২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এশিয়া-প্যাসিফিকে কোয়াড ও ভারত

- ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের ভূরাজনীতির ময়দান বলতে গেলে বেশ তাড়াতাড়িই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে পরিবর্তন হয়েছে এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ অঞ্চলটিকে এখন বিশ্ব অর্থনীতির ইঞ্জিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এশিয়ার প্রধান দেশগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মঞ্চে ভালো অভিনেতা হয়ে উঠছে। গত এক দশকে এশিয়ার গুরুত্ব বেড়েছে অনেক। বিশ্বের তিন প্রধান ভূ-রাজনৈতিক খেলোয়াড় ও সামরিক শক্তি - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া এমন এক ত্রিকোণ সম্পর্কের মধ্যে আটকা পড়েছে, যা খুব জটিল। এটি কি এমন হবে যে, দুই বন্ধু মিলে তৃতীয়কে শেষ করার মতো! সেটি এখন বলার সময় আসেনি।

আমেরিকা রয়েছে চীন ও রাশিয়ার সাথে সঙ্ঘাতের অবস্থায় রয়েছে। অন্য দিকে চীন ও রাশিয়া কৌশলগত অংশীদার হয়েছে; যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরোধিতা করার জন্য ন্যাটোকে শক্তিশালী করছে এবং একই সাথে অকাস চুক্তি এবং কোয়াড নিরাপত্তা সংলাপের মাধ্যমে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদার করছে। বেইজিং ও মস্কো যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য একটি অনানুষ্ঠানিক মঞ্চ তৈরি করতে শুরু করেছে।

বেইজিং ও মস্কো ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর-২১, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম অংশে যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করে প্রথম যৌথ টহল পরিচালনা করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, ‘যৌথ টহলের কাজ ছিল রাশিয়া ও চীনের রাষ্ট্রীয় পতাকা প্রদর্শন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং উভয় দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সুবিধা রক্ষা করা।’ টহলের সময় যুদ্ধজাহাজের বহরটি প্রথমবারের মতো টিসুগারু প্রণালী দিয়ে যায়। এই টহলে জাপান ও অন্যান্য রাষ্ট্র কী বলে তাও অনুধাবন করতে চায়।

যদিও চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেনি। চীনের রাষ্ট্রীয় টিভি সম্প্রচার করেছে যে, তারা জাপানি ভ‚খণ্ডের ঠিক কতটা কাছাকাছি এসেছিল! এটি কেবল জাপান ও ওয়াশিংটনকেই নয়, অকাস ও কোয়াডের দেশগুলোকেও একটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। রাশিয়া হলো পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের এক শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার।

এ বছর আমেরিকা দক্ষিণ চীন সাগরে গুপ্তচর জাহাজের কার্যক্রম বাড়িয়েছে, চীন ও রাশিয়ার সাবমেরিন বিরোধী যৌথ অভিযানও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরের তলদেশে, গত ২ অক্টোবর মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন দুর্ঘটনায় পড়ে। সাবমেরিনটির কমান্ডারসহ তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। চীন জানায়, গত এক বছরে ১১ বার সেখানে সাবমেরিন পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বের সবচেয়ে বেশি, ৬৮টি সাবমেরিন রয়েছে, সবই পরমাণু শক্তিচালিত। যদি আমেরিকা কৌশলগত অবরোধ পরিচালনা করতে চায়; চীন ও রাশিয়া তাদের অবস্থান সমন্বয় ও ক্ষমতা একীভ‚ত করে মার্কিন কৌশলগত অবরোধ ও সামরিক ঘেরাও ভেঙে ফেলতে পারে। তারা সেই লক্ষ্য নিয়েছে বলেই প্রতিভাত হচ্ছে।

কৌশলগত স্বার্থ বজায় রাখতে, চীন অবশ্যই নৌবাহিনীকে গভীর সমুদ্রে প্রবেশ করাবে। গভীর পানিতে পিএলএ যুদ্ধ ক্ষমতা অনুশীলন করবে। অকাস চীন ও রাশিয়ার মতো কৌশলগত প্রতিযোগীদের চ্যালেঞ্জ করার জন্য গঠিত হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়াকে ফ্রন্ট লাইনে পাঠানোর বন্দোবস্ত পাকা করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার সাথে ফ্রন্ট লাইনে যুদ্ধ করার সুবিধা ও সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার নেই। রাশিয়া এই সুযোগ গ্রহণ করবে। অন্য দিকে তাইওয়ান গুটিতে হাত দেয়ার সাথে সাথে চীন আক্রমণ করবে; এমনটিই মনে হচ্ছে। কোয়াড ও অকাস জোট কোনোভাবেই চীন-রাশিয়াকে বাগে আনতে পারবে বলে মনে হয় না। আরো একটি বিষয়, যুদ্ধ শুরু হলে উত্তর কোরিয়া চীনকে সহায়তার জন্য ছুটে আসবে। হয়তো তার প্রথম টার্গেট হবে জাপানের উত্তর-পশ্চিমের দ্বীপগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম ঘাঁটির মতো এলাকা। আর যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা ব্যয় দেখে মনে হয় তারা দীর্ঘ সময় ধরে সামুদ্রিক বাহিনী মোতায়েন করতে হিমশিম খাবে। ফ্রান্সের ওপর বেশি ভরসা করার দিনও ফুরিয়ে গেছে। অকাস চুক্তিতে ম্যাক্রোঁ অস্ট্রেলিয়ার মরিসনকে বলেছেন ‘মিথ্যুক’, ‘বেঈমান’।

চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শীতল যুদ্ধ একাধিক ফ্রন্টে এখন চলমান, দক্ষিণ চীন সাগরে, আফগানিস্তানে, মধ্য এশিয়ায়, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে, পূর্ব ইউরোপে, আফ্রিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। কিন্তু মনে হয় এই শীতল যুদ্ধের গরম ফ্রন্টটি ভারত ও চীনের মাঝ-অবস্থানে আবদ্ধ। এরই মধ্যে এক হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি ভারতীয় জমি হাতছাড়া হয়েছে, যা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেও চলে।

লাদাখে চীনের প্রতি ভারতের তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই অথবা বলা যায় সিকিমে, অথবা অরুণাচল প্রদেশে। চীনের ডজন ডজন অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করা এবং চীনা সংস্থাগুলোর ওপর বিধিনিষেধ প্রকৃত ভ‚মি উদ্ধার এবং উর্দিধারী সেনাদের মৃত্যু রোধ করার সঠিক পদক্ষেপ বলে পণ্ডিতরা মনে করছেন না। এ নিয়ে মিডিয়া ও ভারতীয় সংসদে অনেক কথাবার্তা।

এক্ষণে ভারত কী করতে পারে? ভালো বিকল্প হতে পারে, যদি ভারত সাহস করে মালাক্কা প্রণালীর টুঁটি চেপে ধরে। এই প্রণালী দিয়ে চীনের তাবত তেল সরবরাহ হয়। এই বাণিজ্য রুটগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ বাধা তৈরি করে ভারত সমর কৌশলের পরিচয় দিতে পারে। ভারত কি এটি করবে? এর ফলাফল হলো চীনকে ঢাকঢোল পিটিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আমন্ত্রণ জানানো। চীনের সমুদ্র আগ্রাসন কী ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করবে তা বলা বাতুলতা মাত্র। এরই মধ্যে পেন্টাগন স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে যে, চীনের বহর ও নৌসেনা বিশ্বসেরা।

চীনও মালাক্কা প্রণালীর ঝুঁকি নিয়ে সচেতন। মালাক্কা ছাড়া চীন এরই মধ্যে বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছে; বাণিজ্য ও তেল সরবরাহ লাইনের জন্য ভারত মহাসাগরে প্রবেশের অন্য কোনো পথ। এর মধ্যে আপাতত দুটি বিকল্প পাওয়া যাচ্ছে - প্রথমটি সিপিইসি বা পাকিস্তানের মাধ্যমে, এটি হবে ভারত মহাসাগরে চীনের সবচেয়ে সুবিধাজনক অ্যাক্সেস রুট; দ্বিতীয়টি থাই খাল, থাইল্যান্ডের ক্রা ইস্থমাস, মালয় উপদ্বীপের সঙ্কীর্ণতম বিন্দু, যা চীন থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত দ্বিতীয় সমুদ্রপথ খুলে দেবে। এই থাই খাল বা ক্রা খাল চীনা নৌবাহিনীকে দ্রুত দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে তার নবনির্মিত দক্ষিণ চীন সাগরের ঘাঁটিগুলোর মধ্যে জাহাজ সরানোর সুবিধা দেবে। মালাক্কা প্রণালীর মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ার চার পাশে ৭০০ মাইলেরও বেশি পথ অতিক্রম করবে এবং এর জন্য চীন থাইল্যান্ডকে খাল খননের জন্য ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দিচ্ছে।

এই দুটি পথ, একবার কার্যকর হয়ে গেলে, চীন এ অঞ্চলে তার বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগকে সঙ্কুচিত করার এরই মধ্যে আধামরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্বপ্নগুলোর মেরুদণ্ড সম্পূর্ণ ভেঙে দিতে সক্ষম হবে।

এর আগে এ অঞ্চলে চীনের মোকাবেলায় ভারতের প্রতিশ্রুতির ওপর নির্মিত ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয়’ ধারণাটি ২০১৮ সালের। বিশেষ করে ৩০ মে, ২০১৮ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস ঘোষণা করেছিলেন যে, পেন্টাগনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের নাম পরিবর্তন করে ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড’ রাখা হচ্ছে, যা চীনকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় থিয়েটারে ভারতকে বৃহত্তর ভূমিকা প্রদান করবে। এ বিষয়টি ওয়াশিংটনের একটি উল্লেখযোগ্য নীতি পরিবর্তন ছিল। বিশ্লেষকরা দেখিয়েছেন, দিল্লি পেন্টাগনকে নিশ্চিত করেছিল যে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় থিয়েটারে চীনের প্রতি ওজন হিসেবে কাজ করবে এবং এই অঞ্চলজুড়ে চীনের অর্থনৈতিক স্বার্থকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারবে - বিশেষ করে সিপিইসি প্রকল্প। এখন যেভাবে ঘটনা ও সম্ভাবনা গড়াচ্ছে তাতে সিপিইসি, চীন-পাকিস্তান ইকোনমিকে করিডোরকে পাকিস্তান অর্থনীতির উৎকর্ষের অন্যতম অবলম্বন মনে করছে। ইমরান খান বলেছেন, ‘সিপিইসি প্রকল্পের সাথে আমাদের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ একসাথে বাঁধা।’

সেই সময় কেউ জানত না, ভারত তার প্রতিশ্রুতি কতটুকু পালন করতে পারবে বা আদৌ পারবে কি না। এ পরিবর্তন কি সত্যিই চীনের প্রতিওজন হিসেবে কাজ করতে পারে? এটি কি চীন ও তার ক্রমবর্ধমান শক্তিকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করতে সক্ষম হবে?

যাই হোক, ১৮ মাসেও এমন কিছু ঘটেনি। চীন যখন ভারতের দখলে থাকা লাদাখের সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে, প্যাংগং হ্রদ এবং গালওয়ান উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাজনক পয়েন্ট দাবি করছে, তখন ভারতের পক্ষ থেকে প্রকৃত প্রতিরোধ সৃষ্টি হয়নি। তবে এ ধরনের এক ঘটনায় ভারত চাপ দিতে গেলে তারা ২০ জন সেনাকে হারায়, তবুও চীন থেকে এক ইঞ্চি জমি ফিরে পায়নি।

বিভিন্ন ভারতীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কার্যত প্রতিরোধ ছাড়াই লাদাখে প্রবেশ করে এবং অঞ্চলটি ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতেও অস্বীকার করে। চীনা কর্মকাণ্ডের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে নেপাল ভারতীয় সীমানার মধ্যে অঞ্চল দাবি করে, নাগাল্যান্ড ও পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোও ভারতীয় ইউনিয়নের বিপক্ষে কথা বলছে। বিআরআইতে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশ চীনের সাথে প্রতিশ্রুতি স্বাক্ষর করেছে। শ্রীলঙ্কা কলম্বো বন্দর চীনকে লিজ দিয়েছে। মিয়ানমারকে চীন কৌশলগত সমর্থন দিয়েছে। ইরান চীনের সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তালেবানরা আফগানিস্তানে পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় চীনের সাথেই কথোপকথন চালাচ্ছে। সিকিমেও চীনাদের সীমান্ত চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের গোয়াধর ও ইরানের চাবাহার পুরোদমে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বিদেশী কোনো প্রকার প্রতিরোধ ছাড়াই।

এই পরিস্থিতিতে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমগ্র ধারণার অবস্থান কী দাঁড়াল তা আরো পর্যবেক্ষণ করা উচিত। মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনাদের বিরুদ্ধে কেমন সুবিধা দিতে পারে যদি তারা চীন থেকে এমনকি তাদের নিজস্ব দাবিকৃত অঞ্চলই পুনরুদ্ধার করতে না পারে? যদি তার বাহিনী লাদাখে চীনা সামরিক বাহিনীর মুখোমুখি হতে না পারে, তা হলে কি ভারত সত্যিই দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠাবে বা সিপিইসি রুট সঙ্কুচিত বা বাধাগ্রস্ত করার বিষয়ে আস্থা রাখা যাবে?

যুক্তরাষ্ট্র ও সহযোগীরা চাইবে না কোনো দেশের কারণে শক্তিশালী পশ্চিমা জোটের ‘মিথ’ ধ্বংস হোক বা নিচে নামুক। তবে তাদেরও বুঝতে হবে, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কোনো দেশ নয়। তাই প্রশান্ত মহাসাগরে ভারতকে নিয়ে স্বপ্ন না দেখাই উচিত। এ অবস্থায় কোয়াড ও ইন্দো প্যাসিফেক রিমে যৌথ শক্তি বাড়ানো বেশিদূর নাও এগোতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অবস্থানের পরিবর্তনও হতে পারে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement