু ও মাঝারি চালের দামও বাড়তির দিকে।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন চাল বিক্রি হয়েছে ৩৬০ থেকে ৩৮১ মার্কিন ডলারে; গত বছর এ সময়ে ছিল ৩৭৪ থেকে ৪৭৭ ডলার। এ হিসাবে, এক বছরে দাম কমেছে ১৫ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) হিসাবে, বর্তমানে বাজারে সরু চাল ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা এবং মোটা চাল ৪৬ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের সবচেয়ে বড় উৎপাদক থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশে সব ধরনের চালের দাম গত এক বছরে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ সময়ে চালভেদে দাম ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। চালে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’ হওয়ার কথা বলা হলেও সরকারি গুদামে মজুদ বাড়াতে এবং দেশের বাজারে দাম কমাতে এখন চাল আমদানি করতে হচ্ছে। আমদানির পর দাম কমবে কি না তা-ও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, মধ্যস্বত্বভোগী ও বাজার সিন্ডিকেট চক্রের অপতৎপরতা আগের তুলনায় বেড়েছে।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বার্ষিক পণ্য মূল্য প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার কারণে গত বছর দেশে সব ধরনের চালের দাম আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে গড়ে ২০ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৭ শতাংশ বেড়েছে স্বর্ণা, পারিজাসহ মোটা চালের দাম। মিনিকেট ও নাজিরশাইলসহ সরু চালের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত।

২০১৯ সালে খুচরা বাজারে গড়ে যেখানে মিনিকেটের দাম ছিল ৫৪ টাকা কেজি, গত বছর তা ৬২ টাকায় ওঠে। নাজিরশাইলের দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৯ টাকা হয়। বিআর-২৮ চালের দাম ২০১৯ সালে ছিল ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা, গত বছর বেড়ে হলো ৪৮ টাকা ১৫ পয়সা। স্বর্ণাসহ মোটা চালের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৩ টাকা কেজি। গত বছর করোনার সময় এসব চালের দাম বেড়ে ৫১ থেকে ৫৪ টাকায় উঠেছিল।

সেপ্টেম্বরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঋণপত্র খোলা হয়েছে প্রায় আট লাখ টনের। কিন্তু চালের দামের ঊর্ধ্বগতি কোনোভাবেই থামানো যায়নি।

আমদানির কারণে রাজধানী ঢাকার বাজারে চালের দাম নামমাত্র কমেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় সব চালের আড়তেই বেশির ভাগ আমদানি করা চাল। আগে শুধু মোটা চাল বিক্রি হলেও এখন সরু ও মোটা সব ধরনের আমদানি করা চালই রাখছেন ব্যবসায়ীরা। এই আমদানি করা চালের পুরোটাই ভারতের। অনেকের পুরো আড়তই দখল করে রেখেছে প্লাস্টিকের ২৫ কেজি চালের প্যাকেট।

বিক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় চাল ব্যাপকভাবে আমদানির পরই মূলত দেশের বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু তারপরও গত বছরের এই সময়ের তুলনায় দাম বেশি রয়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা, ‘আঠাশ’ ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা, স্বর্ণা ও গুটি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা এবং চিনিগুঁড়া ৯০ টাকা কেজি দরে।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুসারে, থাইল্যান্ডের বাজরে চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি টন ৩৮৯ থেকে ৩৯৫ ডলার মূল্যে। গত বছর এ সময়ে দাম ছিল ৫১৫ থেকে ৫২২ ডলার। সেই হিসাবে এক বছরে দাম কমেছে ২৪ শতাংশের কিছু বেশি। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে চাল ৩৬০ থেকে ৩৮১ ডলার মূল্যে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৭৪ থেকে ৪৭৭ ডলার। সেই হিসাবে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের মূল্য কমেছে ১৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে ভারতে প্রতি টন চাল বিক্রি হয়েছে ৩৬০ ডলারে আর থাইল্যান্ডে ৩৮১ ডলারে। এ ছাড়া ভিয়েতনামে বর্তমানে প্রতি টন চাল (আতপ) বিক্রি হচ্ছে ৪২৫ ডলারে এবং পাকিস্তানে ৩৬০ ডলারে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সর্বশেষ গত অর্থবছরে দেশে চালের উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৮৭ লাখ টন। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ সালে হয়েছিল তিন কোটি ৬৬ লাখ টন। এ ছাড়া গত বছর বিপুল পরিমাণ চাল আমদানিও করা হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, গত জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত মোট আমদানি করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৫১ হাজার টন চাল। মোট ঋণপত্র খোলা হয়েছে সাত লাখ ৮০ হাজার টনের। সেই হিসাবে পাইপলাইনে রয়েছে আরো দুই লাখ ২৯ হাজার টন। বর্তমানে সরকারের গুদামে চাল রয়েছে ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টন চাল। এ ছাড়া ধান রয়েছে ১৯ হাজার টন।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাথাপিছু চাল ভোগের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪১৬ গ্রাম। সেই হিসাবে দেশে চালের চাহিদা দুই কোটি ৫৮ লাখ টন। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে এর চেয়ে অনেক বেশি। তার পরও দাম বেড়েছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এত চাল গেল কোথায়? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের কৃষি খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা চালের উৎপাদনের যে তথ্য দেন, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সামঞ্জস্য নেই। এ ছাড়া অপচয়ও হিসাব করা হয় না।

অবশ্য চালের বাজার নিয়ে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল বলছে, চালের ব্যাপক উৎপাদনের পরও দাম বৃদ্ধির বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এগুলো হলো, কৃষক এখন ধান বিক্রির ধরন পরিবর্তন করেছে। ২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত সব কৃষকই ধান কাটার প্রথম মাসের মধ্যে বাজারজাতযোগ্য উদ্বৃত্তের একটা বড় অংশ বিক্রি করে দিতেন। কিন্তু করোনার পর থেকে কৃষকরা তাদের ধান মজুদ থেকে ধীরে ধীরে বিক্রি করছেন।

এ ছাড়া ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা করোনা পরিস্থিতির কারণে খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা থেকে ধানের মজুদ ধরে রেখেছেন। সরকারের মজুদ কমে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় বাজার হস্তক্ষেপ না থাকাও দাম বৃদ্ধির কারণ। ক্রমবর্ধমান মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চালের বাজারে প্রবেশ, বড় মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের আধিপত্য এবং অসম প্রতিযোগিতাও ধান-চালের দাম বাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের গুদামে সাড়ে ১২ লাখ টন ধান ও ২৫ লাখ টন চাল মজুদ রাখা, একটি শক্তিশালী মূল্য কমিশন গঠন করা, বড় মিল মালিকদের মজুদদারি রুখতে মজুদ নীতিমালায় পরিবর্তন আনার সুপারিশ এসেছে বিভিন্ন মহল থেকেই।

সম্প্রতি চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) কান্ট্রি ইকোনমিস্ট বলেছেন, দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো বড় কোম্পানিগুলো চালের ব্যবসায় যুক্ত হওয়া। বড় মিলগুলোতে যে পরিমাণ ধান বা চালের মজুদ থাকে তাতে চাইলেই তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ জন্য ধান ও চাল মজুদের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ বেশ যুক্তিসঙ্গত।

আন্তর্জাতিক বাজারের বিপরীতে আমাদের দেশে শুধু চালের দামই বাড়েনি বরং সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। টিসিবির তথ্যে জানা গেছে, মাত্র গত একমাসে প্রায় ১৯.৬৪% বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৬.৮৮%। ২০১৮ সালে ৫.১৯ থেকে ৬% উন্নীত হয় জীবনযাত্রার মান, ২০১৯ সালে ৬.০৮ থেকে ৬.৫০% এবং সর্বশেষ ২০২০ সালে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৮৮% এ। মূল্যস্ফীতিও ৬.৩১% এ দাঁড়িয়েছে।

এমতাবস্থায় চাল ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মূল্য কমিশন গঠনের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। কারণে-অকারণে, নানা অজুহাতে বা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ধুয়া তুলে কোনো অশুভ চক্র যাতে মূল্য বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে না পারে যেজন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। সরকারের উচিত যেকোনো মূল্যে নিত্যপণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অন্যথায় গণদুর্ভোগ রোধ করা যাবে না।

smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement