২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শোকের মধ্যে বিনোদনের ঘোর

-

কসাই দোকানের সামনে সারি করে গরু বেঁধে রাখে। সুন্দর সুশ্রী গরু দেখে ক্রেতারা ঝুলিয়ে সাজিয়ে রাখা গোশত কিনতে আকৃষ্ট হন। ছাগল ভেড়ার গোশত বিক্রেতারাও এ কাজ করেন। সারি সারি পশুর মধ্য থেকে একটি একটি করে পশু তারা জবাই করেন। একটি গরু বেঁধে একজন কসাই একাই জবাই করে ফেলেন। সামনে সারি বাঁধা গরু তখন জাবর কাটে। খড়কুটা চিবায়। খড়কুটাও তাদের কাছে বেশ মজার। নিজের গোত্রের একেকটি পশু যখন কসাইয়ের ছুরির কোপ থেকে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করে, পাশের পশুরা সেটা বুঝতে পারে না। গরুর গায়ে যে শক্তি রয়েছে তা যদি পুরোপুরি প্রয়োগ করে মানুষ এত সহজে গরু জবাই করতে পারে না; কোনোভাবে তাদের বাগে আনতে পারে না। কিন্তু এ পশুরা জীবনমৃত্যুর কোনো তফাত করতে পারে না। নিজেদের রক্তের আত্মীয়রা যখন খুন হয় তাদের সামনে, তারা তখন জাবর কাটে বা সামান্য খড়কুটো মজা করে খেতে পারে। মূল ব্যাপার হচ্ছে, পশুগুলোকে অনুগত করে রাখা হয়েছে।
পশু জগতে মানুষ ছাড়াও বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রাণী দেখা যায় যারা একে অপরের সুখ দুঃখ বুঝতে পারে। বাঘ সিংহ যখন তাদের আক্রমণ করে তখন নিজের প্রজাতির পশুদের সাহায্য করার জন্য তারা এগিয়ে আসে। প্রাণপণ লড়াই করে মাতা-পিতা ভাইবোনদের বাঁচায়। এক দল বাঘ একটি হস্তি শাবক শিকারের জন্য ঘিরে ধরে। দেখা গেল, তার সাথে থাকা তার চেয়ে কিছুটা বড় তার ভাইটি বাঘদের রুখে দাঁড়ায়। সেই ভাই জীবন বাজি রেখে এক দল বাঘের বিরুদ্ধে একাই লড়ে যায়। অন্তত সে ঠেকিয়ে রাখে যাতে ছোট ভাইটির ওপর বাঘের থাবা না পড়ে। শেষে দেখা গেল হাতির দল এসে ভাইদের উদ্ধার করে। বড় ভাইটি পালিয়ে নিজের জীবন বাঁচাতে পারত সহজে। সেটা সে করেনি। ‘মানবিকতা’ বলতে আমরা যে গুণটি আরোপ করি, সেই গুণটি দেখা গেল এই তরুণ হাতির মধ্যে। এমন গুণ পশুজগতে আরো বহু প্রাণীর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। প্রাণীদের মধ্যে এমনও স্বভাব রয়েছে বিপদ আপদ ও দুঃখ শোকে তারা বিনোদন গ্রহণ করে না।

মানুষের মধ্যে পশুদের সব প্রবৃত্তি উপস্থিত। হিংস্রতা শত্রুতা যৌনতা ক্ষুধা তৃষ্ণাসহ আরো যত স্বভাব রয়েছে। তবুও মানব প্রজাতি অন্য পশু প্রজাতি থেকে আলাদা। কারণ মানুষের রয়েছে প্রত্যেকটি স্বভাবকে আলাদা করে চেনার সহজাত বৈশিষ্ট্য। একইভাবে মানুষ এগুলোকে নিজের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ বা দমন করতে পারে। সে জন্য ‘মানবিকতা’ নামক গুণটি প্রাণিজগতের সদস্য মানুষের জন্য আলাদা করে আরোপ করা হয়েছে। একদল মানুষকে বেঁধে রেখে তাদের সামনে একজন একজন করে জবাই করা হলে তারা খাদ্যগ্রহণ করতে পারে না। এমন পরিস্থিতি মানুষের সহ্য সীমার বাইরে; যদিও মানুষই নিজেদের প্রজাতির বিরুদ্ধে এমন বহু নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে। মানুষের নিজেদের রচিত ইতিহাসে এমন হাজারো ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। বসনিয়া, রোহিঙ্গা গণহত্যাসহ সমসাময়িককালে এমন বহু ঘটনার জন্ম দিয়েছে মানুষ। সারি বেঁধে জবাই করে হত্যা, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, জীবন্ত মানুষকে মাটিতে পুঁতে ফেলা, সদ্যপ্রসূত শিশুকে বল্লমের ফলার আঘাতে হত্যা করা ইত্যাদি এসব মানুষের বর্বর দলগুলো এ যুগেও করছে। কসাইয়ের দোকানের সামনে বেঁধে রাখা গরুর মতো আরেক দল অসহায় মানুষকে বাধ্য হয়ে এসব দেখতে হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে মানুষের ওপর এমন সব বর্বরতার বহু তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।

বর্বর ঘটনার তুলনা দিতে মানুষ কসাইয়ের উদাহরণ দেয়। তারা অনেক সময় কসাইকে ঘৃণা করেও বসে। যদিও পশু জবাই করে এর গোশত বিক্রি করা কোনো অগ্রহণযোগ্য কাজ নয়। পশু জবাই করে এর গোশত খাওয়া একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। এর ভ‚রি ভূরি নজির রয়েছে। বাঘ সিংহসহ অনেক পশুপ্রজাতির একমাত্র খাবার অন্য প্রাণীর দেহ। তারা সময়মতো একটি পশু মেরে খায়। আবার তারা কখনো অপচয় করে না। একটি বাঘ কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত অভুক্ত থাকে কখনো কখনো। এরপর যখন একটি প্রাণী শিকার করে তা পেট পুরে খায়। অযথা কোনো প্রাণী তারা হত্যা করে না। খাদ্য জমা করে রাখার জন্য তাদের কাছে ফ্রিজ নেই। আবার যে প্রাণীটি তারা খায় তার অবশিষ্টাংশ জঙ্গলের অন্যান্য প্রাণী এসে সাবাড় করে। শেষ পর্যন্ত হত্যা করা প্রাণীটির কোনো উচ্ছিষ্ট পর্যন্ত থাকে না। সেই অর্থে পশু জগতে কোনো অপচয় দেখা যায় না যেটা বর্তমান মানবসমাজে বিপুলভাবে দেখা যায়।

অন্য দিকে মানুষ এমন সব কাজ করে যাচ্ছে যেগুলো জঘন্য। বাংলাদেশে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিকের প্রাণহানি যেন সাধারণ ঘটনা। রানা প্লাজায় ভবন ধসে এবং একই সময় সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে বিপুল প্রাণহানির পর বিদেশী ক্রেতাদের চাপে পোশাক শিল্পে কিছু নিয়মকানুন মানতে মালিকরা বাধ্য হয়েছেন। ওই সব নিয়মকানুনের মধ্যে ছিল শ্রমিকের প্রাণের নিশ্চয়তা। এই শিল্পের মালিকরা কারখানার ভেতর সিকিউরিটি সিস্টেম ডেভেলপ করতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে পোশাক শ্রমিকদের বেঘোরে প্রাণ হারানোর ঝুঁকি কিছু কমেছে। তবে রানা প্লাজার মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধের এখনো কোনো শাস্তি হয়নি। এই মালিক সম্পূর্ণ অনিরাপদ একটি ভবনে লোভের বশবর্তী হয়ে শত শত শ্রমিক জড়ো করেছিলেন। তাদের অনেকে আগুনে পুড়ে ‘কাবাব’ হয়েছেন, কেউ দেয়ালের নিচে পড়ে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। পোশাক শিল্পের বাইরেও বাংলাদেশে আরো বহু শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে।

রূপগঞ্জের হাশেম ফুডসের কারখানার ভবনটি ছিল দাহ্য পদার্থে ঠাসা। নানা ধরনের খাদ্যপণ্য তৈরি হতো প্রত্যেক তলায়। সেগুলোর লিকুইড কাঁচামাল রক্ষিত ছিল ভবনে। তবুও ওই ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল দুর্বল। প্রশিক্ষিত অগ্নিনির্বাপণ কর্মীও ছিল না। তার প্রমাণ হচ্ছে, আগুন ছড়িয়ে পড়ার সময় থেকে আগুন নেভানোর কোনো প্রচেষ্টা না থাকা। কারখানায় আগুন লাগার চিত্রটি এ দেশে এখন কমন। বড় অগ্নিদুর্ঘটনার কোনোটিতে দেখা যায়নি মালিক কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রাণহানি। এসব ভবন যে ঝুঁকিপূর্ণ, মালিকরা ভালো করে সেটা জানেন। কেবল অল্প বিনিয়োগে বেশি লাভ তুলে আনতে সস্তা শ্রমিকদের জন্য অনিরাপদ কারখানা তারা ভাড়া নেন বা নির্মাণ করেন। একের পর এক এ ধরনের দুর্ঘটনা অনেকটাই কসাইয়ের দোকানের সারি করে বেঁধে রাখা পশুদের সাথে তুলনীয়। এই ক্ষেত্রে আপনি সস্তা অনিরাপদ কারখানা চালিয়ে শ্রমিক হত্যাকারীদের কসাই বলতে পারছেন না। অথচ প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে সেটা জেনেই তো তারা কারখানায় নিজেদের অফিস রুম বানান না।
খাদ্য তৈরির কারখানায় শ্রমিকরাই ‘কাবাব’ হলেন। খবরটি যখন সংবাদমাধ্যমে ছাপা হলো, তখন কোপা আমেরিকা ফাইনাল এবং ইউরোপিয়ান ফুটবলের চূড়ান্তপর্বের খেলা হচ্ছে। মিডিয়াকে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী দু’টি খবর পাশাপাশি বসিয়ে দিতে হলো। তবে পাঠকদের পক্ষ থেকে যে চাপ তাতে খেলার খবরটি লিড হওয়ার কথা। প্রাণহানির ঘটনা এটাকে মাত্র দুয়েক দিনের জন্য প্রধান খবরের শিরোনাম থেকে পাশে সরিয়েছে। ৫২ শ্রমিকের একসাথে প্রাণহানির ঘটনার বহু আগে থেকে করোনা মানুষের জীবনধারাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। মানুষ একে কোনোভাবে মানতে পারছে না। এক বছরেরও বেশি সময় মানুষ নিজেকে কিছুটা রোধ করেছে। রোধ করার অর্থ হচ্ছে যেভাবে আনন্দ বিনোদন করতে অভ্যস্ত ছিল মানুষ সেটাকে স্যাক্রিফাইস করেছে।

শেষ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর বাস্তবতা মানুষ বিবেচনা করে দেখেছে। এতে মানুষের প্রাণহানির গ্রাফে গড় চরিত্রের কোনো পরিবর্তন আনেনি। বৃহত্তর জনসমাজ দেখতে পাচ্ছে, কিছু মানুষের কষ্টকর মৃত্যু। সংক্রমিত ব্যক্তিদের সামান্য একটা অংশের ভয়াবহ কিছু ভোগান্তি। যারা সংক্রমিত হননি কিংবা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন, তাদের জন্য করোনা একটি খবর ছাড়া অন্য কিছু নয়। বড় জোর, মানবসমাজের জন্য এটি একটি প্যাথেটিক খবর। এখন শুধু একটি প্যাথেটিক খবরের জন্য তারা তাদের আনন্দ উৎসব সব ত্যাগ করবেন? সেটা কত দিন তারা ত্যাগ করবে? এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছে। আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি মানুষ। এগুলো বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব। ধরে নিলাম। এ সংখ্যা আসলে দ্বিগুণ। অর্থাৎ আশি লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ কোটি মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে যারা মারা গেছেন তারা ছাড়া বাকিরা সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছেন। তাহলে সাড়ে সাত শ’ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র এক কোটি না হয় বড়জোর দুই কোটি মানুষ এর দ্বারা ভয়াবহ আক্রান্ত। তাহলে বাকি ৭৪৮ কোটি মানুষ তাদের ভোগবিলাস আনন্দ উৎসবে কেন ছাড় দেবেন?

সারা বিশ্বে এই বাস্তবতাই আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। ইউরোপের দেশগুলো তাদের টিকা কার্যক্রম জোরেশোরে চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র তো তার জাতীয় দিবসে করোনা জয় করার ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রকাশ্যে করোনার বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার ‘দাম্ভিকতা’ প্রদর্শন করেছেন। সারা বিশ্ব খেলাধুলাসহ নানা রকমের উৎসব প্রায় পুরোদমে খুলে দিয়েছে। অপর দিকে যমের খেলাও চলছে। বিনোদন প্রিয় মানুষ আর করোনা এখন সমানে সমানে। প্রথমে মানুষ ভয় পেয়েছিল। তাই সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। যখন তারা দেখল এখনই সবাই মারা যাচ্ছে না। তাই যারা সুস্থ রয়েছেন তারা পরিপূর্ণ ভোগবিলাস করার জন্য নেমে গেলেন।

মোদ্দা কথা, করোনা পৃথিবীতে একটা ঝাঁকি দিয়েছে। মানবপ্রজাতি বিগত এক শ’ বছরেও এমন ধাক্কা খায়নি। দুটো বিশ্বযুদ্ধও এভাবে পুরো বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিতে পারেনি। আবার করোনার সংক্রমণ মানুষের বোধবুদ্ধির সীমাবদ্ধতাকেও স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছে।

মানুষ করোনাকে একটা আলাদা সত্তা হিসেবে নিয়েছে। এ সত্তার কোনো স্রষ্টা নেই; নিজে থেকে সৃষ্টি হয়েছে। এটি তাদের শত্রু। মানুষের ভাবনা, চিন্তা ও গবেষণা থেকে তাই মনে হচ্ছে। তবে এই প্রশ্নের উত্তরটি তারা নিশ্চিত করতে পারেনি এমন একটা জীবাণু কেন হঠাৎ মানবজাতির শত্রু হিসেবে এলো? আবার নিজ থেকে ভাইরাসটি খোলস পাল্টাচ্ছে। করোনার পর আরো বেশি প্রাণঘাতী কোনো ভাইরাসের আবির্ভাবের আশঙ্কা করছে মানুষ। এসবের অর্থ কী?

মূলত মানবপ্রজাতির জন্য এই নতুন আইটেমটি ভাবনার উপাদান হিসেবে এসেছে। আসমানি কিতাবগুলো বরাবর এ ধরনের বিপদাপদের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে। মানুষ সেগুলোকে কোনো পাত্তাই দেয়নি। এর ভয়াবহ ফল মানবজাতি পেয়েছে। সব ধর্মগ্রন্থ এবং মানুষের নির্মাণ করা ইতিহাস বলছে, একবার ভূমির ওপর থাকা সব মানুষকে আল্লাহ সমূলে ধ্বংস করেছিলেন। নবী নূহ আ:কে সামান্য কয়জন মানুষসহ বিশেষ নৌকায় বাঁচিয়েছিলেন। এখনকার মানুষেরা তারই বংশধর।

এ প্রসঙ্গে কুরআন হতে একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিতে চাই। ‘আমরা নিশ্চয়ই মানুষ এবং জিনদের বেশির ভাগকে সৃষ্টি করে চলেছি জাহান্নামের জন্য। তাদের রয়েছে অন্তর; তা দিয়ে তারা ভাবে না। আর তাদের রয়েছে চোখ; তা দিয়ে তারা দেখে না। তাদের রয়েছে কানও; তা দিয়ে তারা শোনে না। এরা পশুর মতো; বরং পশুদের চেয়ে অধম। এই মানুষেরাই বেখবর।’ সূরা আরাফ, আয়াত : ১৭৯। একটি অজানা শত্রুর ব্যাপারে কোনো ধরনের নির্দিষ্ট তথ্য না জানা থাকার পরও মানুষ সেটা নিয়ে কোনো চিন্তাই করতে পারেনি। একবারও তারা ভাবতে পারেনি, এর একজন স্রষ্টা রয়েছেন। যেমন রয়েছেন খোদ মানুষের স্রষ্টা।

মানুষ যদি ঠিকভাবে ভাবতে পারত তাহলে বিনোদনের সীমারেখাটি বুঝতে পারত। প্রত্যেকটি মানবসন্তান এখন কসাইয়ের দোকানের সামনে খুঁটিতে বাঁধা। কসাই নিজের ইচ্ছে মতো যাকে খুশি তাকে জবাই করছেন। করোনা হয়তো একটি ধারালো ছুরি। এ ধরনের একটি পটভ‚মিতে মানুষ গরুর মতোই জাবর কাটতে চায়, খড়কুটো চায় চিবোতে।
jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement