২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কথা বলুন সিইসি, জবাব দিন

কথা বলুন সিইসি, জবাব দিন -

একসময় মাঝে মধ্যে ঢাকাই বাংলা সিনেমা দেখেছি। সেখানে দেখতাম, অনেক সময় নায়িকা সিদ্ধান্তহীনতায়। শূন্যদৃষ্টিতে নির্বাক তাকিয়ে আছে। নায়ক তার হাত ধরে ঝাঁকি দিয়ে বলছে, ‘কথা বলো রাহেলা, জবাব দাও, পাথরের মূর্তির মতো চুপ করে থেকো না।’ একেক নায়ক একেকভাবে এই সংলাপ বলতেন। আমার বেশ ভালো লাগত। তারপর অবিরাম বন্ধু-বান্ধবকে ওই ডায়ালগ বলতাম, ‘কথা বলো ইমরান, জবাব দাও, পাথরের মূর্তির মতো চুপ করে থেকো না।’ এটা আমাদের হাসিঠাট্টার একটা খোরাক ছিল।

দেশের বিশিষ্ট ৪২ নাগরিক বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে অপসারণের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে একটি পত্র দিয়েছেন। তাতে তারা এই কমিশনের বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও জালিয়াতির ঘটনা তুলে ধরেছেন এবং রাষ্ট্রপতির কাছে একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে এসব ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেয়ার পরদিন ওই ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক চিঠিটি পত্রিকায় প্রকাশ করেন।

বর্তমান সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন দুর্নীতি-জালিয়াতিতে বাংলাদেশের অন্যসব নির্বাচন কমিশনকে ছাপিয়ে গেছে বহু আগেই। আসলে তারা গোটা ভোট ব্যবস্থাকেই একটা প্রহসনে পরিণত করেছেন। নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠায় তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে তিনি সহমত পোষণ করেন। কারণ বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরাসরি আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসদাচরণে জড়িয়ে পড়েছে, যা আগে কখনো কোনো কমিশন করেনি। আগে এরকম দৃষ্টান্তও দেখা যায়নি। এই ইসি আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে তিনি মনে করেন। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এর যা গুরুত্ব তার অবমাননা এবং কলঙ্কিত করা হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছি, সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করব। রাষ্ট্রপতি আলোচনাসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিজয়ের মাসে নির্বাচন কমিশন মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আগের নির্বাচনগুলোর বৈধতা অনেক বড় বিষয়। কারণ যে দিনের নির্বাচন সে দিনই হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা দেখেছি, ভোট আগের রাতে হয়েছে। বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব দেখেছি। তাই গত নির্বাচনগুলোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে। এখন নির্বাচন হয় না, নির্বাচন খেলা হয়, তাই রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে আমরা নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলাম।

চিঠিতে যে ৪২ নাগরিক স্বাক্ষর করেছেন, তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, সাবেক উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর পারভীন হাসান, সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, শামসুল হুদা, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সিআর আবরার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ড. শাহদীন মালিক, আলোকচিত্র শিল্পী ড. শহীদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান মনসুর, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মণ্ডল, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, পরিবেশবিদ ও আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আহমেদ কামাল, লেখক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, সাধনা আর্টিস্টিক ডিরেক্টর লুবনা মরিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আকমল হোসেন, সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক স্বপন আদনান, নারী নেত্রী শারমিন মুরশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ খান ও গোলাম মোর্তোজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়–য়া, প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক নায়লা জামান খান, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন।

এই বিশিষ্ট নাগরিকরা তাদের চিঠিতে বলেছেন, আমাদের সংবিধান সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অগাধ ক্ষমতা দিয়েছে। কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা কাজে লাগানোর এবং এসব আইন ও বিধিবিধানের সঠিক প্রয়োগের ওপরই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, গণতান্ত্রিক শাসন নির্ভর করে। পক্ষান্তরে বিতর্কিত ও ভোটারবিহীন নির্বাচন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আরো নির্ভর করে কমিশনের আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত থাকার ওপর। এর ব্যত্যয় ঘটলে অর্থাৎ, কমিশন অসততায় লিপ্ত হলে, আইন লঙ্ঘন করলে বা আইনের প্রতি উদাসীনতা দেখালে, পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে ও জালিয়াতির আশ্রয় নিলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেই কাজই বারবার করে আসছে এবং দেশে একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে যাচ্ছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর এবং ক্ষমতা পরিবর্তনের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি হিসেবে নির্বাচনের ওপর জনগণ আস্থা সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছে। এর প্রতিফলন ঘটছে ভোটারদের ভোটদানে অনীহা প্রদর্শনে। জালিয়াতির নির্বাচনের ফলে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা বদলের পথ রুদ্ধ হলে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা বদলের পথ প্রশস্ত হয়। সেটা কোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকেরই কাম্য নয়।

চিঠিতে ওই বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থার অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করেছে এবং আমাদের আশঙ্কা যে, তারা দায়িত্বে বহাল থাকলে আমাদের নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়ছে বলে আমরা মনে করি। আবেদনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

তাতে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনাররা নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বক্তৃতা না দিয়েই উক্ত কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দকৃত দুই কোটি টাকার বেশি তুলে নিয়েছেন যা সাংবিধানিক বিধি-বিধানের লঙ্ঘন ও গুরুতর অসদাচরণ। উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত না করেই ইসি বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সিইসির বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। যদিও ইসি সচিব দাবি করেছেন, নিয়োগ হানড্রেড পারসেন্ট নিয়ম মেনেই দেয়া হয়েছে। বিধি অনুযায়ী কমিশনাররা দু’টি করে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কমিশনাররা ব্যবহার করছেন তিনটি করে। এ ছাড়া ইভিএম ক্রয়ে অনিয়মের বিষয়টিও এতে তুলে ধরা হয়।

এসব অভিযোগের জবাব দিতে সিইসি আর তিনজন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইন ও কবিতা খানমকে নিয়ে প্রেসের সামনে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু কমিশনার মাহবুব তালুকদার সে সাফাই অনুষ্ঠানে হাজির হননি। ইসি বলেন, অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। তারা বক্তৃতা না দিয়ে টাকা নেননি, নিয়োগপ্রক্রিয়ায় চুরি করেননি এবং তিনটি করে গাড়ি ব্যবহার করছেন না।

কিন্তু সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ তো ছিল নির্বাচন নিয়ে। তফসিল ঘোষণার মাত্র দু’দিন পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুই কিশোর নিহত হয়েছে। কিন্তু এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরও নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। নির্বাচনপূর্ব প্রচারণার প্রায় পুরো সময় ধরেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা ধরনের ঘটনা ঘটেছে যা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কমিশন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, যা কমিশনের ইচ্ছাকৃত ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যর্থতা। ২০১৮-এর ডিসেম্বরে ভোটের দিন নানা অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। আগের রাতে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে। ভোট গ্রহণের দিনও নানা ধরনের অনিয়মের খবর প্রকাশিত হয়েছে। টিআইবি দৈব চয়নের ভিত্তিতে ৫০টি আসনে জরিপ চালিয়ে দেখতে পেয়েছে, তার মধ্যে ৩৩টি আসনেই আগের রাতে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে। ৫০টি আসনের ৩০টিতেই বুথ দখল করে প্রকাশ্যে সিল মেরে জাল ভোট দেয়া হয়েছে। পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া এবং কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ২৯টি আসনে। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে ২৬ আসনে। ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ২২ আসনে। ব্যালট পেপার আগে থেকেই ভরে রাখা হয়েছে ২০ আসনে। প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মারধর করা হয় ১১ আসনে। এসবই নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী অপরাধ। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। নির্বাচন কমিশন তাদের ক্ষমতাবলে এসব স্থানে নির্বাচন বাতিল করতে পারত। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আইনের প্রয়োগে এসব অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিষ্ক্রিয়তা নিঃসন্দেহে গুরুতর অসদাচরণ। এগুলো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণেও অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, প্রকাশিত ফলাফল ছিল বহুলাংশে বানোয়াট। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে, যা কোনোভাবেই যৌক্তিক বা সম্ভব নয়। কেননা, তালিকাভুক্ত ভোটারদের মৃত্যুবরণ, দেশের বাইরে অবস্থান, জরুরি কাজে এলাকার বাইরে অবস্থান, অসুস্থতা ইত্যাদি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই ২১৩ কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়া যেকোনো বিবেচনায় অস্বাভাবিক। এ ছাড়া ৭,৬৮৯টি কেন্দ্রে ৯০ থেকে ৯৯ ভাগ ভোট পড়েছে, যা অস্বাভাবিক এবং বাস্তবসম্মত নয়। ৫৯০টি কেন্দ্রে বৈধ ভোটের শতভাগ পড়েছে নৌকা মার্কায়। অন্য দিকে ধানের শীষের প্রার্থীরা ১১৭৭ কেন্দ্রে একটি ভোটও পাননি, জাপা ৩৩৮৮ কেন্দ্রে একটি ভোটও পায়নি, হাতপাখা ২৯৩৩ কেন্দ্রে একটি ভোটও পায়নি। এমনকি, সরকারদলীয় নৌকার প্রার্থী দু’টি কেন্দ্রে কোনো ভোট পাননি।

ছিঃ ছিঃ সাহেব সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি বক্তৃতা না দিয়ে কোনো টাকা নেননি, নিয়োগবাণিজ্য করেননি ও তিনটি করে গাড়ি ব্যবহার করেননি। সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলে তিনি জানান, সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেয়া হবে না। কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।’ বাহ!

আর তাই বলতে ইচ্ছে করছে, কথা বলুন সিইসি, জবাব দিন নিচের প্রশ্নগুলোর। পাথরের মূর্তির মতো চুপ করে বসে থাকবেন না। তা না হলে জনগণই হয়তো অন্যায়ের বিচার করবে।
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement