১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রমের মজুরি

শ্রমের মজুরি - ছবি : সংগৃহীত

সাধারণ অর্থে শ্রমের মজুরি বলতে আমরা বুঝি একজন শ্রমিকের শ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক বা অর্থ। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ -এ মজুরির যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে- মজুরি অর্থ টাকায় প্রকাশ করা হয় বা যায় এমন সব পারিশ্রমিক যা কোনো শ্রমিককে তার চাকরির জন্য বা কাজের জন্য প্রদেয় হয় এবং নিম্নলিখিত ব্যতীত উক্তরূপ প্রকৃতির অন্য কোনো অতিরিক্ত প্রদেয় পারিশ্রমিকও এর অন্তর্ভুক্ত হবে। যথা- ক. বাসস্থান সংস্থান, আলো, পানি, চিকিৎসা সুবিধা বা অন্য কোনো সুবিধা প্রদানের মূল্য অথবা সরকার কর্তৃক সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে এরূপ কোনো সেবার মূল্য, খ. অবসর ভাতা তহবিল বা ভবিষ্যৎ তহবিলে মালিক কর্তৃক প্রদত্ত কোনো চাঁদা, গ. কোনো ভ্রমণ ভাতা অথবা কোনো ভ্রমণ রেয়াতের মূল্য এবং ঘ. কাজের প্রকৃতির কারণে কোনো বিশেষ খরচ বহন করার জন্য কোনো শ্রমিককে প্রদত্ত অর্থ।

শ্রম আইন, ২০০৬ এ মজুরির আরেকটি বিশেষ সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ বিশেষ সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সংজ্ঞায় বর্ণিত পারিশ্রমিক ছাড়াও নিম্নলিখিত পারিশ্রমিকসমূহ মজুরির অন্তর্ভুক্ত হবে। যথা- ক. নিয়োগের শর্ত মোতাবেক প্রদেয় কোনো বোনাস অথবা প্রদেয় অন্য কোনো পারিশ্রমিক, খ. ছুটি, বন্ধ অথবা অতিরিক্ত কর্মের জন্য প্রদেয় কোনো পারিশ্রমিক, গ. কোনো আদালতের আদেশ অথবা পক্ষদ্বয়ের মধ্যে কোনো রোয়েদাদ বা নিষ্পত্তির অধীনে প্রদেয় কোনো পারিশ্রমিক, ঘ. চাকরির অবসান, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, পদত্যাগ, অবসর, বরখাস্ত এর কারণে এ আইনের অধীনে প্রদেয় কোনো অর্থ এবং ঙ. লে-অফ অথবা সাময়িক বরখাস্তের কারণে প্রদেয় কোনো অর্থ।

‘শ্রমিকরা একটি দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও অধিকারবঞ্চিত করে কখনো শ্রমিকসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শ্রমবান্ধব পরিবেশ আশা করা যায় না। তাই অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করতে হলে চাই শ্রমিকের শ্রমের সঠিক মূল্যায়নপূর্বক মজুরি প্রদান এবং তদ্সহ আইনসম্মত অপরাপর সুযোগ সুবিধার যথাযথ নিশ্চিতকরণ’

আমাদের দেশে দুই ধরনের শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। এ দুই ধরনের শ্রমিক হলো রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান হলো সরকারি পাটকল, সরকারি চিনিকল, সরকারি কাগজকল, রেল শ্রমিক, অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি। এ যাবৎকাল পর্যন্ত ব্যক্তিমালিকানাধীন ৪২টি শিল্প সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পোশাক শিল্প, পাটকল, চা বাগান, জাহাজ ভাঙা, ট্যানারি, বিড়ি, প্লাস্টিক, কোল্ড স্টোরেজ, ওষুধ, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, হোমিওপ্যাথ কারখানা, পেট্রোল পাম্প, জুতা কারখানা, সিনেমা হল, দর্জি কারখানা, আয়ুর্বেদিক কারখানা, হোসিয়ারি, হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, বেকারি বিস্কুট অ্যান্ড কনফেকশনারি, রাইস মিল, কটন টেক্সটাইল, সোপ অ্যান্ড কসমেটিক্স, রি-রোলিং মিলস, প্রিন্টিং প্রেস, গ্লাস অ্যান্ড সিলিকেটস, চিংড়ি, টি প্যাকেটিং, সড়ক পরিহন, সল্ট ক্রাশিং প্রভৃতি। ব্যক্তিমালিকানাধীন ৪২টি শিল্প সেক্টর ব্যতীত এরূপ অনেক শিল্প সেক্টর রয়েছে যেখানে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কর্মরত আছে। কিন্তু এসব শিল্প সেক্টর সরকার কর্তৃক ব্যক্তিমালিকানাধীন শিল্প সেক্টর হিসেবে স্বীকৃত না হওয়ায় এসব শিল্প সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে অভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় না। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হচ্ছে- সিরামিকস, জুয়েলারি, সিমেন্ট কারখানা, ইলেকট্রনিক্স কারখানা, ইটভাটা, ক্যাবল কারখানা, ব্যাভারেজ কারখানা, সিগারেট, বলপেন, পোলট্রি ফার্ম, দুগ্ধ খামার, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর প্রভৃতি।

আমাদের দেশে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কৃষি, গৃহস্থালি ও রিকশা চালনা কাজে নিয়োজিত। এসব শ্রমিক একজন ব্যক্তিমালিক কর্তৃক সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে তার প্রয়োজনের নিরিখে নিয়োজিত বিধায় এগুলোকে ব্যক্তিমালিকানাধীন শিল্প হিসেবে ঘোষণার অবকাশ সীমিত। তাছাড়া কৃষি কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা সাময়িক বা মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। রিকশা চালনার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা পালায় কাজ করে থাকে এবং প্রতিদিন একটি পালায় একজন রিকশাচালক সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজ করে থাকে। রাজধানী ঢাকা শহরে একটি পালা সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিস্তৃত এবং অপর পালাটি বেলা ২টা থেকে রাত ১০টা অবধি বিস্তৃত। পালার বাইরে যেসব রিকশা শ্রমিক রিকশা চালনার কাজে নিয়োজিত তাদের অনেকেই নিজ মালিকানাধীন রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বর্তমানে শহর অঞ্চলে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে দুই ধরনের ব্যক্তি গৃহস্থালি কাজে নিয়োজিত। এর একটি হচ্ছে সার্বক্ষণিক, যারা গৃহকর্তার বাসা-বাড়িতে অবস্থান করে যাবতীয় কার্য সমাধা করে। আর অপরটি হচ্ছে খণ্ডকালীন, যারা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় গৃহকর্তার বাসা-বাড়িতে অবস্থান করে নির্ধারিত কিছু কার্য সমাধা করে। যদিও আগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপরিউক্ত তিন ধরনের কাজ যথা- কৃষি, গৃহস্থালি ও রিকশা চালনায় নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের সুযোগ সীমিত কিন্তু এ সব শ্রমিকের কাজের পরিধি নির্ধারণপূর্বক তাদের নিম্নতম মজুরি কাঠামোর আওতাভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। এটিকে কার্যকর করতে হলে সরকারের সদিচ্ছার আবশ্যকতা রয়েছে।

আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি শিল্প সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি সরকার কর্তৃক প্রচলিত আইনের বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক নির্ধারণ করা হলেও প্রায়ই বিভিন্ন শিল্পকারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যায়। উভয় ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধানে জানা যায় মাসের প্রারম্ভে মজুরি পরিশোধের ব্যর্থতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে শ্রমিক অসন্তোষের মূল কারণ। এ ছাড়া শ্রমআইন, ২০০৬ এ শ্রমিকদের মজুরির বাইরে আনুষঙ্গিক অপর যেসব সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে তা নিশ্চিতকরণে ব্যর্থতার মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায় শ্রমিক অসন্তোষের অপরাপর কারণ।

ইসলাম ধর্মে শ্রমিকের মজুরি দ্রুত পরিশোধের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ সা:-এর হাদিসে বর্ণিত আছে- ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পাওনা মিটিয়ে দাও।’ এ বাক্যটি দ্বারা শ্রমিকের মজুরি তাৎক্ষণিক মিটিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এ কথাটি অনস্বীকার্য যে, শ্রমিকের মজুরি তাৎক্ষণিক মিটিয়ে দেয়া হলে দেখা যাবে শ্রমিক অসন্তোষ একেবারেই অনুপস্থিত। শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজের ধরন ও প্রকৃতি অনুযায়ী পাঁচ শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা- শিক্ষাধীন, বদলি, সাময়িক, অস্থায়ী, শিক্ষানবিস ও স্থায়ী।

একজন শ্রমিককে শিক্ষাধীন বলা হয় যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে তার নিয়োগ প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে হয় এবং প্রশিক্ষণকালে তাকে ভাতা প্রদান করা হয়। একজন শ্রমিককে বদলি শ্রমিক বলা হয় যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে তাকে কোনো স্থায়ী শ্রমিক বা শিক্ষানবিসের পদে তাদের সাময়িক অনুপস্থিতকালীন সময়ের জন্য নিয়োগ করা হয়। একজন শ্রমিককে সাময়িক শ্রমিক বলা হয় যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে তার নিয়োগ সাময়িক ধরনের হয়। একজন শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হয় যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে তার নিয়োগ হয় একান্তভাবে অস্থায়ী ধরনের এমন কোনো কাজের জন্য এবং যা সীমিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একজন শ্রমিককে শিক্ষানবিস শ্রমিক বলা হয় যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো স্থায়ী পদে তাকে আপাতত নিয়োগ করা হয় এবং তার শিক্ষানবিসকাল সমাপ্ত না হয়ে থাকে। একজন শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হয় যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে তাকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয় অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানে তার শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত হয়ে থাকে।

আমাদের শ্রম আইনে কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইভাবে শর্তসাপেক্ষে কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কিশোর শ্রমিক নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক প্রদত্ত সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র। আমাদের শিশু আইনে ১৬ বছর বয়সের নিম্নের বয়সের ব্যক্তিকে শিশু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১৬-১৮ বছর বয়সের মধ্যে অবস্থানকারী ব্যক্তিকে কিশোর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আমাদের শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে ‘ওভারটাইম’ ছাড়া দৈনিক ৮ ঘণ্টার অধিক সময় কাজ করবেন না। দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমের বাইরে একজন শ্রমিকের অধিককাল শ্রম ২ ঘণ্টা এবং এ ২ ঘণ্টা সময়ের জন্য তিনি তার প্রচলিত মজুরি হারের দ্বিগুণ হারে মজুরি পাবেন। দৈনিক ও ওভারটাইম কর্মঘণ্টাসহ একজন শ্রমিকের সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা হবে সর্বোচ্চ ৬০ ঘণ্টা এবং বছরে তা গড়ে ৫৬ ঘণ্টার বেশি হতে পারবে না।

কারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক একদিন সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করে থাকেন। এ ছুটির বাইরে একজন শ্রমিক পূর্ণ মজুরিতে বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ও ১৪ দিন পীড়া ছুটি ভোগের অধিকারী। একজন শ্রমিক বছরে পূর্ণ মজুরিতে ১১দিন উৎসব ছুটি ভোগের অধিকারী। একজন শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে এক বছর চাকরি পূর্ণ করলে পরবর্তী ১২ মাস সময়ে পূর্ববর্তী ১২ মাসের কাজের জন্য কর্মক্ষেত্র ভেদে প্রতি ১১দিন, ১৪ দিন, ১৫ দিন, ১৮ দিন ও ২২ দিন কাজের জন্য পূর্ণ মজুরিতে একদিন ছুটি ভোগের অধিকারী।

শ্রম আইন অনুযায়ী একজন মহিলা শ্রমিক সন্তান প্রসবকালীন ১৬ সপ্তাহের প্রসূতিকল্যাণ ছুটি ভোগের অধিকারী। যদিও সম্প্রতি সরকার এ ছুটিকে ৬ মাস পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন কিন্তু শ্রমআইন সংশোধিত না হওয়ায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন মহিলা শ্রমিক ৬ মাসকাল প্রসূতি কল্যাণ ছুটি ভোগ করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে শ্রমিকরা একটি কোম্পানির নিট মুনাফার ৫ শতাংশ ৮০:২০ অনুপাতে অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিলে মালিক কর্তৃক প্রদানপূর্বক ভোগের অধিকারী।

বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বিষয়ে শ্রম আইনে বিধিবিধান দেয়া আছে। কিন্তু এ সব বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন বিপর্যয় দেখা দেয়। শ্রম আইন, ২০০৬ সার্বিকভাবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য মজুরিসহ আনুষঙ্গিক যেসব সুযোগ সুবিধার বিষয় নিশ্চিত করেছে তা সঠিকভাবে প্রতিপালনের মধ্যেই নিহিত আছে যে কোনো ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সফলতা।

শ্রমিকরা একটি দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও অধিকারবঞ্চিত করে কখনো শ্রমিকসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শ্রমবান্ধব পরিবেশ আশা করা যায় না। তাই অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করতে হলে চাই শ্রমিকের শ্রমের সঠিক মূল্যায়নপূর্বক মজুরি প্রদান এবং তদ্সহ আইনসম্মত অপরাপর সুযোগ সুবিধার যথাযথ নিশ্চিতকরণ।

লেখক : সাবেক জজ ও সাবেক রেজিস্ট্রার, সুপ্রিম কোর্ট
E-mail: iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement