২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধর্ষণ, সুশাসন ও গুরুদণ্ড

ধর্ষণ, সুশাসন ও গুরুদণ্ড - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ, ১৯৭৯-এ স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হলেও দেশের সব পর্যায়েই নারীর প্রতি বৈষম্য, সহিংসতা ও নির্যাতন আগের তুলনায় বেড়েছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সে ভয়াবহ চিত্রই ফুটে উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৭৫ জন নারী। যা অতীতের সব রেকর্ডই ভঙ্গ করেছে। দেশে নারী নির্যাতন বিষয়ক কঠোর আইন থাকলেও সুশাসন ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবেই তা কোনো সুফল বয়ে আনছে না। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে আইনের অপপ্রয়োগও সার্বিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে।

‘ধর্ষণ’ এক ধরনের আক্রমণ। এটি বলপ্রয়োগ বা কর্তৃত্বের অপব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে। ধর্ষণের অভিযোগ, বিচার ও শাস্তি প্রদান শাসনব্যবস্থাভেদে ভিন্নতর। তাই ধর্ষণের সংজ্ঞায়ও ভিন্নতা রয়েছে। সময়ের সাথে ধর্ষণের সংজ্ঞায় পরিবর্তনও ঘটেছে। ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ধর্ষণকে কেবল নারীদের বিরুদ্ধে পুরুষদের দ্বারা সংঘটিত একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জৈবিক কাজে পুরুষকে বাধ্য করাকেও ধর্ষণের সংজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই ধর্ষণ একটি গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচিত। সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়ন এবং দণ্ডবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অতীতে ধর্ষণের জন্য দণ্ডবিধিতে শুধু শাস্তির কথা উল্লেখ থাকলেও কালের বিবর্তনে ও সময়ের প্রয়োজনে তার পরিবর্তন ও পরিমার্জন হয়েছে এবং ধর্ষণের জন্য অপরাধীর শাস্তির সাথে সাথে জরিমানার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু এতেও ধর্ষণ বা নারীর প্রতি সহিংসতার লাগাম টেনে ধরা যায়নি। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ধর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাণদণ্ড বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। নতুন আইনে ইতোমধ্যেই কেউ কেউ শাস্তিও পেয়েছেন। কিন্তু শুধু দণ্ড বৃদ্ধি করে এই সামাজিক ব্যাধির নিরাময় হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা এ জন্য সুশাসনের ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছেন। সুশাসন ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ ছাড়া দেশ থেকে ধর্ষণসহ অপরাধপ্রবণতা নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ আইন কোনো চলৎশক্তিসম্পন্ন সত্তা নয় যে, আইনের কঠোরতার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে অপরাধ প্রবণতা বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটা ভাবাও কল্পনাবিলাস বৈ কিছু নয়।

এ কথা ঠিক যে, অপরাধীদের ওপর বাড়তি চাপ ও ভিকটিমকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য ধর্ষণের শাস্তির সাথে সাথে আইনে জরিমানার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জরিমানা বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনায় কোনো অঙ্কের অর্থ দিয়ে ভিকটিমের ক্ষতিপূরণ দেয়া সম্ভব নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় ভুক্তভোগীর মানসিক উন্নয়ন এবং পরবর্তীতে তার পুনর্বাসনের মতো বিষয়গুলোও জরুরি অনুষঙ্গ। এ ছাড়া মামলা পরিচালনার খরচ, সুচিকিৎসার মতো বিষয়গুলোও এর সাথে বিশেষভাবে জড়িত। তাই ধর্ষণের অপরাধে শাস্তির ক্ষেত্রে জরিমানার বিষয়টি ভিকটিমকে বাড়তি সুবিধা দেয়ার প্রয়াস। বিষয়টির যৌক্তিকতা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
ধর্ষণ-বিষয়ক আইনে ধর্ষক বা অপরাধীকেই জরিমানার এই অর্থ পরিশোধ করার কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপরাধীর স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি বিক্রি বা নিলাম করে জরিমানা আদায়ের কথাও আইনে রয়েছে।

তবে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের একটি রেলস্টেশনে এক বাংলাদেশী নারীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা দরকার। ওই ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশে ওই নারীকে ২০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। কারণ ভিকটিমের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের ওপরও কিছুটা বর্তায় এবং ঘটনা রেলস্টেশনেই ঘটেছিল। মূলত অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলা পরিলক্ষিত হয় সে ক্ষেত্রে জরিমানার আওতা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় আনা জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। যেমনটি হয়েছে ভারতে বাংলাদেশী ভিকটিমের ক্ষেত্রে।

আমাদের দেশে আগে থেকেই নারী নিগ্রহ বিষয়ে কঠোর আইন থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে নারীর প্রতি সহিংসতায় লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে এক হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৩২ জন। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় গত বছর ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ যা ভয়াবহ বলে উল্লেøখ করেছে সংস্থাটি। ২০১৭ সালে ধর্ষণের শিকার হন ৮১৮ জন নারী। ২০১৯ সালে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৬ জনকে। আর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ১০ জন নারী।
দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণসহ নারী নিগ্রহের ঘটনার জন্য বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেই মূলত দায়ী করা হয়। যদিও এর নানাবিধ কারণ রয়েছে। কেউ কেউ এ জন্য আইনি দুর্বলতাকে দায়ী করে থাকেন। কিন্তু বিষয়টি মোটেই বাস্তবসম্মত বলে মনে হয় না। কারণ বিদ্যমান আইনেই ধর্ষণের জন্য শাস্তির ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না।

মূলত ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনাগুলোর সাথে ক্ষমতাশালী ও প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগ বেশ
জোরালো। ফলে আইনে যাই থাকুক না কেন, ধর্ষকদের শাস্তি পাওয়ার ঘটনা কালেভদ্রেও দেখা যায় না। এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে আদালতে কেউ সাক্ষ্যও দিতে চায় না। দেশে ধর্ষণ ঠেকানোর জন্য কেউ কেউ দণ্ডবৃদ্ধি বা গুরুদণ্ডের মধ্যে সমাধান খুঁজলেও তা খানিকটা আবেগতাড়িত বলেই মনে হয়। কারণ আমাদের দেশে আইনের প্রয়োগহীনতা ও অপপ্রয়োগের ঘটনা নেহাত কম নয়। মূলত ধর্ষণের অপরাধে গুরুদণ্ডের বিধান করে আইনের প্রয়োগহীনতা ও অপপ্রয়োগ ঠেকানো না গেলে অনেক ক্ষেত্রে তা হিতে বিপরীতও হতে পারে। বিশেষ করে আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রেক্ষাপটে।

সুশাসন ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে গুরুদণ্ডের বিধান গণদুর্ভোগের কারণ হতে পারে তার নজির আমাদের দেশে অনেক রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ বেশ কঠোর হলেও তা প্রতিপক্ষ হেনস্তার কাজে ব্যবহার অভিযোগ বেশ জোরালো। খোদ পুলিশের ভাষ্য মতে, এসব মামলার ৮০ ভাগেরই কোনো বাস্তব ভিত্তি পাওয়া যায় না। (বিবিসি বাংলা সংবাদ ৩০ জুন, ২০১৮)। ২০১৮ সালের ১৫ হাজার মামলার অভিযোগের চার হাজারটির কোনোই সত্যতা মেলেনি। ২০১৭ সালে মাত্র সাড়ে ৭০০-এর মতো মামলার বিচার হয়েছে। জামিনঅযোগ্য অপরাধ হওয়ায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বা প্রতিশোধ নিতে অনেক নারীকে এসব মিথ্যা মামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এই আইনে ৯০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে বিবাদিপক্ষকে চাপের মুখে ফেলে একদল মধ্যস্বত্বভোগী টাকাকড়ি নিয়ে মামলায় আপস-নিষ্পত্তি করে দেয়। ফলে নিরাপরাধ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মূলত, আইনটি কঠোরতম করা হয়েছিল নির্যাতন থেকে নারীদের সুরক্ষার জন্য। এই আইনে ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড আছে। ধর্ষণজনিত হত্যা হলে সরাসরি সম্পৃক্ত সবার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান তো আগে থেকেই রয়েছে। নারী নির্যাতন (নিবর্তক শাস্তি) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৫ ও ২০০০ সালের আইনেও শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই ছিল। কিন্তু আইনের প্রায়োগিক দুর্বলতার কারণে বিচার সম্পন্নের হার মাত্র সাড়ে তিন ভাগের মতো। শাস্তির হার এক ভাগেরও নিচে। কিন্তু সমস্যা হলো সুশাসন ও আইনের প্রায়োগিক দিক নিয়ে। আর সে সমস্যার সমাধান না করেই ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান নারী নিগ্রহ বন্ধে কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না বরং তা ক্ষেত্রবিশেষে গণদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে।

নতুন আইনে ঝুঁকিও রয়েছে খানিকটা। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্ষণের অপরাধে গুরুদণ্ডের বিধান হওয়ায় ধর্ষণের পর হত্যা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে। ধর্ষক মৃত্যুদণ্ড থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ভিকটিমকে হত্যা করবে। আলামত ধ্বংস করতে লাশ পোড়ানো, গুম বা বিকৃত করার মতো অপরাধও সংঘটিত হবে। সৌভাগ্যক্রমে ভিকটিম বেঁচে গেলেও ধর্ষক যেভাবেই হোক ভিকটিমকে বাধ্য করবে আদালতে গিয়ে উল্টো জবানবন্দী দিতে। মূলত ধর্ষকরা প্রায় ক্ষেত্রেই প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান। সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে শুধু দণ্ড বৃদ্ধি করে এই সমস্যার সমাধান আকাশকুসুম চিন্তা ছাড়া কিছুই নয়।
মূলত ধর্ষণসহ নারী নিগ্রহের অপরাধের ক্ষেত্রে দণ্ড বৃদ্ধির চেয়ে ধর্ষণের প্রেক্ষাপটগুলো আগে বন্ধ হওয়া জরুরি। এ বিষয়ে গণসচেতনতাও বৃদ্ধি করা দরকার। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর গুরুদণ্ড দেয়া কোনো সমাধান নয় বরং এসব অপরাধ যাতে ঘটতে না পারে তার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। সুরক্ষার চিন্তা করতে হবে সবার আগে। প্রতিশোধ নয় প্রতিরোধই এ সমস্যার প্রকৃত সমাধান। যে ধর্ষণের শিকার মানুষটির বাকি জীবনটিই কাটাতে হবে বিভীষিকার মধ্যে, অন্য একজনের ফাঁসিতে তার সাময়িক সন্তুষ্টি ছাড়া আর কোনো প্রাপ্তি আছে বলে মনে হয় না।

বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেটের বিবৃতি থেকে। সম্প্রতি তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ধর্ষণ বড় ধরনের একটি অপরাধ। এর প্রতিরোধে আইনের শাসন, অপরাধের দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা দরকার। শুধুই মৃত্যুদণ্ড কোনো সমাধান নয়। বিবৃতিতে মিশেল ব্যাচলেট বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোকে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে তাদের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দ্রুত অপরাধের তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশগুলোর মূল সমস্যা হলো যৌন সহিংসতার শিকার ব্যক্তি ন্যায়বিচার পায় না। আর এ ক্ষেত্রে আইনি দুর্বলতা মুখ্য কারণ নয়। সুশাসন ও ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতি এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতিই নারী নির্যাতনসহ অপরাধপ্রবণতার অন্যতম কারণ। তাই সরকারকে আগে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যা খুবই বাস্তবসম্মত।

দেশে ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ফলে ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনাকে আর অপরাধ মনে করা হচ্ছে না। এ দিকে বিরামহীনভাবে চলছে ধর্ষণ। একের পর লোমহর্ষক খবর সবাইকে অস্থির করে দিচ্ছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি মাদরাসায়ও ধর্ষণসহ নানা কায়দায় চলছে নারী নির্যাতন। এমতাবস্থায় ধর্ষণের অপরাধের জন্য গুরুদণ্ড নির্ধারণ করে প্রাণদণ্ডের আইন করা সত্যিই সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু দেশে আইনের শাসন ও ভিকটিমদের সুরক্ষা দেয়া না গেলে গুরুদণ্ড ও গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই দণ্ডনির্ভর নয় বরং আমাদেরকে হতে হবে বাস্তবমুখী। তাহলে ধর্ষণসহ অপরাধপ্রবণতা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement