২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেসরকারি শিক্ষকরা কেমন আছেন?

ড. এ কে এম মাকসুদুল হক -

শিশুকালে ‘ছোট’ ওয়ানে বাল্যশিক্ষা দিয়ে শিক্ষাজীবনের শুরুতেই শিখেছিলাম ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’। এখনো আমরা আমাদের সন্তানদের সে কথাই শেখাই এবং এই কথাটির মধ্যে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। পৃথিবীর কেউ শিক্ষার এই গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু জাতির এই মেরুদণ্ড সোজা ও শক্ত সমর্থ রাখতে যারা কারিগরের কাজ করেন, আমরা কি তাদের গুরুত্বের কথা অনুধাবন করি? কারিগররাই যদি দুর্বল ও অসমর্থ হয়ে পড়েন তবে জাতির মেরুদণ্ডের কী হবে সে কথা কি আমরা চিন্তা করি? শিক্ষকদের কথাই বলছি। এই চলমান করোনা অতিমারীতে আমাদের শিক্ষকদের যে দুর্বিষহ-মানবেতর অবস্থা তার খবর আমরা ক’জন রাখি? অথচ জাতিকে বাঁচিয়ে রাখতে শিক্ষকদেরই আগে বাঁচাতে হবে।

আমাদের দেশে সব ধরনের শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা চার কোটিরও বেশি। মোট ২০ হাজার ৬৬০টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৬৭৫টি সরকারি এবং ১৯ হাজার ৯৮৫টি বেসরকারি (প্রথম আলো, ১৯ মে ২০২০)। এ বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীকে দুই লাখ শিক্ষক পাঠদান করতেন (বেনবেইস-২০০২)। কিন্ডারগার্টেন রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার, যাতে এক কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতেন ১১ লাখ শিক্ষক (নয়া দিগন্ত, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০)। এ ছাড়াও ৪০ হাজার কওমি মাদরাসায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে পাঠ দানে প্রায় তিন লাখ শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছেন। আজকের এই লেখায় শুধু বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দুরবস্থার কথা আলোচনা করা হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের ভয়াবহতার কথা জানার সুযোগ কম। কারণ মাদরাসা শিক্ষার ক্ষতির শিকার হওয়া দিকগুলো সাধারণত সেক্যুলার মিডিয়ার দৃষ্টি কখনো আকর্ষণ করতে পারে না। কিন্তু এসব মাদরাসার বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো ঘটনা ঘটলে সেগুলো অনেক মিডিয়ায় অনবরত রসিয়ে রসিয়ে প্রতিবেদন করা হয়। তবে এতটুকু বোঝা যায়, মাদরাসাগুলোর বেশির ভাগই গ্রাম-গঞ্জে থাকায় সেগুলোর শিক্ষকরাও খেয়ে না খেয়ে দিনকাল পার করছেন।

ময়মনসিংহ শহরে উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৫ বছরের একজন অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষক মো: আবুল কালাম আজাদ অটোরিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করার সংবাদ পাওয়া যায়। তিনি দীর্ঘ ৩৯ বছর বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করে দুই লাখ ৮৭ হাজার টাকা পেনশন পেয়ে গৃহশিক্ষকতা করে পরিবার চালাচ্ছিলেন। করোনায় তা-ও বন্ধ রয়েছে বলে তাকে অটোরিকশা চালাতে হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার আদাবরের এক কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগমকে রাস্তার ধারে আম ও লিচু বিক্রি করতে দেখা যায়। হবিগঞ্জের শিক্ষক চা-কফি বিক্রি করছেন, দিনাজপুরের শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করছেন, গাইবান্ধার শিক্ষক মেহেরুল ইসলাম নৌকা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করছেন। শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে গিয়ে এখন মরিচ চাষ করছেন। এরই মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফুলকুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাইস্কুলের সামনে নোটিশ ঝুলছে ‘ফার্নিচারসহ স্কুল বিক্রি হবে’। স্কুলটি ২০০৪ সালে জনৈক তকবির হোসেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন (প্রথম আলো, ১৮ জুলাই ২০২০)। জানা যায়, করোনার সঙ্কটের মধ্যে সাধারণ পণ্যসামগ্রীর মতোই হরহামেশা ‘বিক্রি হচ্ছে’ স্কুল-কলেজ। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় আর্থিক দুরবস্থার কারণেই মূলত এসব প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিচ্ছে মালিকপক্ষ। গত প্রায় ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে দেশে যে পরিমাণ স্কুল-কলেজ বিক্রি হয়েছে করোনার এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিক্রির সেই মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিক্রির এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কিন্ডারগার্টেন, এরপর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়, কোচিং সেন্টার ও বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাব বা কোচিং সেন্টার (নয়া দিগন্ত, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০)। এ দিকে গাইবান্ধার একটি কিন্ডারগার্টেনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ আলম আর চলতে পারছেন না। লাখ টাকা ধারদেনা হয়ে যাওয়ায় এলাকায় বের হলেই দোকানদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে বাকির টাকা চাইতে আসেন। শেরপুরের নকলা উপজেলার শিক্ষক আবদুল জলিল কচু বিক্রয় করে চলছেন। ঢাকার মগবাজারের পেয়ারাবাগ মসজিদের সামনে ২১ বছর ধরে শিক্ষকতা করা, থমাস হাওলাদার স্কুলের পাশেই সবজি বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করছেন। ২০০৩ সালে ঢাকার আদাবরে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করা নিজাম উদ্দিন আদাবরেই চা বিক্রি করছেন (প্রথম আলো, ২ জুলাই ২০২১)। যশোরের উপশহর মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম ২০১৫ সাল থেকে কর্মরত। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেতনভাতা দীর্ঘ দিন বন্ধ। পরিবারের চার সদস্য নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়ে নিরুপায় হয়ে আর্থিক সহায়তা চাইতে ফেসবুকের আশ্রয় নিয়েছেন (প্রাগুক্ত, ৩ জুলাই ২০২১)। ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি কিন্ডারগার্টেনের ষাটোর্র্ধ্ব একজন প্রধান শিক্ষককে স্থানীয় একটি গরুর খামারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে দেখা যায়। আবার আরেকজন তরুণ শিক্ষককে একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহের খবর জানা গেছে। কুড়িগ্রামের উলিপুরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম তার আরো চার সহকারী শিক্ষকসহ ‘কাবিখায়’ ২০০ টাকার মজুরি হারে, ৮০ দিন কাজ করেছেন। সেখান থেকেও স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকদেরকে জনপ্রতি চার হাজার টাকা করে ‘চাঁদা’ দিতে হয়েছে বলে জানা যায় (নয়া দিগন্ত, ৬ আগস্ট ২০২১)। বগুড়ার স্কুলশিক্ষিকা মায়িশা ফারাহ শিশুসন্তানের দুধ কিনতে মানুষের কাছে রাস্তায় হাত পাতছেন। তিনি স্থানীয় একটি কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ নিয়েছেন (প্রথম আলো, ১০ আগস্ট ২০২১)।

গত বছর করোনা মহামারী শুরুর পরপরই বাংলাদেশ সরকার ২৩টি প্যাকেজে এক লাখ ২৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে (প্রাগুক্ত, ১৪ জুলাই ২০২১)। গার্মেন্ট শিল্প মালিকদের পাঁচ হাজার কোটি টাকা, কৃষকদের পাঁচ হাজার কোটি টাকা, এসএমই শিল্প খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা, রফতানি উন্নয়ন তহবিল খাতে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা এবং প্রাক-জাহাজীকরণ খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ডাক্তার, বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার সদস্যদের ঝুঁকিভাতা বা বীমা প্রকল্প এবং অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষার আওতায় দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানরত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়মিত বেতনভাতা যথারীতি চালু রয়েছে। আবার এ বছর নিম্নআয়ের মানুষকে সহায়তা করার জন্য নতুন করে আরো তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থাৎ, ২০২০ এবং ২০২১ সাল মিলিয়ে মোট ২৮টি প্যাকেজে এক লাখ ৩১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। নতুন এই প্যাকেজের আওতায় ৪৫০ কোটি টাকা শ্রমজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য, ওএমএস খাতে ১৫০ কোটি টাকা, খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া খাতে ১০০ কোটি টাকা, গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা খাতে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং পর্যটন খাতে এক হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে (প্রাগুক্ত)। অর্থাৎ দেশের প্রায় সব শ্রেণীর ও পেশাজীবী মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর মতো পরিমাণ প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এই মানুষগুলো সাধারণত কোথাও হাত পাততে পারেন না বা লাইনে দাঁড়িয়ে ওএমএসের সামগ্রী ক্রয় করতে পারেন না। বিত্তবানরাও তাদেরকে দান-খয়রাত করেন না। অন্য দিকে এই শিক্ষকদের চাকরি তো গেছেই, সেই সাথে গেছে সামান্য বাড়তি আয়ের অবলম্বন টিউশনিটাও। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার গত বছর বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ৮০ হাজার ৭৪৭ জন নন-এমপিও শিক্ষককে জনপ্রতি পাঁচ হাজার এবং ২৫ হাজার ৩৮ জন নন-এমপিও স্টাফের জন্য আড়াই হাজার টাকা করে মোট ৪৬.৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। অথচ নন-এমপিও স্কুল-কলেজের শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ (ডেইলি স্টার, ৫ অক্টোবর ২০২০)। এ বছরও অনুরূপ এককালীন অনুদান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। তবে জুলাই মাস পর্যন্ত অর্ধেকেরও অনেক কম নন-এমপিও শিক্ষক পাঁচ হাজার টাকা করে এই অনুদান পেয়েছেন বলে প্রকাশ।

দীর্ঘ প্রায় ৫০০ দিন একটানা বন্ধের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক-স্টাফরা বেঁচে থাকার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। ১৬ মার্চ ২০২০ মহামারীর কারণে বন্ধের পরপরই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দূরশিক্ষণে পাঠদান শুরু করেছে। এই দূরশিক্ষণে পাঠদান স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার চেয়ে অত্যন্ত শ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল। তদুপরি শিক্ষকরা দায়িত্বের তাগিদে ও অস্তিত্বের সংগ্রামের তাড়নায় অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ সরকারি রেডিও-টেলিভিশনে এই শিক্ষাকার্যক্রমে বাস্তবে মাত্র ২ শতাংশ প্রাথমিকে এবং ৩ শতাংশ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে বলে পিপিআরসি (Power and Participation Research Centre) এবং বিআইজিডি (Brac Institute of Governance and Development) গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে (প্রাগুক্ত, ১১ মে ২০২১)। অন্য দিকে গত বছরের শেষ দিকে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত যে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালানো হয়েছিল তার কার্যকারিতাও খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এই অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়ে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কোনো ধরনের সার্ভে বা গবেষণা না হওয়ায় এর সামগ্রিক চিত্র সবারই অজানা। কিন্তু প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এর ফলাফল বা কার্যকারিতা খুব একটা উৎসাহব্যঞ্জক নয় বলে অনেকেই দেখেছেন। শিক্ষাব্যবস্থার এমন একটা পর্যায়ে শহরভিত্তিক বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম নিবু নিবু করে জ্বালিয়ে রাখার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে শিক্ষাব্যবস্থা আপাতত পুরোপুরি ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই পেতে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে পরীক্ষারও ব্যবস্থা করছে। এসব পরীক্ষায় আশাব্যঞ্জক সাড়াও মিলছে। অনলাইন শ্রেণী কার্যক্রমে উপস্থিতি প্রায় ৩০ শতাংশ থাকলেও এ পরীক্ষাগুলোতে ৯৫ শতাংশের উপরে অংশগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। অর্থাৎ আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা পরীক্ষাকেন্দ্রিক হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ঘোষণা শুনলেই পড়ার টেবিলে বসে, একটু সিরিয়াস হয়। অভিভাবকরা তাই এসব অনলাইন পরীক্ষায় আগ্রহের সাথে সন্তানদের যুক্ত করে থাকেন। সব মিলে এই অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম ‘মন্দের ভালো’ হিসেবে দেশের অ্যাকাডেমিক ব্যবস্থাকে বিকল্পভাবে কার্যকর রেখেছে বলে অভিভাবকরা মনে করেন।

অর্থনীতির প্রায় সব খাত প্রণোদনা পেলেও কিন্ডারগার্টেন ও মাধ্যমিক মিলে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এর আট লাখ শিক্ষককে বাঁচিয়ে রাখার মতো প্রণোদনা পাওয়া যায়নি (শুধু বছরে পাঁচ হাজার টাকার অনুদান ছাড়া)। ইতোমধ্যে ইউনেস্কো বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯টি দেশে দীর্ঘ দিন একটানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ‘প্রজন্ম বিপর্যয়ের’ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে; কিন্তু আমরা এখনো জানি না, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কবে খুলবে।

লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Email: maksud2648@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement