২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একজন সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব

প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান - ফাইল ছবি

প্রায় এক মাস হলো সাবেক সচিব শাহ আব্দুল হান্নান (২ জুন) ইন্তেকাল করেছেন। আমাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিল সম্ভবত ১৯৮৪ সালের দিকে। তিনি ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমার বাবা তদানীন্তন আইন সচিব বিচারপতি আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নিতে আসতেন। তার ইসলামী চিন্তাধারার সাথে আমার মনের মিল ছিল। এরপর বিভিন্ন সংস্থায় তার সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তিনি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। এ সমাজে তার মতো সৎ, যোগ্য ও সত্যবাদী মানুষের প্রচণ্ড অভাব। আমাদের প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে আসীন প্রায় প্রত্যেকে যোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হলেও সবাই অত্যন্ত সৎ- এ কথা বলতে পারি না। সৎ লোকের অভাবকে আমি বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা মনে করি। একই সাথে যোগ্য ও সৎ লোকের দেখা পাওয়া ভার এখানে। এখানে যোগ্য লোকের অভাব না থাকলেও আমরা তাদের যোগ্যতার সাথে সততাকে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। কিন্তু একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে শাহ আব্দুল হান্নান একই সাথে যোগ্যতা ও সততার যে নজির স্থাপন করে গেছেন তা এককথায় অনন্য।

আমি কিছু দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছি। এখানে বাংলাদেশের একজন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তার সাথে আমার কথা হলো। তিনিও স্বীকার করেছেন, সততার অভাব আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। আমাদের সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা কাজ করছেন তারা অত্যন্ত মেধাবী ও যোগ্য। তাদের যোগ্যতা নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন না থাকলেও সততার ব্যাপারে সন্তুষ্ট নই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কিছুটা কঠোরতার সাথে সততাকে রক্ষার চেষ্টা করা হয়। কারণ হতে পারে এগুলোর বেতনকাঠামো কিছুটা ভালো। তাই নজরদারি ব্যবস্থাও কঠোর। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা কাজ করেন তারা একেবারে কম সুযোগ-সুবিধা পান না। বর্তমান সরকারের আমলে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনকাঠামো প্রভূত উন্নত করা করা হয়েছে। যদিও সেটি পর্যাপ্ত কিণ্ডনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু এরপরও সেখানে যেরকম সততা আশা করা হয়; সেরকম পাওয়া যায় না। যোগ্যতার সাথে সততার সম্মিলন না ঘটায় এক দিকে আমাদের সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্য দিকে উন্নয়নও ব্যাহত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে একজন শাহ আব্দুল হান্নানকে বিচার করলে যে কেউ বলতে বাধ্য হবেন, তিনি অত্যন্ত যোগ্য ও সৎ লোক ছিলেন। সত্যবাদিতা ও সময়ানুবর্তিতা ছিল তার চরিত্রের অন্যতম ভ‚ষণ। কখনো কোনো বৈঠকে নির্ধারিত সময়ের পরে তাকে হাজির হতে দেখিনি।

শাহ আব্দুল হান্নান এসব গুণাবলি ধারণ করার মূল প্রেরণা পেয়েছিলেন ইসলামের শিক্ষা থেকে। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিলেন। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ওই শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হননি। অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় আড়াই দশকের পুরোটাই তিনি নিজেকে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের কাজে নিবেদিত করেছিলেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিংয়ের প্রসারে শাহ আব্দুল হান্নানের ব্যাপক অবদান রয়েছে। তিনি পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির বিপরীতে ইসলামী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেছেন। এ নিয়ে কথা বলেছেন এবং বই লিখেছেন। তবে তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকলেও ইসলামের মর্মবাণী প্রচার ছিল তার মূল কাজ। চাকরিতে থাকাকালেও মানুষকে ইসলামের শিক্ষা অনুসরণে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ইসলামী বই পড়তে বলতেন। আমাদের সাথে দেখা হলে বলতেন ইসলামিক স্কলার হতে। এটা ছিল তার মিশন। তার কথা ছিল ইসলামকে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। এ দিক থেকে তিনি ছিলেন অসাধারণ।

শাহ আব্দুল হান্নানের মধ্যে যে গুণাবলির সমাবেশ দেখেছি তেমন মানুষ এ দেশে খুবই কম। তিনি ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, ধারণ করেছেন এবং নিজের জীবনে বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত সচেষ্ট থেকেছেন। আমরা অনেকে ইসলামের কথা বলি; কিন্তু নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি না। তিনি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন যে, ইসলাম একজন মানুষকে কতটা সুন্দর ও মানবিক করতে পারে। ইসলামের শিক্ষায় যে মানুষের জীবন আমূল পাল্টে যেতে পারে; তার বাস্তব উদাহরণ ছিলেন তিনি। তিনি বলতেন, অন্যকে ইসলামের শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানকে দায়ীর কাজ করতে হবে। হতে হবে ইসলামের একজন ‘দূত’। মানুষের কাছে নিজেকে ইসলামের মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। তার কথা, কাজ, আচরণ, সবকিছু হবে ইসলামের শিক্ষায় মোড়ানো। এই দৃষ্টিকোণ থেকে শাহ আব্দুল হান্নান সত্যিকার অর্থে একজন মুসলিম হতে পেরেছিলেন। তিনি বিশ্বাসকে কাজে পরিণত করতে পেরেছিলেন। অন্যকে যে পথে ডেকেছেন সেটি ব্যক্তি জীবনে অনুসরণ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে পারার অসাধারণ গুণ ছিল তার। মুসলিম সমাজে এই গুণের প্রকট অভাব রয়েছে।

তার চরিত্রের আরেকটি বড় দিক ছিল মানবিকতা। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে কাজ করেছেন শাহ আব্দুল হান্নান। তাকে সবসময় মানুষের সাথে অত্যন্ত উদার ও খোলা মন নিয়ে মিশতে দেখেছি। তিনি যখন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন তখন তার দফতরে আমার যাওয়ার সুযোগ হয়নি। কারণ আমি শিক্ষকতা করি। তাই আমাদের জগৎ ছিল আলাদা। কিন্তু শুনেছি যিনিই তার কাছে গিয়েছেন তাকে উদারতার সাথে গ্রহণ করেছেন এবং প্রত্যেকের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। তিনি ছিলেন নির্লোভ ব্যক্তি। তিনি যেসব দফতরে দায়িত্ব পালন করছেন সেগুলোর সততা প্রশ্নবোধক থাকলেও তিনি সেখানেও সৎ থেকে কাজ করেছেন। আগে সেখানে মানুষ গেলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর সেখানে জনগণের সেবা পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যেত।

আমি আগেই বলেছি যে, আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা অনেক যোগ্য হলেও জনগণের সেবক হিসেবে তাদের সততা প্রশ্নাতীত নয়। তারা নিজেদের জনগণের সেবক মনে করে সেবা দিলে দেশের চেহারাই পাল্টে যেত। এই বিবেচনায় শাহ আব্দুল হান্নান ছিলেন অনুকরণীয়। তিনি একাধারে ভালো অফিসার, সৎ এবং মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। আমাদের দেশের আমলারা জনসাধারণের সাথে মেলামেশায় খুব একটা উৎসাহ বোধ করেন না। তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি যেকোনো শ্রেণী ও পেশার মানুষের সাথে অনায়াসে মিশতে পারতেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে অনেকে তার এই গুণের প্রমাণ পেয়েছেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি আরো বেশি করে নিজেকে মেলে ধরেন। তিনি যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন সেখানে সবার কথা শুনতেন। একজন গাড়িচালক কিংবা লিফটম্যানও তার সাথে নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারতেন। তাদের সমস্যা তিনি সমাধান করে দিতেন। জনকল্যাণমূলক অনেক কমিটিতে আমি তার সাথে ছিলাম। সবসময় তাকে মানুষের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে দেখেছি। কমিটির সদস্যদের কাছে তার নীরব অনুনয় ছিল যেন সবাই মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করেন।

ইসলামের প্রসার ও প্রচারে শাহ আব্দুল হান্নানের ভ‚মিকা আমাদের অনেকের চোখ খুলে দিয়েছে। সরকারি প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালনের পরও তিনি ইসলামের দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ছিলেন। এ জন্য তিনি ব্যাপক পড়াশোনা করতেন। তিনি ছিলেন বিআইআইটির (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট) মতো প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটির সাথে আন্তর্জাতিক অনেক বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে অনেক ইসলামী বই প্রকাশ করেছেন। বড় বড় ইসলামিক স্কলারকে এ দেশে এনে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তাদের বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ করেছেন। শাহ আব্দুল হান্নান ইসলামের রঙে জীবনকে রাঙানোর জন্য তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতেন। তার সাথে প্রথম পরিচয়ের সময় আমিও বয়সে তরুণ। তিনি মেয়েদেরও ইসলামী শিক্ষার আলোকে জীবন সাজানোর জন্য তাগিদ দিতেন। তার অনেক ছাত্রী দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত, উচ্চশিক্ষিত। আমার স্ত্রীও তার ছাত্রী ছিলেন। ইসলামের উদারতাকে গ্রহণ করতে উদাত্ত আহ্বান জানাতেন শাহ আব্দুল হান্নান। ইসলাম যে নারীদের সম্মানিত করেছে; এটি তাদের বুঝিয়েছেন। ফলে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু মেয়ে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তারা নারী সমাজকে ইসলামের পথে আনার কাজ করছেন।

মোট কথা, শাহ আব্দুল হান্নান সার্বক্ষণিকভাবে ইসলাম নিয়ে কাজ করে গেছেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন সেটি অকপটে বলতেন। ইসলামের প্রতি নিজের ভালোবাসাকে তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। তিনি মুসলমানদের জন্য একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে চেয়েছেন। সবসময় বলতেন, মুসলমানরা যেন শুধু কথা না বলে জ্ঞানার্জন করে। পড়াশোনা না করে ইসলামের প্রচার করা তিনি চাইতেন না। চাইতেন যেন আমরা ইসলামকে বুঝি, আধুনিক যুগে ইসলামের সমস্যাগুলো অনুধাবন করি এবং সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করি। তিনি এমন এক প্রজন্ম তৈরির চেষ্টা করেছেন যারা ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ভ‚মিকা রাখতে পারে। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতদের ইসলামের পথে ডাকা ছিল তার অন্যতম মিশন। সব সমস্যার ইসলামকেন্দ্রিক সমাধান পাওয়া যাবে সে জন্য জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে তিনি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি শুধু তাত্তি¡ক ছিলেন না, প্রায়োগিক দিক থেকেও সফল ছিলেন। বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতির প্রসার ও প্রচারে তার যে অনন্য ভূমিকা সেটি ঈর্ষণীয়। এ দেশে ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেছেন এমন কয়েকজনের নাম বলতে হলে তার নামটি বলতে হবে।

শাহ আব্দুল হান্নানের জীবনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল- তিনি অত্যন্ত সাদাসিধা ও নির্লোভ জীবন যাপন করতেন। আমাদের সমাজে নির্লোভ মানুষ প্রায় দেখাই যায় না। সরকারি কর্মকর্তা থাকাকালে তার বাসায় আমি কয়েকবার গিয়েছি। এত উচ্চপদে চাকরি করার পরও তার অত্যন্ত সরল জীবন যাপন দেখে অবাক হতাম। যা বলতেন তা করতেন। ইসলামের শিক্ষা সত্যিকার অর্থেই তিনি জীবনে ধারণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন বিনয়ী, সর্বদা হাসিমুখে কথা বলতেন। ইসলাম যে মানুষের জীবনকে পাল্টে দিতে পারে তিনি ছিলেন এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি দেখিয়েছেন, ইসলাম মানুষের মধ্যে গুণাবলি তৈরি করতে পারে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে তিনি বার্তা দিয়ে গেছেন যেন আমরা সত্যিকারের মুসলমান হই। আমরা যেন কুরআন বুঝি, রাসূল সা:-এর হাদিস বুঝি, শিখি এবং সেগুলো নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করি। কেউ নিজে সৎ হলেই চলবে না, অন্যকেও সেই উপদেশ দিতে হবে; এর প্রচার করতে হবে। আমরা অন্যকে উপদেশ দিলেও নিজের জীবনে তা বাস্তবায়ন করতে পারি না। শাহ আব্দুল হান্নান দেখিয়ে গেছেন, কিভাবে সেটি করতে হয়। আমরা যা বলি তা করি না। যারা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা বলেন তারা সবাই যদি দুর্নীতিমুক্ত হতেন, তাহলেও আমাদের সমাজের চেহারা পাল্টে যেত। যারা সরকার পরিচালনা করছেন তাদের কথা ও কাজে মিল থাকলে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব ছিল।

একজন মুসলমানকে সবসময় প্রচারকের ভূমিকা পালন করতে হয়। কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করবেন তিনি একজন মুসলমান। মিথ্যা পরিহার, রাগ না করা, মানবিক আচরণ করা, সুবিচার করা একজন মুসলমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। সত্যিকারের মুসলমানকে তার আচরণ, চরিত্র ও জীবনযাপন দেখেই বোঝা যাবে। মুসলিম চরিত্র কেমন হতে পারে তার অসংখ্য উদাহরণ সৃষ্টির জন্য তিনি তাগিদ দিয়েছেন। আমাদের দেশে তার মতো ক’জন আছেন সেটি আমার জানা নেই। আমরা তার আদর্শকে যত দিন ধারণ করতে পারব তত দিন তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত যত ইসলামের ধারক-বাহক আসবেন তাদের আদর্শের মধ্যেও তিনি বেঁচে থাকবেন। আমি তাকে স্মরণ করি। তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করি। আমাদের মধ্যে যেন আরো অনেক শাহ আব্দুল হান্নান তৈরি হয় সে চেষ্টা করা উচিত।

লেখক : ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এবং সাবেক ডিন ও অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
cmhasan@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement