২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অনিবার্য ইবনে খালদুন

-

(চতুর্থ কিস্তি)
সায়েন্স অব কালচার বা সংস্কৃতির বিজ্ঞানের গোড়ায় আছে মানুষের সমাজবদ্ধতা। মানুষ সামাজিক জীব, এ প্রত্যয় থেকে ইবনে খালদুন উপনীত হন জ্ঞানের সেই বিশ্লেষণে, যা তার ভাষায় ইলমুল উমরান; সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশের বিজ্ঞান। এ বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হলো মানব সমাজ।

সামাজিক বিবর্তনের বীজ সমাজের প্রকৃতিতেই তিনি প্রত্যক্ষ করেন। তার মুকাদ্দিমা এ অবলোকনের প্রকাশে ধর্মতাত্ত্বিক চরিত্রকে অতিক্রম করে হয়ে ওঠে সমগ্র মানবসভ্যতা, বিশেষ করে ইসলামের সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত একটি অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন প্রতিবেদন, যা নিজস্ব রাজনৈতিক তত্ত্ব দিয়ে অধ্যয়নের ধারায় মানবসমাজের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। ইবনে খালদুন তার আবিষ্কৃত এ বিজ্ঞানকে স্বাধীনবিজ্ঞান বলে ঘোষণা করেন। ন্যায়োচিত ভাষ্যে তিনি জানান,
‘আমি ইতিহাসের উপর একটি গ্রন্থ লিখি- যেখানে রাষ্ট্র ও সভ্যতা বিকাশের কারণ ও প্রভাব নিয়ে সম্যক অবতারণা করেছি। এ বই লিখেছি এক অদ্ভুত ও উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে, এর উপাদানগুলোকেও সাজিয়েছি একেবারে নতুন পদ্ধতি ও প্রকরণে।’

ইবনে খালদুনের এই যে নতুন ও আকর্ষণীয় পদ্ধতি, তা বিশেষভাবে জন্ম দিয়েছে বিজ্ঞানের দু’টি ধারা। এক. সমাজবিজ্ঞান, দুই. হিস্টোরিওলজি বা ইতিহাস বিশ্লেষণ।

ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ইবনে খালদুন দেখান, ইতিহাসের ভেতরে রয়েছে মননশীলতার উপাদান, যা যাবতীয় বস্তু ও ঘটনাচক্র বিষয়ক ‘কী’ ও ‘কেন’গুলোর সত্য উন্মোচনে গভীরভাবে সহায়তা করে। কিন্তু ঐতিহাসিকরা ভুল করছেন। প্রধানত সাতটি কারণে তারা ইতিহাসের যথার্থতায় অবগাহন করতে পারছেন না। তারা ১. কোনো এক নির্দিষ্ট মত বা বিশ্বাসের পক্ষাবলম্বন ২. ইতিহাসের নির্দিষ্ট একটি সূত্র সম্পর্কে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ৩. অভীষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে অজ্ঞতা ৪. সত্য সম্পর্কে ত্রুটিপূর্ণ বিশ্বাস ৫. কোনো ঘটনার বাস্তবতা বর্ণনার অক্ষমতা ৬. ক্ষমতাবানদের কাছ থেকে সুবিধা অর্জনের আশায় তাদের প্রশংসা ও তাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের প্রচারণা ও ৭. মানবসমাজ নিয়ন্ত্রণকারী সূত্র সম্পর্কে অজ্ঞতার শিকার।

ইতিহাসের শক্তি ও সম্ভাবনাকে জ্ঞানের মাধ্যমে অধিকার করতে পারলে ঐতিহাসিক প্রতিবেদনগুলো যথার্থ হবে। সে জন্য কারণ উদ্ভাবন-বিশ্লেষণ এবং সামাজিক ও শারীরিক আইনকে তিনি মানদণ্ড হিসেবে প্রস্তাব করেন। তার মতে, ঐতিহাসিক বয়ানগুলোর বিচার বিশ্লেষণে চারটি বিবেচনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমত, কারণ ও প্রভাবের মাধ্যমে ঘটনাগুলোকে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত করা। দ্বিতীয়ত, অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সাদৃশ্য অঙ্কন করা। তৃতীয়ত, পরিবেশের প্রভাব বিবেচনা করা। চতুর্থত, অর্থনৈতিক ও উত্তরধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অবস্থা বিবেচনা করা।

তিনি ঐতিহাসিক তথ্যাদি বিশ্লেষণ করেন সুতীক্ষ্ণ মনের দার্শনিক ব্রত নিয়ে। মানবেতিহাসের সমালোচনামূলক অধ্যয়নের প্রক্রিয়ায় ইবনে খালদুন মানবসমাজ সংক্রান্ত তার তত্ত্বগুলো আলোচনা করেন।

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রবর্তন করেন এবং নিজেই তৈরি করে নেন বিভিন্ন পরিভাষা। আল মুকাদ্দিমা হয়ে ওঠে সামাজিক সংযোগ ও সামাজিক দ্বন্দ্বের ওপর পরিণত সামাজিক-বৈজ্ঞানিক যুক্তির প্রথম ইশতেহার।

মানবীয় জীবনযাত্রার রীতিনীতি উদ্ভাবনে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় রূপায়ণে বর্ণ, আবহাওয়া, প্রাকৃতিক উপকরণ, বস্তু ও ভোগ্যদ্রব্য কী প্রভাব রাখে আর কিভাবে ক্রিয়া করে, তার সবিস্তার আলোকপাত করেন ইবনে খালদুন। স্বোপার্জিত বৈজ্ঞানিক ধারায় সভ্যতা-সংস্কৃতির প্রবণতাগুলোকে তিনি পরীক্ষা করেন। সমাজতত্ত্বের মূল সূত্র নির্দেশ করেন এবং তা দিয়ে ঘটনাবলির বিচারের তরিকা হাজির করেন, যা টয়েনবির ভাষায় যেকোনো দেশ ও কালের মানবীয় সৃষ্টিশীল মনের শ্রেষ্ঠতম নিদর্শন।

সভ্যতার উত্থান, বিকাশ, ভাঙন ও পতনের অন্তরালে যা কিছু কাজ করে, ইবনে খালদুন তাকে তুলে আনেন বিশ্লেষণের পরিসরে। আল মুকাদ্দিমায় সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়াবলির আলোচনা করেন ছয়টি ভাগে। প্রথম ভাগে আমরা পাই সমাজবিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত পরিচয়। এখানে সামাজিক শ্রেণী ও মানবগোষ্ঠীর প্রণালীবদ্ধ অবস্থান এবং ভৌগোলিকভাবে, আবহাওয়াভেদে সামাজিক ভিন্নতার আলোচনা স্পষ্ট। দ্বিতীয় ভাগে আমাদের পরিচয় ঘটে যাযাবর জীবনের সাথে, আমরা লক্ষ করি, বিভিন্ন শ্রেণীর যাযাবর সমাজের জীবনী এবং নাগরিক জীবনের সাথে যাযাবরী জীবনের তুলনা ও অস্থায়ী অভিবাসনের বৈশিষ্ট্য। সমাজ, পরিবার কিংবা মানব দলগত চেতনা, যাকে বলে আসাবিয়্যাহ। সে হচ্ছে সামাজিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের কেন্দ্র। এরপর ক্রমেই হাজির হয় সমাজ, গোত্র এবং এমন সব জাতি, যারা অগ্রসর হতে পারেনি।

তৃতীয় ভাগে হাজির হয় রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্ব। আসাবিয়্যাহ ও কৌমচেতনা কিভাবে কাজ করে রাষ্ট্র সংগঠনে। ধর্মীয় মতবাদ রাষ্ট্রের বন্ধনকে দৃঢ়তা দেয়। কিন্তু আসাবিয়্যাহ অনুপস্থিত থাকলে ধর্মীয় বন্ধন রাষ্ট্র রক্ষা করে না। রাষ্ট্রীয় জীবন বস্তুত মানবজীবনের বৃহত্তর এক উপমা। এতে আলোচিত হয় রাষ্ট্র, তার প্রকৃতি, রাজবংশ ও রাষ্ট্রের সময়কাল, আধ্যাত্মিক ও ইহজাগতিক ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় পদবিগুলো।

চতুর্থ ভাগে আলোচিত হয় সভ্যতা, নগরজীবনের উদ্ভব, স্থায়ী সমাজ, নগর ব্যবস্থাপনা, নাগরিকতা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও প্রদেশের পর্যালোচনা এবং রাষ্ট্রের সাথে সভ্যতার সম্পর্ক। পঞ্চম ভাগে রয়েছে জীবিকা উপার্জনের উপায়, সম্পদের পুঞ্জীভবন ও এর বিবিধ অবস্থা, কৃষি, স্থাপত্য, চিকিৎসা, মানুষের কারুকাজ, জীবিকা উপার্জনের উপায় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণ। ষষ্ঠ ভাগে ইবনে খালদুন আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা শাখা ও তার শিখন প্রক্রিয়া জানান। বিজ্ঞান কী, তার কাজ কী, তাকে কিভাবে অধিকারে আনা যায়, তার বিচিত্র ধারা ও ধরনের পরিচয় ও চরিত্র নিয়ে করেন আলোকপাত। তুলে ধরেন সভ্যতা ও শিক্ষার সম্পর্ক এবং শিক্ষা-দীক্ষার উন্মেষ, প্রসার ও সমৃদ্ধির পথ ও প্রক্রিয়া।

বস্তুত আল মুকাদ্দিমায় ইতিহাসতত্ত্ব, অর্থনীতি, রাজনীতি, সভ্যতা-সংস্কৃতি, সমর, শিল্প-সাহিত্য, ধর্ম, বিজ্ঞান ও চারুকলা, শিক্ষানীতি ইত্যাদির বিদগ্ধ অবতারণা বিস্তারিত এবং এর অন্যতম ধারা হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান।

ইবনে খালদুন ওমরান তথা জীবনের যাপনকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করেন। প্রথমটি যাযাবর জীবন (ওমরানে বাদওয়ি), দ্বিতীয়টি নাগরিক জীবন-সংস্কৃতি (ওমরানে হাজারি)। মানুষের জীবন সাধারণত প্রথম ধারা থেকে দ্বিতীয় ধারায় বিকশিত হয়। মানবসমাজের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সরলতম জনগোষ্ঠীর বাস ছিল তৃণভূমিলগ্ন এবং পার্বত্যাঞ্চলে। কৃষি ও পশুপালন তাদের জীবিকা নিশ্চিত করত। তারা সংগঠিত থাকত নেতৃত্বের অধীনে, যে নেতৃত্ব প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগে ছিলেন সক্ষম। এ যৌথতা তাদের শক্তি দিত। কিন্তু নিজেদের গুণাবলি ও বুদ্ধিমত্তা সত্ত্বেও তারা পারত না উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতি গড়তে। যেহেতু তাদের স্থিতিশীল রাষ্ট্র নেই, নগর নেই। অতএব জরুরি ছিল এমন নেতৃত্ব, যার কর্তৃত্বের প্রসার হবে অধিকতরো এবং প্রয়োজন ছিল বৃহত্তর ঐক্যের সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান। এই নেতৃত্ব ও ঐক্যের কেন্দ্রে থাকবে আসাবিয়্যাহ, যা যৌথতার শক্তি দিয়ে ক্ষমতা অর্জন ও সংরক্ষণ করবে।

পূর্বপুরুষের যৌথতার অনুভূতি, সমবেত রক্ত ও ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার এ আসাবিয়্যাহকে দেবে দৃঢ়তা। যেখানে নানা উপাখ্যান, কিংবদন্তি ও নিজেদের হয়ে ওঠার ঘটনাপরম্পরা অভিন্ন বন্ধনে জনগোষ্ঠীর আবেগকে ঐক্যবদ্ধ করবে। এর সাথে যুক্ত আছে তাদের সমবেত প্রয়োজনও। কারণ মানুষ একে অপরের নির্ভরশীল। একা সে নিজের সব প্রয়োজন পূরণ করতে পারে না। পারস্পরিক আদান-প্রদান ও সামর্থ্যরে বিনিময় তাদের দেয় সমবেত সক্ষমতা, যার ফলে জীবন সহজ ও সুগম হয়ে ওঠে। এই ঐক্য প্রবল ও প্রখর হয় জনগোষ্ঠী যদি একই বিশ্বাস ও ধর্মাচারে যুথবদ্ধ থাকে।

সামাজিক ক্রমবিবর্তনের ধারায় সুনির্দিষ্ট নিয়মে প্রয়োজনাত্মক সমাজ থেকে মানুষ অগ্রসর হয় নাগরিক কৃষ্টির দিকে। সামাজিক ক্রমবিবর্তনের দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হয়। তাদের মধ্যে থাকে সুসমন্বয় এবং এই পাটাতনে দাঁড়াতে পারে ধারাবাহিক শাসন, রাজবংশের রাজত্ব বা সরকারব্যবস্থা। ইবনে খালদুনের আলোচনায় ‘রাষ্ট্র’, ‘সমাজ’ ও ‘সভ্যতা’ প্রায় সমার্থকরূপে পরিগণিত হয়েছে। এই তিন প্রত্যয়কে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সেখান থেকে মানুষের অগ্রগতি নগরসভ্যতা ও রাষ্ট্রকে সুবিন্যস্ত করে; কারণ যুক্তিশীল মানুষের উচ্চাভিলাষ কেবল এমন একটি সমাজে বিকশিত হয়, যা কার্যকর রাজনৈতিক সংগঠনেই সুশৃঙ্খল বিকাশ পায় এবং সেটি রাষ্ট্র ছাড়া অন্য কিছু নয়।

ইবনে খালদুনের সভ্যতা ও রাজনীতি হাত ধরাধরি করে চলে এবং রচনা করে শাসনকর্মের শিল্প। সরকার এর প্রতিফলন ঘটাবে উত্তমভাবে, যাকে আধুনা সুশাসন অর্থে ব্যক্ত করা হয়। নগরজীবন মূলত সংস্কৃতির কেন্দ্র, এর সাথে যুক্ত আছে বিচ্ছিন্ন গুচ্ছগোষ্ঠী ও অস্থায়ী অভিবাসন, যা এ সংস্কৃতির প্রাথমিক শর্ত গড়ে দেয়।

আসাবিয়্যাহ থেকে উঠে আসা যৌথ জীবন এবং সুগঠিত ও শক্তিমান শাসনব্যবস্থায় নগরজীবন প্রয়োজনীয় জ্ঞান, শিল্প, কলা ও গতিশীল অর্থনীতি নিয়ে স্থিতিশীল জীবনের পরিসর ও পরম্পরা তৈরি করে, যা মূলত ওমরানে হাজারি বা স্থির অধিবাস। এর মানে হলো, নগরজীবন ও নাগরিকতায় জীবনের স্থিরতা থাকবে, অভঙ্গুর নিশ্চয়তা থাকবে, জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যৌথতার সক্রিয় বন্ধন থাকবে এবং সরকার ও শাসনব্যবস্থা এর সুরক্ষা ও উন্নতিবিধানে সব বাস্তবতায় সক্রিয় থাকবে।এবং তা কেবল নগরে নয়, গোটা রাষ্ট্রে সমানভাবে নিশ্চিত হবে।

এর অভাবে রাষ্ট্র ও রাজত্ব হয় র্দ্বুল। যে প্রয়োজনে তার সৃষ্টি, সেই শর্ত যত কম কাজ করবে, রাষ্ট্র ও শাসনক্ষমতার সবলতা তত নিষ্ক্রিয় হতে থাকবে। রাজবংশগুলোর ধ্বংস ত্বরান্বিত হয় এ পথ ধরে।

তার উত্থান ও বিকাশ যত উজ্জ্বল হোক, ক্ষমতা যত অপ্রতিহত হোক, মনে রাখতে হবে এই উত্থানের গর্ভে বড় হচ্ছে পতনের ভ্রূণ। যখনই এই শক্তি ও ক্ষমতাচর্চা অত্যাচার, অবিচার, স্বেচ্ছাচার এবং দুর্নীতি ও ভোগের মচ্ছবে লিপ্ত হয়, তখনই ক্রমেই সমাজ-রাষ্ট্রের বন্ধনের নানা স্তরে ক্রিয়াশীল অন্য শক্তির হাতে তার পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। সমাজপরিসরে যে শক্তির সমর্থনে এ শাসনব্যবস্থা দুশ্চরিত্র হয়েছিল এবং অন্যায় অব্যাহত রেখেছিল, সেই শক্তিও পতনের মুখ দেখতে থাকে। তাদের গোটা ব্যবস্থা ও শৃঙ্খলা একসময় ভেঙে পড়ে। ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতিসহ যেসব পরিসরে তারা নিজেদের অনুকূলে যা কিছু প্রতিস্থাপন করেছিল, তাও টিকে থাকতে পারে না!

এ সূত্রেই গ্রিকদের মধ্যে ঘটেছে উত্থান-পতনের পরিক্রমা, রোমানদের মধ্যে দেখা গেছে এরই প্রদর্শনী, পারসিকরা এভাবেই প্রত্যক্ষ করেছে নিজেদের ক্ষমতা ও অবক্ষয় এবং এ ধারায় আরবদের শাসন পূর্ণ প্রসার ও বিকাশ লাভ করেও অসভ্য তাতার ও হানাদার ক্রুসেডারদের ঝড়ো আঘাতে পতনের মুখ দেখতে পায়।

লেখক : কবি, গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement