২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিস্টেমটাকে মেরামত করুন

প্রদীপ ও লিয়াকত - ছবি : সংগৃহীত

প্রত্যেকটি অপরাধ সংঘটনের পর রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা বরাবর আমাদের অনেকের রয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ এক যুগ পার হতে চলেছে। এখনো বর্তমান বড় বড় অপরাধকে পূর্ববর্তী সরকারগুলোর ঘাড়ে চাপাতে আমরা দেখছি। সেটা যদি সম্ভব নাও হয় তাহলেও আগের সরকারের সাথে এর একটা ‘সংযোগ’ দেখিয়ে ব্যাপারটাকে রাজনৈতিক করা হয়। এতে করে অপরাধের সুষ্ঠু বিচারের পরিবর্তে দোষীদের খালাসের একটা সদর রাস্তা খোলা হয়ে যায়। এতে একসময় পার পেয়ে যায় ক্রিমিনালরা। অব: মেজর সিনহা হত্যার পরও এর একটা সূচনা করা হয়েছে।

আলোচিত ওসি প্রদীপ বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছেন। তাকে নিয়োগের জন্য বিএনপির এক বড় নেতা সুপারিশ করেছেন। অন্যদিকে লিয়াকতের সাথে বিএনপির সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ। তিনি এক বিএনপি পরিবারের সন্তান। সরকারের একটা অংশ অবিবেচনাপ্রসূতভাবে এমনটা করে থাকে। এতে তারা অপরাধকে জাস্টিফাই করে নিজেদের দায়টাকে হালকা করার চেষ্টা করতে পারেন। রাজনীতির মধ্যে সুবিধাবাদিতার যে সংস্কৃতি, সে জন্য এটি হতে পারে। তবে সংবাদমাধ্যম এই অপতৎপরতার অংশ হওয়া কোনোভাবে মানায় না। বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিক তাদের প্রথম পাতায় সিনহা হত্যায় প্রধান অভিযুক্তের উপরিউক্ত পরিচয় দিচ্ছে। বিএনপির সাথে এই ক্রিমিনালদের ‘সম্পর্ক’ বিস্তারিতভাবে দেখাতে গিয়ে প্রতিবেদক খেয়াল করেননি, এসব তথ্য এখন কতটা অপ্রাসঙ্গিক। প্রতিবেদনে প্রচারিত এসব তথ্য-উপাত্ত কতটা হাস্যকর সেটাও তারা অনুমান করতে পারেননি।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যমের একাংশ এমন অন্যায় পুনঃ পুনঃ করেছে। পেশাদার অবস্থান থেকে সরে এসে তারা নিজেদের রাজনৈতিক আনুগত্য দেখাতে চেয়েছেন। বাস্তবে সংবাদমাধ্যম রাজনীতি করে না। সুতরাং তারা রাজনৈতিক শত্রু হিসেবে কাউকে বিবেচনা করতে পারেন না। আমরা দেখলাম, এ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে কিভাবে সংবাদমাধ্যম প্রচারণায় নেমেছিল। তারা প্রধানত তাদের ভাষায় ‘প্রতিক্রিয়াশীলদের’ দমন করতে গিয়েছিলেন। তাদের মতে, এই গোষ্ঠী ‘সাম্প্রদায়িক’। সুতরাং এদের কোনো রাজনৈতিক অধিকার থাকতে পারে না। তারা যখন সাম্প্রদায়িকতার নামে রাজনৈতিক ইসলামের বিরুদ্ধে খেয়ে না খেয়ে লাগলেন তখন সরকারের জন্য সুযোগটি আরো প্রসারিত হলো। সরকার আর মিডিয়া মিলে এ দেশের ‘প্রতিক্রিয়াশীলদের’ দমনের নামে ধর্মীয় লিবারেল শক্তিগুলোকে কচুকাটা করে দিলো। এই সুযোগে সরকার প্রধান বিরোধী দলকেও নিশ্চিহ্ন করে ছেড়েছে।

আমরা দেখেছি, প্রথমে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিকে সরকার ‘জঙ্গিবাদ’ বলে আখ্যা দিয়ে নিষ্ঠুর কায়দায় দমন করেছে। জঙ্গিবাদের অপবাদ লাগাতে মিডিয়া মোক্ষম ভূমিকা নিয়েছে। তারা প্রথমে এ কলঙ্কটি লেপন করেছে। এরপর আইনশৃঙ্খলা দমনের নামে ওদের সমূলে উৎপাটন করতে সরকারের সুবিধা হয়েছে। এরপর দেখা গেল ধর্মনিরপেক্ষ বিএনপিকেও একই ‘দাগ’ লাগাচ্ছে সরকার। তাই রাজপথে বিএনপি আর কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। দলটি শেষে বাসাবাড়িতে অনেকটা নিষিদ্ধ পার্টির মতো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে। জঙ্গিবাদ ও নাশকতা করার অপবাদ তাদেরও জুটেছে। তবে মিডিয়া পরে এই জাতীয় সর্বনাশটা আর রোধ করতে পারেনি।

খবর পরিবেশনের বদলে মিডিয়ার ‘পক্ষে-বিপক্ষে’ অবস্থান নেয়ার কুফল আজ সবাই ভোগ করছে। রাজনীতিতে যদি ভারসাম্য না থাকে, একদলীয় স্বেচ্ছাচারিতা কায়েম হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। সরকারের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবেন, সেই ফ্রন্টলাইনটিকে ধসিয়ে দেয়া হলে এর পরের স্তরে যারা থাকবেন তাদের নিশ্চিহ্ন হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। এ দেশে রাজনৈতিক ইসলামের সামনের ফ্রন্টটি ধসে যাওয়ার পর প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে দমিয়ে দেয়া সরকারের জন্য আর কঠিন হয়নি। ‘প্রতিক্রিয়াশীলদের’ বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গিয়ে মিথ্যাকে সত্য, সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে প্রচার করা হয়েছে। সে সুযোগে সরকার স্বেচ্ছাচারী হওয়ার পুরো সুযোগ গ্রহণ করেছে। মিডিয়া রাজনৈতিক শক্তি না হয়েও এ কাজটি করে দিয়েছে।

সরকারকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে রাখার জন্য সক্ষম বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন। সেই শক্তিটি না থাকায় সরকার যেসব আইনকানুন প্রণয়ন করছে, পুলিশের যে রাজনৈতিক অপব্যবহার করছে সেগুলো বাধা দেয়ার আর কোনো শক্তি অবশিষ্ট রইল না। এটি সরকারের জন্যও ভালো কিছু হয়নি। নিজের বেসামাল অবস্থা সরকার এখন নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। অন্য দিকে অনিয়ম দুর্নীতির খবর ছাপতে গিয়ে মিডিয়া সরকারের রোষানলে পড়ে যাচ্ছে। কারণ এসব খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিবাদ করার জন্য কোনো রাজনৈতিক পার্টি নেই। ফলে মিডিয়া সরকারের প্রতিপক্ষ হয়ে যাচ্ছে। তাই মিডিয়া অসহায় অবস্থানে রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে অনেকে হেনস্তা হচ্ছেন। এ অবস্থায় স্বনিয়ন্ত্রণ আরোপ করে অনেক ক্ষেত্রে আপসরফার মাধ্যমে মিডিয়াকে কোনোরকম বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সাংবাদিকতা না হয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের ‘কোনো মতো বেঁচে থাকা’ বলতে হবে এটিকে।

‘প্রতিক্রিয়াশীলতা ও সাম্প্রদায়িকতা’ দমনের নামে নিজেরা যখন রাজনীতির লাঠি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিলেন মিডিয়াম্যানরা তখন এমন হতাশাজনক অবস্থার জন্ম হতে পারে সেটা ভাবতেও পারেননি। সাম্প্রদায়িকতা দমনের নামে তারা মূলত যে কাজটি করেছেন তার ফল এখন তারা ভোগ করছেন। চারদলীয় সরকারের অবসানের পর একবার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামীর ওপর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সশস্ত্র হামলা চালায়। ওই হামলায় অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। নির্মম কায়দায় অনেককে হত্যা করা হয় প্রকাশ্যেই। পুলিশ তবু নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। একজন সন্ত্রাসী জামায়াতের সমাবেশ লক্ষ্য করে গুলি নিক্ষেপ করছিল। বাংলাদেশের একটি প্রধান ইংরেজি দৈনিক তার ছবিটি ধারণ করে। পত্রিকাটিতে সে ছবিটি ডিজিটাল কারসাজি করে পরের দিন ছাপা হয়। তাতে দেখানো হয়, জামায়াতের পক্ষ থেকে সশস্ত্র হামলা করা হচ্ছে। কার্যত ঘটনাটি ছিল তার বিপরীত। সংবাদমাধ্যমের এমন অন্যায় ও হলুদ সাংবাদিকতা দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশে প্রতিকারহীনভাবে চলছে। পরবর্তীতে হেফাজতে ইসলাম-এর ঢাকায় একটি জমায়েতকে কেন্দ্র করে একই ধরনের অপসাংবাদিকতা দেখা গেল। সেই সময় ক্ষমতাসীন দলের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে হেফাজতের সমাবেশের ওপর বিভিন্ন দিক দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। বায়তুল মোকাররম থেকে মতিঝিল এবং এর আশপাশে ব্যাপক ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা সরকারি বাহিনীর বন্দুকের নলের মুখে থেকে এমন কাজ করতে পারেনি- সবাই জানে।

কিন্তু অবলীলায় সংবাদমাধ্যম এটিকে ‘হেফাজতের সন্ত্রাস ও লুটপাট’ হিসেবে জানিয়ে দিলো। এসবের বিপুল সচিত্র প্রতিবেদন সেই সময় দেখা গেছে। দুটি টেলিভিশন চ্যানেল ঘটনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছিল। ওই দুটি চ্যানেলকে প্রশাসনিক আদেশে মধ্যরাতে নজিরবিহীনভাবে তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেয়া হয়। এ যাবৎ সাত বছরে ওই দুটি চ্যানেল আর আলোর মুখ দেখেনি। ওই সময় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন দেখে পাঠক শ্রোতারা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে। দর্শক-শ্রোতা জরিপে দেখা যায়, টিভি চ্যানেলগুলোর অডিয়েন্স পড়ে গেছে। বিশেষ করে তাদের খবর আর কেউ বিশ্বাস করেনি। খবর জানার জন্য তারা বিবিসি এবং আলজাজিরার মতো বিদেশী বা আন্তর্জাতিক চ্যানেলের ওপর নির্ভর করছে। ওই সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন সাংবাদিকতার দরুণ ব্যাপকভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে, পুলিশ ও বিডিআরের নৃশংস অভিযানে মতিঝিলে অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

এর পরও সরকার, বিরোধী দল, এমনকি সংবাদমাধ্যমের জন্য ‘ভালো কিছু হয়েছে’ বলার অবকাশ নেই। সরকার অবাধে এখন বিপুল ক্ষমতাচর্চা করছে। তাতেও যে সরকার স্বস্তি ও শান্তিতে রয়েছে এমনটি নিজেও দাবি করতে পারবে না। প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোকে রাজনীতি থেকে বিদায় করে দেয়ার কুফল এটি। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক শক্তি মাঠে থাকলে সবাই আজ অনেক বেশি নিরাপদ থাকতেন। পরিবেশ অনেক বেশি সুস্থ ও সুন্দর থাকত।

এ সুযোগে অন্ধকারে বেড়ে উঠেছেন ওসি প্রদীপরা। তাদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন স্বয়ং ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাও। ওইসব পদাধিকারী আওমী লীগ সদস্য যখন অপমান লাঞ্ছনা মারধরের শিকার হচ্ছেন তার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছেন না। ঘুষ দিয়েও দোর্দণ্ড প্রতাপশালী প্রদীপদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। একটি দৈনিক টেকনাফ থানার কাছে প্রদীপের আরেক জলসা ঘরের কাহিনী দিয়েছে। সেখানে রাতের বেলায় মানুষের আর্তচিৎকারের আওয়াজ পেতেন প্রতিবেশীরা। ভয়ে কেউ ওই বাড়ির কিনারা ঘেঁষতেন না। পাশে বসবাস ছিল থানা যুবলীগের সদস্য শাহাবুদ্দিনের। প্রদীপের সহযোগীরা তাকে থানায় নিয়ে দু’দিন আটকে রাখে। তিনি পাঁচ লাখ টাকা দিয়েও রেহাই পাননি। ৫০০ ইয়াবা দিয়ে পরে তাকে আটক দেখানো হয়। জলসাঘরের পাশেই বাড়ি সরকারদলীয় আরেক সদস্য এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আমিনের। তিনি প্রদীপের ওই জলসাঘর নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা আদায় করা হয়। তাকেও ৫০০ ইয়াবা দিয়ে আটক দেখানো হয়।

এটা ঠিক যে, ওসি প্রদীপ দলীয় লোকদের ক্রসফায়ারে দিয়ে শেষ করে দেননি। সাধারণ মানুষের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন আচরণ করেছেন তিনি তাদের সাথে। লাঞ্ছনা কিছুটা কম দিয়ে অর্থকড়ি নিয়ে, তারপর মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। দলীয় লোক হিসেবে এতটুকু কনসেশন তারা পেয়েছেন। একেবারে মেরে ফেলেননি কিংবা চোখ উপড়ে ফেলেননি কিংবা মরিচের গুঁড়া ঢুকিয়ে দেননি। সারা দেশে ক্ষমতাসীন দলের কতজন সদস্য ভালো আছেন, আমরা জানি না। কেউ যদি অন্যায়কে নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থে ‘ন্যায়’ হিসেবে ছাড় দিয়ে দেন তার একটা ভয়াবহ ফল আসতে বাধ্য। আমরা আজ যতই সিনহা হত্যাকাণ্ড একটি ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা বলে চিৎকার চেঁচামেচি করি, তাতে কোনো ফায়দা নেই। এটি টোটাল সিস্টেমেরই অংশ। এটি সম্মিলিত পাপের চরম বহিঃপ্রকাশ। এর বিচার না হলে আমাদের আরো ভয়াবহ দুর্ভাগ্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসলে একটা সম্মিলিত সিস্টেম। এটাকে যদি নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থের জন্য ব্যবহার করা হয়, আর সে ব্যবহার যদি বাড়তেই থাকে, শেষ পর্যন্ত এর ভয়াবহ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবেই। শেষ পর্যন্ত এর ‘উপকারভোগী’রাও এই সিস্টেমের ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে পতিত হয়ে নাস্তানাবুদ হবেন। তাদের সম্মান ও নিরাপত্তা ক্রমেই বর্ধিত হারে লুণ্ঠিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়, আবার সিস্টেমটাকে জারি করার উদ্যোগ নেয়া। ব্যক্তি থেকে সরিয়ে এনে ক্ষমতা চর্চাকে সিস্টেমের ওপর অর্পণ করা।

এই সিস্টেমে সরকার, বিরোধী দল, মিডিয়া সবাই পার্টনার। একে অন্যের সহযোগী। বড়জোর প্রতিযোগী। তবে কোনোভাবেই একে অপরের শত্রু নয়। সব পক্ষকে ‘স্পেস’ দিতে হবে। কারো নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে তাকে সবার স্বার্থে রক্ষা করতে হবে। এটা বড় আকারে বাংলাদেশে লঙ্ঘিত হয়ে আসছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে সংবাদমাধ্যমের একটা জোরালো ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু সরকার ও বিরোধী দলের ভারসাম্য না থাকলে মিডিয়াও অকার্যকর হয়ে যায়। সেটা বহু জায়গায় প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়াও আশঙ্কাজনক অবস্থার মধ্যে পড়ে খাবি খাচ্ছে। রেহাই পেতে হলে এই সিস্টেমটাকে দাঁড় করাতে হবে আবার।

jjshim146@yahoo

 


আরো সংবাদ



premium cement