২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘বোমা মারা’র নির্দেশ কি অপরাধ!

‘বোমা মারা’র নির্দেশ কি অপরাধ! - নয়া দিগন্ত

একজন সাধারণ নাগরিক থানায় ‘বোমা মারা’র পরামর্শ দিলে তার বিচারের গতি আমরা দেখতে পেতাম। তাকে পাকড়াও করে শায়েস্তা করতে কিছুমাত্র বিলম্ব হতো না। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর আগে তিনি আইন ভঙ্গের দায়ে হেনস্তার শিকার হয়ে যেতেন। আর ঘটনাক্রমে তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলের কেউ হলে তো কথাই নেই। তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ করেছেন বলে চার দিক থেকে শোরগোল উঠত। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তিনি দ্রুতবিচারের আওতায় চলে আসতেন। কেউ এমন বেআইনি নির্দেশ দিলে তার উপযুক্ত বিচার হোক সেটি বিবেকবান মানুষেরা চাইবে, এতে সন্দেহ নেই।

রাষ্ট্রের নাগরিক শ্রেণী ও বিরোধী দলমতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আইন ও বিচারব্যবস্থার ত্বরিত গতি আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখে থাকি। এমনও দেখা যায়, ঘটনার সাথে যার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই সেও এমন অভিযোগে মামলার শিকার হন। কখনো দেখা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনা ঘটার সময় জেলে ছিলেন কিংবা তার দৃশ্যপটে থাকার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। তার পরও সরকারের বিশেষ বিবেচনায় তিনি আসামি। বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা রাস্তায় বোমা মারা, সিটি করপোরেশনের গাড়িতে ঢিল ছোড়া, গাড়ি ভাঙচুরের মামলার আসামি হয়েছেন। ‘জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি’তে এমন নাশকতা দেখা যায়। অবশ্য এগুলো শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিকরা করেন না। দলীয় ক্যাডার বা দলের নিম্নস্তরের সমর্থক কর্মীরা এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে থাকে। কখনো কখনো টোকাই বা দরিদ্র শ্রেণীর দ্বারা এমন ঘৃণিত কর্মকাণ্ড করা হয়ে থাকে। বিগত এক দশকে এমন নাশকতা খুব বেশি ঘটেনি, কিন্তু বিরোধী রাজনীতিকদের এমন মামলা মাথায় নিয়ে ‘দৌড়ের ওপর’ থাকতে হয়েছে।

বোমা হামলা, ঢিল ছুড়ে মারা বা নাশকতার যেসব উদ্ভট অভিযোগ বিরোধী শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে কিংবা নাশকতা করার জন্য তারা নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে, তবে সেগুলো তদন্ত করে বের করা যায়নি। সরকারের পক্ষ হয়ে পুলিশের ওই সব ঢালাও অভিযোগের ভিত্তি পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের সাথে ওই সব অপরাধের কোনো সম্পর্ক প্রমাণ করা যায়নি। সরকার বিভিন্ন সময় ফোন রেকর্ড ফাঁস করেছে। তার পরও বিরোধী নেতারা নাশকতা করছেন বা তার নির্দেশ দিচ্ছেন ওই ধরনের কোনো ঘটনার সাথে তার সম্পর্ক দেখানো যায়নি। বিরোধীদের দমন করতে হবে তাই ওই সব অভিযোগ ব্যবহার হয়েছে। বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

এবার ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার বিরুদ্ধে এমন নাশকতার নির্দেশ দেয়ার ফোন রেকর্ড ঘুরে বেড়াচ্ছে। যশোর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোনে নির্দেশ দিয়েছেন ‘থানায় বোমা মারা’র জন্য। প্রধান সারির সংবাদমাধ্যম তার এমন বেআইনি নির্দেশসহ তার বিস্তারিত বক্তব্য প্রকাশ করেছে। সেখানে তিনি যে কথা বলেছেন তাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে- দেশের আইনকানুন, বিচারব্যবস্থা ও পার্লামেন্টের প্রতি তিনি আস্থাশীল নন। এ ক্ষেত্রে আইন ও বিচারকে যথেষ্ট গতিপ্রাপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে না। বরং মনে হচ্ছে সব কিছু সবাই প্রকাশ্যে দেখেও কেউ কিছু দেখেননি যেন।

ঘটনাটি ছিল উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি ইটভাটা বন্ধ করা প্রসঙ্গে। ইটভাটাটি পরিবেশ দূষণ করছিল। পরিবেশ আন্দোলনকারীদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত সেটি বন্ধ করার আদেশ দেন। ক্ষমতাসীন দলের আশকারায় ইটভাটার মালিক উচ্চ আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে সেটি চালু রাখেন। স্থানীয় মানুষের হয়ে পরিবেশকর্মী সাইফুল্লাহ এ বিষয়ে বারবার উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। এ অবস্থায় ওই সংসদ সদস্য ক্ষিপ্ত হয়েছেন সাইফুল্লাহর ওপর। ফোন রেকর্ডে এমনটি প্রতীয়মান হচ্ছে।

জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে যশোরের কেশবপুর থানার ওসিকে ফোন করে চাকলাদার জানতে চান, সাতবাড়িয়ার সাইফুল্লাহ কিডা, চেনো? ওসি বলছেন, “ওই ইটভাটার একটি বিষয় নিয়ে সাইফুল্লাহ ‘বেলা’য় গিয়ে মামলা-টামলা করে আর কী। বাজে একটা লোক।”

ওসির সাথে চাকলাদারের এ কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর এই সংসদ সদস্যকে নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছেন। অন্য দিকে তার নির্দেশ অনুযায়ী কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না চালানোয় অনেকে ওসির প্রশংসা করছেন। যে ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, তাতে এই ওসির কথোপকথন শুনে অনেকে ওসিকে আইনের প্রতি বাধ্য বলতে চাইছেন। আসলে আমাদের বিবেচনা শক্তি যে ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে, সেটি তার লক্ষণ। গুরুত্বপূর্ণ একজন আইনের রক্ষক ওসি। তাকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কর্মের নির্দেশ দেন তিনি তো সরাসরি তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আমরা জানি, বর্তমান বাস্তবতায় একজন সংসদ সদস্য অনেক ক্ষমতাধর। একজন ওসি দূরের কথা কোনো ডিসিও তার বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সাহস করবেন না। তাই না হয় তিনি বেআইনি নির্দেশ দেয়ার সময় তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেননি। কিন্তু ওই কথোপকথনে ওসি একজন পরিবেশ কর্মীর প্রতি যে ধরনের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন সেটি অন্যায় হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। পরিবেশের প্রতি যে অনাচার চলছে কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে, সেটি অব্যাহত থাকলে এ দেশ অনিবার্যভাবে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে পড়বে। এরই মধ্যে আমরা বড় ধরনের পরিবেশ বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছি। ওসি তার কথোপকথনে বেআইনি কথাবার্তার সাথে তাল দিয়ে গেছেন। ওই সব কথাবার্তা যদি দেশের আইনের লঙ্ঘন হয় তা হলে এই পুলিশ কর্মকর্তা এ ক্ষেত্রে ওই এমপির সহযোগী নন কি?

সাইফুল্লাহর পরিচয় দেয়ার পর তার জবাবে এমপি ওসিকে সেই বেআইনি নির্দেশগুলো দেন। দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে তা আমরা হুবহু তুলে ধরছি। তিনি ওসিকে বলেন, ‘আপনি এখন রাত্তিতে থানায় বোমা মারেন একটা। মারায়ে ওর নামে একটা মামলা করতে অইবে। পারবেন? আপনি থাকলে এগুলো করতে অইবে। না অইলে কোন জায়গায় করবেন? আমি যা বলছি লাস্ট কথা ইডাই। যদি পারেন ওই এলাকা ঠাণ্ডা রাখতি, আমি বন ও পরিবেশবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য। ওখানে কারো বাপের ক্ষমতা নেই। সে (সাইফুল্লাহ) বারবার গিয়ে কেন করে, আপনি কী করেন?’

এবার ওসি বলেন, ‘ও তো স্যার হাইকোর্টের কাগজ নিয়ে আসে বারবার।’ এর উত্তরে সংসদ সদস্য বলেন, ‘আরে কোথার হাইকোর্ট-ফাইকোর্ট। কোর্ট-ফোর্ট যা বলুক, বলুইগ্যা। আমাদের খেলা নেই। ওসি হলি কিন্তু ডায়নামিক হইতে অয়। আমি বলছি কী, একটা আপনি খেলা খেলে ওকে ভেতরে নিয়ে আসেন। কথা বুঝেন নাই?... দরকার হলি পুলিশের লোক দিয়ে সিভিলে বোমা ফাটায় দিয়ে চলে আসুক। বলতে হবি, হামলা করেছে ডাকাতির জন্য। এটি ছিল অমুক। একটা বানাই দিলে অয়া গেল।’

জনগণ ভোটের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচন করে থাকে। সংসদের মূল কাজ হচ্ছে, দেশের জন্য আইন প্রণয়ন করা। এই সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার পুলিশ কর্মকর্তাকে যে নির্দেশ দিচ্ছেন সেটি সম্পূর্ণরূপে তার বিপরীত। তিনি নিজে পুলিশকে অপরাধ করতে উসকানি দিলেন। খোদ থানায় বোমা মেরে নাকি এটি করতে হবে। তা না হলে অন্য যেকোনোভাবে হোক নাশকতা করে ফাঁসিয়ে দিতে হবে সে পরিবেশ আন্দোলনকারীকে। একবার তাকে মামলার জালে আটক করা গেলে তার পরিণতি যে ভয়াবহ হবে এখানে সেই ইঙ্গিত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশের যোগসাজশে সারা দেশে এমন অন্যায় হচ্ছে। অনেক নিরপরাধ মানুষ বিদ্বেষের শিকার হয়ে জেলের ঘানি টানছেন; কাউকে বছরের পর বছর ভুয়া মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।

আদালতের প্রতি এই সংসদের মনোভাব কেমন তা-ও এ বক্তব্য থেকে বোঝা গেল। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে এভাবে তাচ্ছিল্য করা হলে রাষ্ট্রই তো টিকে থাকার কথা নয়। এতে অরাজকতা ছড়িয়ে পড়বে। সংসদ সদস্যরা যদি বলেন ‘হাইকোর্ট-ফাইকের্ট’, তা হলে বিচারব্যবস্থার ভিত্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আমরা জানি না আমাদের দেশের মহামান্য উচ্চ আদালত এই আইনপ্রণেতার ব্যাপার কী মনোভাব পোষণ করবেন। আদালত অবমাননার যে আইন রয়েছে সেটি আমরা অনেক সময় কার্যকর হতে দেখেছি।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এই সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারছেন না। তিনি নিজেকে ‘পরিবেশবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য’ বলে দাবি করছেন। এ কমিটির একজন সদস্যের দায়িত্ব কী? এ কমিটির সদস্য হয়ে পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিশীল হবেন, না বেআইনিভাবে পরিবেশ ধ্বংসকারী ইটভাটার মালিকের পক্ষে দাঁড়াবেন? পরিবেশ রক্ষার্থে আন্দোলনকারীদের রক্ষা করবেন, না তাদের জেলে পুরে দেয়ার জন্য ফন্দি আটবেন? এই সংসদ সদস্যের প্রতি জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব কী? বাংলাদেশ সরকারের বা এখন কর্তব্য কী? অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসব কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেন সাধারণ মানুষ তা লক্ষ রাখছে।

এটি কি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা নয়?
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করতে গিয়ে ‘হামলার শিকার’ হয়েছেন। স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র সচিবের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। রিপোর্টমতে, ঘটনার সময় উপস্থিত উপজেলা সহকারী কমিশনারকে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে পুকুরে ফেলে দেয়। নির্মাণশ্রমিকদের মারধর করে। তাদের হামলায় সাতজন আহত এবং ক্লিনিক নির্মাণকাজ ভণ্ডুল হয়ে যায়। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক ছিল যে, র‌্যাব প্রটেকশনে সচিবকে তাৎক্ষণিক ঢাকায় ফিরতে হয়েছে।

কিছু দিন আগে স্বাস্থ্য সচিবের স্ত্রী করোনায় মারা যান। তিনি সম্ভবত স্ত্রীর স্মরণে ও দরিদ্র মানুষের সেবার জন্য চানপুর গ্রামে ক্লিনিক নির্মাণের জন্য আগ্রহী হন। একই গ্রামে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদেরও বাড়ি। সচিব ক্লিনিক নির্মাণের জন্য ৮ শতাংশ পৈতৃক জমি দিয়েছেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তা তৈরির কাজও তিনি করছিলেন। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংসদ সদস্য হওয়া বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। এ জন্য বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন হয় না। একবার সংসদ সদস্য হওয়া গেলে তার প্রভাব প্রতিপত্তি অনেক বেড়ে যায়। প্রভাবশালীদের মধ্যে তাই যেনতেনভাবে সংসদ সদস্য হওয়ার প্রতিযোগিতা দেখা যায়।

এই সংসদ সদস্যরা নিজেদের পদ পদবি যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে চান। বিশেষ করে অন্য কারো কারণে তাদের সংসদ সদস্যপদ হারানোর আশঙ্কাকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করতে চান। সেবাদানকারী একটি ক্লিনিক নির্মাণ করে স্বাস্থ্য সচিব ভবিষ্যতে ওই এলাকার সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ করে নিলে বর্তমান সংসদের কী অবস্থা হবে? এমন আশঙ্কা থেকে সেই ক্লিনিক নির্মাণ বন্ধে এই কর্মকাণ্ড কি না- সেটি সংবাদমাধ্যম খোলাসা করে বলেনি। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, হামলাকারীরা বর্তমান এমপির লোক।

এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেছেন, ‘আমি হামলা বা বাধা দিলে স্বাস্থ্য সচিব এলাকায় আসতে পারার কথা নয়।’ অনেকের মতে, এ কথার মধ্যে ক্ষমতা চর্চার দাম্ভিকতা রয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বাধীন চলাফেরা এখন তাদের মর্জির ওপর কতটা নির্ভর করছে সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। এরপর তিনি যা বললেন তাতে স্থানীয় ওই এমপির মনের কথাটি বেরিয়ে পড়ছে। তার মতে,‘স্বাস্থ্য সচিব এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। সপ্তাহে সপ্তাহে আসেন।’

আমরা স্বাস্থ্য সচিবের মনের কথাটি জানি না। তিনি অদূরভবিষ্যতে ওই এলাকার সংসদ সদস্য হতেও পারেন। অবশ্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির কাজ এভাবে কেউ পণ্ড করে দেয়ার অধিকার রাখেন না। এমপির ভাষায় সচিবের আসা-যাওয়ার সময় পুলিশ বাঁশি বাজান। আসলে সারা দেশে এই ধরনের ‘ক্ষমতার বাঁশি’ বাজছে। ক্ষমতার দাপট ও দুর্বৃত্তপনা সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে। কেউ প্রশাসনকে ব্যবহার করে প্রটোকল নিচ্ছেন। কেউ ক্ষমতার দাপটে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। কোনোটার মধ্যে সুস্থতা নেই।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement