২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

এবারের যুদ্ধে কারা বিজয়ী

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতি স্থাপনের প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ। - ছবি : এএফপি

এবারের পবিত্র ‘আল-কুদস দিবস’ ছিল গত ১০ মে। প্রতি বছর রমজানের শেষ জুমাবারে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে প্রায় চার দশক ধরে। ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের পর এ বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনি এই দিবস ঘোষণা করেছিলেন। এ ঘোষণার তাৎপর্য যে কত গভীর ও সুদূরপ্রসারী তা স্পষ্ট হয়, এই দিনে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে। প্রতি বছর তারা এই দিনে পবিত্র মসজিদুল আকসায় মুসলমানদের জুমাতুল বিদা পালনে বিঘ্ন সৃষ্টি করে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে এবং গায়ে পড়ে সংষর্ষ বাধায়। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে ব্যতিক্রম ঘটেছে মুসলমানদের মরণপণ সংগ্রামে, প্রতিরোধে। ইসলামের প্রথম কিবলা পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস বা আল-কুদ্স আশ-শরিফ; যেটি আল আকসা মসজিদ নামে পরিচিত। ইসলামের পবিত্র তিনটি মসজিদের একটি। তাই বিশ্বের সব মুসলমানের মনে এ মসজিদের জন্য ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রয়েছে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সা: ‘মসজিদুল হারাম’ অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে ‘মসজিদুল আকসা’ হয়ে ঊর্ধ্বাকাশে পবিত্র মিরাজ শরিফ সম্পন্ন করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রাচীন এই মসজিদ নিয়ে শত শত বছর ধরে ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের ষড়যন্ত্র চলছে অব্যাহতভাবে। বিশেষ করে ১৯৪৮ সালে ‘মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া’রূপী ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্ম হলে সেই ষড়যন্ত্র বীভৎস রূপ নেয়। হাজার বছর ধরে যে পবিত্র শহর ছিল একান্তভাবে ফিলিস্তিনি আরবদের, সেই জেরুসালেমের পশ্চিমাংশ দখল করে নেয় ইহুদিরা। পরে শহরের পূর্বাংশও দখল করে তারা। এই পূর্বাংশে ফিলিস্তিনিদের বসবাস এবং আল আকসা মসজিদেরও অবস্থান। ১৯৪৮ সাল থেকেই ইহুদি ও মুসলমানদের মধ্যে মসজিদের দখল নিয়ে বিরোধ ও সংঘর্ষ সঙ্ঘাত চলে আসছে।

ইমাম খোমেনি ইহুদিদের কবল থেকে এই মসজিদ মুক্ত করার লক্ষ্যেই পবিত্র কুরআন নাজিলের মাসে শেষ জুমাবার আল কুদস দিবস ঘোষণা করেন। তখন থেকেই বিশ্বের মুসলমানরা দিবসটি পালন করার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে আসছে। এতে ভীতি ও শঙ্কা বাড়ছে অবৈধ রাষ্ট্রটির। তারা যে কোনো উপায়ে মুসলিমদের এই সংহতির প্রতীকটি নির্মূল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ আমেরিকার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে এবং আর্থিক সুবিধার লোভে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ‘স্বাভাবিক’ করার পর ফিলিস্তিনি ও ওই অঞ্চলের বৃহত্তর আরব জনগণের মধ্যে ইসরাইলের প্রতি বিরূপতা আরো বেড়েছে। ইরান ও তুরস্ক মুসলিম উম্মাহর ইস্যুতে আরো বেশি সোচ্চার ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। আর এসব দেখে মাথা ‘এলোমেলো’ হয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের। সেই সাথে আছে দেশটির চরম সাম্প্রদায়িক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ক্ষমতা হারানো এবং দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দী হবার ভয়। ঘুষ খাওয়া, দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া এবং বিশ্বাস ভঙ্গ করার মতো বেশ কয়েকটি গুরুতর অপরাধের কারণে তার বিরুদ্ধে ইসরাইলের আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযোগগুলোর পেছনে জোরালো তথ্যপ্রমাণ আছে বলে জানা যায় ইসরাইলেরই গণমাধ্যমের খবরে। সুতরাং ক্ষমতা হারালে তাকে জেলে যেতে হবে এটা একরকম নিশ্চিত। আবার ক্ষমতাও যে তার হাতে থাকবেই এমন নিশ্চয়তাও তিনি পাচ্ছিলেন না, জনপ্রিয়তায় ধস নামার কারণে। আগামী দু’বছরের মধ্যে যে নির্বাচন হবে তার আগে জনপ্রিয়তা বাড়ানো বা ভোটব্যাংক নিশ্চিত করার একটি জরুরি এজেন্ডা তার সামনে রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করা তার সেই এজেন্ডার অংশ বলে অনেক আরব বিশ্লেষকই মনে করেন। কিন্তু সেই লক্ষ্য বুমেরাং হয়েছে।

এবারের যুদ্ধ
গত ১৪ মে জুমাতুল বিদার দিন জেরুসালেমে মসজিদুল আকসায় মুসলমানদের নামাজ পড়তে বাধা দেয় ইসরাইলি পুলিশ। বহু ফিলিস্তিনি সেদিন মসজিদে উপস্থিত ছিলেন মাহে রমজানের শেষ জুমার নামাজ আদায়ের জন্য। পুলিশি হামলার আশঙ্কায় মসজিদের প্রবেশপথে ব্যারিকেড দিয়ে তারা ভেতরে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিলেন। আল-কুদস দিবসের এই বিক্ষোভ তাদের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ। পুলিশ যথারীতি তাতে বাধা দেয় এবং বিপুল শক্তি প্রয়োগ করে। তাদের হামলায় প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনি আহত হন যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা ছিল গুরুতর। গ্রেফতার করা হয় বিপুল সংখ্যককে। এই হামলা এমন সময় চালানো হয় যখন সব ফিলিস্তিনি ছিল ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদমুখর। ক্ষোভের কারণ, ওই একই সময়ে ইহুদি রাষ্ট্রটি প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে জেরুসালেম নগরীর শেখ আল জাররাহ উদ্বাস্তু শিবিরের ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে জোর করে উচ্ছেদ করছিল এবং সেসব ঘরবাড়ি ইহুদি দখলদাররা দখল করে নিচ্ছিল। গায়ের জোরে এই উচ্ছেদের সময় যে নির্যাতন করা হয় তা নজিরবিহীন। প্রতিবাদকারীদের মাটিতে ফেলে মাথা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছে ইহুদি পুলিশ এমন দৃশ্য আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত বারুদের মতো দাহ্য। মসজিদে হামলার ঘটনা ও আল জাররায় উচ্ছেদের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি বিভিন্ন গ্রুপ ইসরাইলে রকেট হামলা চালায়। এসব হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু জবাবে ইসরাইল দেশের একপ্রান্তে অবস্থিত ছোট্ট একটি অবরুদ্ধ এলাকা, গাজায় জঙ্গিবিমান দিয়ে বোমা ফেলতে শুরু করে। সেই বিমান হামলায় প্রথম দিনেই ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কিছু ভবন ধ্বংস হয়।

গাজার ক্ষমতায় রয়েছে ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হামাস। তারা নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় আছেন। ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের যে প্রতিরোধ সংগ্রাম তার অন্যতম সেরা শক্তিশালী দল এখন হামাস। তাই ইসরাইল গাজায় হামলা চালিয়েছে হামাসকে ধ্বংস করতে। পরবর্তী ১১ দিন ধরে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে গেছে ইসরাইল। বেছে বেছে গাজার সব গুরুত্বপূর্ণ ভবন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। ছাড় পায়নি বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম ও টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আলজাজিরা এবং আমেরিকান বার্তা সংস্থা এপির অফিস ভবনও। ১১ দিনের সর্বাত্মক ও উপর্যুপরি হামলায় নিহত হয়েছে ২৪৮ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে আছে ৬৬টি শিশু ও ৩৯ জন নারী। আহত ১,৯১০ জন। আর বাড়িঘর হারিয়ে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন ১,৯১০ জন ফিলিস্তিনি। এর বিপরীতে হামাস হাজারে হাজারে মিসাইল ছুড়েছে এটি ঠিক। কিন্তু সেগুলোর কার্যকারিতা দৃশ্যত সামান্যই। ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার প্রযুক্তি অনেক শক্তিশালী। ফলে হামাসের হামলায় ইসরাইলের পক্ষে মারা গেছে ‘মাত্র ১২ জন’। এর মধ্যে দুটি শিশু আর তিনজন বিদেশী শ্রমিক।

তার পরও হামাসের জয়?
রকেট হামলা চালিয়ে ইসরাইলের তেমন কোনো ক্ষতি করতে না পারলেও হামাস এই যুদ্ধে বিজয় দাবি করেছে। কিভাবে এটিকে ‘বিজয়’ হিসাবে দেখা যেতে পারে? আসুন, দেখে নিই, কেন তারা এটিকে ‘বিজয়’ বলছেন। ১১ দিনের হামলা শেষে নেতানিয়াহু বা ইসরাইলের মন্ত্রিসভা যখন যুদ্ধবিরতি মেনে নিলো তখন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সেই মধ্যরাতেই রাজপথে ছুটে আসে। তারা রাতভর উল্লাস করেছে। জঙ্গিবিমানের নির্বিচার হামলা, মৃত্যুর মুখোমুখি ১১টি নিদ্রাহীন রাতের পরও ২১ মে’র সেই রাতটিও নিদ্রাহীন কাটে তাদের। তবে এই নির্ঘুম রাতযাপন ছিল বাঁধভাঙা উল্লাসের, আনন্দের। কারণ সাধারণভাবে সব ফিলিস্তিনিই এটিকে তাদের বিজয় হিসেবেই দেখছিলেন এজন্য যে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একেবারে নিঃশর্তভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন; যদিও তিনি দাবি করেছেন, তার বিমানবাহিনী হামাসকে ‘শিক্ষা’ দিয়েছে, তাদের সুড়ঙ্গপথের নেটওয়ার্ক ও রকেট কারখানা ধ্বংস করেছে এবং ২৫ জন সিনিয়র নেতাসহ ২০০ হামাস যোদ্ধাকে খতম করেছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি নেতারা বলছেন, তারা দুটি শর্ত মেনে নিতে ইসরাইলকে বাধ্য করেছেন। হামাস নেতা আবদেল লতিফ আল-কানো বলেছেন, দুটি শর্ত হলো, আল আকসায় পুলিশ মোতায়েন করা যাবে না এবং শেখ জাররাহ থেকে কোনো ফিলিস্তিনি পরিবারকে জোর করে উচ্ছেদ করা যাবে না। এই শর্তারোপ করতে পারাই তাদের বিজয় দাবির মূল কারণ নয়। যে কারণে তারা বিজয় দাবি করেছেন সেটি হলো, ফিলিস্তিনি জনগণের সুদৃঢ় ঐক্যের প্রতিফলন ঘটেছে এবারের প্রতিরোধে। আর গোটা বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি হামলার বিষয়ে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সোচ্চার হয়ে উঠেছে।

হামাসের বিজয় দাবির অনুকূলে এটাই সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে, এই বিজয়ের ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের মনে কোনো সন্দেহ নেই। তারা ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ পর গত শুক্রবার সকালে সমবেতভাবে ঈদুল ফিতরের দোয়া পাঠ করেছেন এবং খুতবা দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর সবাই মিষ্টিমুখ করেছেন, মিষ্টি বিতরণ করেছেন। বিমান হামলার কারণে তারা এবার ঈদের জামাত পড়তে বা উৎসব পালন করতে পারেননি। অন্যদিকে নেতানিয়াহুর পরাজয় এখানেই যে, তার জনগণ এটিকে বিজয় মনে করছে না। বরং নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার ঘটনাকে তারা পরাজয় হিসাবেই দেখছে। শুনুন ইহুদি জঙ্গিবাদীদের মন্তব্য। ইসরাইলের নিউ হোপ পার্টির নেতা গিডিওন সার বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি ‘বিব্রতকর’। বলেছেন, বিশ্বের সেরা গোয়েন্দা সংস্থা ও বিমানবাহিনী ব্যবহার করেও নেতানিয়াহু হামাসের কাছ থেকে কেবল একটি ‘শর্তহীন যুদ্ধবিরতি’ আদায় করতে পেরেছেন। ইসরাইলের সংসদ বা নেসেটের চরমপন্থী সদস্য ইতামার বেন গবির বলেন, এই বিব্রতকর যুদ্ধবিরতি হলো ‘হামাসের কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ’।

গাজায় পরাজয়ের কথা স্বীকার করে ইসরাইলের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আইজ্যাক ব্রিক একটি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রমাণিত হয়েছে, তেলআবিব কয়েকটি ফ্রন্টে একসাথে যুদ্ধ করতে গেলে মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তিনি বলেন, যখন হিজবুল্লাহও যুদ্ধে নামবে, তখন আমরা কিভাবে তা মোকাবেলা করব?

সুতরাং, হামাস যে বিজয় দাবি করেছে, সেটি নিঃসংশয়। গাজার ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক আদনান আবু আমের বলেন, এবারের যুদ্ধে হামাস সামরিক ও রাজনৈতিক উভয় দিক দিয়েই বিজয়ী হয়েছে বলে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাধারণভাবে ঐকমত্য দেখা গেছে। কারণ ইসরাইলের বস্তুগত ক্ষতি খুব একটা করতে না পারলেও গোটা বিশ্বের সামনে ইসরাইলের ভাবমূর্তিতে মারাত্মকভাবে আঘাত করতে পেরেছে। এবারই ইসলামী, আরব ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের বৃহত্তম অংশ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার সরকার ইসরাইলের সমর্থনে আগের মতোই ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছেন যা লজ্জাজনক। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসে এবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ইসরাইলকে বাড়তি সামরিক সাহায্য দেয়ার একটি উদ্যোগ। দু’জন সদস্য এই সহায়তা বন্ধ করার দাবিতে বেসরকারি বিল জমা দিয়েছেন। এতে সাহায্যদান বন্ধ হবে কিনা সেটি পরের কথা; কিন্তু এটি ইসরাইলের প্রতি মার্কিন জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে ভূমিকা রাখবে, সন্দেহ নেই।

যুদ্ধবিরতির পর একে স্বাগত জানিয়ে বিশ্বের বহু দেশ শান্তির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো শান্তিপ্রক্রিয়া আদৌ নেই। একমাত্র তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ফিলিস্তিনিদের জীবন ও সম্পদের বিপুল ক্ষতি সাধনের জন্য ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও বিচার করতে হবে। আর ইরান গত চার দশক ধরেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আশা করা যায়, অন্যান্য মুসলিম দেশ ও আরব বিশ্ব এ বিষয়ে সোচ্চার হলে একদিন সেই সময়ও আসবে যখন ইসরাইলকে সন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার দুশমন হিসেবে হাতেনাতে পাকড়াও করা যাবে।

ই-মেইল: mujta42@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement