১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হিন্দুদের ওপর হামলা : মুসলিমদের যেসব ভুল

-

সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এবং তাদের পূজা-উপাসনার স্থানগুলোতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই অপকর্মে প্রকৃত ধার্মিক কোনো মুসলমান এ হামলার সাথে জড়িত বলে আমাদের কাছে মনে হয়নি। তবে তারা নিষ্ক্রিয়তার দায় কিছুতেই এড়াতে পারেন না যদিও অনেক স্থানেই আলেম-ওলামারা স্থানীয়ভাবে একক উদ্যোগে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন হামলা ঠেকাতে। এসব নিন্দনীয় ও বিচার্য হামলায় সাধারণভাবে কুরআন ও সুন্নাহর কিছু আদেশ-নিষেধের সরাসরি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে এসব ভুলভ্রান্তি থেকে আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়কে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুলভ্রান্তির পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

কুরআন ও সুন্নাহর জ্ঞান না থাকা বা কম থাকা বা আধাআধি থাকার কারণে সাধারণত অনেক মুসলমান অন্য ধর্মের মানুষকে খাটো করে দেখেন বা তাদের ইসলাম ধর্মের প্রতিপক্ষ জ্ঞান করেন। একজন মুসলমানের এ ধরনের ধারণা পোষণ বা লালন করা অনুচিত। কারণ, এ ধারণা বা চিন্তাচেতনা সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর চেতনার বিপরীত। আল কুরআনে মানুষকে এক পিতা-মাতার সন্তান হিসেবে ঘোষণা দিয়ে শুধু উত্তম চরিত্রের ভিত্তিতেই একের ওপর অন্যের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, ‘হে মানুষ! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। পরে তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পারো। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তিই বেশি মর্যাদাসম্পন্ন যে অধিক মুত্তাকি’ (আল কুরআন-৪৯:১৩)।

আমাদের নবী করিম সা: ঘোষণা করেছেন, ‘হে মানবগণ! তোমাদের প্রভু এক ও অদ্বিতীয়। তোমাদের আদি পিতা এক। তোমরা সবাই আদম হতে সৃষ্টি এবং তিনি মাটির তৈরি। নিশ্চয়ই, তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে যে শ্রেষ্ঠতম সে সর্বাধিক কর্তব্যনিষ্ঠ। অনারবের চেয়ে কোনো আরব অধিকতর প্রাপ্তির অধিকারী নয়। শুধু ধর্মানুরাগের কথা স্বতন্ত্র (বিদায় হজের ভাষণ)। নবী সা: মক্কার পৌত্তলিকদের কাছে চরমভাবে নির্যাতিত হয়ে হিজরত করে মদিনা গমন করে সেখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোক নিয়ে একটি ঐকমত্যের রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন। সেই রাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম শর্তেই লেখা ছিল, ‘মদিনা সনদে স্বাক্ষরকারী ইয়াহুদি, খ্রিষ্টান, পৌত্তলিক ও মুসলমানদের সমন্বয়ে একটি সাধারণ জাতি গঠিত হবে। সবার নাগরিক অধিকার সমান থাকবে। সব সম্প্রদায়ের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অনুমতি থাকবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করবে না’ (মদিনা সনদ)।

ইসলামের এমন একটি সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণায় দেশ ও জাতির সবার সমান অধিকার রক্ষার গ্যারান্টি দিলেও আমরা অনেকে সঙ্কীর্ণ মানসিকতা নিয়ে ‘সংখ্যালঘু’ নামে একটি হীন কনসেপ্ট সৃষ্টি করেছি মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশে!

কুমিল্লায় যেভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সূত্রপাত করা হয়েছে; কুরআন অবমাননার নামে যে কাণ্ড সেখানে কিছু মুসলমান ঘটিয়েছে তা নিঃসন্দেহে ভুল ছিল! কারণ, আমাদের নবীজি সা: এ বিষয়ে একটি মহৎ শিক্ষার উদাহরণ আমাদের দিয়ে গিয়েছেন। ‘একদিন তিনি সাহাবিগণকে নিয়ে মসজিদে বসে ছিলেন। এমন সময় এক বেদুঈন এসে মসজিদের ভেতরে এক কোনায় প্রস্রাব করা শুরু করে। সাহাবিগণ সেই ব্যক্তিকে প্রহার করতে উদ্যত হলে তিনি তাদের নিষেধ করে বলেন, মাঝ পথে বাধা দিও না, লোকটা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বরং তাকে কাজটা শেষ করতে দাও। লোকটির প্রস্রাব করা শেষ হলে রাসূল তাকে ডেকে বুঝিয়ে বললেন এটি আমাদের ইবাদতখানা এখানে কাজটি করা ঠিক হয়নি। এই বলে তিনি বেদুঈনকে বিদায় দিয়ে সাহাবিগণকে সাথে নিয়ে নিজে মসজিদ পরিষ্কার করে নিলেন’ (সহিহ মুসলিম: ৪২৯)। এই ধরনের শিক্ষা থাকার পরও আমরা কি পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন রাখার ঘটনায় এ ধরনের পৈশাচিকভাবে উত্তেজিত হওয়ার অধিকার রাখি?

কুমিল্লার ঘটনার সূত্র ধরে উত্তেজনা ছড়ানো হলো ফেনী ও নোয়াখালীতে। সেখানেও মুসলমানরা ভুল করেছেন। আল্লাহ কুরআন করিমে বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! যদি কোনো দুষ্ট লোক তোমাদের কাছে কোনো তথ্য নিয়ে আসে, তবে তোমরা তা পরখ করে দেখবে, নইলে না জেনে তোমরা কোনো একটি সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে ফেলবে এবং নিজেদের কৃতকর্মের জন্য তোমাদের অনুতপ্ত হতে হবে’ (আল কুরআন, ৪৯:৬)। আবার রাসূল সা: বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়’ (আল হাদিস)। তিনি আরো বলেন, ‘কুধারণা পোষণ করবে না, কারো ওপর অনুমাননির্ভর ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা’।

কাজেই মুসলমানরা পূজামণ্ডপে কুরআন রাখার ঘটনাকে কুরআন অবমাননা হিসেবে চিহ্নিত করে ভুল করেছেন। প্রকৃত পক্ষে সেটা ছিল একটি ষড়যন্ত্র, যেন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করা যায়। এর পরপরই রংপুরের পীরগঞ্জে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার ঘটনাটিকেও কূটকৌশলে মুসলমান সাধারণকে বিভ্রান্ত করতে ছড়ানো হয়েছিল।

এরপর আসে মন্দির-পূজামণ্ডপে হামলার মতো ভুলের অঘটনগুলো। আল্লাহ্ স্বয়ং বলেছেন, ‘আল্লাহকে ছাড়া যাদের তারা ডাকে তাদের গালি দিও না। কেননা তারা সীমা লঙ্ঘন করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকেও গালি দিবে; এভাবে আমি প্রত্যেক জাতির দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপ সুশোভিত করেছি; অতঃপর তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদের প্রত্যাবর্তন। অনন্তর তিনি তাদের নিজেদের কৃতকার্য সম্বন্ধে অবহিত করবেন’ (আল কুরআন, ৬:১০৮)।

এ বিষয়ে নবী সা: বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালি দিও না। বলা হলো, হুজুর! একজন মুসলমান কিভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালি দিবে? তিনি বললেন, তোমরা তাদের উপাস্যকে গালি দিলে কিংবা তাদের ধর্মযাজক বা পুরোহিতকে মন্দ কথা বললে তারা তোমাদের আল্লাহ ও রাসূলকে গালমন্দ দেবে। তাতে তোমাদেরই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালমন্দ দেয়া হয়।’

তৎকালীন সিনাই পর্বতের নিকটবর্তী সেন্টক্যাথরিন মঠের সাধু ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে রাসূল সা: চুক্তি সনদপত্রে বলেছিলেন, ‘ধর্ম পরিবর্তনে তাদের বাধ্য করা হবে না- তাদের ধন-প্রাণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিষয়-সম্পত্তি সবই নিরাপদ থাকবে। তাদের স্থাবর-অস্থাবর যাবতীয় সম্পত্তি তাদের অধিকারে থাকবে। তাদের পাদ্রি, পূজারি ও পুরোহিত কাউকেও বরখাস্ত করা হবে না এবং তাদের ক্রুশ ও দেব-দেবীর মূর্তি বিনষ্ট করা হবে না। তারা নিজেরাও অত্যাচার করবে না এবং তাদের প্রতিও অত্যাচার করা হবে না’ (সৈয়দ আমির আলী, ১৯৯৩; পৃ:১২৮)।

কুরআন-সুন্নাহর ধারক ও বাহক বলে নিজেদের দাবি করলেও আমরা অনেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মূর্তি, পূজামণ্ডপ, মন্দির এবং এমনকি তাদের বাড়িঘরেও অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করেছি, যা ছিল কুরআন-সুন্নাহর নিষেধাজ্ঞার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কুমিল্লায় যে বা যারা কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের না করেই আমরা ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে হামলা করে নিরপরাধ মানুষজনের জান-মালের ক্ষতি করা হয়েছে। আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘তোমরা পরোপকার করো যেমন আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চেওনা। আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীকে ভালোবাসেন না’ (আল কুরআন, ২৮:৭৭)।

এ প্রসঙ্গে রাসূল বিদায় হজের দিন বলেছেন, ‘হে লোক সকল! অন্ধকার যুগের সকল কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, অনাচার আমার পায়ের তলায় পিষ্ট হলো। তোমাদের একের সম্পদ, ইজ্জত ও রক্ত অপরের জন্য আজকের এই দিনটির মতো, এ মাসটির মতো, আর এ জনপদটির মতো পবিত্র’ (বিদায় হজের ভাষণ)। রাসূলের এ বাণীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে কুমিল্লার ঘটনার জেরে দেশের অন্যান্য স্থানে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে আমরা কুরআন-সুন্নাহর আরো বড় ধরনের লঙ্ঘন করেছি। আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট নিষেধ করেছেন, ‘কোনো মানুষই অন্যের পাপের জন্য দায়ী হবে না (আল কুরআন; ৫৩:৩৮)। নবীজি বলেছেন, ‘আর শুনে রাখ, অপরাধীর দায়িত্ব কেবল তার ওপরই বর্তায়। পিতা তার পুত্রের জন্য এবং পুত্র তার পিতার জন্য দায়ী নয়। প্রত্যেককে তার নিজের কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহি হতে হবে’ (বিদায় হজের ভাষণ)। আর মদিনা সনদের একটি ধারা ছিল, ‘স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়গুলোর কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য গোটা সম্প্রদায়কে দোষী করা যাবে না।’ (মদিনা সনদ)।

রাসূল ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসরত অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আরো কঠিন উক্তি করেছেন: ‘যে ব্যক্তি তাদের প্রতি জুলুম, অত্যাচার, অনাচার করবে, মানহানি করবে, তাদেরকে সামর্থ্যরে অধিক কাজে বাধ্য করবে অথবা তাদের সন্তুষ্টি ছাড়াই তাদের কোনো কিছু ছিনিয়ে নিবে, কিয়ামত দিবসে আমি তার প্রতিপক্ষ হবো (আবু দাউদ শরিফ)। তিনি আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিকে (মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বসবাসরত অন্য ধর্মাবলম্বী) কষ্ট দেয়, সে আমাকেই কষ্ট দেয়, যে ব্যক্তি কোনো জিম্মিকে হত্যা করে সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ চল্লিশ দিনের দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়’ (বুখারি, নাসায়ি, ইবনে মাযাহ)। তিনি সা: সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘অন্যায়ভাবে ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তিদের (মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বসবাসরত অন্য ধর্মাবলম্বীদের) ধন-সম্পদ ভোগ করা আদৌ বৈধ নয়’ (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ)।

নানুয়ার দীঘির পাড়ে কুরআন অবমাননার যে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে তাতে নিশ্চয়ই মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত লেগেছে। কিন্তু এ জন্য অন্যায়ভাবে অন্য নির্দোষ লোকদের ওপর হামলাকে কুরআন কোনোভাবে সমর্থন করে না। বরং কুরআন ঘোষণা দিয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর জন্য ন্যায় সাক্ষ্যদানে অবিচল থাকবে; আর কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের যেন কখনো ন্যায়বিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। এটা আল্লাহ-সচেতনতার নিকটতর; আর আল্লাহকে ভয় কর; তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ তা ভালো করেই জানেন (আল কুরআন, ০৫:৮)। আল্লাহ ঈমানদারদের আরো শিখিয়েছেন, ‘ভালো ও মন্দ সমান হতে পারে না, মন্দকে প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা, ফলস্বরূপ তোমার সাথে যার শত্রুতা রয়েছে সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধু’ (আল কুরআন, ৪১:৩৪)।

ওপরের আলোচনা থেকে এ কথা বলা অসঙ্গত নয় যে, সাম্প্রতিককালে কুমিল্লার কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মূর্তি, পূজামণ্ডপ, মন্দির এবং বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ইত্যাদি সবই অবৈধ হয়েছে, অন্যায় হয়েছে। কুরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত মুসলমান এ ধরনের কাজে নিজেকে কোনোভাবেই জড়িত করতে পারেন না। কাজেই আমাদের গ্রহণযোগ্য আলেম-ওলামা এবং মুসলিম নেতৃবৃন্দের এ বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত বলে মনে হয়। কারণ যারা হামলা করেছে তারা কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশ লঙ্ঘন করলেও মুসলিম সম্প্রদায়েরই অন্তর্ভুক্ত এবং নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করে। সেই সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের ন্যায়নিষ্ঠভাবে চিহ্নিত করে সুষ্ঠু বিচারের আওতায় এনে ইসলাম প্রণীত সব ধর্মের নাগরিকদের সমান মানবাধিকার নিশ্চিতের দাবিতে সোচ্চার হতে হবে। কারণ নবীজি বলেছেন, ‘আল্লাহ সেই জাতিকে সম্মানিত করেন না যে জাতি শক্তিশালীদের মোকাবেলায় দুর্বলদের প্রতি নির্মোহভাবে ন্যায়বিচার করে না’ (আহমাদ: ৮৫৯৫)।

লেখক: নিরাপত্তা বিশ্লেষক


আরো সংবাদ



premium cement
রাফা হামলার পরিকল্পনা ইসরাইলের ত্যাগ করা উচিত : চীন গাজা যুদ্ধে নতুন যে কৌশল অবলম্বন করল ইসরাইল হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক শিশু ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ইসরাইলকে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করলো আইআরজিসি সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৮তম প্রয়াণ দিবসে স্মরণ সভা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে ঝুলন্ত নারীর লাশ উদ্ধার

সকল