১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাফিয়াতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ সম্পর্ক বনাম পরিণতি

মাফিয়াতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ সম্পর্ক বনাম পরিণতি - ফাইল ছবি

মাফিয়াদের সম্পর্কে আমার প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয় গডফাদার নামক সিনেমাটি দেখার পর। প্রখ্যাত মার্কিন ঔপন্যাসিক মারিও পুজোর গডফাদার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রটি বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম একটি মাইলস্টোন। একটি অপরাধী পরিবার এবং অপরাধ জগতের মধ্যে অসাধারণ এক রসায়ন তৈরি করে লেখক যেভাবে কাহিনীটি উপস্থাপন করেছেন তা বোধসম্পন্ন সব পাঠকের চিন্তার জগৎকে তরঙ্গায়িত করে ছাড়ে। মারিও পুজো উপন্যাসটি লেখেন ১৯৬৯ সালে, যা প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে সারা দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেয় এবং সর্বকালের সেরা বিক্রীত বইয়ের তালিকায় স্থান করে নেয়। উপন্যাসের শিরোনাম ঠিক রেখে তৎকালীন দুনিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপ্পোলা লেখক মারিও পুজোর সাথে যৌথভাবে সিনেমাটির জন্য চিত্রনাট্য তৈরির পর সেলুলয়েডের পর্দায় যে বিল্পব ঘটান তা আজো বিস্ময় হয়ে রয়েছে।

১৯৭২ সালে গডফাদার সিনেমা মুক্তি পায়। ছবিটির প্রধান চরিত্রে মার্লো ব্র্যান্ডো যে অনবদ্য অভিনয় করেন যার ফলে মাফিয়াতন্ত্র সম্পর্কে যেমন নতুন একটি অধ্যায় রচিত হয় তেমনি মাফিয়াদের পিতা সম্পর্কে একটি স্থায়ী পোর্ট্রটে তৈরি হয়ে যায়। গডফাদার সিনেমার বিপুল জনপ্রিয়তা, চলচ্চিত্রটির পরিচালকের মুনশিয়ানা এবং লেখক মারিও পুজোর বিস্ময়কর লেখনীর কারণে মাফিয়াতন্ত্র সারা দুনিয়ার দর্শক শ্রোতার কাছে ক্ষেত্র বিশেষে রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী এবং রবিনহুড-আলাদিন প্রভৃতি চরিত্রের চেয়েও রোমাঞ্চকর বলে প্রতীয়মান হতে থাকে। ফলে দেশ-বিদেশের সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতিতে সেই সত্তরের দশক থেকেই যেভাবে গডফাদার এবং মাফিয়া শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়ে আসছে সেভাবে অন্য কোনো শব্দের সন্ধান আজ অবধি পাওয়া যায়নি।

গডফাদার মাফিয়া এবং মাফিয়াতন্ত্র সম্পর্কে আজকের নিবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করব। কিন্তু তার আগে ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলা দরকার। কারণ মাফিয়াতন্ত্র নির্মূল করতেই ফ্যাসিবাদের উদ্ভব হয়েছিল। আবার সেই ফ্যাসিবাদের হর্তাকর্তারা মাফিয়া দমন করতে গিয়ে নিজেরা এত্তবড় মাফিয়াতে পরিণত হয়েছিল যে, স্বয়ং হিটলার এবং তার মিত্ররা মিলে প্রথমে ফ্যাসিস্টদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে এবং পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্র পক্ষকেও ফ্যাসিবাদের পতনে সর্বাত্মক যুদ্ধ করতে হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ফ্যাসিবাদ এবং মাফিয়াতন্ত্র পুরো ইউরোপকে কিভাবে দুর্ভোগ দুর্দশায় ফেলেছিল তার নমুনা আমরা ১৯৬২ সালের একটি যুদ্ধের ঘটনার মধ্যে পেতে পারি, যেটিকে ইতিহাসের প্রথম মাফিয়া যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

আলোচনার এই পর্যায়ে আমি প্রথমে মাফিয়াতন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত বলব। তারপর ফ্যাসিবাদের উত্থান-পতন সম্পর্কে বলব এবং সবার শেষে ১৯৬২ সালের প্রথম মাফিয়া যুদ্ধ সম্পর্কে বললে পাঠকদের পক্ষে মাফিয়াতন্ত্র-মাফিয়াদের বাবা-মা অর্থাৎ ফাদার অব মাফিয়া বা মাদার অব মাফিয়াদের ভূমিকা এবং ফ্যাসিবাদের উত্থান-পতনের মধ্যে একটি সমীকরণ সহজে অনুধাবন করতে পারবেন।

আমরা অনেকেই জানি যে, মাফিয়া একটি ইতালীয় শব্দ এবং সেই দেশ থেকেই মাফিয়াতন্ত্রের উদ্ভব। যারা বিষয়টি সম্পর্কে আরো একটু বিশদভাবে ওয়াকিবহাল তারা বলে থাকেন যে, মাফিয়াতন্ত্র যদি বুঝতে হয় তবে সিসিলিয়ান মাফিয়া যার অন্য নাম কোসা নস্ট্রা (COSA NOSTRA) সম্পর্কে ধারণা লাভ জরুরি। ইতালির সিসিলি দ্বীপেই প্রথম মাফিয়াতন্ত্রের উদ্ভব ঘটে। সিসিলীয় ভাষায় মাফিসুসু শব্দ থেকে মাফিয়ার উৎপত্তি, যার বাংলা প্রতিশব্দ হতে পারে উদ্ধত, অহঙ্কারী প্রকৃতির লোক যারা বিশেষ কায়দায় রং ঢং করে হাঁটে এবং ভুংভাং করে কথা বলে। তাদের আচরণে লোকজন তাদের যাই মনে করুক না কেনো মাফিয়ারা মনে করে, তারা খুবই সম্মানিত এবং তাদের জন্ম না হলে যেমন পৃথিবী অসম্পূর্ণ থাকত; তেমনি তাদের অবর্তমানে হয়তো পৃথিবী থাকবে না। দিয়েগো গামবেটা নামক একজন সমাজবিজ্ঞানী উনিশ শতকের সুদীর্ঘ সময় ধরে মাফিয়াদের ওপর গবেষণা চালিয়ে উল্লিখিত মতামত ব্যক্ত করে গেছেন।

মাফিয়াদের চরিত্র সম্পর্কে যদি আপনি ধারণা পেতে চান তবে এদের আদিনাম কোসা নস্ট্রার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য সম্পর্কে ধারণা লাভ অবশ্যক। কোসা নস্ট্রার বাংলা প্রতিশব্দ হলো আমাদের ব্যাপার বা আমাদের বিষয়। অর্থাৎ মাফিয়ারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারে না এবং তারা নিজেদের সামান্য স্বার্থের জন্য সারা দুনিয়ার বাকি মানুষের সুখ-সম্পদ প্রকৃতি পরিবেশ ইত্যাদি সব কিছুতে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। সিসিলি দ্বীপে যেভাবে মাফিয়াতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছিল তাতে দেখা যায় যে, একটি বিশেষ পরিবার সব অপরাধের প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে ফেলে। দ্বিতীয়ত, সেই অপরাধী পরিবারটির প্রতিটি সদস্যের মন-মানসিকতা, হাঁটা-চলা, অভিব্যক্তি, কর্মকা- ইত্যাদি সব কিছুর মধ্যে একটি অতি মানবীয় অথবা দানবীয় বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলা হয়। তারা পারে না এহেন কর্ম নেই এমন বিশ্বাসে সেই অপরাধী পরিবারটি যেমন চলাফেলা করে তদ্রুপ ভুক্তভেগীরা যেন তাদের সবসময় যমের মতো ভয় পায় সে জন্য যা যা করা দরকার তার সব কিছুই অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে অপরাধী পরিবারের গডফাদার বা গডমাদার আয়োজন করে থাকে।

ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মূলত সামাজিক অবক্ষয়, অভাব-অভিযোগ ও দারিদ্র্যের কশাঘাত, বিচারহীনতা, সুশাসনের অভাব, সামাজিক সঙ্ঘাত, দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ প্রশাসন, ইতালির কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলা ইত্যাদি কারণে সিসিলি দ্বীপে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে তা ভাইরাস আকারে পুরো ইতালিতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে মাফিয়ারা স্থানীয় অপরাধের সাথে যুক্ত ছিল। কিন্তু পরে তাদের অপরাধের নেটওয়ার্ক পুরো দেশে ছড়িয়ে দেয়ার পর ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা এবং আফ্রিকায় বিস্তার ঘটায়। মাদক-স্বর্ণ-নারী ও শিশুপাচার ছাড়াও হুন্ডি বা অর্থপাচার দেশ-বিদেশে গুপ্তহত্যা, গুম, অপহরণ-রাজনৈতিক ক্ষমতার পটপরিবর্তন থেকে শুরু করে এহেন কুকর্ম নেই যা মাফিয়ারা করে না। ফলে ১৯৩০ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মাফিয়ারা ভারতের মুম্বাই থেকে কাবুল হয়ে ইসলামাবাদ, ঢাকা হয়ে ইরান-তুরান চলে যেত। এরপর লিবিয়া থেকে ইতালির মাধ্যমে পুরো ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করত। এদের দাপটের কাছে সিআইএ, কেজিবি, এমআইসিক্স প্রভৃতি দুনিয়া কাঁপানো গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পর্যন্ত থরথর করে কাঁপত।

মাদক চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্যের কারণে ফিলিপাইনের বর্তমান চরমপন্থী প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তের মতো পাগলাটে স্বভাবের লোক যেভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে ঠিক একইভাবে ইতালির লোকজন মাফিয়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চরমপন্থী ক্ষ্যাপাটে এবং অর্ধ উন্মাদ প্রকৃতির ফ্যাসিস্ট বেনিতো মুসোলিনিকে ইতালির রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসায়। মুসোলিনিকে সবাই ফ্যাসিস্ট মতবাদের জনক বলেন, যদিও তার বহু আগে এই মতবাদটি প্রথমে ইতালিকে আক্রান্ত করে এবং পরে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে বিস্তার লাভ করে। তবে এই মতবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল এবং রাষ্ট্র পরিচালনা কেবল ইতালিতে হয়েছে এবং তা মুসোলিনির দ্বারা হয়েছে বিধায় তাকে অনেকে ফ্যাসিবাদের গডফাদার বলে অভিহিত করে থাকেন।

ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা যা লিখেছেন সেগুলোর মোদ্দাকথা হলো এটি একটি স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইতালিতে চলমান রাজতন্ত্র, রাজনীতি এবং অন্যান্য সামাজিক ও ধর্মীয় মতামতের বিরুদ্ধে কঠোরতর দমননীতি প্রয়োগ করে রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়ে ফ্যাসিবাদ যে নীতি ও আদর্শের কথা প্রচার করত তা ক্রমেই জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ফ্যাসিবাদের প্রথম ধারণা আসে ফরাসি বিপ্লবের পর। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কর্তৃক ইতালি দখল এবং পরে তৃতীয় নেপোলিয়নের শাসন ইতালিসহ ইউরোপের বহু অঞ্চল তছনছ করে দেয়। প্রথম মহাযুদ্ধে জার্মানির পতন। রাশিয়াতে বলশেভিক বিপ্লব এবং মার্কসবাদ লেনিনবাদের জয়জয়কারের মধ্যে ইতালির আর্থ সামাজিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়ে। সেখানকার রাষ্ট্রীয় বিধিব্যবস্থা এতটাই খারাপ আকার ধারণ করে যে, সাধারণ জনগণ এমনকি নিজেদের জীবনের বিনিময়ে হলেও সরকারি আমলা ক্ষমতাসীন রাজা- রাজ অমাত্য এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর প্রাণদণ্ড কামনা করত।

উল্লিখিত অবস্থায় সমগ্র ইতালি যেন রাক্ষসপুরীতে পরিণত হয়। নিরীহ মানুষ প্রচণ্ড হতাশায় ব্যাপক হারে আত্মহননের পথ বেছে নিতে থাকে। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল তা যদি কেউ আন্দাজ করতে চান তবে ১৯৬৫ সালে নির্মিত অমর চলচ্চিত্রকার রোমান পোলানস্কির রিপালসন সিনেমাটি দেখতে পারেন। একইভাবে সোফিয়া লরেন অভিনীত টু উওমেন এবং ১৯৪৮ সালে নির্মিত ভিক্টোরিয়া ডি সিকা পরিচালিত দ্য বাইসাইকেল থিফ চলচ্চিত্রে ইতালির আর্থসামাজিক অবস্থার যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা দেখা মাত্র যেকোনো দর্শক বুঝতে পারবেন যে, কেন ইতালিতে ফ্যাসিস্ট মুসোলিনি এবং জার্মানিতে হিটলারের উত্থান হয়েছিল।

ইতালিতে ফ্যাসিবাদ চালু হওয়ার অল্প কিছু দিন পরই জনগণের মোহভঙ্গ হতে থাকে। ফ্যাসিস্ট সরকার যদিও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং নজিরবিহীন নির্মমতা দ্বারা ভিন্নমতের রাজনীতিবিদ, সাধারণ মানুষ, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের দমনপীড়ন শুরু করে দেয়। তারা দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়। বিশেষ করে লিবিয়া দখল এবং গ্রিস আক্রমণ করে মুসোলিনি ইতালিবাসীকে চরম দুর্দশায় ফেলে দেয়। অন্য দিকে ইথিওপিয়া দখলের মাধ্যমে মুসোলিনি প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার সে স্বপ্ন দেখেন তা ইউরোপের অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সাথে তার বিরোধ চরমে পৌঁছে দেয়। এরই মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ এবং হিটলারের সাথে তার মিত্রতা এবং যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করার মাধ্যমে মুসোলিনি এবং তার ফ্যাসিবাদ ইতালিকে পতনের সর্বনি¤œ স্তরে পৌঁছে দেয়।

উল্লিখিত অবস্থায় অর্থাৎ ফ্যাসিবাদের পতনের পর ইতালিতে মাফিয়াতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। ১৯৬০ সালের মধ্যে ইতালির মাফিয়াতন্ত্র সেখানকার রাষ্ট্রশক্তির চেয়েও প্রভাবশালী হয়ে পড়ে। ফলে সিনেমা স্টাইলে মাফিয়া ডনরা রাষ্ট্রের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করত। মাফিয়াতন্ত্রের মাতৃভূমি সিসিলিতে গঠন করা হয় সিসিলিয়ান মাফিয়া কমিশন, যারা কেবল সিসিলি নয় পুরো ইতালির মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণ করত। ১৯৬২ সালে এই চক্রের গডফাদার ছিলেন সিজার ম্যানজেলা। তিনি তার আমেরিকান প্রতিপক্ষের সাথে একটি মাদকের চালান নিয়ে বিরোধে জড়ান এবং সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে মাফিয়া রাজ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয় সেটিকে বলা হয় পৃথিবীর প্রথম মাফিয়া যুদ্ধ। ইতালি এবং আমেরিকার মতো দুটো রাষ্ট্রশক্তি একত্র হয়েও মাফিয়াদের যুদ্ধ থামাতে পারেনি। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পরস্পরের দ্বারা আহত-নিহত হয়ে নিজেরা নিঃশেষ না হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত মাফিয়াতন্ত্রই রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরো সংবাদ



premium cement