২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাত ভেঙে দেবেন কেন?

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত - ছবি : সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাতকে উচ্চ আদালত সতর্ক করেছেন। স্থানীয় একজন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য উচ্চ আদালতের এমন সতর্কীকরণ। এই কর্মকর্তা মারমুখী রাজনৈতিক নেতাদের মতো বক্তব্য দিয়ে এর আগেই ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন।

তিনি এক বক্তৃতায় বলেছেন, ‘পরিবারের সবচেয়ে গবেট কিছুই জানে না, সেটাকে আমরা মাদরাসায় পাঠাই। আর একটা শ্রেণী দরিদ্র, তারা মনে করে মাদরাসায় পড়ালে বেহেশতে চলে যাবে। তাদের বিনাপয়সায় পড়ায়, মগজ ধোলাই করে। রাস্তার পাশে টেবিল নিয়ে বসে তারা বলে ‘দান করেন’। দান করে আমরা কী সৃষ্টি করছি ও আমাদের টাকায় চলে, আমাদের জমিতে থেকে, বাংলাদেশে অবস্থান করে আপনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলবেন।’

এসপির ভাষায়- মাদরাসা ছাত্রদের এমন ‘আনাড়িপনা’ বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান না মানা। সে জন্য তিনি এই মাদরাসাপড়ুয়াদের তিনটি অপশন ঠিক করে দিয়েছেন। প্রথমত- তাদের হাত ভেঙে দেবেন, জেল খাটতে হবে। দ্বিতীয় অপশন- একেবারে চুপ করে থাকতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। তিনি এদের জন্য তৃতীয় অপশন রেখেছেন- তাদের পেয়ারা পাকিস্তানে চলে যেতে হবে।

সরকারের বিরোধিতা করার কারণে মানুষের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠিন অ্যাকশন আমরা দেখতে পাই। পুলিশের একটি অতি সাধারণ অভিযোগ নাশকতা। এমনকি পারিবারিক অনুষ্ঠান দোয়ার মাহফিল থেকেই এ ধরনের অভিযোগে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। বাবা-মায়ের নামাজে জানাজায় গিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা পুলিশের দাবড়ানির শিকার হচ্ছেন। আরো একটি উপাদেয় অভিযোগ হচ্ছে- এরা ‘জামায়াত শিবির’। এরপর আর রক্ষা নেই। এমনকি সরাসরি সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে এ ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে যে, জামায়াত শিবির মানে, অপরাধী। দেশে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার সাহস মানুষ হারিয়ে ফেলেছে। জোরালো ভাষায় এখনো কেউ বলে উঠছে না, কোনো একটি রাজনৈতিক দল করা কোনো অপরাধ নয়। যে রাজনৈতিক দলের তকমা সেঁটে দিয়ে হামলা মামলা জায়েজ করে দমন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, সেই দল দেশে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এখন অনেক ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি করাও একটি অপরাধ। এ ধরনের তকমা সেঁটে দেয়ার সুবিধা হচ্ছে- এর মাধ্যমে অগ্রিম বিচার করে ফেলা য়ায়। বেআইনি অভিযান চালানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে এর যত্রতত্র ব্যবহার হয়েছে।

সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে হাত ভেঙে দেয়া, জেলে পুরে দেয়ার কাজটি পুলিশ করে যাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণরূপে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও পুলিশ তা অবলীলায় করে যেতে পারছে। তারা এ ধরনের অন্যায় করতে পারছে; কারণ ক্ষমতাসীন দল এটিকে রাষ্ট্র ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে সাব্যস্ত না করে বরং যেসব পুলিশ এমন কাজ করছে তাদের নিজেদের দলের সমর্থক হিসেবে দেখছে। পুলিশের আইন ভঙের কারণে ক্ষমতায় থাকার যে সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সেটাই সবচেয়ে বড় করে দেখা হচ্ছে। এমন অন্যায়-অনিয়ম কতদিন চলবে? এর ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিন্তু ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে।

একদম প্রথমে নাশকতার সাথে পুলিশ শুধু জঙ্গিদের সম্পর্ক দেখিয়েছে। এরপর এই তকমা তারা সেঁটে দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে। এরপর অন্যান্য সব ইসলামী দলের সাথেও এটাকে পেস্ট করে দিয়েছে। যখন দেখা গেল, এটা একটা ভালো সুযোগ এবং এতে বেশ কাজ হয়; মানুষকে সন্ত্রস্ত করে দেয়া যায়; তখন এটি সেঁটে দেয়া হলো বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির গায়েও। এর সাথে দাড়ি-টুপি একটি বাড়তি সুবিধাজনক উপাদান। এই লেবাস হলে অভিযোগটি আনা আরো সহজ হয় পুলিশের জন্য। এখন পুরো ধর্মীয় গোষ্ঠী আক্রমণের শিকার। সরকার ও পুলিশ যখন এটিকে দমনের কৌশল হিসেবে নিয়েছে, এই ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং পুরো জাতি তখন বিচ্ছিন্ন-বিভক্ত। তাদের প্রতিবাদের ভাষা দুর্বল, অনেক ক্ষেত্রে নেই বললেই চলে।

এ ক্ষেত্রে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের বক্তব্য নতুন সংযোজন। এটি জঙ্গি নাশকতার প্রচারণার সাথে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আইন ও সংবিধান রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিশীল সুশীলসমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদে কোনো বক্তব্য আমরা দেখতে পাইনি। এমনকি বাংলাদেশের বিশাল সংবাদমাধ্যম যারা সংবিধান ও দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা এবং আইনের শাসনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারাও এসব নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করছে না। এ নিয়ে বিশেষ কোনো সাক্ষাৎকার সংবাদ প্রতিবেদন বা বিশ্লেষণের আয়োজন করতে দেখা যাচ্ছে না সংবাদপত্রকে। টিভি চ্যানেলগুলো জনসাধারণের অধিকার রক্ষায় আয়োজন করছে না টকশোর। অন্য দিকে এই সংবাদমাধ্যমই মাদরাসার শিক্ষক, ছাত্র, আলেমসহ ধর্মীয় গোষ্ঠীর দোষত্রুটির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ দেখায়। তাদের পান থেকে চুন খসলেই মহাঅপরাধ। ঠিক বিপরীতভাবে তাদের নিজেদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ হলে সেটা নিয়ে আর সংবাদমাধ্যম উৎসাহ পায় না।
কুষ্টিয়ার এসপির বক্তব্য মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য অবমাননাকর, অপমানজনক। তার এ ঢালাও মন্তব্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও ছাত্ররা গঠনমূলক উপায়ে জোরালো কোনো প্রতিবাদ করেননি। একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হলে, আর তার প্রতিকার না হলে সেই গোষ্ঠীর সম্মান-মর্যাদা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। আমরা কিছু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে এ ধরনের লাঞ্ছনাকর বক্তব্য ক্ষমতাসীন মহলের পক্ষ থেকে শুনে আসছি। এতে নাগরিক সমাজের বিশাল একটি অংশ ক্রমেই আরো বেশি উপেক্ষিত ও ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ছে।

মাদরাসা শিক্ষার সাথে বিনাপয়সার সম্পর্কের কারণে এই পুলিশ কর্মকর্তা কটাক্ষ করার সুযোগ পেয়েছেন, জাতীয় পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের বিশাল একটা শ্রেণী বিনাপয়সার এই শিক্ষা নিচ্ছে। তাদের মধ্য থেকে একটা শ্রেণী রাস্তার পাশে টেবিল নিয়েও বসছে। তারা কোরবানির চামড়া পাওয়ার জন্য চেষ্টা তদবির করে থাকে। এ দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় অসংখ্য ধারা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈষম্য বিরাজ করছে। কারো সন্তান মাসিক লাখ টাকা খরচে ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে পড়ে। আবার এই পুলিশের ভাষায়, এরা বিনাপয়সায় পড়ে। তাদের জীবনযাপনের মান অনেক নিচে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা- সাম্য নীতি প্র্যাকটিসের এই ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ আমরা। এই চেতনার মধ্যে রয়েছে, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা। তাই এই শিক্ষায় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ দরকার। অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট করে জাতীয় জীবনে যে বিপুল অপচয় হচ্ছে তার সামান্য একটা অংশ দিয়ে মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা যায়। এমনকি সরকার আনন্দ উৎসব করে ভাবমর্যাদা বাড়ানোর নামে প্রকৃতপক্ষে যে অপচয় করে থাকে; সে অর্থ শিক্ষা খাতে খরচ করলে আর কাউকে বিনাপয়সার শিক্ষা নিতে হবে না। অন্যের দয়া দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে না।

পুলিশ কর্মকর্তা এই ছাত্রদের ‘গবেট’ বলেছেন। রাস্তার পাশে দান গ্রহণের জন্য তাচ্ছিল্য করেছেন। আর রাষ্ট্র্রের আইন না মানলে হাত ভেঙে জেলে পুরে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। তার ভাষায়, বাংলাদেশের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করা অপরাধ। এই অপরাধ করলে তাদের জন্য এই পুলিশ অফিসারের পক্ষ থেকে দুটো অপশন। হয় তারা চুপ থাকবে, না হয় তারা তার ভাষায় ‘পেয়ারা পাকিস্তান’ চলে যাবে। তিনি যেসব ব্যাপারে প্রশ্ন করাকে অপরাধ গণ্য করছেন। সেটি আমাদের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী অপরাধ বলে বিবেচিত হবে, তা কোথাও পাওয়া যায় না। আরেকটি রাজনৈতিক বক্তব্য আমরা প্রায়ই দেখে থাকি। সাধারণত ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের হেয় করার জন্য তা ব্যবহার করে। সেটা হচ্ছে, কাউকে ‘পাকিস্তানপন্থী’ বলে গালি দেয়া। কারো গায়ে এ তকমা সেঁটে দিতে পারলে তিনি অচ্ছুত হয়ে যান। এটা একটা স্পর্শকাতর রাজনৈতিক গালি হিসেবে দারুণভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাকিস্তানপ্রীতির ব্যাপারটি বাংলাদেশে পুরোই অপ্রাসঙ্গিক। ধরতে গেলে সে দেশের সাথে আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। চাইলেও আমাদের ব্যাপারে কোনো কিছু করতে পারার ক্ষমতা এখন আর বর্তমান পাকিস্তানের নেই। মোটকথা হচ্ছে- পাকিস্তান বাংলাদেশের জন্য কার্যত কোনো ফ্যাক্টর নয়। তাই কাউকে দমন-পীড়নের জন্য গালি হিসেবে এর ব্যবহার একটি অন্যায় কাজ। ভদ্র সভ্য নাগরিকরা এমন তকমা কারো বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে সেঁটে দিতে পারেন না। আর একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে এটা কোনোভাবে শোভন ও সঙ্গত হতে পারে না।

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে তিনি প্রকাশ্যে হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়ার পর মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এর প্রতিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাদের অনেকগুলো সংগঠন। সবচেয়ে বড় সংগঠনের নাম হেফাজতে ইসলাম। এমনভাবে অপমান হওয়ার পরও তারা এর জোরালো কোনো প্রতিবাদ করেননি যদিও তারা অনেক ছোটখাটো বিষয়েও প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে থাকেন। কোনটি নিয়ে তারা প্রতিবাদ করবেন আর কোনটি নিয়ে তারা প্রতিবাদ করবেন না, এর উপযুক্ত কৌশল তাদের কাছে থাকা দরকার। তাদের অধিকার মর্যাদা যখন লুণ্ঠিত হয় সেটা তাদেরই পুনরুদ্ধার করতে হবে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, ইংরেজ আমলে মুসলমানরা শিক্ষা-দীক্ষা থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। মাদরাসা, মক্তব তখন মুসলমানদের মূর্খতা অজ্ঞতা ঘোচানোর কাজ করে। বাংলাদেশে যে পরিবারগুলো শিক্ষায়, জ্ঞানে ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে রয়েছে তাদের পূর্বপুরুষরা মাদরাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করে তাদেরই পরবর্তী প্রজন্ম রাষ্ট্র্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। এখন কোনো স্বার্থ উদ্ধারের কারণে মাদরাসা শিক্ষার প্রতি বিষোদগার করলে আসলে নিজেদের পূর্বপুরুষদের ওপরে তার ছিটা পড়বে।

কয়দিন পর দেখা গেল, সে পুলিশ কর্মকর্তাকে উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ডেকেছেন। মাদরাসাপড়ুয়াদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া বক্তব্যের জন্য নয়, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে এক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের জন্য। ওই অসংযত আচরণের খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রে বিজ্ঞ বিচারকদের নজরে এসেছিল। মাদরাসাপড়ুয়াদের ব্যাপারে তার অবাঞ্ছিত বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে সেভাবে আসেনি। সে জন্য অন্যদের নজরে আসার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। মানুষ হয়তো বিবেচনা করতে চাইবে দুর্বল মাদরাসাছাত্রদের বিরুদ্ধে বিষোদগার বড় না একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দুর্ব্যবহার ঘটনা হিসেবে বড়।

পুলিশ কর্মকর্তাকে সতর্ক করার সময় মাননীয় বিচারপতি বলেছেন, কে কোন দল ও মতাদর্শের অনুসারী তা তার বিবেচনার বিষয় নয়। তার দায়িত্ব হচ্ছে, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এসপি এই ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনেন না বলে অভিযোগ এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। অথচ পুলিশের বিশেষ শাখার প্রতিবেদন পাঠানোর সময় তিনি ওই ম্যাজিস্ট্রেটের পরিবার ‘বিএনপির সাথে জড়িত’ বলে উল্লেখ করেছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা কতটুকু বলতে পারেন আমরা জানি না বা একজন সরকারি কর্মকর্তার কতটা বলা বেআইনি বলে গণ্য হবে না সেটাও আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারি না।

বিচারপতিরা যে মন্তব্য করেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে- পুলিশ কর্মকর্তা তার মূল কাজটি ঠিকভাবে করছেন না। এসপির উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘কুষ্টিয়ার যে পরিবেশ বিরাজ করছে বলে পত্রপত্রিকায় এসেছে তা যদি বাস্তব চিত্র হয়, এটি হবে ভয়ঙ্কর। একটি পুলিশি রাষ্ট্র্র কায়েম হয়ে গেছে, মানুষের যাতে এমন ধারণা না হয়।’ এসপি উচ্চ আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আপাতত পার পেয়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালনে অবহেলা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য প্রদর্শন, হুমকি ধমকি দেয়া, এগুলোর প্রতিকার নাগরিকরা কিভাবে পাবেন? বাস্তবে পুলিশের অনেকেই এখন এ ধরনের অসংযত আচরণ করছেন।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement