২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তুরস্ক-সৌদি-মিসর সম্পর্কের রাজনৈতিক প্রভাব

-

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে যে নতুন সমঝোতার দ্বার খুলতে শুরু করেছে তার প্রভাব এই অঞ্চলের সক্রিয় রাজনৈতিক শক্তির ওপর কতটা কিভাবে পড়বে তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ হচ্ছে। আমেরিকার ক্ষমতায় বাইডেন প্রশাসনের আগমনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও পররাষ্ট্র কৌশলে কিছুটা নতুন বিন্যাস আনতে শুরু করেছে আগে থেকেই। এই বিন্যাসের অংশ হিসেবে ইসরাইলনির্ভর নিরাপত্তা কৌশলের দিকে যেভাবে উপসাগরীয় দেশগুলো ও মিসর ঝুঁকে পড়েছিল তাতে কিছুটা নতুন ছেদ পড়ে।

বাইডেন প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের আগে ও পরে ওয়াশিংটনের নীতি প্রণেতাদের বক্তব্যে ধারণা করা হয় যে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির ট্রাম্পীয় কৌশল আমেরিকান স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর হয়নি। আর এই অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসার ইঙ্গিতই পাওয়া যায় বাইডেন ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেটের বক্তব্যে। ওয়াশিংটনের ইরান নীতির প্রভাব স্বাভাবিকভাবে উপসাগরীয় অঞ্চলসহ সার্বিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যে পড়ে।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে রাষ্ট্রের নীতি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের বিষয়টি কোনো সময় বাইডেন ভালো চোখে দেখেননি। এর ফলে ওয়াশিংটনে ক্ষমতার পালাবদলের প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যের উদীয়মান ও রাজতান্ত্রিক এই দুই নেতার ওপর সঙ্গতভাবেই পড়ার কথা। সৌদি সাংবাদিক খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আমেরিকান গোয়েন্দা রিপোর্টে মোহাম্মদ বিন সালমানকে দোষারোপ করার মধ্য দিয়ে এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

কিন্তু সৌদি আরবের সাথে আমেরিকান সম্পর্কের নির্ভরতা পুরোপুরি একপক্ষীয় নয়। সৌদি নীতিনির্ধারণে আমেরিকার প্রভাব যেমন প্রবলভাবে রয়েছে, তেমনিভাবে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান স্বার্থ রক্ষায় সৌদি আরবের প্রয়োজনও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আরব বসন্তের পর সৌদি আরব ও মিত্ররা মুসলিম ব্রাদারহুড ও এর সমর্থনকারী তুরস্ক ও কাতার আর ইরানকে এক সাথে মোকাবেলার কৌশল নেয়। এর অংশ হিসেবে ইসরাইলঘনিষ্ঠ সেক্যুলার উদারনৈতিক বৈশ্বিক ধারার কাছাকাছি হওয়ার সাথে সাথে রাশিয়া ও চীনের সাথেও সমান্তরাল সম্পর্ক তৈরি করেছে সৌদি আরব।

বাইডেন প্রশাসনের সম্ভাব্য চাপের মুখে নীতি বিন্যাসে সৌদি আরবের সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে বলে মনে হয়। প্রথমত, বাইডেন প্রশাসনের সাথে সৌদি আরবের ক্ষমতার বর্তমান বিন্যাসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এক ধরনের সমঝোতায় যাওয়া। এতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন আল সালমান সৌদি নীতি প্রণয়নে একতরফা প্রভাব আগের মতো ধরে রাখতে না পারলেও ক্ষমতার ধারাক্রমে থেকে যাবেন। এর বিপরীতে, রিয়াদ আমেরিকার অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করবে। এ ব্যাপারে বাদশাহ সালমানের সাথে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোনালাপে কথাবার্তা হয়েছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক স্পেস কিছুটা বাড়ানোর ব্যাপারে ওয়াশিংটনের চাপ রিয়াদের ওপর হয়তো থাকতে পারে। তবে বাইডেন প্রশাসন মোহাম্মদ বিন সালমানের ব্যাপারে অধিকতর চাপ সৃষ্টি করলে বাদশাহ সালমান উত্তরাধিকারক্রমে পরিবর্তন আনতে পারেন অথবা চীন-রাশিয়ার সাথে কৌশলগত সম্পর্ক তৈরির পথে বিকল্প অক্ষের দিকে অগ্রসর হতে পারেন। এর মধ্যে সৌদি আরব দেশটিতে চীনা বিনিয়োগের ব্যাপারে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে এবং চার সহস্রাধিক সৌদি ছাত্রকে সরকারি বৃত্তি দিয়ে চীনে পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছে। সৌদি আরবে চীনা ভাষা শেখার একাধিক ইনস্টিটিউট খোলা হয়েছে। অন্য দিকে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনাসহ একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এই পথ গ্রহণের ব্যাপারে সৌদি ‘ডিপ স্টেট’ কতটা সম্মত হবে তা বলা কঠিন। তবে সৌদি সরকারের এই বিকল্প ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে রাখতে পারে।

দ্বিতীয় বিকল্প পথটি হলো, আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করে চীন-রাশিয়ার অক্ষে প্রবেশ না করে বৈশ্বিক শক্তির ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার মাধ্যমে নতুন এক আঞ্চলিক মেরুকরণে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও মিত্রদেশগুলোর সামনে একই সাথে ইরান ও তুর্কি দুই বলয়ের সাথে বৈরিতার পরিবর্তে একটি পক্ষের সাথে সমঝোতার সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ আসবে। ন্যাটো সদস্য ও সুন্নি দেশ হিসেবে তুরস্কের সাথে সমঝোতাকে সহজ ও স্বার্থানুকূল ভেবেছেন রিয়াদের নীতিপ্রণেতারা। তুর্কি নেতারাও মনে করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সুন্নি বলয় শক্তিমান করার পাশাপাশি ওআইসিকেন্দ্রিক নিজস্ব শক্তি তৈরি করা হলে নতুন পরিস্থিতিতে সার্বিক মুসলিম উম্মাহর কৌশলগত লাভ নিশ্চিত করা যাবে।

আরব-তুরস্ক এই সমঝোতার মূল বিষয় হবে সাধারণ স্বার্থের ইস্যুগুলোতে পরস্পরকে সহযোগিতা করা এবং বিরোধের বিষয়গুলোকে নমনীয় করে এক পাশে সরিয়ে রাখা। রাষ্ট্রিকভাবে এই সমঝোতায় সামনে আসবে সৌদি আরব ও তুরস্কের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতায় সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখা। এ ক্ষেত্রে ইয়েমেন সিরিয়া ও ইরাক ইস্যু সবার সামনে চলে আসে। এর সাথে থাকবে ভূমধ্যসাগর, লিবিয়া, ফিলিস্তিন, লেবাননের মতো কিছু বিষয়। ইয়েমেন পরিস্থিতির রাজনৈতিক বা সামরিক সমাধানের জন্য সৌদি-তুরস্ক সহায়তার বিষয়টিও সামনে চলে আসবে। অবস্থানগতভাবে দুই দেশই ইয়েমেনে আবদুুল মনসুর হাদির সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। এখন সামরিকভাবে সৌদি উপস্থিতির পাশাপাশি তুরস্ক ইয়েমেনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হাজির হলে ইরান বা তার প্রক্সি আনসারুল্লাহর (হুতি) জন্য রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প থাকবে না। এই দুই শক্তির সাথে সামরিকভাবে লড়াই করে জয়ী হওয়া ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এতে ইয়েমেন থেকে উদ্ভূত সৌদি নিরাপত্তা হুমকির একটি নিষ্পত্তি হতে পারে।

অন্য দিকে সিরিয়ায় পিকেকে-এর সাথে সম্পর্কিত কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াইপিজে ও ইরাকের পেশমার্গার মাধ্যমে তুর্কি নিরাপত্তার জন্য যে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে তা নিষ্পন্ন করতে সৌদি আরব সহায়তা করতে পারে। এটি হলে ‘আস্তানা’ উদ্যোগের মাধ্যমে সিরিয়া ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধানের যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে ইরান কার্যকরভাবে সাড়া দিতে পারে। অন্য দিকে কুর্দি বিদ্রোহীদের সাথে সম্পর্ক রক্ষার যে অভিযোগ তেহরানের বিরুদ্ধে উঠছে সে ক্ষেত্রে ইরান সামনে আর অগ্রসর হবে না।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান চাইছেন মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির এমন একটি ভারসাম্য তৈরি করা যাতে এই অঞ্চলে ওআইসির একক কার্যকর শক্তি তৈরি হয় যাতে নবসৃষ্ট বৈশ্বিক স্নায়ুযুদ্ধে মুসলিম শক্তি এক শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে। আর সব পক্ষ মুসলিম ব্লকের সহযোগিতার মূল্য অনুভব করে।

তুরস্ক-কাতার আর সৌদি-আমিরাত-মিসর বলয়ের সাথে যে সমঝোতার বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে তার মূল ভিত্তি এখানে। এখন প্রশ্ন হলো- এ ধরনের সমঝোতার প্রভাব মুসলিম ব্রাদারহুড ও সমমনা শক্তির ওপর কতটা কিভাবে পড়বে? রাজনৈতিক ইসলাম বা ইসলামী আন্দোলন যেটাই বলি না কেন, এ শক্তির সাথে একসময় সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, যেটি নতুন শতকের প্রথম দিকে এসে শিথিল হতে থাকে। আর এ শক্তির সাথে সম্পর্ক বাড়ে এরদোগানের একে পার্টির নেতৃত্বাধীন তুরস্ক সরকারের। আরব বসন্তের সময় রাজতান্ত্রিক দেশগুলোর সাথে এ শক্তির বৈরিতা তীব্র হয়। বিভিন্ন দেশে আরব বসন্তোত্তর নির্বাচনে মুসলিম ব্রাদারহুড সংশ্লিষ্টরা বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে শুরু করলে ইসরাইলের সহায়তায় পাল্টা অভ্যুত্থানের প্রয়াস পায় রাজতান্ত্রিক সরকারগুলো।

সৌদি আরবে প্রশাসন, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান থেকে এ ধারার শক্তিকে পুরোপুরি বিদায় করে দেয়ার প্রয়াস নেয়া হয়। হাজার হাজার আলেমসহ ইসলামী নেতাকে জেলবন্দী করে নীরবে দমনাভিযান চালানো হয়েছে। মিসরে অভ্যুত্থানোত্তর সিসি সরকার গণহত্যা, বিচারিক হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য দমনাভিযান চালিয়ে এ শক্তিকে দুর্বল করার প্রয়াস পায়। সিরিয়ায় একদিকে বাশার আল আসাদ; অন্য দিকে রাশিয়াকে দিয়ে এ শক্তিকে দমন করার চেষ্টা হয়। লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে দমনের চেষ্টা চলে ওই শক্তিকে।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে বাইডেন প্রশাসনের ক্ষমতায় আসা, করোনায় বিশ্বব্যাপী নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং চীন-রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্নায়ুযুদ্ধের ফলে ভিন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বিশ্বব্যাপী। এর বিশেষ প্রভাব পড়ে মধ্যপ্রাচ্যে। সেখানে রাজতন্ত্র ও আমির শাসিত দেশগুলোর মধ্যে একটি সাধারণ ঐকমত্য হলো, কোনো দেশেই বিদ্যমান ব্যবস্থাকে ভেঙে পড়তে না দেয়া। এ ক্ষেত্রে মরক্কো, কুয়েত ও জর্দান এক ধরনের সহাবস্থান ও সমঝোতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি অন্য দেশগুলো নিলে বিদ্যমান ব্যবস্থা ভেঙে না দিয়েই ইসলামী শক্তির সাথে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা যেতে পারে।

সমঝোতার দৃষ্টিভঙ্গি চূড়ান্ত রূপ নিলে সৌদি আরব বা অন্য আরব রাষ্ট্রগুলো ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নিপীড়ন বন্ধ করতে পারে। তাদের দাওয়াত ও সমাজসেবামূলক অন্যান্য কার্যক্রমের অবকাশ দিতে পারে। এর বিপরীতে রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিদ্যমান অবয়বকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কিছু তারা না করার ব্যাপারে একমত হতে পারে। চলতি শতকের গোড়ার দিকে যে সহযোগিতার সম্পর্ক উপসাগরীয় দেশগুলোতে দুই পক্ষের মধ্যে ছিল, সেটি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হতে পারে।

এই মেরুকরণ যারা চায় না তেমন শক্তি জোরালোভাবে সক্রিয় রয়েছে আরব দেশগুলোতে। ফলে এই চিন্তাভাবনা বা কৌশল একেবারে চ্যালেঞ্জমুক্ত হবে বলে মনে হয় না। তবে পুরনো সহাবস্থান ফিরে আসার সম্ভাবনা সামনে রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের সব আরব দেশে এই সমঝোতা একইভাবে হওয়ার অবকাশ রয়েছে বলে মনে হয় না। উপসাগরীয় দেশ বিশেষত সৌদি আরব বা কুয়েতে এটি যেভাবে এগোতে পারবে সেভাবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া আরব আমিরাত বা বাহরাইনে সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। আর মিসরের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে মূলত সেনাবাহিনী। বর্তমান জেনারেল সিসির সরকার কর্তৃত্বে থাকা অবস্থায় রাষ্ট্র হিসেবে মিসরের সাথে ভূমধ্যসাগরের সমুদ্রসীমা নিয়ে সমঝোতা হলেও মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সমঝোতা কতখানি সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মিসরের সরকার এখন ভেঙে পড়া অর্থনীতি এবং ইথিওপিয়ার নীল নদের ওপর নির্মিত বাঁধ নিয়ে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে। ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নির্বাচনে হেরে গেলে সিসির ক্ষমতার পরিবর্তনের সম্ভাবনা মিসরে তীব্র হয়ে উঠতে পারে। সিসির স্থলে বিকল্প কোনো সেনা কর্মকর্তা ক্ষমতায় এলে মিসরে ব্রাদারহুডের সাথে এক ধরনের বোঝাপড়া ও সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। মোবারকের সময় কাজ করার ব্যাপারে যে স্পেস ব্রাদারহুডের ছিল সে রকম বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি সুযোগ লাভ করতে পারে ইসলামী দলটি। মিসরীয় ক্ষমতার বিন্যাসে বড় রকম রদবদল না হওয়া পর্যন্ত এটি হতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন একটি ব্যবস্থা। এর সাথে উপসাগরীয় দেশগুলো বিশেষত সৌদি আরবের সাথে তুরস্কের বোঝাপড়ার বিষয়টি পরিণতির দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বিশেষভাবে।

তবে এ কথা ঠিক যে, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে, সেটি এখনো অবয়ব নেয়ার পর্যায়ে আছে। যেসব পরিবর্তনের আভাস এখন পাওয়া যাচ্ছে, তার কোনোটাই নিশ্চিত কিছু নয়। তবে এখন যে অবস্থা সেখানে রয়েছে তাতে সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিশ্চল থাকার কোনো সুযোগ নেই। কোনো না কোনো পরিবর্তন সেখানে অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

mrkmmb@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement