১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসছে তালেবান

আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসছে তালেবান - ফাইল ছবি

তালেবান মুখপাত্রের ভাষ্যমতে, ইদানীং আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের ৪২১টি জেলার ৮৫ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে। তুমুল যুদ্ধ চলছে দেশজুড়ে। রাজধানী কাবুলের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর মতে, ছয় মাসের মধ্যে তালেবানরা কাবুল দখল করে বসবে। এরই মধ্যে ইরান-আফগান, আফগান-পাকিস্তান, আফগান-চীন সীমান্ত ক্রসিং ও বাণিজ্যিক রুট তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির অনুগত সেনারা অনেক জায়গায় আত্মসমর্পণ করছে এবং প্রায় এক হাজার সেনা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিপুল অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান তালেবানের দখলে চলে গেছে এবং যাচ্ছে। এ দিকে আফগান যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী মার্কিন জেনারেল অস্টিন মিলার ১২ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার ত্যাগ করেন। এতে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আফগান মিশনের যবনিকাপাত ঘটল।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, তালেবান আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে এলে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে। নির্বাচনপদ্ধতি কেমন হবে? আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান, ইরান, চীন, ভারত রাশিয়ার নতুন ব্যাকরণের ধারাপাত শুরু হবে। চীন চাইবে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ উন্নয়ন কৌশলের অধীন অর্থনৈতিক করিডোরে আফগানিস্তানকে যুক্ত করতে। নারীরা শিক্ষা ও কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়ে গৃহবন্দী হয়ে পড়বে ইত্যাদি। দ্রুত দৃশ্যপট পাল্টাচ্ছে। অগ্রিম মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। পরিস্থিতিই সমাধানের পথ বের করে দেবে। ঘটনাপরম্পরা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, ৩০ বছর আগের তালেবান আর বর্তমান তালেবান এক নয়। দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করার মতো। বর্তমান নেতৃত্ব অনেকটা পরিপক্ব, প্রতিবেশীসহ বিশ্বের দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ইচ্ছুক। আশরাফ গনির সরকার ও তালেবানদের মধ্যে দোহায় একটি আলোচনা বৈঠকের তৎপরতাও চলমান। ইউনিসেফ আফগানিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে কয়েক হাজার অনানুষ্ঠানিক স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য তালেবানের সাথে চুক্তি করেছে গত ডিসেম্বরে। এসব স্কুলে পড়বে এক লাখ ৪০ হাজার আফগান ছেলেমেয়ে। একশ্রেণীর মিডিয়া নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তালেবান নিয়ে ভীতি ও হতাশা ছড়াচ্ছে।

সামাজিক শক্তিই হচ্ছে তালেবানের সাফল্য ও অগ্রযাত্রার অন্যতম নিউক্লিয়াস। মসজিদ, মাদরাসা, খানকা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত তালেবানের অপ্রতিহত প্রভাব আছে সমাজের ওপর। আফগান সমাজের নারী-পুরুষ নিজস্ব ঐতিহ্য ও শরিয়তি বিধিবিধান মেনে চলতে অভ্যস্ত। পশতু, তাজিক, হাজারা ও উজবেক জনগোষ্ঠী নিয়ে আফগান রাষ্ট্র গঠিত হলেও বিদেশী আগ্রাসী শক্তির প্রতিরোধে সবাই এক ও একতাবদ্ধ। ৯৯ শতাংশ মুসলমানের সবাই সুন্নি ও হানাফি মাজহাবের অনুসারী। তালেবানের বৃহত্তর অংশ দেওবন্দি ধারার মাদরাসায় শিক্ষাপ্রাপ্ত। গোত্র সরদারদের কওমচেতনা (আসাবিয়াহ) ও চার লক্ষাধিক তালেবানের শক্তিমত্তার সমন্বয়ের ফলে এক অপ্রতিরোধ্য বিক্রম ও তেজস্বীতার জন্ম হয়েছে দেশটিতে।

আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বহিরাক্রমণে এ দেশটি বারবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। সুপ্রাচীন কাল থেকে বহু বাণিজ্য কাফেলা আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে চলাচল করেছে এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্য এই দেশের বৈশিষ্ট্য। ইতিহাস সাক্ষী, আফগান জনগণ বংশ পরম্পরায় বৈদেশিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। মহাবীর আলেকজান্ডার, ব্রিটিশ রাজকীয় বাহিনী, সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বশেষ ন্যাটো ও মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান দখল করে বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হয়েছে ব্যর্থতার গøানি নিয়ে। রেখে গেছে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও অনেক বেদনার স্মৃতিচিহ্ন। ১৮৪২ সালে প্রথম অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন ডা: উইলিয়াম ব্রাইডনের ডায়েরি থেকে জানা যায়, চার হাজার ৫০০ সেনাসদস্য ও ১২ হাজারের মতো কর্মচারীর লাশ আফগানিস্তানে রেখে ব্রিটিশ বাহিনীকে কাবুল থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে জালালাবাদ গ্যারিসনে ফিরে আসতে হয়। ডা: ব্রাইডন ছিলেন একমাত্র জীবিত সদস্য। বাকিগুলো বরফাচ্ছাদিত পার্বত্য গিরিপথে আফগান গেরিলাদের হাতে প্রাণ হারায়। তালেবান যোদ্ধারা ৩০ বছর লড়াই করেছে দুই পরাশক্তির আগ্রাসন মোকাবেলায়। ১০ বছর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত ৩৬টি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তারা। কত তালেবান শহীদ হয়েছেন তার নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকলেও বিশ্লেষকদের অনুমান, তাদের সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজারেরও বেশি। ১৯৭৯-৮৯ পর্যন্ত ১০ বছরে ১৫ হাজার সোভিয়েত সেনা তালেবানের হাতে প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে ৩৫ হাজার সেনাসদস্য।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্থল, নৌ ও বিমানসেনা এবং ন্যাটোর অধীন বহুজাতিক বাহিনী নিয়ে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে ঝাঁপিয়ে পড়ে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এ ঠুনকো অজুহাতে। আমিরুল মুমিনিন মোল্লা ওমরের সরকারকে উৎখাত করে কাবুল দখল করে নেয়। সরকার থেকে উৎখাত হলেও তালেবানরা মাটি ও মানুষ থেকে উৎখাত হয়নি। জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। মার্কিন বাহিনী ও ন্যাটো ২০ বছর সর্বাত্মক যুদ্ধ করেও তালেবানদের পরাজিত করা তো দূরের কথা, নিজেরাই হেরে গেল। পাকিস্তানের মধ্যস্থতায় কাতারে তালেবানের সাথে চুক্তি করে ৩১ আগস্টের মধ্যে সব সেনা আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়ার চুক্তি করে মার্কিন প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে ২ জুলাই মধ্য এশিয়ার বৃহত্তর বাগরাম ঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছে মার্কিন সেনারা। আলো নিভিয়ে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে না জানিয়ে অরক্ষিত অবস্থায় মধ্য রাতে তারা ঘাঁটি ত্যাগ করে। ২০ বছরের যুদ্ধে আমেরিকা মূলত পরাজিত হয়েছে। তাদের প্রাপ্তি বেশি নেই, বরং ক্ষয় ও লয়ের তালিকা দীর্ঘ। বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন মতে, দীর্ঘস্থায়ী আফগান যুদ্ধে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর খরচ হয়েছে ২.২৬ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজার ৫০০ সেনাসদস্য। আহত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার। উপরন্তু এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে দুই লাখ ৪১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় পরাজয়ের দুঃসহ স্মৃতির সাথে যুক্ত হলো আফগান ট্র্যাজিডি। ১৯৬৫-৭৫ সালের মধ্যে ৫৮ হাজার ৩০০ মার্কিন সেনা ভিয়েতনামে মারা যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে পরিবর্তন আসেনি। সরকার পরিবর্তন হলেও পরদেশে আগ্রাসন, গুপ্তহত্যা, সরকার উৎখাত প্রভৃতি কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র সরানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পেন্টাগন। বিদেশী কূটনীতিক, তাদের পরিবার ও এনজিও কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ৭০০ সেনা কাবুলে রাখতে চেয়েছিল মার্কিন প্রশাসন; কিন্তু তালেবানরা এতে সম্মত হয়নি। এক দিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের ভ‚খণ্ডে আমেরিকাকে কোনো ঘাঁটি করতে দেয়া হবে না। বারাক ওবামার আমলে ইসলামাবাদের সহায়তায় মার্কিন সেনারা খায়বার পাখতুনখা প্রদেশের ওয়াজিরিস্তানের পার্বত্যাঞ্চলে বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়ে তিন হাজার তালেবানসহ সামরিক ও বেসামারিক ৬৫ হাজার নাগরিককে হত্যা করে। এতে চার লাখ ৭০ হাজার বেসামরিক নাগরিক বাস্তুহারা হয়। এক লাখ উদ্বাস্তু আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে ঢুকে পড়ে। পাকিস্তানের সাথে তালেবানের সম্পর্ক আগে থেকেই মজবুত। অন্য দিকে ইরান ও তালেবানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলছে চীন। দীর্ঘ রেললাইন স্থাপনসহ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের অফার রয়েছে চীনের হাতে। খনিজসম্পদ উত্তোলনে চীনের সাথে আফগানিস্তানের বেশ ক’টি চুক্তি আছে। চীন সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে। তালেবান যে চীনের বন্ধু হয়ে উঠবে, সেটিই স্বাভাবিক। আফগানিস্তান থেকে চলে আসার পেছনেও মার্কিনিদের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে নিশ্চয়ই। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, আমেরিকা এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে মনোযোগ নিবদ্ধ করতে পারে।

৩০ বছরের যুদ্ধে আফগানিস্তান প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ব্যবসায়-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি, শিল্পকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব বন্ধ। এটি বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশে পরিণত হয়েছে। এডিবির তথ্য মতে, ৫৪.৪ শতাংশ আফগান দরিদ্র। প্রায় পৌনে চার কোটি মানুষের এই দেশে এখনো দৈনিক যাদের আয় ১ দশমিক ৯ ডলারের মতো। জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার হিসাব মতে, চলতি সালে দেশটিতে দুই লাখ ৭০ হাজার মানুষ নতুন করে বাস্তুহারা হয়েছে। ৩৫ লাখ মানুষ এখন গৃহহীন। গত বছরের চেয়ে এ বছর বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ২৯ শতাংশ বেড়েছে। আফগানিস্তান এখন মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। আশার খবর হচ্ছে, দেশটিতে যদি রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটে এবং সামাজিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ফিরে আসে, তবে তিন ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের উত্তোলনযোগ্য যে পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে এগুলোর প্রযুক্তিভিত্তিক সদ্ব্যবহার করা গেলে আফগানিস্তান অর্থনৈতিকভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। খনিজসম্পদ আফগান অর্থনীতির মেরুদণ্ডে পরিণত হতে পারে আগামী দিনগুলোতে।

২০০৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ‚তাত্তি¡ক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, উত্তর আফগানিস্তানে গড়ে ২৯০ শত কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত খনিজ তেল ও ১৫.৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ আছে। আফগানিস্তানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লিথিয়াম রয়েছে। এ ছাড়াও দেশটিতে তামা, স্বর্ণ, কয়লা, লোহার আকরিক এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ রয়েছে। হেলমান্দ প্রদেশের খানাশিন এলাকার কার্বোনাটাইট শিলাতে এক কোটি টনের মতো দুর্লভ ধাতু রয়েছে। আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা অনুমান করেন, দেশটির ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত খনিজসম্পদের মূল্য কমপক্ষে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সেনার বিদায় একটি বার্তা দিচ্ছে, তা হলো- আগ্রাসী শক্তি যতই প্রযুক্তিনির্ভর হোক, পরমাণু শক্তির মালিক হোক, সাহসী প্রতিরোধযোদ্ধাদের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা, মানসিক প্রতাপ ও বিক্রম তাদের থাকে না। বন্দুকের জোরে কোনো দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টে দেয়া সম্ভব নয়। তালেবানের বিজয় দেশে দেশে প্রতিরোধযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত আক্রমণের ফলে পাকিস্তানে আশ্রিত বাস্তুহারা ৩০ লাখ ও ইরানে আশ্রিত ১৫ লাখ আফগান শরণার্থী স্বদেশে ফিরে জাতি পুনর্গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক
drkhalid09@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement