২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রতারণার দায় নেবেন না কেন

প্রতারণার দায় নেবেন না কেন - ছবি : নয়া দিগন্ত

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কার্যক্রম এবং ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স চলমান আছে। মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রমের মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবা দুই বা ততোধিক স্তরবিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কমিশন বা লভ্যাংশ বা অন্য কোনো সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতির আওতায় বিপণন পরিচালিত হয়। ই-কমার্স একটি ই-বাণিজ্য এবং এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক সিস্টেম অর্থাৎ ইন্টারনেট বা অন্য কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। আধুনিক ই-কমার্সের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব অর্থাৎ ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ-এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

বিশ্বের স্বনামধন্য এমএলএম কোম্পানির মধ্যে অন্যতম হলো ফাইভলিঙ্কস, মান্নাটেক, লিউনেস, শেকলি, ভেম্মা প্রভৃতি। আমাদের দেশে যেসব এমএলএম কোম্পানি ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো ডেসটিনি, ইউনিপেটুইউ, যুবক প্রভৃতি। দেশীয় এ কোম্পানিগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি (আরজেসি) থেকে নিবন্ধিত। আমাদের দেশের এমএলএম কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ এবং ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ প্রণীত হয়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে এমএলএম কার্যক্রম সফল হলেও আমাদের দেশে আইনি কাঠামো দেয়ার পরও সরকার কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্তির পর মাঝপথে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় লাখ লাখ বিনিয়োগকারী মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এসব বিনিয়োগকারী আদৌ তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পাবেন কি না সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো ও সরকার উভয়ের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীরা এ যাবৎকাল পর্যন্ত কোনো আশার বাণী শোনেননি।

ই-কমার্স বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিশ্বব্যাপী খ্যাতির শীর্ষে স্থান পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো অ্যামাজন ডট কম, ওয়াল মার্ট স্টোরস ইঙ্ক, আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড প্রভৃতি। আমাদের দেশে ই-কমার্স বাণিজ্যিক কার্যক্রমের আওতায় নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়কারী আলোচিত প্রতিষ্ঠান হলো চালডাল ডট কম, দারাজ ডট কম বিডি. ইভ্যালি ডট কম, ই-অরেঞ্জ প্রভৃতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ্যামাজন ডট কম, ওয়াল মার্ট স্টোরস ইঙ্ক ও আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেডের কার্যক্রম চলমান আছে। আমাদের দেশীয় উল্লিখিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চালডাল ডট কম ও দারাজ ডট কম বিডির কার্যক্রম সূচনালগ্ন থেকে চলমান থাকলেও প্রতারণার অভিযোগে ই-ভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। নীতিমালাটির ৩.৫(৩) ধারায় বলা হয়েছে- ডিজিটাল কমার্স বিষয়ক অপরাধ সংগঠিত হলে দেশের প্রচলিত আইনের অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। নীতিমালাটির ৩.৬(১) ধারায় বলা হয়েছে- ডিজিটাল কমার্স ব্যবসা পরিচালনায় বিক্রয়কৃত পণ্য সরবরাহ ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নিরাপত্তা, নিয়ন্ত্রণ, তদারকি এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত অসন্তোষ নিরসন ও অপরাধের বিচার ডিজিটাল নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট আইনে সম্পন্ন করা যাবে।
ই-কমার্স বাণিজ্যিক কার্যক্রম বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে চালু হওয়া পনজি স্কিমের সদৃশ। পনজি স্কিম হচ্ছে এমন একধরনের কূটকৌশল যার মাধ্যমে নতুন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ পুরনো বিনিয়োগকারীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। চার্লস পনজি নামক ব্যক্তির নামানুসারে এটির পনজি স্ক্রিম নামকরণ করা হয়। চার্লস পনজি প্রতারণার শিক্ষা নেন লুইজি জারোচ্চি নামক এক ইতালীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যাংক মালিকের কাছ থেকে। চার্লস পনজি ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে মন্ট্রিয়েলে জারোচ্চির মালিকানাধীন ব্যাংক-বানকো জারোচ্চিতে চাকরি নেন।

এই ব্যাংকটি আমানতকারীদের ৬ শতাংশ সুদ দিত, যা সে সময় অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। অধিক সুদের কারণে এ ব্যাংকটিতে আমানতকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং রিজার্ভ অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়। এ ব্যাংকটিতে অধিক মুনাফার আশায় নতুন যে আমানতকারীরা টাকা রেখেছিলেন তাদের টাকা হতেই পুরনো গ্রাহক বা আমানতকারীদের মুনাফা দেয়া হতো যদিও প্রদেয় মুনাফা ব্যাংকটির আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। এভাবে যে বেশি দিন চলা যায় না তা সে সময়ই অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হন এবং তারা দেখতে পান নতুন আমানতকারীর সংখ্যায় ক্রম হ্রাস ঘটছে। একপর্যায়ে যখন ব্যাংকটির ব্যবসায় ধস নেমে এলো তখন জারোচ্চি গ্রাহকদের আমানতের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেন। এই বুদ্ধিটি চালর্স পনজি কাজে লাগিয়েছিলেন পনজি স্ক্রিমে। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ই-কমার্স বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রতারকরা যে চার্লস পনজির উত্তরসূরি সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যতীত যেসব ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এর অধিকাংশই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এসব ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ পরিশোধিত তহবিলের ৩০ শতাংশ। এসব ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ আমানতকারীদের গচ্ছিত অর্থের তুলনায় নগণ্য। এ ধরনের যেকোনো একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডাররা যদি একযোগে যেকোনো কারণে তাদের গচ্ছিত বা বিনিয়োগকৃত অর্থ উত্তোলন করতে চায় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যে অক্ষম হবে তা আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট সবাই অনুধাবনে সক্ষম।

সাধারণত দেখা যায় এ ধরনের যেকোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের তুলনায় মন্দ ও খেলাপি ঋণ অতি অধিক হলে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমানতকারীদের আস্থার হানি ঘটে এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অক্ষমতার দায়ে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। আমাদের দেশে একাধিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকার ইতঃপূর্বে এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষিত হয়েছে। আমাদের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ দ্বারা পরিচালিত। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যেকোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখভালের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের ওপর ন্যস্ত।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক যে হারে আমানতকারীদের সুদ বা মুনাফা প্রদান করে সে তুলনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় সুদ বা মুনাফা বা নগদ বা পণ্যভিত্তিক সুবিধাদি অধিক এবং অনেক বেশি আকর্ষণীয়। এ কারণে অনেক আমানতকারীর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকে অর্থ গচ্ছিত রাখার চেয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অর্থলগ্নির প্রবণতা অধিক পরিলক্ষিত হয়।

এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অনুমতি ও নিবন্ধন লাভের পরই তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে থাকে। এমএলএম কোম্পানির কার্যক্রম চালু রাখার জন্য আইনি সুরক্ষা থাকলেও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে এদের কার্যক্রম সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বন্ধ করলেও কতিপয় ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। এমএলএম ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক কার্যক্রম দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অভিমত ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার যেভাবে তৎপর সে তৎপরতা এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হলে গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অবকাশ হতো না।

কতিপয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে আমানতকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপে তার রোধে হ্রাস ঘটে। এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরূপ পদক্ষেপ প্রত্যাশিত হলেও তা না হওয়ার কারণে গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভবিষ্যতেও যথাযথ আইনি কাঠামো এবং কর্তৃপক্ষের কার্যকর তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের অনুপস্থিতিতে গ্রাহকরা উভয়ের কার্যক্রমের মাধ্যমে লাভবান হতে পারবেন এমন আশাবাদ অনুমেয় নয়।

এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম প্রসার ও প্রচারণায় ক্রীড়াঙ্গন ও সঙ্গীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ এবং দেশের প্রভাবশালী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যবহার করে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থার ভাব সৃষ্টি করে আশাতীতভাবে লাভবান হওয়ায় এক দিকে যেমন তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল হয়েছে অপর দিকে প্রসার ও প্রচারণায় ব্যবহৃত ব্যক্তিদের আর্থিক ভিত আরো সুদৃঢ় হয়েছে। এ কথাটি বলার অপেক্ষা রাখে না এসব পরিচিত মুখ এবং প্রভাবশালী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রচারণার কারণেই গ্রাহকরা অধিক হারে বিনিয়োগে উৎসাহী হয়েছে। এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার পর গ্রাহকদের সর্বপ্রথম দেখা যায় সংশ্লিষ্ট থানা বা আদালতে আইনি প্রতিকার না চেয়ে গচ্ছিত আমানত ফেরত পাওয়ার জন্য এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কার্যক্রম প্রসার ও প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াঙ্গন ও সঙ্গীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ এবং দেশের প্রভাবশালী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হতে।

এদের কেউ কেউ গ্রাহকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের দায়ভার অনেকটা দায়সারা গোছের ছিল। এ কথাটি অনস্বীকার্য যে, ক্রীড়াঙ্গন ও সঙ্গীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ এবং দেশের প্রভাবশালী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রচারণায় এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বেগবান হয়েছে এবং তারা ব্যাপকহারে দেশের সাধারণ মানুষজনের কাছ থেকে লাভ বা মুনাফা বা পণ্য সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতিতে নগদ অর্থপ্রাপ্ত হয়েছেন। আর তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারণায় তাদের সমব্যথী হওয়া প্রত্যাশিত ছিল; কিন্তু দেখা গেল তারা সমব্যথী না হয়ে লোক দেখানো গাবাঁচানো বক্তব্য দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ এমনটি বোঝানোর প্রয়াস নিয়েছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞাস্য, আপনারা প্রচারণার দ্বারা লাভবান হয়ে প্রতারণার দায় যদি না নেন সে ক্ষেত্রে নীতিনৈতিকতা, মূল্যবোধ ও মানবতা যে আপনাদের কাছে পরাভূত তা আপনারা অনুধাবন না করলেও ভুক্তভোগীরা অনুধাবনে সক্ষম।

লেখখ : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক

E-mail: iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement