২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ক্লিনফিড আইন : আকাশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা জরুরি

- ছবি সংগৃহীত

কোনো রকম পুঁজি বিনিয়োগ ছাড়াই যদি ব্যবসা করা যায় আর অবাধে টাকা কামানো যায় তাহলে কে বাড়তি অর্থ বিনিয়োগ করে? কেউ করে না। সেটিই প্রমাণিত হলো বাংলাদেশে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা সংক্রান্ত আইন বলবৎ করতে গিয়ে। ২০০৬ সালে আইন করা হয়েছিল, সব বিজ্ঞাপনসহ বিদেশী চ্যানেল বাংলাদেশে প্রদর্শন করা যাবে না। এই আইন করা হয় বাংলাদেশের স্বার্থেই। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব দেশেই একই রকম আইন আছে। আর সেসব আইন মেনেই সংশ্লিষ্ট সবাই ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছেন।

ব্যতিক্রম ছিল বাংলাদেশে। এখানকার অপারেটর ও পরিবেশকরা আইনটি বলবৎ করার বিষয়ে শুরু থেকেই গড়িমসি করেছেন। আইন বাস্তবায়িত হলে তাদের যেসব প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে সেরকম কোনো উদ্যোগ আয়োজন তারা নেননি। বরং সরকারের কাছ থেকে উপর্যুপরি সময় নিয়েছেন। আর বৈধ, অবৈধ সব উপায়ে টাকা কামিয়েছেন। এভাবে কেটে গেছে দীর্ঘ ১৫ বছর। একটি আইন বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণের ক্ষেত্রে এটি সম্ভবত বিশ্বরেকর্ড।

সম্প্রতি সরকার ওই আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলে বিরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। গত ১ অক্টোবর বিজ্ঞাপনসহ বিদেশী টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করতে বলে সরকার। আর ওই দিনই সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় অপারেটর ও পরিবেশকরা। অথচ এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল গত আগস্ট মাসে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই। কার্যত গত দুই বছর ধরে সরকার এ বিষয়ে তাগিদ দিচ্ছে। বারবার নোটিশও দিয়েছে। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, আইন পরিপালনের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

বিজ্ঞাপন ছাড়া টিভি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের এই বিষয়টিকে সম্প্রচারকদের পরিভাষায় বলা হয় ‘ক্লিনফিড’। পরিবেশকরা বলছেন, ক্লিনফিড পাওয়া যায় না। সে কারণেই তারা সব চ্যানেল বন্ধ করে দেন। কিন্তু তাদের দাবি সত্য ছিল না। তার প্রমাণ, সরকারের তরফে চাপ দেয়া হলে তারা ক্লিনফিডের বেশ কয়েকটি বিদেশী চ্যানেল আবার সম্প্রচার করতে শুরু করেছেন।
সব চ্যানেল বন্ধ করার মধ্য দিয়ে পরিবেশকরা মূলত সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। গ্রাহক, দর্শকদের বঞ্চিত করে তাদের চাহিদাকে পুঁজি করে জাতিকে বেআইনিভাবে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করেছেন। গত ১২ দিন ধরে বেশির ভাগ চ্যানেল বন্ধ। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশী দর্শকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় অনেক চ্যানেল রয়েছে। এখনো পরিবেশকরা যেসব কথা বলে চলেছেন তার অনেকটাই পুরো সত্যি নয়। যেমন তারা বলছেন, বিদেশী ব্রডকাস্টার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের ক্ষুদ্র বাজারের জন্য ক্লিনফিড দিতে রাজি নয়। এটি হতে পারে না। কারণ বাংলাদেশের চেয়ে নেপালের বাজার বড় নয়। কিন্তু সেখানে ক্লিনফিড দিচ্ছে ব্রডকাস্টাররা।

পাকিস্তানের বাজার কি বাংলাদেশের চেয়ে বড়? সম্ভবত নয়। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান বা নেপালের মতো দেশ ‘ক্লিনফিড’ চালু করতে পারলে আমরা কেন পারব না এই প্রশ্ন উড়িয়ে দেয়া যাবে না। এ নিয়ে কোনো দেশেই কিন্তু এমন সঙ্কট দেখা দেয়নি। বাংলাদেশে কেন এমন সঙ্কট? সূচনা বক্তব্যে সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এর সঙ্গে আরেকটি ব্যাপার আছে। সেটি হলো, পুরো ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজড্ হলে বর্তমান অ্যানালগ সিস্টেমে কর ফাঁকির যে সুবিধা আছে সেটি হাতছাড়া হবে অপারেটর ও পরিবেশকদের। বাড়তি সুবিধা কে হাতছাড়া করতে চায়?

একটি টেলিভিশনের সম্প্রচার মানে, ক্যাবল বিনোদন নয়। এটি সার্বিকভাবে একটি জাতির সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য তথা গোটা সমাজকাঠামোর ওপর প্রভাব সৃষ্টিকারী একটি মাধ্যম। সত্যিকারের স্বাধীন কোনো দেশ তার নাগরিকদের বিদেশী টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখার অনুমতি দিতে পারে না। ভারতের দিকে তাকান। সংবাদ, স্পোর্টস ইত্যাদি বিষয়ের কিছু চ্যানেল ছাড়া অন্য কোনো বিদেশী চ্যানেল সেখানে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশী চ্যানেল কি দেখাচ্ছে তারা? দেখাচ্ছে অনেক অনুরোধ উপরোধের পর ক্যাবল বিটিভি। সেটিও তাদের কোনো অপারেটর সম্প্রচার করে কি না সন্দেহ। আর এমন সব আইনের বেড়াজাল তারা তৈরি করে রেখেছে যাতে কোনো বাংলাদেশী চ্যানেল সে বাজারে ঢুকতেই না পারে। ইউরোপ আমেরিকার দিকে তাকালে কী দেখব? একই দৃশ্য সেখানেও।

অবশ্য বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। আমাদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টিভি চ্যানেল থাকলেও একটিরও অনুষ্ঠান মানসম্মত নয়। স্বাভাবিকভাবেই দর্শকরা বিদেশী চ্যানেলের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তর্ক হতে পারে, আমাদের দর্শকদের অন্তত ৫০ শতাংশ যেসব ভারতীয় চ্যানেলের নাটক, সিরিয়াল, ডেইলি সোপ দেখেন, সেগুলো কি আমাদের নাটকের চেয়ে উন্নত মানের কিংবা এসবের যে বিষয়বস্তু কি আমাদের সমাজের জন্য উপযোগী? এই প্রশ্নটি আমাদের নাট্যকার, শিল্পী, কলা-কুশলীদের করতে হবে। তারা নাটকে কোন জিনিসটি দিতে পারছেন না যা ভারতীয় নাট্যকারও দিচ্ছেন? প্রশ্নটি সরকারের কাছেও রাখতে পারেন। নোংরা পারিবারিক স্ক্যান্ডালসমৃদ্ধ যেসব নাটক আমাদের ঘরের বউ, মেয়ে, মায়েরা দেখছেন সেগুলোতে তারা কি প্রভাবিত হচ্ছেন না? আমাদের সমাজও কি সেই নোংরা সামাজিক স্ক্যান্ডালের দিকে যাচ্ছে না? কিছুই কি করণীয় নেই? তাহলে ফ্রান্সে কেন আইন করে ফরাসিতে লেখা রচনায় বিদেশী শব্দ প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা আছে?

আমাদের প্রতিটি চ্যানেলের সবচেয়ে প্রিয় অনুষ্ঠান হলো গানের অনুষ্ঠান। নাটক যেখানে ২০ মিনিটের, সেখানে গান চলে এক থেকে দেড়-দুই ঘণ্টা ধরেও। কিন্তু গানের প্রতিযোগিতা বা শুধুই গান পরিবেশনার যেসব অনুষ্ঠান ভারতের কোনো কোনো চ্যানেলে দেখি, তার সঙ্গে তুলনা করার মতো এ দেশের কোনো চ্যানেলের কোনো একটি অনুষ্ঠানেরও কি নাম করা যাবে? কৌতুকনির্ভর অনুষ্ঠান মীরাক্কেল বা সারেগামাপার সঙ্গে তুলনীয় একটি অনুষ্ঠানও কি বানাতে পেরেছেন আমাদের কোনো নির্মাতা? অনুষ্ঠান ভালো হলে আমাদের দর্শকরা দেখেন না, এমন তো নয়! বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ দেখার জন্য ঘরে ঘরে এখনো মানুষ অপেক্ষা করে থাকে।
আমরা কথায় কথায় নিজের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলি। বাংলা ভাষা নিয়ে গর্বে আমাদের মাটিতে পা পড়ে না। ভাষা আন্দোলন নিয়ে উদ্বেলিত হই। অথচ বাস্তবতা এই যে, আমাদের সন্তানরা হিন্দি ভাষা রপ্ত করছে। এটি তারা শিখছে ভারতীয় চ্যানেল দেখে। উর্দুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা যদি দেশপ্রেম হয়, হিন্দিকে প্রশ্রয় দেয়াকে কী বলা যাবে? আমরা কোনো ভাষার বিপক্ষে নই। বরং বিশ্বাস করি, একজন মানুষ যত বেশি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করবে ততই তার পক্ষে বিশ্বের জ্ঞানসম্পদ আহরণ সহজতর হবে। বর্তমান বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সাহিত্য-সংস্কৃতি ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে বহু ভাষায় দক্ষতা অর্জন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। তবে টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি দেয়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। টেলিভিশনে জ্ঞানের বিষয় থাকলেও এটি কোনোভাবেই জ্ঞানের প্রসার ঘটায় না। যদি ঘটাত তাহলে জ্ঞানীরা এটিকে ‘বোকাবাক্স’ বলতেন না।

ডিজিটাল বিশ্বে আমরা কোনোভাবেই বিদেশী চ্যানেল দেখানো বন্ধ করতে পারব না। কিন্তু যেটুকু পারব সেটুকু অপারেটর ও পরিবেশকদের অবৈধ চাপের কারণে আটকে থাকবে এটা কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পরিবেশকরা বলছেন, ক্লিনফিড পাবার জন্য ডিজিটালাইজেশন করতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কথা আরো আগে বলা উচিত ছিল। সব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করার পর নয়। আলোচনা হতে পারত ১ অক্টোবরের আগেই। ক্লিনফিড সম্প্রচারের আইন বাস্তবায়ন করতে অপারেটর ও পরিবেশকদের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়নে কত খরচ হতে পারে, সেটা বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নিরূপণ করা সম্ভব। বিদেশী ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে চুক্তি করা বা তাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলাÑ এসব বিষয়েও সরকারের সহায়তা নেয়ার সুযোগ ছিল, এখনো আছে। প্রযুক্তির উন্নয়নে যে ব্যয় হবে তার কতটা অপারেটর ও পরিবেশকরা বিনিয়োগ করতে পারবেন, অথবা সরকার কিভাবে এ ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা দিতে পারে, সেসব বিষয়ে কথা বলার সুযোগ ছিল। তারা সে সুযোগ নেননি। আইন লঙ্ঘন করে কেউ দেশে ব্যবসা করবে; তা কিভাবে সম্ভব? সরকার যে অবস্থান নিয়েছে স্বাধীন জাতি হিসেবে এটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। এতদিন পর সরকার বিশেষ করে তথ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে যে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। আমরা চাই, অবিলম্বে এই আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন হোক।

অপারেটর ও পরিবেশকরা প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কতটা সময় লাগতে পারে সে বিষয়েও প্রকৃত তথ্য ধামাচাপা দিচ্ছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। তারা বলছেন, বছর দুয়েক বা তারও বেশি সময় লাগবে। সম্প্রচার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন ভিন্ন কথা। ইউনাইটেড ক্যাবল সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানির কর্ণধার এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মো: নূরুল আলম একটি দৈনিককে বলেন, ক্লিনফিড চালু করতে হলে সবার আগে সদিচ্ছা থাকা দরকার। আইন হয়েছে আজকে থেকে ১৫ বছর আগে, ২০০৬ সালে। এত দিনেও ক্যাবল অপারেটররা কোনো ব্যবস্থা নিলেন না। এখন এটি চালু করতে হলে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মাস সময়ের প্রয়োজন।

সরকার চাইলে সরঞ্জাম আমদানি করা তেমন কোনো কষ্টকর কাজ হবে না। বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন ‘অ্যাটকো’র জ্যেষ্ঠ সভাপতি মোজাম্মেল বাবু একটি পত্রিকাকে বলেন, সব চ্যানেলের কাছেই ক্লিনফিডের প্রযুক্তি আছে। চাইলেই দেশে ক্লিনফিড বিদেশী চ্যানেল দেখানো সম্ভব। অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটরদের যদি ক্লিনফিড চালু করতে দুই-তিন মাস বা ছয় মাসের সময় দরকার হয়, তারা সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারকে বলুন। প্রয়োজন মনে হলে আমরাও তাদের হয়ে সরকারকে বলব।’

গত ১৫ বছরে, বিশেষ করে গত দুই বছরে যখন সরকার আইন প্রয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে এবং বারবার তাদের নোটিশ দিয়েছে তখনো কেন পরিবেশক অপারেটররা ক্লিন ফিডের ব্যবস্থা করেনি? এ প্রশ্নের কোনো পরিষ্কার জবাব নেই। সম্ভবত তারা ধরেই নিয়েছিলেন, আইন না মেনেই যদি ব্যবসা করা যায় তাহলে খামাখা কেন সেটা করতে যাব? সে জন্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার তাদের কোনো চেষ্টা বা উদ্যোগ কখনোই দেখা যায়নি। আইন না মানার বা উপেক্ষা করার এই প্রবণতা খুবই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। আর এক মুহূর্তও বিলম্ব না করে এই আইন বলবৎ করতে হবে।

আমাদের আকাশ, আমাদের বাজার আমরা বাইরের অনুপ্রবেশকারীদের জন্য সম্পূর্ণ খুলে রেখেছিলাম। এটি আসলে নির্বুদ্ধিতার কাজ হয়েছে। আমাদের আকাশের সার্বভৌমত্ব আমরা রক্ষা করতে পারিনি। ভারতীয় সব টিভি চ্যানেল বিনা বাধায় চলতে দিয়েছি। তাতে আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো, বিনোদনশিল্প বা শিল্পী-কলা-কুশলীরাই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন নয়, ভারতীয়দের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আমাদের নতুন প্রজন্মকে গিলে খেতে শুরু করেছে। যত শিগগির সম্ভব এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা জরুরি। বাংলাদেশে চ্যানেল দেখাতে হলে, বাংলাদেশের আইন মেনেই দেখাতে হবে। এর সাথে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো কত টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে, অথবা সরকার কত টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সেসব বিবেচনা একেবারেই গৌণ। মুখ্য বিষয়, জাতীয় সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষা। এ জন্য আকাশের সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা জরুরি।

ই-মেল : mujta42@gmail.com

 


আরো সংবাদ



premium cement