২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পুতিনের চিরস্থায়ী ক্ষমতায়ন

পুতিন
পুতিন - ছবি : সংগৃহীত

পুতিন আবার রাজনৈতিক পণ্ডিতদের অবাক করল। চলতি বছরের জানুয়ারির ১৫ তারিখ ক্রেমলিনের অধিবাসীরা শুনল পুতিন কিভাবে সংবিধান পরিবর্তনের কথা বললেন, কিভাবে সরকারের পরিবর্তন ঘটালেন তা বিশ্ববাসী অবাক হয়ে দেখল কিভাবে পুতিন ২০২৪ সালে আরো ক্ষমতায় থাকার রূপরেখা প্রণয়ন করছেন।
মার্চের ১০ তারিখ পুতিন ডুমায় ভাষণ দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন, তার প্রয়োজনীয়তা, রাশিয়ার অবস্থা ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। সংবিধান পরিবর্তিত হলে আরো দু’বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন এবং আরো দুই টার্মসহ মোট ছয় টার্ম ২০৩৬ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে থেকে বিশ্বে রেকর্ড করবেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন কেন এত তাড়াতাড়ি দুই টার্মের বিষয় উপস্থাপন করা হলো? সময়তো অনেক বাকি। ধারণা করা হচ্ছে একজন যোগ্য উত্তরসূরি নির্বাচন এবং অন্তর্ঘাতমূলক কাজকর্ম হলে তা প্রতিরোধ করে চলার পথ মসৃণ রাখা। বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিনের ১০ মার্চের ভাষণে ‘অপারেশনের’ কথা উঠে এসেছে। ভ্যালেন্টিনা টেরেসকোভা আরো পরিবর্তনের কথা বলেছেন, প্রেসিডেন্টের টার্ম সম্পূর্ণ উঠিয়ে দিতে। পুতিন অত বোকা নন, তিনি এর বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন। পুতিন অনেক কিছু কনস্টিটিউশনাল আদালতের ওপরও ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের অত শক্তি নেই পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। পুতিন এত শক্তিশালী যে তিনি যা চান তার প্রতিষ্ঠানগুলো সে রকমই আদেশ করেন। বালতাগুইয়ার কথা অনেকে শুনে থাকবেন। এরা গেস্টাপো বাহিনীর মতো। নির্বাচনে পুতিন অংশ নেবেন এবং প্রয়োজনীয় ভোটও পাবেন। সংবিধানের ওপর জনগণের মতামত নেয়া হয়েছে। সেখানেও তার ছকে জনগণ সায় দিয়েছে। অনেকেই মনে করেছিলেন ২০২৪ সালে পুতিন সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছেন, তখন রাজনীতির হাওয়া গরম হবে। প্রেসিডেন্সিয়াল টার্ম লিমিট করা হবে এবং নতুন নতুন ক্ষমতা স্টেট কাউন্সিলকে দেয়া হবে। স্টেট কাউন্সিল নিয়েও অনেকে শঙ্কিত ছিলেন।

রাশিয়ায় যা হচ্ছে তা কল্পনার বাইরে, রাশিয়ার ইতিহাসে এমন দেখা যায়নি। পণ্ডিতরা বলছেন দিন শেষে তিনি আরো ক্ষমতায় থাকবেন, অনেক দিন। এভাবে ক্ষমতায় থেকে যাওয়া পুতিনও অনেকের মতো ‘গডের দয়া’ মনে করেন। আবার গডের অস্তিত্ব বিশ্বাস করাতে তিনি ধর্মীয় গোষ্ঠী-প্রধানদের সাথে সংযোগ রক্ষা করছেন, এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে উপস্থিত থাকছেন।

আরো দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগসহ সংবিধান সংশোধনী আইনের একটি প্যাকেজে শনিবার ১৪ মার্চ ২০২০ স্বাক্ষর করেছেন। ভøাদিমির পুতিন কুড়ি বছর দেশ শাসন করার পর আবারো ক্ষমতায় থাকার বিধি তৈরি করলেন। অথচ বর্তমান সংবিধান মতে তার ২০২৪ সালে বিদায় নেয়ার কথা। কেননা তিনি পরপর দুইবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।

পরিবর্তনগুলো সংসদকে এই মর্মে ক্ষমতা প্রদান করে যে, সংসদ মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবে। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট মন্ত্রীদের নিয়োগ দেন এবং সংসদ অনুমোদন দেয়; সংবিধান পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্ট যেন দুইবারের বেশি কাজ না করতে পারে; স্টেট কাউন্সিলকে প্রচুর ক্ষমতায়ন করা এবং সংবিধানের কর্তৃপক্ষ বানানো; প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রাশিয়ায় কমপক্ষে ২৫ বছর বসবাস করা, কোনো বিদেশী পাসপোর্ট না থাকা; আন্তর্জাতিক আইনের ওপর রাশিয়ার সংবিধানের নজির স্থাপন করা। পুতিন পরিকল্পনা জানানোর পর সরকার পদত্যাগ করে, যাতে পুতিনের চিন্তাধারা সফলভাবে প্রতিপালিত হয়। এর পরপর পুতিন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেবকে নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি নিয়োগ করেন। মেদভেদেব পুতিনের প্রিয় ও কাছের মানুষ। রাশিয়ানরা মনে করেন মেদভেদেব শ্বেত ভল্লুকের দেশে এক পেঙ্গুইন। তিনি পুতিনের জন্য সব কিছু বিলিয়ে দিতে পারেন।

সাংবিধানিক পরিবর্তন পুতিনকে আরো বহু দিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে দেবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন রাজনৈতিক স্থায়িত্ব না থাকলে বা তাকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ২০২৪ সাল পুতিনের জন্য অনেক সঙ্কটের জন্ম দিতে পারে। তিনি দেশের অভ্যন্তরে সব দিক দিয়ে শান্ত ও নিজ আয়ত্তের ভেতর রাখতে চান। যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে তার আরো একটি মুখ্য উদ্দেশ্য হলো প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে ক্ষমতা পুনর্বণ্টন করে কিছু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্ট সদস্যরা ভোগ করতে পারবেন, ফলে ভবিষ্যতের কোনো প্রেসিডেন্ট যেন স্বেচ্ছাচারী হয়ে না উঠেন। নতুন বিধানে দেশের বাইরে যারা থেকেছেন, কাজ করেছেন অনেক দিন, লেখাপড়ায় নিয়োজিত ছিলেন বা ভার্সিটিতে পড়াচ্ছেন এমন কেউ প্রেসিডেন্ট পদের জন্য দাঁড়াতে পারবেন না।

পুতিন পরস্পরবিরোধী চিন্তাধারার ব্যক্তিত্ব, এই চেতনা তাকে অনেক পীড়ন দিয়েছে। রাজনৈতিক ও পারিবারিক উভয় ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সময় কিছু পরিবর্তন ও ব্যবস্থা নিয়ে এলিট শ্রেণী ও তার দফতরের কর্মকর্তাদের অবাক করেছেন। তার ভবিষ্যৎ গতিধারা সম্পর্কে কেউ জানতে পারে না। পুতিন ক্ষমতায় থাকার জন্য সাংবিধানিক আদালতকে পরিবর্তনের বিষয়গুলো যাচাই করতে বলেন এবং মতামত দিতে বলেন। এখন পরিষ্কার যে, তিনি ২০২৪ সালে আবার নির্বাচনে দাঁড়াবেন। আর ফলাফল তো ভোরের আবহই বলে দিচ্ছে। পুতিনের এই রাজনৈতিক পরিবর্তনকে সমালোচকরা বলছেন, ‘পুতিনোলজি’ যা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্য একটি ‘হট আইটেম’। লোকজন বলছে ক্রেমলিন সবাইকে বোকা বানিয়েছে। কেননা জানুয়ারি থেকে পরবর্তী মাসগুলোতে এলিট শ্রেণী ও রাষ্ট্রপতি দফতর এ বিষয়ে কিছুই জানত না। কেননা তিনি তখন বলতেন ক্ষমতা ধরে রাখার কোনো ইচ্ছে তার নেই- এসব কথা তিনি এমন করে বলতেন যে কিছুই নাই এর মধ্যে অনেক কিছু আছে। তিনি বলতেন কাজাকিস্তানের মতো কিছু রাশিয়া চায় না। এখন তিনি সংবিধান পরিবর্তন করলেন এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরিকল্পনা, নির্বাচন এসব কিছুই বাদ রাখলেন না।

এমন কি বিয়ে? তার বহুদিনের প্রেয়সী আলিনা কাবায়েভা, যিনি ইতোমধ্যে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তাকে বিয়ে করবেন। কাভায়েভা ২০০৪ সালে এথেন্স ওলিম্পিকে সোনার পদক জেতেন। ১৯৯৯ সালের ওসাকা ও ২০০৩ সালের বুদাপেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আটটি সোনার পদক জেতেন। তিনি ২০০৭ সালে রুশ সংসদ ডুমার সদস্য হন। তখন পুতিন এই অনিন্দ্য সুন্দর জিমন্যাস্টের প্রেমে পড়েছিলেন। বিয়ের ঘোষণাকে অনেকে স্বাগত জানিয়েছে। এসব কিছুই এখন ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার জন্য করছেন। যেসব প্রশ্ন ২০২৪ সালে উঠে রাজনৈতিক মঞ্চ গরম করবে সেগুলো একটি একটি এখনই সমাধা বা শেষ করছেন। পুতিনের দু’টি চমৎকার পদক্ষেপ রাজনৈতিক অঙ্গনে চিত্তাকর্ষক হয়েছে। তিনি সাংবিধানিক সংস্কার করে আইন ও বিধিগত শক্তি লাভ করেছেন। নানা দিক দিয়ে আলোচনায় সমালোচনায় এগুলো সবাই একপ্রকার প্রশংসা করেছে। যেমন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব, শিশু সমাজ, পেনশন ও স্টেট কাউন্সিল। অবস্থা দেখে মনে হয় হুট করে এসব হয়নি। ভেতরে ভেতরে এসবের জন্য অনেক দিন ধরে হোমওয়ার্ক করা হয়েছে। তবে সংবিধান পুনঃলেখন অনেকেই পছন্দ করেননি। সমালোচকরা বলছেন ‘পুতিনিজম’কে ‘সাংবিধানিকীকরণ’ করা হয়েছে। পুতিনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিরোধীরা শক্তিশালী জনসমাবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

রেফারেনডামের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রস্তুতির সময়ও বিরোধীরা পাননি। পুতিন ডুমায় সুন্দর সুন্দর কথা বলতেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে।’ বক্তৃতায় তিনি আরো বলতেন ‘যেকোনো মানুষের ওপর থেকে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে’, ‘২০২৪ সালের আগে আমাদের অনেক কিছুই করার আছে।’ লোকজন মনে করতেন তিনি হয়তো ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। আর কিছু দিন থাকলেও অনেকে সমস্যা মনে করতেন না কেননা সিরিয়া ও লিবিয়ার সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ, তেলের দাম নিয়ে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সঙ্ঘাত, তুরস্কের সাথে টমেটো যুদ্ধ, এস-৪০০ ডিপ্লোমেসি, ন্যাটো বাহিনীর রুশ সীমান্তে মিসাইল স্থাপন, কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ, অর্থনৈতিক মন্দা এসবের কারণে রাশিয়া এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।

সংবিধান পরিবর্তনের ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করার জন্য দু’জন মিউনিসিপাল কাউন্সিলর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১ ফেব্রুয়ারি মস্কোতে প্রতিবাদ মিছিল করার চেষ্টা করেন ও অনুমতির আবেদন করেন। কিন্তু আবেদন আবার ফিরিয়ে নেন। এখানেও বালতাগুইয়া ভীতি এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয়ের কারণে তারা পিছু হটেন। পুতিনের এত শক্তির উৎস কোথায়? তার কি নিজস্ব আরো বাহিনী রয়েছে? আমরা মাঝে মধ্যে রাশিয়ার ‘বালতাগুইয়া’ ও কোসাকের কথা শুনি।

যেসব দুর্বৃত্ত অর্থের বিনিময়ে বিক্ষোভ-মিছিলে অংশ নিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব ও ধ্বংস সাধন করত তাদের এই নামে ডাকা হয়। এসব দুর্বৃত্তরা সাধারণত যুবক শ্রেণীর; অর্থ, বিত্ত ও ড্রাগসের বিনিময়ে তাদের কাজে লাগানো হয় বলে অভিযোগ আছে। প্রায় সময় এরা কোনো ঘটনা করে এলাকা ছেড়ে উধাও হয়ে যায়। রাশিয়ার গোয়েন্দারা শব্দটি কোনো জনরোষ বা বিপ্লব ঠেকাতে বহুল ব্যবহার করেন ও কিছু কৌশল ব্যবহার করেন।

রাশিয়ার পুতিনের সংবিধানবহির্ভূত ফোর্স হিসেবে বালতাগুইয়া ও কোসাকরা ব্যবহৃত হয়। কোসাকরা বেশ দুর্দান্ত, Cossacks গোঁড়া খ্রিষ্টান, স্লাভিক যোদ্ধা হিসেবে রাশিয়ায় পরিচিত। এরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের অধিবাসী, গোঁয়াড় ও দুর্দান্ত যোদ্ধা। অদৃশ্য ভাইরাসের মতো এরা কাজ শেষ করে ফিরে যায়। কোনো নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন হলে বিশেষ নগদ পুরস্কার পেয়ে থাকে। এরপর রয়েছে সেনাবাহিনীর ঠিকাদার। তারা নির্দিষ্ট কাজের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষে লোকজন সংগ্রহ করে ও প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে পাঠায়। আরো আছে বেসরকারি সামরিক সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপ। এরা এখন লিবিয়ায় যুদ্ধরত। চেচেনের ইসলামপন্থীদের নির্মূল করে চেচেনবাসীকে পুতিনের অনুচরে পরিণত করা হয়েছে। এমনই এক পুতিনের অনুচর হলেন, ৩৮ বছরের রমজান কাদিরভ, তিনি সাংবাদিককে বলেন, ‘পুতিন হুকুম দিলে দুনিয়ার যেকোনো স্থানে আমরা তা প্রতিপালন করব।’ এসব ক্ষমতাশালী বাহিনীর কারণে মূলত পুতিনের সামনাসামনি কেউ টিকে থাকতে পারছে না মর্মে সমালোচকদের অভিমত।

২০২৪ সালে তার সময় শেষ হওয়ার পর পুতিন এখন আরো ১২ বছর, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত, শাসন করতে পারবেন। বলা হয় প্রচুর অসঙ্গতি ও অনিয়মের ভোটাভুটিতে তিনি বিতর্কিত সংবিধান-আইন রদবদল করলেন। পুতিন প্রেসিডেন্ট ও একবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন সেই ১৯৯৯ থেকে। তার বয়স এখন ৬৭ বছর ২০৩৬ সালে বয়স হবে ৮৪ বছর। পুতিন নেতৃত্বের সংস্কার চান এবং কৌশলে সেটি উপস্থাপন করে নিজের পক্ষে জনসমর্থন আদায় করতে পেরেছেন, তিনি সংসদকে আরো ক্ষমতাশালী করার কথা বলেছেন তাতে সব সংসদ সদস্য সমর্থন দিয়েছেন। তিনি শিশু ও যুবকদের কথা বলেছেন এতে সেই শ্রেণী অনুগত হয়েছে, তিনি পরকাল ও ঈশ্বরের কথা বলেছেন, তাই যারা মনে করত তিনি নাস্তিকতার চারাগাছকে লালন করছেন তারা তাকে সমর্থন দিয়েছেন অকুণ্ঠভাবে। এজন্য রাশিয়ার মুসলমানরা এবং অর্থোডক্স খ্রিষ্টানরা প্রশংসা করছেন। তিনি এভাবে প্রতিটি পয়েন্টকে ‘ডিফিউজ’ করে চলছেন। সামনের তিনটি বছরে তিনি আরো অনেক কিছু করার ঘোষণা দিয়েছেন যাতে তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী কেউ ‘২০২৪ ক্রাইসিসে’ লড়াই করতে না দাঁড়ায়। যদি কোনো সমস্যা হয়েও যায়, পুতিন লাল কার্ড ছাড়বেন অর্থাৎ বিশ্লেষকদের মতে, পুতিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকার জন্য বেলারুশকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন এক রাশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করবেন।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement