২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দূরদর্শী জেনারেল মোহাম্মাদু বুহারি : সেনাশাসক থেকে গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট

দূরদর্শী জেনারেল মোহাম্মাদু বুহারি : সেনাশাসক থেকে গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট - ফাইল ছবি

১৯৮৫ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। সম্ভবত কোনো সেমিনারে নাইজেরিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সোকোতোর (এখন যা উসমানু দানফোদিও ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত) তৎকালীন ভিসি প্রফেসর আদমোর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল অপেক্ষাকৃত নতুন। ১৯৭৫ সালে নাইজেরিয়ার ফেডারেল সরকার ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনা করে। সোকোতো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তার একটি। ভিসি আমাকে বলেন যে, তারা ‘ইসলামিক ইকোনমিকস ডিপার্টমেন্ট’ চালু করবেন এবং একে একটি ইনস্টিটিউশনে রূপ দিতে চান। তাই আমি যেন সাহায্য করি। তখন আমি আইডিবিতে। ফলে তিনি চাইলেই যেতে পারি না। তারা আইডিবির প্রেসিডেন্ট আহমেদ মোহাম্মেদ আলীর কাছে এ ব্যাপারে লিখেন এবং তিনি আমাকে যেতে বললেন। এর আগে আফ্রিকার কোনো দেশে যাইনি। আমি লাগোস হয়ে সোকোতো গেলাম। সেখানে ‘সুলতান অব সোকোতো’র সিদ্দিক আবুবকরের (তৃতীয়) সাথে আমার পরিচয় হয়। নাইজেরিয়ার একেবারে উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত সোকোতো একসময় সুলতান শাসিত রাজ্যের রাজধানী ছিল। এখন দেশের বড় নগরগুলোর একটি। এলাকাটি মরুপ্রধান। সোকোতো শব্দটির মূল আরবি, যার মানে ‘সুক’ বা ‘বাজার’। এই অঞ্চলটি মুসলিমপ্রধান এবং নাইজেরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র। ইউরোপিয়ান ঔপনিবেশিক শক্তি ‘সোকোত সালতানাত’ ছিন্নভিন্ন করে ফেলে।

সোকোতোর সুলতানরা এখনো আছেন। তাদের প্রশাসনিক কোনো ক্ষমতা নেই। তবে আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে তারা সবার সমীহের পাত্র।

সুলতান আমাকে বলেন, তুমি এখানে কোথায় থাকবে, আমার বাঙলোতেই থাক। বাঙলো দেখে আমি কিছুটা দমে গেলাম। চারদিকে টিনের বেড়া দেয়া যদিও পাকা দেয়ালের ঘর। সুলতানের মেহমান যখন হয়েছি তখন কী আর করা যাবে। সেখানে নাইজারের এক কুক আমাদের রান্না করে খাওয়াত। সে একদিন অদ্ভুত কারিভর্তি ‘ডিশ’ আমার সামনে হাজির করে। আমি জিজ্ঞেস করি, এটা কী? সে বলে, স্যার, গরু, খাসি ও মুরগি একসাথে রান্না করেছি। খেলাম, ভালোই লাগল। অতিথি হওয়ার সুবাদে সুলতানের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একদিন সুলতানের প্রাসাদে আমাদের ভোজের নিমন্ত্রণ ছিল। আমরা যে হলরুমে বসেছিলাম, সেখানকার দরজাগুলোতে ছোট ছোট সুড়ঙ্গ করা ছিল। আমি কৌতূহল নিয়ে বিষয়টি লক্ষ করছিলাম। হঠাৎ দুটি সুড়ঙ্গ থেকে দুজন লোক বের হয়ে আসে। ওরা সুলতানের ভৃত্য। ওরা মাথা উঁচু করে যেন কক্ষে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ওই অদ্ভুত ব্যবস্থা।

নাইজেরিয়ার ব্যাপারে আমার একটি দুর্বলতা আগে থেকেই ছিল। কারণ এটি আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মুসলমান। অথচ দেশটি তখনো আইডিবির সদস্য হয়নি। আইডিবির সদস্য হতে গেলে ওআইসির সদস্য হতে হবে। ভাবলাম, নাইজেরিয়া যখন এসেছি, আর এখানে অনেক মুসলমান আছে, আইডিবি বিভিন্ন মুসলিম দেশকে অনেক টাকা দিচ্ছে। নাইজেরিয়াও এ সুযোগ নিতে পারে। আমার আরেকটি দুর্বলতা ছিল। আমি যখন আমেরিকাতে পিএইচডি করি তখন নাইজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছিল যা ‘বায়াফ্রা গৃহযুদ্ধ’ নামে পরিচিত। নাইজেরিয়া সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বায়াফ্রা রাজ্যের মধ্যে এই গৃহযুদ্ধ বাধে। আমার এক সহপাঠী ইকন। আমি, ইকন, একজন ল্যাটিন আমেরিকান ও একজন ইন্ডিয়ান মিলে একটি স্টাডি গ্রুপ করেছিলাম। পড়াশুনার চাপ সামলাতে এই কৌশল। আমরা বিষয় ভাগ করে প্রেজেন্টেশন দিতাম। ওই ইকন ছিল খ্রিষ্টান এবং বায়াফ্রার সমর্থক। সে একদিন এসে বলে যে, ফেডারেল আর্মি বায়াফ্রা দখল করে নিয়েছে। ও ভেবেছিল, ওর ফেলোশিপ বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু ফেডারেল সরকার ওর ফেলোশিপ পিএইচডি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়। আমিও পাকিস্তান সরকারের ফেলোশিপ নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমার ফেলোশিপ কেটে দেয়া হয়। কারণ স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাকে বলা হলো, তোমার হোম ডিপার্টমেন্ট অনুমতি না দিলে আমরা তোমার ফেলোশিপ রাখব না। আমার হোম ডিপার্টমেন্ট অনুমতি দেয়নি। আফ্রিকার লোকজনের উদারতা, আর পাকিস্তানের নেতাদের মনোভাবের মধ্যে এই পার্থক্য তখনই দেখেছি। আমরা নিজেদের আফ্রিকানদের চেয়ে সভ্য মনে করি। তাদের দেখলে নাক সিঁটকাই। অথচ এই ঘটনা উল্টা সাক্ষ্য দেয়।

আমি যখন প্রফেসর আদমোর আমন্ত্রণ পাই তখনো নাইজেরিয়ায় সামরিক শাসন চলছিল। মেজর জেনারেল মোহাম্মাদু বুহারি ক্ষমতায়। দেশটি আসলেই অভ্যুত্থানপ্রবণ ছিল। সেখানে বহুদিন সামরিক শাসনের পর ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হন সেহু সাগারি। মাত্র তিন বছরের মাথায় ১৯৮৩ সালে তাকে উৎখাত করে সামরিক শাসন কায়েম করেন বুহারি। তবে তার সরকারও বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ১৯৮৫ সালে তাকে উৎখাত করেন আরেক জেনারেল ইব্রাহিম বাবাঙ্গিদা। ক্ষমতা হারিয়ে বুহারিকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত গৃহবন্দী থাকতে হয়। অনেকে মনে করেন যে, প্রশাসনে থাকা দুর্নীতিবাজরা বুহারিকে উৎখাত করেছিল। বাবাঙ্গিদার অজুহাত ছিল বুহারি দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। ১৯৮৮ সালে সরকার বুহারিকে মুক্তি দিয়ে অবসরে পাঠায়। এরপর শুরু হয় তার বেসামরিক রাজনৈতিক জীবন। নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

আমি সুলতানকে অনুরোধ করি সম্ভব হলে যেন জেনারেল বুহারির সাথে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে দেন। তিনি বলেন, বুহারি আমার বন্ধু, তুমি চল আমার সাথে। তার সাথে লাগোস আসি। আমার তখন জেদ্দায় ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দিন ছুটি বাড়িয়ে লাগোস গেলাম। আমাকে এক হোটেলে রেখে সুলতান গেলেন বুহারির সাথে দেখা করতে। আমার কথা বলার পর জেনারেল বলেন, তাকে নিয়ে আসুন। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখি, বুহারি এক সামরিক গভর্নরকে পাঠিয়ে দিয়েছেন আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এমন আদর, অভ্যর্থনা দেয়া হলো যেন আমিও কোনো দেশের রাজা। কোথাও গেলে নিজের লেখা কিছু বই সাথে রাখতাম। এটা ছিল আমার অভ্যাস। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে এগুলো নিয়ে যেতাম এবং স্বাক্ষরসহ উপহার দিতাম। নিজের লেখা বইয়ের চেয়ে ভালো কোনো উপহার আছে কি-না আমার জানা নেই। এই পর্যায়ের ব্যক্তিদের বই ছাড়া আর কিইবা দেয়ার আছে? তারাও খুশি হন লেখকের হাত থেকে বই উপহার পেয়ে। মেজর জেনারেল বুহারিও শিক্ষিত মানুষ। সাক্ষাতের এক পর্যায়ে বিনয়ের সাথে বললাম, আমি কি কিছু ব্যক্তিগত কথা বলতে পারি? তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ’। আমি বলি, নাইজেরিয়া আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বড় মুসলিম রাষ্ট্র। আপনারা কেন ওআইসিতে জয়েন করছেন না? আমরা আইডিবি থেকে মুসলিম দেশগুলোকে অনেক টাকা দেই।

মুসলিম দেশগুলোর অনেক প্রতিষ্ঠানকে টাকা দেই। ওআইসিতে জয়েন না করলে তো সেটা দিতে পারি না। টাকা নিতে হলে ওআইসির সদস্য হতে হবে। আমার কথা শুনে বুহারি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। এরপর মাথা তুলে বললেন, ‘আই থিংক ইট ইজ ইম্পর্ট্যান্ট’। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আমি বলি, ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। আমার মনে হয় না তিনি প্রত্যাখ্যান করবেন। আমি জেদ্দা যাচ্ছি। তাকে বিষয়টি বলব। আমি ওআইসিতে যোগদানের প্রক্রিয়াগত বিষয়ে একটি রাইট-আপ তৈরি করে তাকে দেই। তখন ওআইসির মহাসচিব ছিলেন পাকিস্তানের সৈয়দ শরিফুদ্দিন পীরজাদা। লেখালেখির কারণে এসব লোকের সাথে আমার পরিচয় ও আন্তরিকতা ছিল। আমি মহাসচিবকে বিস্তারিত খুলে বললাম। তিনি বলেন, ‘ভেরি গুড। প্রস্তাব আসুক, বিবেচনা করা হবে।’

আমি ফিরে আসার কয়েক দিনের মধ্যে ১৯৮৫ সালের এপ্রিল মাসে বুহারি আমাকে চিঠি পাঠান। সেখানে লিখেন যে, তিনি আমার পরামর্শ গ্রহণ করেছেন এবং নাইজেরিয়া ওআইসিতে যোগ দেবে। এর ঠিক আট মাসের মাথায় ১৯৮৬ সালের ১০ জানুয়ারি আরব নিউজ খবর দেয়, ওআইসির ৪৬তম সদস্য হয়েছে নাইজেরিয়া। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৫৭। সে খবর দেখে আমার যে আত্মতৃপ্তি হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মানুষের কল্যাণে নেপথ্যে কাজ করে যে বেশি আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় তা আমি বুঝেছি। আমি এখনো তৃপ্ত। একটি দেশকে ওআইসিতে যোগদানে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলাম। অবশ্য শুধু আইডিয়াটি দেওয়া ছাড়া আমি তেমন কিছুই করিনি। আমরা সবাই যদি মানুষকে ভালো কাজে উৎসাহিত করতে পারতাম তাহলে এই সমাজটি অনেক ভালো হয়ে যেতো। দুঃখের বিষয়, আমরা সেটা করি না।

রাজনীতি যাই থাকুক না কেন, জেনারেল বুহারি ছিলেন দূরদর্শী ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম। সেনাবাহিনীর আরো অনেকের মধ্যে এই গুণটি দেখেছি। এটা হয়তো পেশাগত কারণে হয়ে থাকে। যুদ্ধক্ষেত্রে একজন জেনারেলকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নানারকম চিন্তভাবনা করার সময় থাকে না। সশস্ত্রবাহিনীতে এরকম চৌকস দেখে রিক্রুট করা হয়; যদিও তাদের সব কাজ সুনামের, সেটাও আমি বলছি না। বাংলাদেশে আমরা তার সাক্ষী। বুহারি সেনাশাসন কায়েম করলেও পরবর্তী জীবনে তিনি গণতন্ত্রের প্রতি তার কমিটমেন্ট রেখেছেন। তিনি নির্বাচনে বারবার পরাজিত হওয়ার পরও দমে যাননি। ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালে ফেল করার পর ২০১৫ সালের ‘অল প্রগ্রেসিভ কংগ্রেস’ প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথনকে পরাজিত করেন। নাইজেরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জয়ী হন বুহারি। প্রায় ৩০ লাখ ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকু আবুবকরকে হারিয়েছেন তিনি। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত করেছিলেন বুহারি। কিন্তু অসুস্থতার কারণে যেতে পারিনি।

বুহারির মতো সামরিক অতীত নিয়ে আফ্রিকা মহাদেশে আর কেউ গণতন্ত্রের প্রতি এমন কমিটমেন্ট দেখিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। হয়তো তার ওই অভ্যুত্থানের দরকার ছিল। তবে তার মধ্যে দূরদর্শিতা ও সহনশীলতার মতো মানবিক গুণগুলোও দেখেছি। তার সংক্ষিপ্ত সামরিক শাসনকে অনেকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করেন। তার ব্যতিক্রমধর্মী সেনাশাসন থেকে ‘বুহারিজম’ শব্দটির উৎপত্তি। তার আমলে যা কিছু ঘটেছিল তার সবকিছুর দায় নিজে গ্রহণ করেন এবং বলেন যে, তিনি অতীতকে বদলাতে পারবেন না। তিনি নিজেকে ‘কনভার্টেড ডেমোক্র্যাট’ হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন।

আমার দুঃখ হয়, প্রত্যেক দেশে অন্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দূতাবাস থাকে। সব দূতাবাস ঠিকমতো কাজ করে বলে মনে হয় না। নাইজেরিয়ায় আইডিবির প্রতিনিধি ছিলেন। তারা আমার মতো উদ্যোগী হননি। আমার কি দায় ছিল নাইজেরিয়াকে ওআইসির সদস্য করার? আমি এমন কোনো পদধারীও ছিলাম না যে, আমি বললেই তারা শুনবে। তাই কেন আমি কাজটি করেছি? আমি নাইজেরিয়াতে চাকরি নিতে যাইনি বা নাইজেরিয়া সরকার আমাকে টাকাও দেয়নি। শুধু চেষ্টা করেছি মানুষকে সাহায্য করতে। আমার কোনো উপকার না হোক, অন্যের উপকার করতে পারলে ক্ষতি কী? এখন আইডিবির থেকে প্রচুর সহায়তা পায় নাইজেরিয়া।

তাই আমি নতুন প্রজন্মকে বলব যে ভালো কাজ করো, মানুষের উপকার করা শেখো। তাহলে তুমি আত্মতৃপ্তি পাবে।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, জেদ্দা
hmct2004@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement