১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা : জাতীয় ঐক্য বনাম অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্বেষ

করোনা : জাতীয় ঐক্য বনাম অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্বেষ - সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে চলছে মহামারী, যা ঠেকানোর জন্য বিশ্ব শাসকগোষ্ঠী ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনাও দিতে পারছে না। এর মূল কারণ, বিজ্ঞানীদের মতে, প্রাণঘাতী করোনা এমন একটি ভাইরাস যা সময়ে সময়ে তার চরিত্র পাল্টে ফেলে। দ্বিতীয়ত, পৃথিবী যখন অমার্জনীয় পাপ, জুলুম, অত্যাচার, মিথ্যাচার, অশ্লীলতা, নির্যাতন, অবিচার, দুঃশাসনে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে তখনই এ ধরনের মহামারীর উৎপত্তি হয়। করোনা একটি ব্যতিক্রমধর্মী ভাইরাস, যা নির্দিষ্ট কোনো রাষ্ট্র বা এলাকায় আবির্ভূত হয়নি বরং একই সময়ে প্রকাশ পেয়েছে গোটা বিশ্বে। ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বের নেতারা একে অন্যকে দোষারোপ করছেন।

সর্দি, হাঁচি, কাশি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনো কঠিন রোগ হিসেবে বিবেচিত হতো না। যেমন ক্যান্সার, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিস, হার্ট প্রবলেম, কিডনি, গ্যাস্ট্রিক, প্রেসার প্রভৃতিকে মানুষ জটিল রোগ হিসেবে বিবেচনা করে চিকিৎসক বা হাসপাতালের শরণাপন্ন হয়। ‘ব্যাঙের আবার সর্দি!’ এটা বাঙালির একটি জনপ্রিয় প্রবাদ। অর্থাৎ ব্যাঙ যেমন পানিতে বাস করে, ঠিক তেমনি বাঙালিকে বন্যা, বৃষ্টির পানিতে ডুবে থেকেই কৃষিকাজসহ অন্যান্য কাজ করতে হয়। সর্দি, কাশি বা গলাব্যথা হলে গরম পানিতে গড়গড়া করার উপদেশ চিকিৎসকরা এতকাল দিয়েছেন। সর্দি হলে, দাদী বলতেন, শরীর নতুন-পুরান হয়, হাঁচি দিলে শরীর পাতলা হয় এবং কারো হাঁচির আওয়াজ শোনার সাথে সাথে বলতেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’। অথচ সেই হাঁচি, কাশিই হলো মরণব্যাধির প্রধান হাতিয়ার, যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেÑ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, অর্থাৎ কেউ কারো সংস্পর্শে বা কাছে যেতে পারবে না, নাক মুখ ঢেকে চলাফেরা করতে হবে।

পরীক্ষা করে করোনা নিগেটিভ হলেও নিজ স্ত্রী দূরত্ব রক্ষা করে চলে, মরলে আত্মীয়-স্বজন তো পরের কথা স্ত্রী, সন্তানরাও কাছে আসে না। এ উপলক্ষে মানুষ কয়েকটি শব্দের সাথে পরিচিত হলো, যেমন- লকডাউন, আইসোলেশন, সেলফ কোয়ারেন্টিন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন। আরো অভ্যস্ত হলো মাস্ক ব্যবহারে, যা পরে থাকা রীতিমতো অস্বস্তিকর। অন্য দিকে আছে সুন্দর চেহেরা ঢেকে রাখার মনোবেদনা। তবুও বাঁচার তাগিদে এই অস্বাভাবিকতাকেও মানুষ মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

কোনো রাজা, বাদশাহ, শাসনকর্তা, দলীয় প্রধান, অফিসের বস এককথায় বলতে গেলে কোনো সরকারই সমালোচনা পছন্দ করা তো দূরের কথা, সহ্যই করে না। তবে আগের চেয়ে অসহিষ্ণুতার মাত্রা দিন দিন অনেক বৃদ্ধি পেয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন নিবর্তণমূলক ডিজিটাল আইন। করোনা মোকাবেলায় সরকারি ব্যর্থতাকে ঢাকা দেয়ার উদ্দেশ্যে মিডিয়াকে সুকৌশলে আরো নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্য গত ৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশনা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ প্রণয়ন করে নিষেধাজ্ঞাসহ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। ওই নির্দেশাবলির মধ্যে একটি নির্দেশ রয়েছে যা কার্যত যাই হোক না কেন, শুনতে ভালো লাগে, বাস্তবায়িত হলে জাতীয় পরিবেশ আরো সুন্দর ও জাতি সমৃৃদ্ধশালী হওয়ার কথা। নির্দেশনাটি হলোÑ ‘জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’ আশার কথা, এ জন্য বলছি, নির্দেশিকায় ‘জাতীয় ঐক্য ও চেতনার’ প্রতি সরকার গুরুত্ব দিয়েছে বলে প্রতীয়মান। এখন প্রশ্ন হলো, ‘জাতীয় ঐক্যের’ প্রয়োজনীয়তা কি সরকার উপলব্ধি করে? বিরোধী দলের সাথে সরকারের পূর্বাপর ব্যবহার ও মন্ত্রীদের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে ‘ঐক্যের’ প্রশ্নে সরকারের মতলব কি পজিটিভ না নিগেটিভ? মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশিকা ও মন্ত্রীদের চটকদার বক্তব্য কি একই সুরে বাজছে, নাকি এখানে উল্টো সুর রয়েছে?

বিএনপির মহাসচিব জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় আগেই থেকেই জাতীয় ঐক্যের কথা বলে আসছেন। মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন ‘নাগরিক ঐক্য’ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের দাবি তুলেছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ড. কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে জাতীয় ঐক্য চেয়েছেন। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ড. কামালের কাছ থেকে যতটুকু ভূমিকা প্রত্যাশিত ছিল তা তিনি রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পেছনের কারণ হতে পারে তার স্বাস্থ্য বা নিজ সংগঠনের সাংগঠনিক দুর্বলতা বা ঝুঁকি না নেয়ার প্রবণতা।

ঐক্যফ্রন্টের অগোছালো অবস্থা তো রয়েছে, তদুপরি ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব নিয়েও ড. কামাল হোসেনের ভাবমূর্তি তৃণমূলের কাছে মেঘাচ্ছন্ন। কারণ ফ্রন্টের মূল শক্তি বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তির বিষয়ে তিনি ভূমিকা রাখা তো দূরের কথা, দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী হিসেবে অনুরোধ করা সত্ত্বে¡ও একদিনের জন্যও তিনি উচ্চ আদালতে জামিনের শুনানিতে অংশ নেননি। এ বিষয়টি ঐক্যফ্রন্টের সর্ববৃহৎ শরিক দলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বুঝতে পেরেছেন কিনা, তবে সাধারণ মানুষের বোধগম্য হয়েছে ঠিকই, যা তৎসময়ে চাউর হয়ে ব্যাপক আলোচনা এসেছে। মেঘাচ্ছন্ন ভূমিকা নিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করা যায় না। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তেমনটাই ঘটেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন ‘জামিন’ নামক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, ৭৫ বছর বয়স্ক একজন অসুস্থ নারীকে (যিনি রাজপথে আন্দোলন করে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন) আপিলে জামিন না দিয়ে আইন পেশাদারিত্বের প্রশ্নে আদালত প্রাঙ্গণে একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারগুলোও বিরোধী দলকে হেনস্তা করতে এ ‘নজির’ রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পাবে। একজন খ্যাতনামা আইনজীবী ও আইনজীবীদের অভিভাবক হিসেবে ড. কামাল ওই ‘নজিরের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন না। তবে ৬০-৭০টি আসন নিয়ে যারা বিরোধী দলের আসনে বসার অতি আগ্রহে আশায় দিন গুনছিলেন, তাদের কথা ভিন্ন।

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের সম্মানজনক মুক্তির প্রশ্নে সংলাপটি ভেঙে দিলে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পেতো, শূন্যহাতে ফিরতে হতো না, বরং মুক্তির প্রশ্নে সরকারকে ছাড় দেয়া হয়েছে। এ সংলাপের রেজাল্ট শেখ হাসিনার কোর্টে জমা পড়েছে এবং সংলাপের উসিলায় কালক্ষেপণ করে প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী নীলনকশা সাজাতে পেরেছেন। সরকার যেখানে বারবার জাতীয় ঐক্য প্রত্যাখ্যান করেছে, সেখানে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট জাতীয় ঐক্যের দাবি করছে কেন? এতে রাজনৈতিক কি ফায়দা রয়েছে? নির্বাচন পূর্ব অনেক আকাক্সিক্ষত সংলাপের ফলাফল কী হয়েছিল তা কি বিএনপি ভুলে গেছে? দীর্ঘ সংলাপের পর শূন্যহাতে ঐক্যফ্রন্টকে ফিরতে হয়েছিল। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের জোরালো মুক্তির দাবিও তারা উপস্থাপন করে রেজাল্ট নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পত্রিকান্তরে মুখরোচক আপ্যায়নের সংবাদ শুনতে হয়েছে জনগণকে।
জাতির ক্রান্তিকালে ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তোলার রেওয়াজ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিনা ভোটের সরকার, আস্থার প্রশ্নেও প্রশ্ন বিদ্ধ (!) যতটুকু গলাবাজি ততটুকু সফলতা কোথায়? সরকারি দলের দায়িত্বপ্রাপ্তরাই ত্রাণের চাল চুরিতে মহাব্যস্ত, তবে চোরদের সরকার গ্রেফতার করছে, ছাড় দিলে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। এসব পৈশাচিক ঘটনা ১৯৭৪ সালের কম্বল চুরির আক্ষেপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। থিওরি ও প্র্যাকটিস সমভাবে চলে না। বন্ধুত্ব হয় সবলের সাথে সবলের। সবলেরা দুর্বলকে আক্রমণ করে। শেখ হাসিনা হয়তো সেই মানসিকতাই লালন করেন। তবে এই মানসিকতা ভুল না ঠিক তা সময়ই বলে দেবে। প্রথমত, রাষ্ট্রীয় নিরপেক্ষ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কবজা, দ্বিতীয়ত, বিএনপিকে ভোটবিহীন পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণের কৌশল অবলম্বনের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃশ্যত একটি রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেছেন বলে তিনি অবশ্যই মনে করতে পারেন। অন্য দিকে, নিজ দলের চেয়ারপারসনকে ‘জামিনে’ মুক্ত করতে না পারাটাই বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিপর্যয়। তারপরও বিএনপিই গণমানুষের বিরোধী দল, জনগণের প্রত্যাশা এ দলের কাছে অনেক বেশি। জনগণের প্রত্যাশার সাথে বিএনপি সমানতালে কেন চলতে পারছে না, এ মর্মে একটি অনুসন্ধানী গবেষণামূলক প্রতিবেদনের অনুশীলনই হতে পারে দলটির রাজনৈতিক বিজয়ের যাত্রাপথের পাথেয়।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঐক্য দিল্লির লাড্ডুর মতো। তবে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দল দু’টিই- একটি আওয়ামী লীগ, অন্যটি বিএনপি। এরশাদ মরে গিয়ে বেঁচে গেছেন, নতুবা যত দিন বাঁচতেন তাকে লেজুড়বৃত্তি করেই বাঁচতে হতো। বাম দলগুলোর চুলচেরা মতবিরোধে একে-অপরের মতপার্থক্য যোজন যোজন দূরে। দেশে অনেক পীর মাশায়েখ আছেন যাদের বড় রাজনৈতিক দলের মতোই অনেক বড় কর্মীবাহিনী আছে। তবে একজনের সাথে অন্যজনের মতের মিল নেই। তারা ক্ষণে সরকারের সমালোচনা করে, আবার দোয়া করে সরকারের প্রশংসা করে, যাদের জনগণ একবার আস্থায় নিলেও পরে আর নেয়নি। চরমোনাই পীর দুনিয়ার চেয়ে আখেরাত নিয়ে বেশি ব্যস্ত। তাদের কর্মীবাহিনী রাজনৈতিক প্রশিক্ষিত নয়, যেমনটি রয়েছে জামায়াতে ইসলামী দলের। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দলটি টিকে থাকার দুঃসাহস দেখালেও জামায়াতে ইসলাম এখন ভাঙনের মুখে। কারণ তাদের থেকে বেরিয়ে এসে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’ (এ বি পার্টী) নামে একটি রাজনৈতিক দল দাঁড়ানোর চেষ্টায় লিপ্ত। উল্লেখ্য, ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ সিল গায়ে লাগিয়ে এ দেশে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করা যাবে না, এটা আমার নিজস্ব ধারণা। ফলে রাজনীতিতে ‘এ বি পার্টির’ একটি অবস্থান প্রত্যাশা করা উদ্যোক্তাদের জন্য অমূলক নয়।

মোটা দাগে জাতিই মূলত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এখানে ১৯৭১ সালের পাশাপাশি ১৯০৫ এবং ১৯৪৭ সাল বাদ দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্কের যবনিকা টানা সহজ হচ্ছে না, পাক-ভারত উপমহাদেশের রাজনীতি একে অপরের সম্পূরক না হলেও প্রবলভাবে প্রভান্বিত। ভারতে মোদি সরকার ১৯৪৭ সালের দিকেই ধাবমান হচ্ছে বলে প্রতীয়মান। ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য আবেগে হতে পারে, বাস্তবতায় নয়। মসজিদ ভাঙলে জোড়া লাগে, কিন্তু মন ভাঙলে তা লাগে না। খর¯্রােতা নদীও শুকিয়ে যায়, কিন্তু রক্তের দাগ শুকায় না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ১৫ আগস্ট, ৩০ মে, ২১ আগস্ট, ওয়ান-ইলিভেনসহ কিছু দিন ক্ষণ অনেক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা মীমাংসিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় ঐক্য সুদূর পরাহত। কারণ এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্ন প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে কাক্সিক্ষত ঐক্যে উপনীত হওয়ার জন্য জাতিকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম অপেক্ষা করতে হবে। যদি এ ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার ভিন্ন কোনও চিন্তা না থাকে। অন্যদিকে বিএনপিকে হাঁটতে হবে নিজের পায়ের ওপর ভর করেই, তাও আবার পিচ্ছিল কণ্টকময় পথে। এক্ষেত্রে জনগণকে আস্থায় আনতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ জন্য শুধু বুদ্ধিবৃত্তিক বক্তৃতা ও কাগজি বিবৃতি দিলে চিড়া ভিজবে না, এর সাথে রাজপথের আন্দোলন যোগ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প আদৌ নেই।

লেখক : রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী

(অ্যাপিলেট ডিভিশন)

E-mail : taimuralamkhandaker@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement