১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিচার বিভাগ নিয়ে জনমানুষের প্রত্যাশা

বিচার বিভাগ নিয়ে জনমানুষের প্রত্যাশা - ছবি : নয়া দিগন্ত

সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের অন্যতম একটি। এ ক্ষেত্রে আমাদের বিচার বিভাগও ব্যতিক্রম নয়। আমাদের বিচার বিভাগ উচ্চাদালত ও অধস্তন আদালত সমন্বয়ে গঠিত। উচ্চাদালত বলতে সুপ্রিম কোর্টকে বুঝায়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নামক দু’টি পৃথক বিভাগ রয়েছে। জেলা জজ আদালত ও তদনিম্নের অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, সহকারী জজ এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহ অধস্তন আদালতের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের বিচার বিভাগে ম্যাজিস্ট্রেট নামক স্বতন্ত্র অস্তিÍত্ব বিশিষ্ট কোনো পদ নেই। বর্তমানে অধস্তন বিচার বিভাগের সহকারী জজ হতে অতিরিক্ত জেলা জজ অবধি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট পদে পদায়ন করা হয়। অনুরূপ দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ ও সহকারী দায়রা জজ নামক স্বতন্ত্র অস্তিত্ববিশিষ্ট কোনো পদ নেই। একজন জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ ও যুগ্ম জেলা জজকে ফৌজদারি মামলা বিচারের নিমিত্ত দায়রা আদালতের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

বাংলাদেশের সংবিধান যেসব মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত এর অন্যতম হলো নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ। এ বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ২২ এ সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ রয়েছে রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গসমূহ হতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করবেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নকালে অনুচ্ছেদটিতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ বিষয়ে যে অবস্থান ব্যক্ত করা হয়েছিল তা অদ্যাবধি পূর্বের মতো একইরূপে রয়েছে।

বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ যে মৌলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত তা হলো অধস্তন আদালতের বিচারকগণ সুপ্রিম কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো কমিশনের সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগলাভ করবেন এবং তাদের কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি ও শৃঙ্খলা বিধান সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে।
আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১১৫ অধস্তন আদালতে নিয়োগবিষয়ক অপর দিকে অনুচ্ছেদ নং ১১৬ অধস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিষয়ক। ’৭২-এর সংবিধানে জেলা জজ ও তদনিম্নের বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োগ বিষয়ে উল্লেখ ছিল যে সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি নিয়োগদান করবেন। অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ে উল্লেখ ছিল বিচার কর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ, কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি ও শৃঙ্খলা বিধান সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে। মূলত সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ২২ এ ব্যক্ত চেতনাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ ও কার্যকর করার প্রয়াসে সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১১৫ ও ১১৬ এ অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওপর যথাযথ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী প্রবর্তন অবধি অনুচ্ছেদ নং ১১৫ ও ১১৬ পূর্বাপর একই অবস্থায় ছিল। কিন্তু উক্ত সময়ে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব বিচার কর্ম বিভাগে নিযুক্ত সহকারী জজ হতে অতিরিক্ত জেলা জজ অবধি কর্মকর্তারা পালন করার কথা থাকলেও সে দায়িত্বটি প্রশাসন ক্যাডারের সহকারী কমিশনার হতে কমিশনার অবধি কর্মকর্তারা পালন করতেন।

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ এবং নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্বপূর্বক সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক সুপারিশের বিধান রহিতকরত রাষ্ট্রপতিকে এককভাবে নিয়োগবিষয়ক প্রথমোক্ত এবং নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিষয়ক শেষোক্ত ক্ষমতাটি প্রদান করা হয়। অতঃপর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে প্রদত্ত শেষোক্ত ক্ষমতাটির বিষয়ে বলা হয় সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্ষমতাটি প্রযুক্ত হবে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক পঞ্চম সংশোধনী বাতিল পরবর্তী পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নকালে দেখা যায় পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ এবং নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিষয়ক বিধান পূর্বেকার ন্যায় অক্ষুণ্ন থাকে।

ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এ সংশোধনীর মাধ্যমে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা প্রশাসন ক্যাডারের সহকারী কমিশনার হতে কমিশনার অবধি কর্মকর্তাদের পরিবর্তে অধস্তন বিচার বিভাগের সহকারী জজ হতে অতিরিক্ত জেলা জজ অবধি কর্মকর্তাদের ওপর অর্পণ করা হয় যা অদ্যাবধি কার্যকর আছে। অধস্তন বিচার বিভাগের উপরোক্ত কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ জেলা জজের ওপর এবং সার্বিকভাবে বিচারিক নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত হওয়ার ফলে অনেকের মধ্যে এমন ধারণার জন্ম হয়েছিল যে, এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের কাজকে কার্যকর রূপ দেয়া হয়েছে। বস্তুত বিচার বিভাগের পৃথকীকরণকে কার্যকর রূপ দিতে হলে সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১১৫ ও ১১৬ সংবিধান প্রণয়নকালীন যে অবস্থায় ছিল উক্ত অবস্থায় প্রত্যাবর্তন আবশ্যক। অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশের বিধান না থাকলে এবং নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কর্র্তৃক সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে তা প্রযুক্ত করার বিধান থাকলে তা কোনোভাবেই সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ২২ এ ব্যক্ত বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের চেতনাকে সমুন্নত রাখার সহায়ক নয়।

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে যদিও ১১৬ক অনুচ্ছেদ সংযোজনের মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয় সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে বিচার কর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিচারক কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন। কিন্তু উক্ত স্বাধীনতাকে কার্যক্ষম করতে হলে আবশ্যিকভাবে যা প্রয়োজন তা হলো সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১১৫ ও ১১৬ সংবিধান প্রণয়নকালীন যে অবস্থায় ছিল উক্ত অবস্থায় প্রত্যাবর্তন।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১০৯ এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগকে অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী যে স্বীকৃত নিয়ম অনুসৃত হয় তা হলো- উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্নরা নিম্নতম যোগ্যতাসম্পন্নদের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করবেন। অধস্তন বিচার বিভাগের সর্বনিম্ন পদ সহকারী জজ যারা বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ পূর্ববর্তী সহকারী জজগণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ লাভ করতেন। ’৯৮ পরবর্তী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ প্রদত্ত বিচারকদের আর্থিক সুযোগসুবিধা সংক্রান্ত রায়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গঠিত জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী জজগণ নিয়োগ লাভ করে আসছেন। সহকারী জজের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ন্যূনতম যে যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া আছে; তা হলো মাধ্যমিক হতে আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা স্নাতক (সম্মান) অথবা এলএলএম পর্যন্ত সব পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন।

উচ্চদালতের বিচারক পদে নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে যে যোগ্যতার উল্লেখ রয়েছে তা হলো- ব্যক্তিটিকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং ন্যূনপক্ষে সুপ্রিম কোর্টে দশ বছর ওকালতির অভিজ্ঞতা অথবা নিম্ন আদালতে দশ বছর বিচারিক কর্ম পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। উপরোক্ত যোগ্যতা ছাড়াও অতিরিক্ত যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে তা হলো- সংসদ কর্তৃক প্রণীত কোনো আইনে উল্লিখিত যোগ্যতা। অতিরিক্ত যোগ্যতা বিষয়ে সংসদ কর্তৃক অদ্যাবধি কোনো আইন প্রণীত না হওয়ায় উচ্চাদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে প্রায়ই শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। উচ্চাদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের নিম্নতম পদে প্রবেশ পরীক্ষার জন্য যে যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া আছে এর নিম্নের যোগ্যতা কোনোভাবেই গ্রহণীয় হতে পারে না।

