২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবার আগে গত জানুয়ারিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে একটি বিশ্ব স্বাস্থ্য-সঙ্কট হিসেবে ঘোষণা করে। সর্বপ্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে চীনের উহান প্রদেশে। অল্প সময়ের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের ১৯০টি দেশে। মার্চের মধ্যে এই সংক্রমণ চীন থেকে স্থানান্তরিত হয় ইউরোপে, বিশেষত- ইতালি ও স্পেনে। এপ্রিলে এর অভিঘাত শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনার তাণ্ডব কমবেশি চলছে বিশ্বের ১৯০টি দেশে। এই তাণ্ডবের ভবিষ্যৎ রূপ কী হবে তা আমরা জানি না। জানি না, এর শেষ কোথায়। কিন্তু করোনা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ৮০টিরও বেশি দেশ বন্ধ করে দেয় তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত আর বিমানবন্দর। বন্ধ করে দেয়া হয় বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান কল-কারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সার্বিক কর্মকাণ্ডে নেমে আসে এক অভাবনীয় স্থবিরতা। জনগণকে বলা হয় নিজ নিজ ঘরে আইসোলেশনে থাকতে। কোনো কোনো দেশে জারি করা হয় দেশব্যাপী লকডাউন।

এভাবে করোনার প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী তছনছ করে দেয় পুরো বিশ্বের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যবস্থা। ছোট ছোট অর্থনীতির দেশ তো বটেই, এমনকি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানি, ফ্রন্সের মতো বড় বড় অর্থনীতির দেশেও এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে নামে ধস। তেলের দামে হঠাৎ করে ঘটে ব্যাপক পতন। যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র তিন সপ্তাহে কাজ হারায় ৩৩ লাখ মানুষ। আর এর এক সপ্তাহ পর খবর বের হয় সে দেশে ৬৬ লাখ মানুষ কাজ খুঁজছে। ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড ইউনিয়ন’ ৮ এপ্রিল জানায়, করোনার প্রভাবে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২০ সালে ১৩ থেকে ৩২ শতাংশ কমে যেতে পরে। এই সংস্থা আরো বলেছে, ২০২০ সালের বিশ্ব বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০৮-০৯ সময়ের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার চেয়েও কমে যেতে পারে।

এর পাশাপাশি, অনেক অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা বিশ্ব অর্থনৈতিক ও আর্থিক কাঠামোর করুণ পরিণতির ব্যাপারে আমাদের জন্য সতর্কবাণী মাঝে মধ্যেই উচ্চারণ করছেন। আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টেলিনা জিওরগিয়েভা তার বিশ্লেষণে বলেছেনÑ ‘করোনার অভিঘাত বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা যেকোনা আর্থিক মন্দার চেয়ে খারাপ হবে।’ আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, যা আমাদেরকে আজ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। লোকক্ষয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে এর ক্ষতি অপরিমেয়। সে কারণেই আজকের তাগিদ হচ্ছে- মানবজাতিকে বাঁচানো ও অর্থনীতিকে আবার সচল করে তোলার জন্য সব দেশকে একসাথে মিলে করোনাবিরোধী লড়াইয়ে নামতে হবে। দেশে দেশে লকডাউন কার্যকর করার ফলে অনেক ব্যবসায়ই অচল হয়ে পড়েছে। আর তা বিশ্ব অর্থীতিতে ডেকে আনছে শুধু ধ্বংস আর ধ্বংস।

এই হতভম্বকর পরিস্থিতির বিষয়টি মাথায় রেখে জি-২০ এক জরুরি সম্মেলন ডেকেছে; অবনতিকর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে করোনার কারণে সম্ভাব্য লোকসান কমিয়ে আনার উপায় উদ্ভাবনের জন্য। বললে ভুল হবে না, এই সময়ে করোনার প্রভাব বিস্তার আরো বেশি গতি নিয়ে চলছে। এর ফল অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তারা বলছেন, আমেরিকায় বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশে গিয়ে পৌঁছতে পারে। আর দেশটির অর্থনীতি অর্ধেক সঙ্কুচিত হয়ে পড়তে পারে। সাধারণ শ্রেণীর মানুষ উদ্বিগ্ন তাদের কাজ নিয়ে। আশঙ্কা আছে আরো বেশি লোকের চাকরি হারানোর। কারণ অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরা কর্মকর্তাদের বেতন দিতে পারছে না। ফলে এরা বাধ্য হয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে লে-অফ ঘোষণা করছে। করোনার প্রভাবে শেয়ারবাজারও হয়ে গেছে ব্যাপকভাবে এলোমেলো। অনেক কোম্পানি অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের অর্থ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিকাশমান বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে ৮৩০০ কোটি ডলার। অতএব সেখানে অর্থনীতির ওপর করোনার প্রভাব খুবই জটিল। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যখন এমন, তখন অনান্য দেশে করোনার প্রভাব সহজেই অনুমেয়।

সংশ্লিষ্টদের পর্যবেক্ষণ মতে- অর্থনীতির ওপর করোনার এই দুষ্ট প্রভাব কাটিয়ে উঠতে হয়তো ২০২১ সালের পুরোটাই আমাদের ব্যয় করতে হবে। এর চেয়ে বেশি সময় নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ এরই মধ্যে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে করোনার ভয়াবহ অভিঘাত সৃষ্টি হয়েছে। এসব দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিষয়টি এখন হয়ে উঠেছে বিতর্কিত এক বিষয়। করোনার প্রভাব অর্থনীতিতে কী পরিমাণে পড়বে, তা নির্ভর করে করোনার প্রাদুর্ভাব কতদিন চলবে তার ওপর। সেই সাথে আমরা করোনা প্রতিরোধে কতটুকু কার্যকর নীতি-কৌশল বাস্তবায়ন করতে পারলাম, তার ওপরও।

এটি প্রথমত একটি স্বাস্থ্য-সঙ্কট। এটি বিশ্বের সরকারগুলোকে বাধ্য করেছে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক রোবার্তো আজেভেদো বলেছেন, ‘এর ওপর আছে উৎপাদন ও বাণিজ্য পতনের অপরিহারযোগ্য দুঃখজনক পরিণতি। এর ফলে দুর্ভোগ সমভাবে পতিত ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিভিন্ন পরিবারের ওপর। করোনা রোগের দুর্ভোগও চলছে সমান্তরাল।’

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই চলছে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা। চলছে অর্থনৈতিক অধোগমন। ফলে সার্বিক খারাপ পরিস্থিতির মাঝে চলছে তাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন। এমনি পরিস্থিতিতে ৮০টির মতো দেশ আইএমএফের কাছে আবেদন জানিয়েছে আর্থিক সহায়তার। তাদের সহায়তা চাওয়া প্রধানত দুটি ক্ষেত্রে : করোনাভাইরাস মোকাবেলা এবং অর্থনৈতিক অধোগমন ঠেকানো। এর ওপর অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি ঘটছে করোনাভাইরাসের বিস্তারে। ‘অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ (ওইসিডি) বলেছে- যদি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অবাহতভাবে বেড়ে চলে, তবে ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে দেড় শতাংশ। এ ব্যাপারে নিশ্চিত কেউ কিছু বলতে পারছে না। স্কুলিচ স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতির অধ্যাপক বার্নার্ড এম ওলফ বলেছেন, ‘এটি এমন একটি ধ্বংষযজ্ঞ, যা এর আগে আমরা কেউ দেখিনি। এর প্রভাবে আজ বেশির ভাগ দেশের অর্থনীতি ও বিশ্ব জনগোষ্ঠী লকডাউনের অধীন। এর প্রভাব অর্থনীতিতে পরিব্যাপক।

করোনা মহামারীর কারণে বিভিন্ন ব্যবসায়-প্রতিষ্ঠান ও বাজার এক বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়েছে। এর ফলে এই জীবন-সংহারী মহামারী মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে তুলবে- এমনটি আশঙ্কা অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের। ‘ব্লুমবার্গ ইকোনমিকস’ সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে- পুরো বছর শেষে প্রবৃদ্ধির মাত্রা শূন্যে নেমে যেতে পারে, যদি করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যায়। অর্থনীতির এমন অনেক খাত রয়েছে, যেগুলো করোনা সংক্রমণের প্রভাবে খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় পড়েছে। এসব খাতে চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রত্যক্ষ সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ কমে যেতে পারে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ। অধিকন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলো প্রায় ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে পর্যটন, হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিমান পরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহনখাত, খেলাধুলা ইলেকট্রনিক শিল্প, মুদ্রাবাজার ও স্বাস্থ্যখাত।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘গ্রান্ট থর্টন’-এর বিশ্লেষণ মতে- বিভিন্ন দেশে রয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি। অর্থনীতি এখন পুরোপুরি বৈশ্বিক হওয়ায় এসব কোম্পানি কাজ করে বিশ্বজুড়ে। উদাহরণ টেনে বলা যায়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনীতিতে রয়েছে চীনের টাচ পয়েন্ট। এরা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের অংশ। অতএব কেউ আমেরিকায় কোনো উৎপাদন বন্ধ করতে চাইলে, তাকে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে চীনেও। কিংবা অন্য কোনো দেশে।

ক্রিস্টেলিনা জিওরগিয়েভা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একটি চার দফা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি পরামর্শ দিয়েছেনÑ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের চারটি কাজ করে ক্ষতি এড়ানো বা কমিয়ে আনতে হবে। প্রথমত, স্বাস্থ্য-ব্যবস্থায় অপরিহার্য পদক্ষেপগুলো কার্যকর রাখতে হবে; দ্বিতীয়ত, সংক্রমিত লোকদের ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে হবে সময়মতো রাজস্ব ও আর্থিক উদ্যোগ নিয়ে; তৃতীয়ত, আর্থিক ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে হবে; এবং চতুর্থত, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের এবং এই মহামারীর ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনার পরিকল্পনা ও নীতিমালা ঠিক করতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে- করোনা সংক্রমণের তির্যকতা বিবেচনা করে দেশে দেশে সহযোগিতা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ লড়াই মানবজাতির অস্তিত্বের লড়াই।

সবশেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করছি। দেশে দেশে মানুষে মানুষে সম্পদ বৈষম্য বেড়ে চলার কারণে কোটি কোটি মানুষ দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে বসবাস করে আসছে বহু আগে থেকেই। নানা সময়ে নানা দেশে ঘটেছে বড় ধরনের অনেক দুর্ভিক্ষ। করোনার সময়ের এই বৈষম্য সৃষ্টির প্রবণতা বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং বৈষম্য আরো বাড়ছে। ধনী আরো ধনী হচ্ছে, গরিব আরো গরিব হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে এই করোনা মহামারীর সময়ে নতুন করে এরই মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে কোটি কোটি হতদরিদ্র। জাতিসঙ্ঘসহ আরো আন্তর্জাতিক সংস্থা করোনার প্রভাবে নতুন দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে। বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিচ্ছে। আর এর বিপরীতে খবর পাইÑ একই সময়ে স্ফীত হচ্ছে বিলিওনিয়ার ও ট্রিলিওনিয়ারের সম্পদের পরিমাণ। যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সপ্তাহের করোনাকালে যেখানে কাজ হারিয়েছে চার কোটি ২৬ লাখ লোক, সেখানে এই সময়ে দেশটির বিলিওনিয়ারদের সম্পদ বেড়েছে ১৯.১৫ শতাংশ। ‘বিলিওনিয়ার বোনাঞ্জা ২০২০’ শীর্ষক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়।

এই সময়ে বিলিওনিয়ার জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ৩৬২০ কোটি ডলার, যার মোট সম্পদ ১৪৯০০ কোটি ডলার; মার্ক জুকারবার্গের বেড়েছে ৩০১০ কোটি ডলার, তার মোট সম্পদ ৮৪৮০ কোটি ডলার; এলন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে ১৪১০ কোটি ডলার, তার মোট সম্পদ ৩৪৭০ কোটি ডলার; সার্গে ব্রিনের বেড়েছে ১৩৯০ কোটি ডলার,তার মোট সম্পদ ৬৩০০ কোটি ডলার; ল্যারি পেইজের বেড়েছে ১৩৭০ কোটি ডলার, তার মোট সম্পদ ৬৪৬০ কোটি ডলার; স্টিভ ব্যালমারের বেড়েছ ১৩৩০ কোটি ডলার, মোট সম্পদ ৬৬০০ কোটি ডলার; ম্যাকেঞ্জি বেজোসের বেড়েছে ১২৬০ কোটি ডলার, মোট সম্পদ ৪৮৬০ কোটি ডলার; মাইকেল ব্লুমবার্গের বেড়েছে ১২১০ কোটি ডলার, মোট সম্পদ ৬০১০ কোটি ডলার; বিল গেটসের বেড়েছে ১১৮০ কোটি ডলার, মোট সম্পদ ১১০০০ কোটি ডলার; ফিল নাইটের বেড়েছে ১১৬০ কোটি ডলার, মোট সম্পদ ৪১১০ কোটি ডলার; ল্যারি এলিসনের বেড়েছে ৮৫০ কোটি ডলার, মোট সম্পদ ৬৭৫০ কোটি ডলার; ওয়ারেন বাফেটের বেড়েছে ৭৭০ কাটি ডলার, মাইকেল ডেলের বেড়েছে ৭৬০ কোটি ডলার, শেল্ডন অ্যাডেলসনের বেড়েছে ৬১০ কোটি ডলার।

দেশে দেশে এভাবে সম্পদ বৈষম্য বেড়ে চলার প্রবণতা প্রবল। এই করোনার সময়ে যদি এই প্রবণতা রোধে কার্যকর নীতি-পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন না করা হয়, তবে করোনা দুর্ভোগে পড়া মানুষর সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। ধনী-গরিব প্রতিটি দেশের জন্য এদিকে নজর দেয়ার এখন চূড়ান্ত সময়। 

 


আরো সংবাদ



premium cement
কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল