১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘আল সিসি আল্লাহর নেয়ামত’

‘আল সিসি আল্লাহর নেয়ামত’ - ছবি : সংগৃহীত

ইজিপশিয়ান ফ্রিডম পার্টির প্রেসিডেন্ট সালাহ হাসাবাল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন, সংবিধানে যেসব রদবদল আনা হয়েছে, সেসব করা হয়েছে দেশের স্বার্থে, প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সুবিধার জন্য নয়। তিনি দেশে সংবিধান পরিবর্তন ও রেফারেন্ডামে জনগণের সম্পৃক্ততার প্রশ্নে কথা বলছিলেন। তার স্লোগান ছিল ‘দায়িত্ববান হন, সরকারকে সহায়তা করুন’। তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা অংশগ্রহণ না করলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে!’

হাসাবাল্লাহ মুক্তকণ্ঠে বলে বেড়ান, ‘মিসরের জন্য আল সিসি আল্লাহর নেয়ামত।’ গতবার সাজানো নির্বাচনে হাসাবাল্লাহ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তার মতো আরো ৪৮৫ জন সংসদ সদস্য সিসিকে সমর্থন করে দল ভারী করেছেন। মিসরীয় পার্লামেন্টে সদস্য সংখ্যা ৫৯৬ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠরা সংবিধানের ধারা পরিবর্তন করে এমন করতে চান, যাতে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ২০৩৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারেন, তার একনায়কতন্ত্র বহাল থাকে ও আইনসিদ্ধ হয়। এ জন্য তার একটি অনুগত বাহিনী দরকার। সেটি এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। এবার ২০৩৪ সাল পর্যন্ত শাসন করার প্রক্রিয়ায় হাত দেয়ার কাজ চলমান। ২০৩৪ সালে সিসির বয়স হবে ৮৪ বছর। হোসনি মোবারকও ৩০ বছর মিসরে সেনা শাসন চালিয়েছিলেন।

সম্প্রতি দামিয়েতা প্রদেশে সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের সময় সিসি অভিযোগ করেন, প্রাইভেট কিছু কোম্পানি সরকারি জায়গা দখল করেছে, সেগুলো তিনি ফেরত চাইলে তার বিরোধিতা করছে। তিনি জোর গলায় বলেন, এসব চুরি সহ্য করবেন না। তিনি বলেন, ‘যারা আমাকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়, তারা আসলে আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করছেন; কেননা আমার সাথে কারো শত্রুতা নেই ও কোনো স্বার্থবিরোধও নেই।’

আজীবন দেশ শাসন করার ধারায় এবার সরকারি কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্ট ডিক্রির মাধ্যমে আলেকজান্দ্রিয়ার আবু আল ইখলাস আল জারকানি সুফি মসজিদটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সুফি মসজিদের বিপক্ষে অভিযোগ হলো- সেটি কোনো লাইসেন্স ছাড়াই সরকারি জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এখন আলেকজান্দ্রিয়ায় মাহমুদিয়া করিডোর প্রকল্পের কাজে মসজিদটি প্রতিবন্ধক বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। করিডোরে ৩০২ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ছয় থেকে আট লেনের সড়ক ও চারটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সিসি বলেন, ‘আল্লাহর রাসূলও সা: দেশের এমন কাজে মসজিদ ভাঙা অগ্রহণযোগ্য বলবেন না।’ এখন মাহমুদিয়া রোডে এরকম ১০টি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। মিসরের লোকজন ধর্মপ্রাণ, সে দেশে প্রচুর মসজিদ রয়েছে এবং এগুলোতে সবসময় মানুষের আনাগোনা থাকে। সুফি মসজিদগুলোতে নামাজের পর ছোট ছোট দলে বসে সুর করে বিভিন্ন অজিফা পড়া হয়। সরকারি জায়গায় অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠার গড়পড়তা অভিযোগে মসজিদগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্শা মাতরোতে বেদুইনরা বিক্ষোভ করেছে। কেননা তাদের মসজিদটি আরব আমিরাতকে উন্নয়নের জন্য দিয়ে দেয়া হয়েছে। বেদুইনরা সুফি সমাবেশের জন্য কোথাও কোনো স্থান পাচ্ছে না। কত দিনে উন্নয়ন কাজ শেষ হবে এবং কত দিন তাদের জিকির-আসকার বন্ধ রাখতে হবে, তা কেউ জানে না। নির্মাণ শেষে মসজিদটি কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করলে এই সুফি দল অনুমতি পাবে কি না, সেটিও আরেক বিষয়। মিসরের ‘ইজিপ্ট ইন্ডিপেনডেন্ট’ পত্রিকা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, সুফি আন্দোলনের নেতা মোহাম্মদ ফাউদা প্রতিবাদ করলেও একসময় ঝিমিয়ে পড়েন। তার মতে, ‘সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে কতটুকু লড়াই করা যায়?’ যারা বিরোধিতা করেন তাদের বিরুদ্ধে খুব কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হয়। বিনা চার্জে এমন একজন, কায়রোর ওয়ারাক দ্বীপের নাসের আবুল এনিনকে ১৫ দিন আটক রাখা হয়। সিসি দাবি করেন, ওয়ারাক দ্বীপে ৫০ হাজার মানুষ অবৈধভাবে সরকারি ভূমিতে বসবাস করছে। দ্বীপটি সাজিয়ে গুছিয়ে পর্যটনের জন্য উপযুক্ত করতে ৭০০ ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ওই সময় কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হয় এবং ১৯ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কয়েক বছর আগে ব্রাদারহুড পরিচালিত শত শত মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং তাদের ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ জব্দ করা হয়েছে।

সিসির এসব কঠোরতাকে আল আজহারের সাবেক গ্রান্ড মুফতি আলী গুমাহ সমর্থন দিয়ে আসছেন। ড. আলী গুমাহ ২০০৩ সালে হোসনি মোবারকের আমলে গ্রান্ড মুফতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি শাফেয়ি মাজহাবভুক্ত এবং সপ্তাহে হাজার হাজার ফতোয়া দেন। এ পযর্ন্ত ২৭টি আরবি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যদিও ইংরেজিতে কোনো গ্রন্থ নেই। ইসলামী বিশ্বে তিনি একজন বড় মাপের স্কলার ও প্রেসিডেন্ট সিসির বন্ধু স্থানীয়; ইদানীং বিতর্কিত কিছু ফতোয়া ও কাতার বিষয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে খুব কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তাকে সুফি ভাবধারার একজন ইসলামী স্কলার হিসেবেও মিসরে ও মুসলিম বিশ্বে বিবেচনা করা হয়। সুফিজমের মৌলিক বিষয় আত্মাকে পরিচ্ছন্ন করে সৃষ্টিকর্তার নিকটবর্তী হওয়া। মিসরে সুফিবাদও অত্যন্ত জনপ্রিয়।

সিসিপন্থী আল আজহারের এই সাবেক গ্রান্ড মুফতি ফতোয়া দিয়েছেন, ‘প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো ও মূর্তি ইত্যাদি ধ্বংস করা বিধিসম্মত নয়। তা হলে মিসরের বিলিয়ন ডলারের পর্যটন খাত ধ্বংস হয়ে যাবে।’ ‘স্ত্রীকে মারধর করা যাবে’ এসব ফতোয়ার জন্য তাকে ‘মূর্তি মুফতি’ ও ‘বউ পেটানো মুফতি’ নামেও ডাকেন লোকজন। তিনি আন্দোলনকে অনুমোদন দিয়েছেন, বিক্ষোভকে অনুমোদন দেননি। তাই প্রেসিডেন্ট সিসির বিক্ষোভবিরোধী নীতিতে সমর্থন করে তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ফতোয়ায় বলেছেন, ‘আধুনিক রাষ্ট্রের কর্ণধার মহিলা হতে পারেন।’ ‘মহিলাদের খতনা (এফএমজি) নিষিদ্ধ, তবে অইসলামী নয়।’ ‘পশ্চিমা দেশে ও অমুসলিম দেশে শূকরের মাংস ও মদ বিক্রি বৈধ’। এসব ফতোয়া মুসলিম বিশ্বকে পক্ষে-বিপক্ষে হইচই অবস্থায় ফেলে দেয়। মিসরের রাজনীতি ও ইসলামী জগতে আলী গুমাহর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে, অনুসারীও প্রচুর। গুমাহ বলেন, ‘ব্রাদারহুড রাজনৈতিক ফায়দা লুটের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে।’ অথচ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সিসি সরকারকে তিনি উচ্চকণ্ঠে সহায়তা দিয়ে অনেকের মতো ‘দরবারি আলেম’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।

গত অক্টোবরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ২২২ জন সদস্য মিসরের প্রেসিডেন্ট আল সিসির কাছে বিনা বিচারে আটক বন্দীদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৬ জন কংগ্রেস সদস্যও একই আহ্বান জানান। তারা আরো সতর্কবাণী দেন যে, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেয়া না হলে, তাদের মেসেজকে মূল্যায়ন করা না হলে যুক্তরাষ্ট্র অবরোধ শুরু করবে। হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন হিসাব দিয়েছে, মিসরের জেলখানাগুলোতে মহামারীর এ সময়ে ৬০ হাজার রাজনৈতিক বন্দীকে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। হাজার হাজার বন্দী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে কোনো চার্জও নেই, কোনো বিচারও হচ্ছে না।

ব্রাদারহুডকে নির্মূল করার জন্য সিসি সরকারের সাথে কাজ করছেন ড. আলী গুমাহ। সিসি সরকার মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে এবং প্রতিবাদীদের জেলে পুরছে। এ ছাড়াও ইসলামী বইপত্র নিষিদ্ধ করেছে। কারজাভি ছাড়াও শেখ মোহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব, ইমাম ইবনে তাঈমিয়া, শেখ ইবনে বাজ, শেখ ইবনে উসাইমিন, শেখ ইবনে ইসহাক আল হুআইনি, শেখ মোহাম্মদ হোসেইন ইয়াকুব, শেখ মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ স্কলারের বইও মিসরে নিষিদ্ধ। মসজিদে থেকে এসব লেখকের হাজার হাজার বই উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।

ধর্মীয় রাজনীতির উত্থান বন্ধ করা, ব্রাদারহুড পরিচালিত শত শত মসজিদ বন্ধ করাসহ ব্রাদারহুডের সব ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মসজিদের খুতবা নিয়ন্ত্রণে খুতবার টেক্সট এখন মসজিদে মসজিদে পাঠানো হয়, রাষ্ট্রীয় সনদপ্রাপ্ত ইমামদের মাধ্যমে শুক্রবার মসজিদে খুতবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গুমাহর মতো স্কলারদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে। গুমাহর মতো আল আজহারের শেখ সাদ আল দ্বীন আল হেলালি বলেন, ‘সিসি যেন এক আল্লাহর রাসূল।’ তিনি আরো বলেন, মুসলিম ব্রাদারহুড ‘একত্ববাদে’ বিশ্বাসী নয়। গুমাহর আরো অনেক সমর্থক আলেম সিসির প্রশংসায় কবিতা লিখে থাকেন, এসব গীতি কবিতা ও সিসির প্রশংসা-কীর্তন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়। সিসির কর্মকাণ্ড আলী গুমাহ ছাড়াও মিসরীয় আলেমদের বড় একটি দল সমর্থন করে, বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় খেতাব ও আর্থিক সুবিধা পায়।

এই দলের অনেকে বলেন, ‘সিসি একজন সংস্কারক, তাই নবীদের মর্যাদাসম্পন্নব্যক্তিত্ব’। ব্রাদারহুডের যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের উদ্দেশ করে সরকারপন্থী আলেমরা বলেন, ‘এরা দোজখের কুকুর’। আলী গুমাহ ও তার সমর্থকদের মতে, যারা বিক্ষোভের সময় পাথর ছুড়েছে তারা খারেজি। মুসলিম ব্রাদারহুড হোক বা যে-ই হোক, খারেজিকে হত্যা করা ইসলামে অনুমোদিত, সিসি ঠিক কাজই করছেন। গত ৭ জুলাই দু’টি বিতর্কিত ফতোয়া দেন মুফতি গুমাহ, ‘মহিলাদের মাথার কাপড় বা হিজাব খুলে ফেলা কোনো কবিরা গুনাহ নয়।’ ‘কেউ আত্মহত্যা করলে সে নাস্তিকের কাতারে যাবে না, তবে আল্লাহর কাছে নির্লজ্জ বিবেচিত হবে।’ তার অনুসারীরাও ফতোয়ায় কম যান না, ধর্মপ্রচারক সাবরি আবদুর রউফ ফতোয়া দিয়েছেন, ‘মৃত স্ত্রীর সাথে সহবাস ইসলামে নিষিদ্ধ নয়।’ সোয়াদ সালেহ ফতোয়া দিয়েছেন, ‘পশুদের সাথে যৌনকর্ম নিষিদ্ধ নয়।’ এই হলো অবস্থা! কত নির্লজ্জতা! কী রকম পশু চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ!

আলী গুমাহর সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সিসির ক্ষমতা গ্রহণকে নবী মুহাম্মদ সা:-এর মক্কা বিজয়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে। ফলে খোদ মিসর ও মুসলিম বিশ্বে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মুসলমান, সুফি শ্রেণী ও রাসূল সা: প্রেমীরা খুবই ক্ষেপেছেন। সিএনএনের আরবি সম্প্রচারে আলী গুমাহ সিসির ক্ষমতায়নকে আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ অবদান হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।

গুমাহ মাঝে মধ্যেই মুসলিম বিশ্বে বিতর্ক সৃষ্টিকারী বক্তব্য দিয়ে বিশেষ করে উম্মাহর সুন্নি ভাবধারার অনুসারীদের হকচকিত করেন। সেনাবাহিনীর বিক্ষোভ দমনকে তিনি বলেছিলেন, ‘ওদের বুকে গুলি করে শেষ করে দিন। ওরা মুনাফিক ও ধর্মত্যাগী!’ ‘আল্লাহ ও রাসূল সা: আপনাদের সাথেই আছেন। আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন, আমিন।’ তিনি এভাবেই মিসরে চলমান বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড সমর্থন দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ‘ব্রিটেনের রানী আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ সা:-এর বংশধর! গুমাহ বিব্রতকর ফতোয়ায় বলেন, ‘যিনি প্রেসিডেন্ট সিসিকে মান্য করেন তিনি রাসূল সা:কে মান্য করেন।’ এসব ফতোয়ার কারণে গুমাহর মুসলিম স্কলারের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়।

দমননীতি, হত্যা, রাবা গণহত্যা ও জেলে রাজবন্দীদের মৃত্যু নিয়ে সিসি বিশ্বব্যাপী সমালোচিত। সিসির এসব কর্মকাণ্ডে আলী গুমাহ অকুণ্ঠ সমর্থন দেন। এসব বিতর্কিত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে সেক্রেটারিয়েট অব ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস’ জুলাই-২০২১, মুফতি আলী গুমাহকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পদচ্যুত করে বিদায় জানিয়েছে।

ভ্যাটিকান যেভাবে খ্রিষ্টান জগৎকে পথ দেখায়, তেমনিভাবে আল আজহারেরও উচিত মুসলিম বিশ্বকে রাজনৈতিক পথ দেখানো এবং উম্মাহর সম্মিলনে নেতৃত্ব দেয়া।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব


আরো সংবাদ



premium cement