আমাদের পাশের রাষ্ট্র ভারতসহ উন্নত বিশ্বের সব রাষ্ট্রে উচ্চাদালত ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য যে যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া আছে; তা হলো যথাক্রমে এলএলএম সর্বোচ্চ মান ও মধ্যম মান। আমাদের উচ্চাদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্যটি সমাধা করেন বিধায় শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রত্যাশিত মানের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেই নিশ্চিত করতে হবে এবং এর পাশাপাশি সৎ, দক্ষ, যোগ্য, নিরপেক্ষ ও মেধাবীরা যেন নিয়োগ পায় তাকেই এর নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।

আমাদের সংবিধানের সপ্তম ভাগ বিচার বিভাগ সম্পর্কীয় এবং এটির দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে অধস্তন আদালতের বিষয় উল্লিখিত হয়েছে যদিও সংবিধানে ব্যাখ্যায় আদালত বলতে সুপ্রিম কোর্টসহ যেকোনো আদালতেক বোঝানো হয়েছে। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে উল্লিখিত অধস্তন আদালত অর্থ বিচার কর্ম বিভাগ। সংবিধানে বিচার কর্ম বিভাগের যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে বিচার কর্ম বিভাগ অর্থ জেলা বিচারক পদের অনূর্ধ্ব কোনো বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কর্ম বিভাগ। যেকোনো আদালতকে স্বাধীনভাবে বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষমতা দেয়া হলে তাকে অধস্তন আদালত হিসেবে অভিহিত করা যাবে কিনা সে বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। এ ধরনের আদালতকে অধস্তন আদালত না বলে আইনের অধীনে সৃষ্ট আদালত বলাই শ্রেয়। প্রণালী আইনের (Procedural law) কারণে এক আদালত হতে পরবর্তী উচ্চাদালতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক আপিল বা রিভিশন দায়েরের বিধান থাকলেও স্বাধীনভাবে বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত এমন কোনো আদালত অধস্তন হিসেবে অভিহিত হলে তাতে আদালতের স্বাধীনতা খর্ব হয়।

সংবিধান প্রণয়নকালীন উচ্চাদালতের বিচারকদের অবসর পরবর্তী প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিয়োগ বারিত ছিল। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে উচ্চাদালতের বিচারকদের অবসর পরবর্তী প্রজাতন্ত্রের লাভজনক বিচারিক ও আধাবিচারিক পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য করা হয় এবং হাইকোর্ট বিভাগ হতে অবসরপরবর্তী আপিল বিভাগে ওকালতি করার জন্য যোগ্য করা হয়। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলেও তার ফলে পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নকালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রদত্ত সুবিধাটি অক্ষুণ্ন রাখা হয়। মূলত উচ্চাদালতের বিচারকদের কর্মে বহাল থাকাকালীন সব ধরনের প্রলোভনের ঊর্ধ্বে রাখার জন্যই অবসর পরবর্তী প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিয়োগের বিধান বারিত ছিল। এ ধরনের বিধান উচ্চাদালতের একজন বিচারকের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অনেকসময় অন্তরায় হিসেবে দেখা দেয়।

পৃথিবীর সর্বত্র বিচার বিভাগ দেশের সাধারণ জনমানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। যেকোনো দেশের বিচার বিভাগকে জনমানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে নিজের অবস্থান সুসংহত রাখতে হলে উচ্চাদালত ও অধস্তন আদালতে বিচারক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত যেমন অত্যাবশ্যক, অনুরূপ নিয়োগপরবর্তী তারা যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন এ ধরনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। উভয় ক্ষেত্রে জনমানুষের প্রত্যাশানুযায়ী বিচার বিভাগকে কার্যকরভাবে তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখতে চাইলে উচ্চাদালতের বিচারকদের জন্য যোগ্যতা নির্ধারণী আইন যেমন অত্যাবশ্যক, অনুরূপ অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ এবং নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা সুপ্রিম কোর্টের ওপর অর্পণ অত্যাবশ্যক।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান ও রাজনীতি বিশ্লেষক

E-mail: iktederahmed@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement