১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ম্যালেরিয়া জয়ের কাহিনী!

- ছবি : নয়া দিগন্ত

পৃথিবীর বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন ম্যালেরিয়ামুক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩০ জুন ২০২১ টুইটারের অফিসিয়াল পেজে চীনকে ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশ ঘোষণা করে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছে। চীনের জন্য তো বটেই, পৃথিবীর জন্যও এটি একটি সুসংবাদ। পুরো বিশ্ব ম্যালেরিয়ামুক্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ২০৫০ সালে। বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০৩০ সালে। ম্যালেরিয়া নির্মূলের অভিযান সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, রচিত হবে ম্যালেরিয়া জয়ের কাহিনী!

বর্তমান বিশ্ব করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। দেড় বছর ধরে বিশ্বকে করোনা মহামারীর দুঃসংবাদ বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। করোনাভাইরাস বিশ্বের ৪০ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি মানুষ। এমন এক দুঃসময়ে ‘চীন ম্যালেরিয়ামুক্ত’ হওয়ার খবরটি ইতিবাচকই বটে।

খবরে বলা হয়েছে, প্রায় ৭০ বছরের প্রচেষ্টায় নিজেদের ম্যালেরিয়ামুক্ত করতে পেরেছে চীন। ১৯৫০ সাল থেকে চীন ম্যালেরিয়ামুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেয়। চল্লিশের দশকে দেশটিতে প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি লোক ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হতো। মারা যেত প্রায় তিন লাখ লোক। সেই পরিস্থিতি থেকে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছিল চীন। এই লড়াইয়ের ফল হচ্ছে ২০১৭ সালে কেউ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়নি। এর চার বছর পর চীনের ম্যালেরিয়ার সামগ্রিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশটিকে ম্যালেরিয়ামুক্ত ঘোষণা করল।

ম্যালেরিয়ামুক্ত হতে কী করেছে চীন? ম্যালেরিয়া নির্মূলে জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে ছিল মশা মারা, মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা, মশার বংশ বৃদ্ধি রোধে কীটনাশক ছিটানো এবং যাদের বা যে স্থানে ম্যালেরিয়া হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে অ্যান্টিম্যালেরিয়া ড্রাগ বা ওষুধ সরবরাহ। ষাটের দশকে চীনের নারী গবেষক ও রসায়নবিদ তু ইউইউ ওয়ার্মউড আর্টেমিসিয়া অ্যানুয়া গাছ থেকে ‘আর্টিমিসিনিন’ ওষুধ আবিষ্কার করেন। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কুইনিনের চেয়েও বেশি কার্যকর ওষুধ হিসেবে এটি প্রমাণিত হয়। চীন এই ওষুধকে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজে লাগিয়েছে। এ ওষুধ আবিষ্কারে তুু ইউইউ ২০১৫ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।

ম্যালেরিয়া থেকে মুক্তি পেতে চীনের জাতীয় কার্যক্রমে ‘১-৩-৭’ কৌশল গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ এক দিনের মধ্যে চিহ্নিতকরণ, তিন দিনের মধ্যে তদন্ত এবং সাত দিনের মধ্যে পাল্টা ব্যবস্থা। এভাবেই ম্যালেরিয়ামুক্ত হয় চীন।

পৃথিবী থেকে কোনো রোগ-বালাই একেবারে নির্মূল করা বেশ কঠিন কাজ। ১৯৮০ সালে শুধু গুটিবসন্তই পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য ঘোষণা করে। পরবর্তীতে পোলিও নির্মূল কর্মসূচি চলাকালে দেখা গেছে কাজটি বেশ শক্ত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ম্যালেরিয়াকে হারানো এমন দূর কল্পনা নয়। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এ মুহূর্তে সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার ব্যয় হচ্ছে। আর মাত্র ২০০ কোটি ডলার বাড়তি ব্যয় করতে পারলেই ২০৫০ সালে বিশ্বের ম্যালেরিয়ামুক্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর এখনো বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং চার লাখ ৩৫ হাজার মারা যায়। এর মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যাই বেশি। আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া এখনো এক আতঙ্কের নাম। বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় যত মানুষ আক্রান্ত ও মারা যায় এর অর্ধেকই আফ্রিকার পাঁচটি দেশে। সেনেগাল থেকে উত্তর-পশ্চিমে মোজাম্বিক পর্যন্ত এলাকা হতে ম্যালেরিয়া তাড়ানো এখনো কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে অনেকটাই এগিয়েছে পৃথিবী। আফ্রিকাতেও ম্যালেরিয়া পরাস্ত হবে।

চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৪১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, ২০৫০ সালেই ম্যালেরিয়া নির্মূল সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের অন্যতম রিচার্ড ফেচেম প্রতিবেদনে বলেন, ম্যালেরিয়া নির্মূলকে আগে সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন বলে মনে হলেও এখন আমরা তা ভাবছি না। উন্নত ওষুধ আবিষ্কার, টিকা উদ্ভাবন, কীটনাশক মাখানো মশারি ব্যবহার, কীটনাশক ছড়ানো, মশার ক্ষেত্র পুরোপুরি ধ্বংসের কার্যক্রমের পাশাপাশি জিনভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এই পদ্ধতি বংশানুক্রমে পাওয়া জিনের বৈশিষ্ট্যের মতোই, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী জিনকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সঞ্চালিত করা হবে। এ জন্য বাড়তি ব্যয় প্রয়োজন যা মাত্র ২০০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি
বাংলাদেশের ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি এখন কেমন? ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা কি ম্যালেরিয়ামুক্ত হতে পারব? জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তা সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশের ১৩টি জেলা ম্যালেরিয়াপ্রবণ। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাতেই ম্যালেরিয়া বেশি। অর্থাৎ ম্যালেরিয়া আক্রান্তের ৯০ শতাংশই পার্বত্য তিন জেলায়। এখানেও ২০১০ সাল থেকে ম্যালেরিয়া কমতে থাকে। ২০১৪ সালে কিছুটা বেড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ হাজার ৮০ জনে দাঁড়ায়। পরের বছর দাঁড়ায় ১৮ হাজারে। ২০১৮ সালে তারও অর্ধেক ৯ হাজার ৫৩ জনে দাঁড়ায়।

জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৬০ সালে ম্যালেরিয়া নির্মূলে জোরদার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭০ এর দশকে সশস্ত্র সঙ্ঘাতের কারণে ম্যালেরিয়া নির্মূল কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির পর আবার জোরেশোরে ম্যালেরিয়া নির্মূল শুরু হয়েছে। ইউএনডিপি এবং ব্র্যাক এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছে। রাঙ্গামাটির দশ উপজেলা বিশেষ করে দুর্গম বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুবাছড়িতে সংক্রমণ বেশি। বান্দরবানের থানচি, আলীকদম, লামা এবং খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ রয়েছে। এই দশকে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ৮৭.৬ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশও ম্যালেরিয়ামুক্ত হবে বলে আশা করা যায়।

ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ে কিছু কথা
ম্যালেরিয়া মশাবাহিত একটি সংক্রামণ রোগ। এটি কয়েক শ’ বছরের পুরনো একটি রোগ। ‘প্ল্যাসমোডিয়াম’ নামে এক ধরনের পরজীবীর সংক্রমণে ম্যালেরিয়া হয়। স্ত্রী অ্যানেফিলিস মশার কামড়ে একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত হলে তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা এবং কাঁপুনি হয় আক্রান্ত ব্যক্তির। ম্যালেরিয়ার পরজীবী লিভার ও লোহিত রক্তকণিকার কোষ আক্রমণ করে। ম্যালেরিয়া থেকে রক্তশূন্যতা হতে পারে এবং আক্রান্ত হতে পারে মস্তিষ্ক।

ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপীই ছিল। প্রতিরোধ কার্যক্রমের আগে অন্য সংক্রামক ও রোগের তুলনায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি ছিল। ১৯৩০-এর দশকেও আমেরিকা মহাদেশে বছরে ৬০-৭০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হতো।

ভারতে বিশ শতকের মাঝামাঝিও ম্যালেরিয়ায় বছরে প্রায় ১০ লাখ লোক মারা গেছে। বিগত ৭৫ বছরে রোগটি পৃথিবীর অনেক অঞ্চলেই হ্রাস পায়। এককালের ম্যালেরিয়াপ্রবণ ইউরোপের বেশির ভাগ এলাকাই এখন ম্যালেরিয়ামুক্ত। ১৯৭০ দশকেই ম্যালেরিয়াপ্রবণ দেশগুলোতে রোগটি বিরল হয়ে আসে। উচ্ছেদ কর্মসূচি রোগটিকে প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

ম্যালেরিয়ার পরজীবী প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম, প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ও প্লাজমোডিয়াম ওভাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্লাজমোডিয়াম মেলেরি সংক্রমণ ঘটালেও কম ক্ষেত্রেই মারাত্মক হয়। ম্যালেরিয়া শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন টর্টি ১৭৫১ সালে। ইতালীয় শব্দ ম্যাল (অর্থ দূষিত) ও এয়ার (অর্থ বায়ু) থেকে ম্যালেরিয়া মানে দূষিত বায়ু। তখন মানুষ মনে করত দূষিত বায়ু সেবনে এ রোগ হয়। কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণায় জানা যায়, স্ত্রী অ্যানোফেলিস মশার কামড়ে সংক্রমণ শুরু হয় যা তার লাগার মাধ্যমে প্রোটিস্টর সংবহনতন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে এবং লিভার বা যকৃতে গিয়ে পরিপক্ব হয়। শেষে লোহিত রক্তকণিকায় গিয়ে বংশবৃদ্ধি করে। ২০১০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রায় ২১৯ মিলিয়ন ম্যালেরিয়ার ঘটনার স্থান নথিভুক্ত করে। ওই বছর বিশ্বে প্রায় ছয় লাখ ৬০ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় মারা যায়।

কেবল চার ধরনের প্লাজমোডিয়াম পরজীবী মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়। এদের মধ্যে বেশি প্রভাবিত করে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম ও প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স। বাকি দু’টি প্রজাতি প্লাজমোডিয়াম ওভাল ও প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরিও মানুষকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত করে। কুইনাইন এবং আর্টিমেসিনিন গ্রুপের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ দিয়ে এর চিকিৎসা করা হয়।

চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক হিসাবে বিবেচিত হিপোক্রেটিস প্রথম ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণগুলোর বর্ণনা দেন। ১৬০০ সালে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা প্রথম শুরু হয় পেরুর সিনকোনা গাছের বাকল ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে। ১৬৪৯ সালে ইংল্যান্ডে এটা ‘জেসুইট পাউডার’ নামে পাওয়া যেত। ১৮৮০ সালে চার্লস ফ্যাভেরন লোহিত রক্তকণিকা থেকে ম্যালেরিয়ার কারণ হিসেবে একটিমাত্র কোষবিশিষ্ট পরজীবী প্রোটোজোয়াকে চিহ্নিত করেন। ফলে শত বছর ধরে চলা দূষিত বায়ু সেবনের ফলে ম্যালেরিয়া হওয়ায় ভুল ধারণার অবসান ঘটে। ভারতের কলকাতার পিজি হাসপাতালে কর্মরত ব্রিটিশ ডাক্তার স্যার রোনাল্ড রস ১৮৯৭ সালে ওই হাসপাতালে থেকেই প্রমাণ করেন যে, স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা এই রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। ১৯০২ সালে তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। ম্যালেরিয়া চিকিৎসা সাড়ে ৩০০ বছর ধরে চলে আসছে। ১৮২০ সালে ফরাসি বিজ্ঞানীরা দেখান যে সিনকোনা গাছের ছালে কুইনাইন নামে একটা পদার্থ ম্যালেরিয়া সারায়।

এই গাছের নির্যাস খুব তেতো। কুইনাইন ম্যালেরিয়া রোগ সারায় এ তথ্য জানার পর গবেষণাগারে এই জৈবরাসায়নিক পদার্থ তৈরি শুরু হয়। ক্লোরাকুইন ১৯৩৪ সালে আবিষ্কারের পর এর ব্যবহার থেকে দেশে শুরু হয়। এরপর চীনের নারী বিজ্ঞানী তু ইউইউ সুইট ওয়ার্মউড গাছড়ার নির্যাসে তৈরি করেন ‘আরটিমিসিনিন’ নামে কার্যকরী ওষুধ। এরপর আরটিএস.এস/ এএসজিরোওয়ান নামে ম্যালেরিয়ার নতুন ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কার করেছে যুক্তরাজ্যের ওষুধ কোম্পানি গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে)। সাব সাহারান আফ্রিকার সাতটি দেশের শিশুদের ২০১৫ সালে প্রথম এ টিকা দেয়া হয়। ম্যালেরিয়া জীবাণু বহনকারী যে ভয়াবহ পরজীবী বা প্যারাসাইন বিশ্বজুড়ে শত বছর ধরে স্বাস্থ্য সঙ্কটের জন্য দায়ী, সেই প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে আবির্ভূত হয়। এটিই রূপান্তরিত হয়ে ‘মানবজাতির মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তিন থেকে চার হাজার বছর আগে। এর এখন পরাজয়ের পালা। ম্যালেরিয়া পুরো নির্মূল করে মানুষ রচনা করবে ম্যালেরিয়া জয়ের কাহিনী।’

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব।


আরো সংবাদ



premium cement