২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভারতীয় টিকা; অনাস্থা অবিশ্বাস অস্থিরতার নেপথ্যে

-

তখন সবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে শুরু করেছি। এলাকায় তখন কোনো পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, টেলিফোন কিংবা টেলিভিশন ছিল না। কারো ঘরে একটা রেডিও এবং একটা সাইকেল থাকলে পাড়া প্রতিবেশী তাদের জমিদার মনে করত। প্রতিদিন ছেলেবুড়ো, নারী-পুরুষ ভিড় করে রেডিও শুনতে এবং সাইকেল দেখতে আসত।

তখন সাধারণত কেউ জুতা-স্যান্ডেল পরে হাঁটত না। ভদ্রলোকদের মধ্যে একটি শ্রেণী জুতা বা স্যান্ডেল বগলে চেপে হাঁটতেন এবং গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছে ভালো করে পা ধুয়ে জুতা-স্যান্ডেল পরতেন। আরেক দলের ভদ্রলোকরা জুতা-স্যান্ডেল পরতেন বটে- তবে দীর্ঘ যাত্রায় তারা খালি পায়েই হাঁটতেন। তাদের সাথে জুতো বহন করার জন্য চাকর থাকত। তারাও গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছে বাবুদের মতো জুতা পরে নিতেন। আমাদের পুরো থানায় যাতায়াতের জন্য গাড়ি, ঘোড়া কিছু ছিল না। অভিজাত পরিবারের মেয়েরা পাল্কিতে যেতেন। অসুস্থ লোকদেরকে বিশেষ খাটিয়ায় করে ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়া হতো এবং ধনাঢ্যরা কালেভদ্রে সাইকেল চালাতেন। অন্য দিকে মালামাল পরিবহনের জন্য ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়ি এবং নৌকা ব্যবহৃত হতো। মানুষের জীবন ছিল কৃষি ও কুটির শিল্প নির্ভর। কেউ কেউ কৃষি বা কুটির শিল্পের সাথে অন্য টুকটাক ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। ফলে পুরো গ্রামীণ জনপদ দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা কর্মমুখর থাকত।

তো এরই মধ্যে খবর এলো, খুব দ্রুত সবাইকে টিকা দেয়া হবে। পুরো অঞ্চলে ভয়ানক ভীতি ছড়িয়ে পড়ল। হাটে-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে, বাড়ির উঠোনে কিংবা অন্দরে সর্বত্রই একই আলোচনা, টিকা। হাতের কোন স্থানে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কিভাবে টিকা দেয়া হবে, সেখানে কেমন ঘা হবে এবং সেই ঘায়ের মধ্যে কি রকম শিংওয়ালা কিড়া পড়বে তা নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হতো তখন আতঙ্কে সবার মুখ পাংশুবর্ণ ধারণ করত। দুর্বলচিত্তের মহিলারা গুন গুন সুরে কেঁদে উঠতেন এবং দুষ্ট ছেলেমেয়েরা যারা নানা বাহানায় প্রায়ই কান্নাকাটি করত তারাও টিকার নাম শুনলে একেবারে বোবা হয়ে যেত।

টিকা নিয়ে আমার কি অনুভূতি ছিল তা আজ আর মনে নেই। তবে প্রথম যেদিন আমাদের গ্রামে টিকাদার আসার খবর ছড়িয়ে পড়ল তখন কর্মমুখর গ্রামটি হঠাৎ কবরে পরিণত হলো। যে গৃহবধূরা সব কাজ ফেলে কালবিলম্ব না করে পাশের বাঁশঝাড়, তেঁতুলতলার ঝোপে বা পাটক্ষেতে গিয়ে পালাল। বাড়ির বুড়ি মহিলা, যারা শয্যাগত ছিলেন, বহু দিন পর ওরে মাগো, ওরে বাবাগো বলে উঠে বসলেন; প্রিয় সন্তানদের নাম ধরে ডুকরে উঠলেন, ও মাইনকা! ও নালু! আমারে নিয়া যা!

ছেলেদের পালানোর দৃশ্য ছিল বড়ই অদ্ভুত। টিকাদারের আগমনের খবরে তাদের মাথা আউলা ঝাউলা হয়ে গেল। তারা চিৎকার চেঁচামেচি করে বউ বাচ্চাদের পালাতে বললেন। অনেকে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের কোলে নিয়ে পাটক্ষেতে ঢুকে চুপচাপ বসে ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে দোয়া দরুদ পড়তে শুরু করলেন।

গ্রাম-গঞ্জের মতো শহরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আতঙ্ক ছিলো বিভীষিকার মত। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রথম যেদিন পালানোর ঘটনা ছিল সেদিন আমি স্কুলে যেতে চাইনি। কারণ আমার পেটের অবস্থা ভালো ছিল না। কিন্তু মুরুব্বিদের চাপে স্কুলে যেতে বাধ্য হলাম। বর্ষা সবে শেষ হয়েছে। পুরো পথে কাদা। তাই ভদ্রলোকের মতো স্যান্ডেল দুটো বগলে চেপে এবং বই স্লেট বুকে চেপে স্কুলে রওনা দিলাম। আবহমান বাংলার সেই সময়ের শিশু স্বাস্থ্যের সব উপাদান আমার মধ্যে ছিল। একটু পরপর সর্দি ঝাড়া, হঠাৎ হঠাৎ ঘেমে শরীরের বিভিন্ন স্থানে একটু চুলকানো এবং প্যান্টটি বারবার টেনে একটু উপরে তুলে ইজ্জত রক্ষার কসরৎ করতে গিয়ে প্রায়ই স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যেত।

স্কুলের সামনে টিউবওয়েল ছিল। সেখানে বই খাতা-স্লেট রেখে পা ধুয়ে স্যান্ডেল পরার প্রস্তুতি নিচ্ছি। হঠাৎ দেখি, পাখির মতো ঝাঁকে ঝাঁকে শিশু স্কুল থেকে বের হয়ে দৌড়াচ্ছে আর টিকাদার টিকাদার বলে চিৎকার করছে। অবস্থার প্রেক্ষাপটে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লাম। বই-স্লেট, স্যান্ডেল রেখেই দিলাম ভোঁ দৌড়। তারপর নিকটস্থ ধানক্ষেতে গিয়ে কাদামাটির মধ্যে শত শত ছেলেমেয়ের সাথে মাথা নিচু করে শুয়ে থাকলাম। কিন্তু বেশিক্ষণ চুপচাপ থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ কিছু পোলাপান ভয়ে কাঁদছিল আবার কেউ কেউ ফিকফিক করে হাসছিল। কয়েকজন আবার কাদামাটির ভেতর থেকে টাকি মাছ ধরে বিজয়ের আনন্দে দাঁড়িয়ে পড়ে পুরো পরিস্থিতির গোপনীয়তা ভঙ্গ করছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ একটি হুঙ্কার শুনলাম এবং একটি বেতের উঁচু অংশ দেখতে পেলাম। বুঝলাম জনৈক শিক্ষকও আমাদের দলে শামিল আছেন বটে কিন্তু শিশুদের বালখিল্যে মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। তাই শরীরকে মাটির সাথে মিশিয়ে কণ্ঠ ও বেতটিকে উঁচিয়ে তিনি শাসন ক্ষমতা জাহির করছিলেন।

শৈশবের ওই টিকাকাহিনীর মতো কোনো জটিলতা আমার জীবনে আর ঘটেনি। তবে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এসে মনে হচ্ছে করোনার টিকার তেলেসমাতির কারণে আমি এবং আমরা হয়তো শৈশবের সেই টিকাকাহিনীর খপ্পরে পড়তে যাচ্ছি। ভারতের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশের একটি আলোচিত-সমালোচিত ওষুধ কোম্পানি যাদের মালিক পক্ষকে নিয়ে বাংলার মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই তারা উচ্চ মূল্যে করোনার টিকা আমদানি করেছে এবং সরকারের কাছে সেই টিকা বিক্রয় করেছে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, অভিযুক্ত কোম্পানি বলার চেষ্টা করছে যে, তারা নজিরবিহীন দক্ষতা দেখিয়ে যত কমমূল্যে এবং যত অল্প সময়ের মধ্যে টিকা এনেছে তা বাংলাদেশের সমপর্যায়ের কোনো দেশ আজ অবধি পারেনি।

বেক্সিমকোর কর্তাদের উল্লেখিত দাবির জবাবে সমালোচকরা বলছেন, একটি টিকা আবিষ্কারের পর ট্রায়াল উৎপাদন হয়। তারপর মানবদেহে কয়েক দফা প্রয়োগ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর পর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় এবং মানবদেহে পুশ করা হয়। কিন্তু ভারতীয় টিকা ট্রায়াল উৎপাদন করেনি বা মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেনি। সুতরাং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ডের যে টিকা উৎপাদন করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে সেই টিকার প্রতিক্রিয়া হলে কারা ঝুঁকি নেবে সেটা নিয়ে নিদারুণ বিতর্ক শুরু হয়েছে। বেক্সিমকোর বাইরে আরো বিশ লাখ টিকা এসেছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যা নিয়ে একই ধরনের বিতর্ক অব্যাহত।

ভারতীয় টিকা নিয়ে খোদ ভারতেই নানা বিতর্ক উত্তেজনা ও অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ভারতীয় পত্রপত্রিকা বলছে, মোদি সরকার নিজেদের অতিরিক্ত করিৎকর্মা প্রমাণের জন্য এবং ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর জন্য টিকা নিয়ে যে বাড়াবাড়ি শুরু করেছে তা করোনার চেয়েও জটিলতর ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। অন্য দিকে, ভারতের যে দুটো ওষুধ কোম্পানি টিকা উৎপাদন করছে তারাও পরস্পরের বিরুদ্ধে এমন সব প্রচারণা শুরু করেছে যার কারণে জনমনে নানা রকম ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের যে টিকা আমদানি করা হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে ভারতের অন্য টিকা কোম্পানি ভারত বায়োটেকের বক্তব্য হলো, সেরামের টিকার মধ্যে পানি ছাড়া কিছুই নেই।

ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশে টিকার বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচার চলছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট তো বলেই ফেললেন, এই টিকা নিলে মেয়েদের মুখে দাড়ি গজাবে, ছেলেদের কণ্ঠস্বর মেয়েদের মতো হয়ে যাবে ইত্যাদি। ইরান সরকারিভাবে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আমেরিকার টিকা আমদানি করবে না। এমনকি অন্য দেশ থেকেও নয়। যত দিন তারা হালাল টিকা আবিষ্কার করতে না পারবে তত দিন ইরানে টিকা দেয়া বন্ধ থাকবে। ইরানের এই ঘোষণার পর কেউ কেউ বলছে, টিকার মধ্যে হয়তো শূকরের চর্বি রয়েছে। আবার অনেকে বলছে, টিকার মধ্যে মাইক্রো চিপস বসিয়ে ইন্দো ইহুদি চক্র পুরো মানব জাতিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর বাইরে কেউ কেউ অবশ্য টিকার মধ্যে দাজ্জালকেও দেখতে পাচ্ছেন।

উপরোক্ত গুজবের বাইরে দেশী-বিদেশী ওষুধ কোম্পানির ব্যবসা করার ধান্ধা, দেশ-বিদেশের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সর্বোপরি করোনা ভীতির কারণে টিকা নিয়ে এক ধরনের ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে করোনার টিকা আমদানি নিয়ে বিতর্কের মূলে রয়েছে সরকারের প্রতি অনাস্থা এবং অবিশ্বাস। সরকার যে জনকল্যাণে কিছু করতে পারে অথবা এই দেশের মানুষের প্রতি সরকারের সামান্যতম দরদ ভালোবাসা দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ রয়েছে- এ কথা কয়জন লোক বিশ্বাস করে তা বলতে পারব না। বরং বেশির ভাগ মানুষই বিশ্বাস করে যে, দুষ্ট লোকের আধিক্যে সরকার সর্বদা অস্থির থাকে। গরিবের হক মেরে টাকা কামাই এবং সেই টাকা বিদেশে পাচার করে আবার জাতির সামনে নীতিকথা উঁচু গলায় বলার মানুষগুলো বড় বড় পদে থেকে দিবারাত্র সাধারণ পাবলিকের মনমস্তিষ্কের ওপর যে গরল ঢেলে দিচ্ছে সেই গরলের বেদনা করোনার চেয়ে বেশি। ফলে সারা দুনিয়ার লোক করোনাকে ভয় পেলেও বাংলাদেশে হচ্ছে উল্টো। এ দেশের লোকজন দুর্নীতিবাজ লুটেরা ভোট ডাকাত ব্যাংক ডাকাতরূপী মোনাফেক প্রকৃতির প্রাণীদেরই বেশি ভয় পায়।

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের প্রবল ভারতবিরোধী জনমতের কারণে যেকোনো ভারতীয় পণ্য হোক সেটা অমৃত মধু কিংবা জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সবকিছুতেই এ দেশের মানুষ ত্রুটি খোঁজার চেষ্টা করবে। যেমনটি হচ্ছে ভারতীয় টিকা নিয়ে। দেশের নিয়ন্ত্রিত রাজনীতি, পুলিশের আধিপত্য এবং ক্ষমতাবানদের হম্বিতম্বির জন্য বেশির ভাগ মানুষই স্বেচ্ছায় মুখে তালা লাগিয়েছে। তারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পেঁচিয়ে অথবা ঠাট্টা মশকরার ছলে টিকা নিয়ে এমন সব কথাবার্তা বলছে যাতে কিনা বিনোদনের জগতে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। সরকারি দল তাদের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিকে ভয় দেখানোর জন্য বলছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিএনপিকে টিকা দেয়া হবে। জবাবে বিএনপি বলছে, করোনায় মরব কিন্তু ভারতের টিকা নেবো না। আগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিদের দেন। তারপর জনগণ। কেউ কেউ অবশ্য দুর্নীতিবাজদের সবার আগে টিকা দেয়ার পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছেন।

উল্লেখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজন নার্সকে এই টিকা দেয়া হয়েছে। পরে সারা দেশে সরকারি বিধিমতে টিকা দেয়া হবে। আমার শৈশবের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাদারের মতো করে টিকা দেয়া হবে কিনা জানি না। তবে করোনার টিকা নিয়ে আমাদের দেশের অতীতকালের মতো বহু কোফ ফ্যান্টাসি যে তৈরি হবে তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। কারণ আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি যে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে টিকাদান করা হবে যা নিয়ে ইতোমধ্যে বাহারি কৌতুক রচনা করা হয়ে গেছে। এমন একটি কৌতুকের কথা বলব যা কিনা খোদ আমেরিকার মাটিতে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কৌতুকটি এই রকম-

মিশিগানের এক লোক রেজিস্ট্রেশনের জন্য টিকাকেন্দ্রে ফোন দিলো। স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার প্রশ্ন করল নাম কী ঠিকানা কী! নারী পুরুষ নাকি হিজরা। সমকামী কিনা! কালো না সাদা। দেশী-বিদেশী নাকি উদ্বাস্তু। ধর্ম কী! রিপাবলিকান নাকি ডেমোক্র্যাট, ইত্যাদি। লোকটি ধৈর্যসহকারে সব প্রশ্নের উত্তর দিলো। কম্পিউটার জানাল আপনার সিরিয়াল নম্বর হলো সতেরো কোটি সতেরো লাখ সতেরো হাজার সতেরোশ’ সতেরো। ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের সতেরো তারিখ রাত ৩টায় আপনি টিকাকেন্দ্রে আসবেন। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। টিকা না নেয়া পর্যন্ত নিয়মিত হাত ধোবেন, মাস্ক ব্যবহার করবেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন এবং হাত ধোয়ার পর কোনো অবস্থাতেই সেই হাত পশ্চাৎদেশে ঘষবেন না।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরো সংবাদ



premium cement