২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

টিকা নিয়ে সংশয় দূর করা যেত

টিকা নিয়ে সংশয় দূর করা যেত - ছবি : সংগৃহীত

সেরামের টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। ভারতের পক্ষ থেকে ২০ লাখ করোনা টিকা উপহার দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। এ জন্য আমাদের সরকার উচ্ছ্বসিত। দু’জন পূর্ণ মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে থেকে এ উপহার গ্রহণ করেন। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীর কাছ থেকে উপহার গ্রহণ করার জন্য রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভারত সাধারণত যেসব প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশকে দেয়, এ দেশের জনসাধারণ ধরে নেয় এগুলোর পুরো বাস্তবায়ন হবে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বৃহৎ এ দেশটির প্রতিশ্রুতির কোনো ফল না পাওয়ায় এ ধারণা জন্মেছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতের ওপর বেশি নির্ভর করে বিপদে পড়ে যায়। এ জন্য বর্তমান সরকারের ভাবমর্যাদা তলানিতে নেমে গেছে। করোনার টিকা নিয়েও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি ভারত। ভারত-বাংলাদেশ একসাথে সেরামের টিকা পাবে- ভারতের পক্ষ থেকে এমন অঙ্গীকার করা হয়েছিল। তবে ১৬ জানুয়ারি যখন ভারতে টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তখন বাংলাদেশ আদৌ টিকা পাবে কি না, বা পেলেও কখন পাবে তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। টিকা প্রাপ্তি নিয়ে ভারতের ওপর নির্ভরতার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে সব নাগরিকের পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়।

উপহার হিসেবে ভারতের কাছ থেকে টিকা পেয়ে সরকার এখন উচ্চকণ্ঠ। টিকা প্রাপ্তিকে তারা ভারতের সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দৃঢ় সম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে প্রচার করছে। টিকা গ্রহণের বেলায় বাংলাদেশের মানুষের উচ্চ আস্থা নেই। টিকা কর্মসূচি সফল হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থার ব্যাপারটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ফাইজারের টিকা গ্রহণ করে কানাডায় ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে নির্মিত টিকার চেয়ে বেশি।

টিকা নিতে যাতে জনসাধারণ উদ্বুদ্ধ হয় সে জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দিয়ে টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সাধারণত যেসব দেশে প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃত্ব রয়েছে সেখানে রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রথমে টিকা নিয়েছেন। অন্যদিকে যেসব দেশের জনসাধারণের সাথে সরকারের অনাস্থার সম্পর্ক, শাসক ও জনসাধারণের মধ্যে অনেকটা বিরোধ রয়েছে এবং রাষ্ট্র্র বা সরকার প্রধানদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে, সেসব দেশে রাষ্ট্র্রপ্রধানদের সবার আগে টিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন কিন্তু তিনি নিজে সেরামের টিকা নেননি।

বাংলাদেশে সেরামের টিকার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য প্রথমেই সরকারের কর্তাব্যক্তিদের তা গ্রহণ করা জরুরি। এখন পর্যন্ত সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের কেউ এ টিকা গ্রহণ করছেন বলে খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে অনেকগুলো টিকা কর্মসূচি সফল হয়েছে। দেশব্যাপী টিকাদানের বিশাল কার্যকর নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। রয়েছে টিকা প্রদানে দেশে প্রশিক্ষিত একটি জনগোষ্ঠী। করোনার টিকা প্রাপ্তি নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে প্রবল আগ্রহ দেখা গিয়েছিল। ভীতির পরিবেশ থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এ টিকা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর সফলতা নিয়ে এখন সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের একচেটিয়া আধিপত্য। একই কারণে করোনার টিকা গ্রহণের জন্য তালিকায় তাদের নাম সবার আগে থাকার কথা ছিল। এ ব্যাপারে এক মন্ত্রীর কাছ থেকে জানা গেল, তারা প্রথমে বিএনপিকে এ টিকা দিতে চান। যা কিছু ভালো নেয়ার ক্ষেত্রে নিজেরা প্রথমে আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি সবার শেষে হলেও এ ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে কেন প্রথমে টিকা দিতে আগ্রহী? এই বক্তব্য দেয়া মন্ত্রীপ্রবর হয়তো খুব সচেতনভাবে কথাটি বলেননি। কিন্তু এই বক্তব্যটি টিকার মতো স্পর্শকাতর ব্যাপারে হওয়ায় তা মানুষের ভাবনায় আঘাত করে বৈকি।

করোনাকে ‘মহামারী’ বলে সারা বিশ্বে বহুল প্রচারণা হয়েছে। ভাইরাসটি দেহে প্রবেশ করলে মানুষের রক্ষা নেই এমন ধারণাই প্রচার পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই ভাইরাস মানুষের মৃত্যুহারে কী প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে কারো দৃষ্টি সেভাবে পড়েনি। পৃথিবীতে কলেরা ডায়রিয়া কিংবা অন্য যেসব মহামারী দেখা গিয়েছিল তার সাথে করোনাকে তুলনা করে সেভাবে দেখা হয়নি। ওই সব মহামারীতে জনপদ উজাড় হয়ে যাওয়ার মতো বহু ঘটনা ঘটেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তা থেকে কেবল সামান্য মানুষ বাঁচতে পেরেছে। অন্য দিকে, করোনায় মৃত মানুষের পরিসংখ্যানকে অনেক বেশি হাইলাইট করা হচ্ছে। সারা বিশ্বে এটি ছড়িয়ে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত ২১ লাখ মানুষ একবছরে প্রাণ হারিয়েছেন।

যদি তলিয়ে দেখা হয়, এই ২১ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য এককভাবে করোনাভাইরাসকে দায়ী করা যাবে না। করোনা না থাকলে এই মানুষগুলোর মৃত্যুর কারণ হিসেবে জনসমাজে থাকা সাধারণ রোগব্যাধির উল্লেখ করা হতো। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা ক্যান্সারের কারণে মারা গেছে বলা হতো। কখনো বলা হতো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে। কিংবা বলা হতো, বার্ধক্যজনিত রোগে মারা গেছে।

করোনার লক্ষণ থাকায় এখন ওইসব রোগের কথা কেউ আর উল্লেখ করছে না। প্রতিদিনকার মানুষের মৃত্যুর স্বাভাবিক হারকে বিশ্লেষণ করলে করোনাকে দৈত্য-দানব হিসেবে দেখা যায়নি। একে একটি বড় ধরনের হুজুগ ও অপরিণামদর্শী প্রচারণা মনে হবে।

বাংলাদেশে এখন গড়ে ২০ জনের নিচে করোনায় মারা যাচ্ছে বলে সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে। করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর বিগত ১০ মাসে সব মিলিয়ে আট হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে হিসাবে দেখানো হচ্ছে। বাংলাদেশে মানুষের সাধারণ মৃত্যুহার যদি বিচার করা হয় আমরা বুঝতে পারব, করোনা আমাদের সমাজে মৃত্যুহারে কোনো প্রভাব রাখেনি। বছরে বাংলাদেশে প্রতি হাজার মানুষের পাঁচজনের বেশি মারা যায়। সেই হিসাবে প্রতিদিন এদেশে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। করোনায় প্রতিদিন ২০-২৫ জন মানুষের মৃত্যু তাই স্বাভাবিক মৃত্যুহারে কোনো প্রভাব ফেলেনি। একই চিত্র আমরা করোনায় সারা বিশ্বের মানুষের প্রাণ হারানোর চিত্র বিশ্লেষণ করলেও পাবো। বিগত বছরে সারা বিশ্বে তিন কোটি ৭৫ লাখের বেশি মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সেখানে করোনায় ২১ লাখ মানুষের মৃত্যু বাড়তি হিসাবে যোগ হয়নি। এই সংখ্যাটিও ওই স্বাভাবিক হারের একটি অংশ।

করোনার আদ্যোপান্ত যদি হিসাব করা হয় তাহলে দেখা যাবে- এটি বিশ্বে ভয়াবহ ভীতি ছড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ রোগব্যাধি ও বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু খবরের মর্যাদা পায় না, যেভাবে বাংলাদেশে প্রতিদিন আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ঠিক এই সংখ্যাকে খবরে প্রচার করা হলে বিষয়টি ব্যাপক ভীতি ছড়াবে। বিশ্বে মিডিয়ার এমন বিপুল বিস্তার না হলে হয়তো করোনার অভিঘাতটা এতটা হতো না। সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের খবর দিতে গিয়েও মানুষের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মানুষকে বনের বাঘে খায়নি, মনের বাঘে খেয়েছে। এতে করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। আবার সুনির্দিষ্ট করে বলতে হয়- গরিব মানুষের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়েছে। একচোটে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ কথাটি পৃথিবীর সব দরিদ্র দেশের ক্ষেত্রেও এখন এক বাস্তবতা। ধনীরা উল্টো আরো বেশি সম্পদের মালিক বনে গেছেন করোনার এই সময়ে। লাভ হয়েছে বেশি কর্তৃত্ববাদী শাসকদের। তাদের জন্য জনসাধারণকে দমানোর একটি হাতিয়ার এই করোনা। তাই করোনা একটি অস্ত্র হিসেবে বিশ্বে বহুদিন থেকে যাওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার প্রভাব নেই বললে মিথ্যা বলা হবে না। গ্রামে-গঞ্জে হাট-বাজারে গেলে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মধ্যে এর তেমন কোনো প্রভাব নেই। অর্থনৈতিক পতনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়া দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রায় এটি প্রভাব ফেলেনি। তারা আগে যেমন জীবন যাপন করতেন এখনও তেমনই করছেন। তারা টিকা নিয়ে ভাবেন না। একটি টিকা পাওয়া যাবে, এই চিন্তাও তারা করেন না। তবে এটা ঠিক যে, নিজেদের রুটি রুজি নিয়ে তারা খুব চিন্তিত। এদেশের ধনীদের মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে। তারা টিকা পাওয়ার ব্যাপারেও উৎসাহী। তবে টিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তারাও সন্দিহান। তারা নিশ্চিত হতে চান, এ টিকা নিয়ে তারা বিপদে পড়বেন না। বাস্তবে তারা করোনার কারণে বিপদগ্রস্ত হননি। কেবল অজানা একটি আতঙ্কে পড়েছেন।

পেঁয়াজ নিয়ে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভারতের ‘ভেল্কিবাজি’ সাধারণ মানুষ দেখেছে। সীমান্ত হত্যা এই সময় বর্ধিতহারে হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষে রয়েছে ভারত। দেশটি বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে আমাদের ঘোড়া ও কুকুর দেয়। এসব প্রাণী উপহার দিয়ে আমাদের প্রতি দেশটি প্রকৃতপক্ষে কী মনোভঙ্গি দেখাতে চায়, মানুষের কাছে তা স্পষ্ট নয়। সাধারণ মানুষ এগুলোর মধ্যে সন্দেহ-সংশয়ের উপাদান খুঁজে পায়। অথচ তারা আমাদের শত্রুদেশ মিয়ানমারকে দেয় কার্যকর শক্তিশালী অস্ত্র সাবমেরিন। মিয়ানমারের সাথে সীমান্তে অন্য কোনো দেশ নেই যার বিরুদ্ধে তারা সাবমেরিন প্রয়োগ করতে পারে; বাংলাদেশ ছাড়া। তাহলে বাংলাদেশের একমাত্র জানা শত্রুকে অস্ত্র উপহার দিয়ে আমাদের প্রতি কিভাবে বন্ধুত্বের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে?

দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে উভয় দেশের নেতাদের বাগাড়ম্বর দেখা যায়। বিশেষ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ব্যাপারে বিশেষণের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটান। অনেকবারই এ ধরনের বক্তব্য দিতে বাংলাদেশের মানুষ তাকে দেখেছে। উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ইস্যুর বাস্তবতা ঠিক এর বিপরীত কথা বলে। মুসলিমদের নাগরিকত্ব বাতিল নিয়ে কথা বলার সুযোগ মোদির সাথে পাওয়া যায় না, তিস্তার পানির ন্যায্য প্রাপ্তির বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যায় না। মানুষ যখন ভারতীয় নেতাদের কথা এবং কাজের মধ্যে বিপুল গরমিল পায় তখন দেশটি এবং তাদের উপহারের প্রতিও এদেশে মানুষের বিশ্বাস নড়বড়ে ও সন্দেহজনক থাকে। চীন ও পাকিস্তানের সাথে ভারতের বিরোধ দেখা দিলে বাংলাদেশের মানুষের মনোভঙ্গি স্পষ্ট করে প্রকাশ পায়। বিশেষ করে সীমান্তে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশীদের লাশ পড়ার বিপরীতে তারা যখন দেখে, ভারতের বাহিনী চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে মার খাচ্ছে তখন তারা নিজেদের দেশের মানুষ হত্যার এক ধরনের প্রতিশোধ হিসেবে এটাকে দেখতে চায়।

এর মধ্যে জানা গেল, সরকার বলেছে- ভোটকেন্দ্রের মতো টিকাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। আমাদের ভোটকেন্দ্রগুলো এখন জনগণের জন্য একটি প্রহসন। এগুলোতে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়। এগুলো আসলে ব্যবহার করা হচ্ছে জনগণের স্বার্থের প্রতিকূলে। এই অবস্থায় ক্ষমতাসীনরা যখন বলেন, ভোটকেন্দ্রে টিকাকেন্দ্র বানানো হবে তখন উদ্বিগ্ন হওয়া অযৌক্তিক নয়। আসলে টিকা প্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশ বিকল্প সোর্সগুলোকে অনেকটাই উপেক্ষা করেছে। প্রথম দিকে চীনা টিকার ট্রায়াল কেন বাতিল হয়ে গেল, তা মানুষ জানে না। অনেক দেশেই চীনা টিকা বহু আগেই দেয়া শুরু হয়েছে। ফাইজার, মডার্নার টিকা এমনকি অক্সফোর্ডের টিকা আমরা নিরপেক্ষ নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিতে পারতাম। ওইসব টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে এমন সন্দেহ সংশয়ের সৃষ্টি হতো না।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল