২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

লাক্ষাদ্বীপে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী থাবা

লাক্ষাদ্বীপে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী থাবা - ছবি : সংগৃহীত

লাক্ষাদ্বীপ। শব্দটির অর্থ ‘এক লাখ দ্বীপ’। হয়তো বহুদ্বীপের সমষ্টির ধারণা থেকেই এ ধরনের নামকরণ। এই লাক্ষাদ্বীপ ভারতের কেন্দ্রশাসিত একটি অঞ্চল বা ইউনিয়ন টেরিটোরি। এটি ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে ২০০-৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মালাবার উপকূলের এক দ্বীপপুঞ্জ। এখানে রয়েছে মোট ৩৯টি দ্বীপ। দ্বীপগুলো খুবই ছোট। সবগুলোর মোট আয়তন মাত্র ৩২ বর্গকিলোমিটার বা ১২ বর্গমাইল। এটি ভারতের সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন টেরিটোরি। একটি জেলা ও ১০টি মহকুমায় বিভক্ত পুরো অঞ্চলটি কেরালার উচ্চ ন্যায়পালের আওতাধীন। জেলাটি ভারতীয় সংবিধানের ২৩৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে ভারতের রাষ্ট্রপতির নিযুক্ত প্রশাসক দিয়ে পরিচালিত। লাক্ষাদ্বীপে কোনো বিধানসভা বা পার্লামেন্ট নেই। নেই কোনো মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক কাঠামোয় রয়েছে তিনটি ধাপ : ০১. লাক্ষাদ্বীপে ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ ‘লোকসভা’র একটি আসন, বর্তমানে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির মোহাম্মদ ফয়সল সেই আসনের এমপি। ০২. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত পঞ্চায়েত এবং ০৩. ভারতীয় প্রেসিডেন্ট নিয়োজিত প্রশাসক। বর্তমানে ১০টি দ্বীপে মানুষের বসবাস আছে। জনসংখ্যা ৭০ হাজারের মতো। সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রাচীন জনগোষ্ঠী সুন্নি মুসলমান। জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশই মুসলমান, বাকি ১ শতাংশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও শিখ।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান কট্টরপন্থী আরএসএস রাজনীতিক প্রফুল্ল কে. প্যাটেল। অভিযোগ উঠেছে, চিরশান্তির এই দ্বীপপুঞ্জে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই এই নিয়োগ। এর আগে কখনোই কোনো রাজনৈত্বিক ব্যক্তিত্বকে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক নিয়োগের ইতিহাস নেই। প্রফুল্ল প্যাটেলের মতো বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে।

তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ওঠা অভিযোগ ও তার নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভারতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আর এ সমালোচনা যে অমূলক নয়, তা ঘটনা পরম্পরায় সহজবোধ্য হয়ে উঠছে। তার এই নিয়োগের ছয় মাস যেতে না যেতেই তিনি নোটিশ জারি করে লাক্ষাদ্বীপে গরু জবাই নিষিদ্ধ করেছেন, যা এর আগে কেউ করেননি। লাক্ষাদ্বীপে সরকারি বিভাগগুলোতে সাময়িক শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন, মদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন। চালু করেছেন ‘গুণ্ডা আইন ২০২১’, যেখানে কোনো অপরাধের রিপোর্ট একেবারেই নেই, কারাগারগুলো বরাবর প্রায় বন্দিশূন্য। ছোট্ট এই দ্বীপপুঞ্জের বেসরকারি জমিজমার মালিকানার ওপর অযৌক্তিক নিয়ন্ত্রণের অসৎ উদ্দেশ্যে চলছে নানা অপতৎপরতা। প্রফুল্ল প্যাটেলের নানা অপতৎপরতার ফলে শান্তিপ্রিয় এই দ্বীপপুঞ্জের মানুষের কাছে তিনি এরই মধ্যে হয়ে উঠেছেন এক সাক্ষাৎ আতঙ্ক। আসলে প্রফুল্ল প্যাটেলের এই নিয়োগের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি কার্যত লাক্ষাদ্বীপে সম্প্রসারিত করেছেন তার হিন্দুত্ববাদী কালো থাবা। মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে বিষয়বস্তুর স্পষ্টতার জন্য জানা দরকার কে এই প্রফুল্ল প্যাটেল।

নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, প্রফুল্ল প্যাটেল তখন তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি গত ডিসেম্বরে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক হন, সাবেক প্রশাসক দীনেশ্বর শর্মা ৪ ডিসেম্বরে মারা যাবার পর। তার আগের সব প্রশাসকই ছিলেন সুশিক্ষিত আইএএস বা আইপিএস অফিসার। কিন্তু দীনেশ্বর শর্মা মারা যাবার পর কোনো আইএএস বা আইপিএস অফিসারকে নিয়োগের বদলে নিয়োগ দেয়া হয় প্রফুল্ল কে প্যাটেলকে।

প্রফুল্ল প্যাটেলের পুরো রাজনৈতিক জীবন মূলত কেটেছে গুজরাটে। সেখান থেকেই বিধানসভার এমএলএ নির্বাচিত হন ২০০৭ সালে। ২০১০ সালে অমিত শাহকে সিবিআই গ্রেফতার করে। তখন নরেন্দ্র মোদি প্রফুল্ল প্যাটেলকে করেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে প্রফুল্ল প্যাটেলকে করা হয় ইউনিয়ন টেরিটোরি ‘দমন ও দিউ’-এর প্রশাসক। ঐতিহ্য অনুসরণ করে এখানে অভিজ্ঞ আমলা কর্মকর্তার নিয়োগ পাওয়ার কথা ছিল। এর বদলে নিয়োগ দেয়া হলো সরকারদলীয় এক রাজনীতিবিদকে। কিন্তু কাহিনীর শেষ এখানেই নয়। এর পর তাকে একই সঙ্গে ‘দাদরা ও নাগর হাভেলি’ নামের আরেক ইউনিয়ন টেরিটোরির প্রশাসকও করা হয়। তখন প্রশ্ন ওঠে- ভারতজুড়ে কি অভিজ্ঞ আমলার আকাল পড়েছে? ২০১৯ সালের এপ্রিলে উভয় টেরিটোরির নির্বাচনের সময় ক্যারাভান ম্যাগাজিন জানায়, নির্বাচন কমিশন প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে একটি নোটিশ জারি করে। কারণ, ‘দাদরা ও নাগর হাভেলি’ টেরিটোরির তৎকালীন কালেক্টর কারান গোপীনাথনকে জবরদস্তিমূলক অনুরোধ করেন। নির্বাচন কমিশন এজন্য প্রফুল্ল প্যাটেলকে মৃদু ভর্ৎসনা করে। এর কয়েক মাস পর কারান গোপীনাথন পদত্যাগ করেন। প্রফুল্ল প্যাটেলকে নিয়ে বিতর্কের শেষ এখানেই নয়। ২০১৯ সালে দমন ও দিউ টেরিটোরিতে, বিশেষ করে দমনে ৯০টি বাড়ি তিনি গুঁড়িয়ে দেন। বলা হয়, উন্নয়নের স্বার্থে এসব বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ জানায়। দমনের এমপি লালু প্যাটেল কালেক্টরকে অনুরোধ করেন মানবিক কারণে এসব ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করে দেয়ার জন্য। যখন প্রতিবাদ বিক্ষোভ জোরালো হতে থাকে তখন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। দুটি সরকারি স্কুল অস্থায়ী কারাগারে পরিণত করা হয় প্রতিবাদকারীদের আটক করে রাখার জন্য।

এদিকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে এক বিল পাস করে ‘দাদরা ও নাগর হাভেলি’ ও ‘দমন ও দিউ’ এই দুই ইউনিয়ন টেরিটোরিকে পরিণত করা হয় একটি একক টেরিটোরিতে। বর্তমানে এই একক টেরিটোরির নাম : ‘দাদরা ও নাগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ’। জনগণের প্রত্যাশা ছিল এসব টেরিটোরিকে একসাথে করে গোয়ার মতো একটি রাজ্য ঘোষণা করা হবে। তা না হলেও কমপক্ষে পন্ডিচেরি ও দিল্লির মতো একটি বিধানসভা ও একজন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থা করা হবে। আর তা হবে গণতন্ত্রসম্মত। তাও যদি না হয়, তবে বাইরে থেকে প্রশাসক নিয়োগ না করে বরং জনগণকে ক্ষমতা দেয়া হোক প্রশাসক নিয়োগের। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও জনগণকে ক্ষমতাহীন করে রাখা হয়েছে। অপর দিকে দুই ইউনিয়ন টেরিটোরিকে একটিতে পরিণত করার পর জনমতের বিরুদ্ধে এর প্রশাসক করা হলো প্রফুল্ল প্যাটেলকে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি দাদরা ও নাগর হাভেলির সাতবারের এমপি ও সক্রিয় উপজাতি অধিকার আন্দোলনকারী মোহন দেলকার মুম্বাইয়ের একটি হোটেল কক্ষে আত্মহত্যা করেন। সেখানে পাওয়া গুজরাটি ভাষায় লেখা ১৫ পৃষ্ঠার এক সুইসাইড নোটে অন্যদের সাথে প্রফুল্ল প্যাটেলের নাম রয়েছে। মোহন দেলকারের পুত্রের অভিযোগ : তার বাবা প্রফুল্ল প্যাটেলের অত্যুক্তির শিকার। তার বাবার কাছে প্যাটেল ২৫ কোটি রুপি দাবি করেছিল। এই অর্থ না দেয়া হলে ‘প্রিভেনশন অব অ্যান্টি-সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিজ অ্যাক্টে’র আওতায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। গত ২৫ মে মুম্বাই পুলিশ প্যাটেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

প্রফুল্ল প্যাটেল লাক্ষাদ্বীপেরও প্রশাসক হয়ে এরই মধ্যে দ্বীপটিকে তছনছ করে দিয়েছেন। যে যৎসামান্য গণতন্ত্র সেখানকার জনগণ ভোগ করে আসছিল, তাও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এখন প্রতি পাঁচ বছর পরপর একজন এমপি নির্বাচনের বদলে জনগণ শুধু পঞ্চায়েত পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। সেই সাথে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে পাঁচটি ক্ষেত্রে : শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, পশুপালন ও মৎস্য খাত।

তাছাড়া, প্রস্তাবিত নতুন পঞ্চায়েত রেগুলেশনে বলা হয়েছে, যাদের সন্তানের সংখ্যা দুইয়ের বেশি, তারা লাক্ষাদ্বীপের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনের লাভ-লোকসানের হিসাব থেকেই এই রেগুলেশন। তবে প্রশ্ন হলো: সরকার কেন সারা দেশে এই আইন বলবৎ করেনি? সারা দেশে এই আইন হলে বিজেপির নির্বাচিত ৩০৩ এমপির মধ্যে ৯৬ জনই বাদ পড়ে যেতেন। কারণ, এক-তৃতীয়াংশ বিজেপি এমপির রয়েছে দুইয়ের অধিক সন্তান। স্থানীয় লোকদের অভিযোগ, সরকার এসব করছে লাক্ষাদ্বীপের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য।

লাক্ষাদ্বীপের মানুষের অভিযোগ: প্রফুল্ল প্যাটেলই তাদের দ্বীপগুলোতে কোভিড ভাইরাস ছড়িয়েছেন। ২০২০ সালে লাক্ষাদ্বীপের একজনও করোনা রোগী ছিল না। কারণ, সেখানে চালু ছিল স্ট্যান্ডার্ড-অপারেটিং-প্রসিডিউর (এসওপি)। লাক্ষাদ্বীপে আসা প্রত্যেককে প্রথমেই করোনা টেস্ট করতে হতো। টেস্টের পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো। কিন্তু প্রফুল্ল প্যাটেল প্রশাসক হওয়ার পর এই নিয়ম পাল্টে দেন। ২০২১ সালে ১৮ জানুয়ারি সেখানে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। মাত্র চার মাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ছয় হাজারে উঠেছে।

সাধারণত কেউ অপরাধ করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। আদালত সিদ্ধান্ত দেয় সে অপরাধী কি না। কিন্তু সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে সরকার পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে বিচারিক ক্ষমতা। আজ থেকে ১০০ বছর আগে ব্রিটিশরা ভারতে চালু করেছিল Rowlett Act| সে আইনে যে কাউকে গ্রেফতার করে বিচার ছাড়াই কারাগারে পাঠানো যেত। ১০০ বছর পর ভারত সরকার ২০১৯ সালে পাস করে ইউএপিএ (আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল। এই আইনে যে কাউকে টেরোরিস্ট ঘোষণা করা যাবে। তাকে বিচার ছাড়াই কারাগারে পাঠাতে পারবে সরকার। গত মার্চে এক ধরনের আইন তৈরি করা হয় বিহারে: ‘বিহার স্পেশাল আর্মড পুলিশ বিল ২০২১’। এর মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয় কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই যে কাউকে সার্চ ও গ্রেফতারের। শুধু তাই নয়, যদি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এ আইনের আওতায় কোনো অপরাধ করেন, তবে আদালত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে। এর সরল অর্থ, সরকারের অনুমতি ছাড়া আদালত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না।

লাক্ষাদ্বীপে আরেকটি নতুন খসড়া আইনের সূচনা করা হয়েছে : ‘পিভেনশন অব অ্যান্টি-সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিজ অ্যাক্ট’ বা অ্যান্টি-গুণ্ডা আইন। মূলত এই আইনের আওতায় যে কাউকে জনসমক্ষে প্রকাশ না করে এক বছর আটক রাখা যাবে।

পরিসংখ্যান বলে, সারা ভারতে লাক্ষাদ্বীপেই অপরাধের হার সবচেয়ে কম। অতএব কোন অজুহাতে এই আইন করা? স্থানীয় লোকদের অভিমত, প্রফুল্ল প্যাটেল এই আইন ব্যবহার করবেন তাদের বিরুদ্ধে, যারা তার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে। কার্যত পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব করা ও এ ধরনের আইন চালু করার মুখ্য উদ্দেশ্য লাক্ষাদ্বীপে বিজেপির পুলিশরাজ কায়েম করা।

এর কোনো প্রয়োজন ছিল না। কারণ, লাক্ষাদ্বীপ একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল। সেখানেকার মানুষও খুবই শান্তিপ্রিয়। সেখানকার ৯৯ শতংশ মানুষ মুসলমান হলেও সেখানে নেই কোনো ইসলামিক রাজনৈতিক দল; নেই কোনো উগ্র মুসলিম সংগঠন। লোকসভা এমপি মোহাম্মদ ফয়সল ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির লোক। সেখানে বাম দলের ভিত্তিও বেশ শক্ত।

সিপিআই(এম)-এর এক এমপি অভিযোগ করেছেন, প্রফুল্ল প্যাটেল স্থানীয় জেলে ছাউনির কয়েকটি নৌকা ভেঙে দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে, লাক্ষাদ্বীপের এক জেলের ভিডিও টুইটারে ভাইরাল হয়। এভাবে সেখানকার নাগরিকদের নানাভাবে অহেতুক হয়রানি করছেন প্রফুল্ল প্যাটেল। তিনি সেখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ করেছেন স্রেফ মুসলমানদের হেনস্তা করার জন্য।

মনোরম সুন্দর এই দ্বীপটির সবকিছু এক কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকের হাতে পড়ে যেন ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। সেখানকার উদ্বিগ্ন জনগণের পক্ষ থেকে সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপকে বাঁচাতে কেরালা সরকারের গভর্নরের কাছে প্রফুল্লের সব অপকর্ম বন্ধ করার লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট


আরো সংবাদ



premium cement
মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সকল