২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রীলঙ্কায় করোনা-মৃতদেহ সৎকারে সঙ্কট

শ্রীলঙ্কায় করোনা-মৃতদেহ সৎকারে সঙ্কট - সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃতদের লাশ পুড়িয়ে ভস্ম করা বাধ্যতামূলক করেছে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ। ফলে মুসলিমদের লাশও পুড়িয়ে ফেলছে দেশটি। শ্রীলঙ্কা সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছে দেশটির মুসলমান সম্প্রদায়। এ পর্যন্ত যে ক’জন মুসলমান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, আত্মীয়-স্বজনদের প্রচণ্ড বিরোধিতা সত্ত্বে¡ও তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক বিরাজ পাটনায়েক বলেছেন, এই কঠিন মুহূর্তে কর্তৃপক্ষের উচিত সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য তৈরি করা, বিভেদ নয়।

শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু মুসলমানরা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন মৃতদের প্রতি ধর্মীয় কিছু দায়িত্ব জীবিতদের পালন করতে হয়। এটি এক মুসলমানের প্রতি অপর মৃত মুসলমানের কর্তব্য। যেমনÑ দাফনের আগে গোসল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, কাফন পরানো, জানাজার নামাজ পড়া। ২৬ মার্চের ডেইলি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে উল্লেখ আছে, দ্বীপের মুসলমানসহ অন্যান্য সব সংখ্যালঘু মহামারী প্রতিরোধে সরকারের সব পদক্ষেপের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি করোনায় মৃত মুসলমানদেরও পুড়িয়ে বা দাহ করে সৎকারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে দ্বীপরাষ্ট্রের মুসলমানরা আরেকটি নির্যাতনের শিকার হলো। মৃত ব্যক্তির সৎকারের জন্য ইসলামের স্পষ্ট বিধান রয়েছে, যাকে শরিয়াহ আইন বলা হয়। এটি জীবিতদের দায়িত্ব। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতির শিকার না হয় যেমন- সমুদ্রের জাহাজে মৃত্যুবরণ, যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ এসব ক্ষেত্রে অবস্থাভেদে কিছু ব্যত্যয় হয়ে থাকে। সেগুলোও শরিয়তে নির্দেশনা দেয়া আছে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও এ ধরনের বিল পাস হয়েছিল। মুসলমান ও ইহুদিরা সেখানে নিজ নিজ ধর্মীয় বিষয়ের দাবি তুলে ধরে, পার্লামেন্টে ধর্মীয় বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে করোনা মৃতদেহ আগুনে পোড়ানের পরিবর্তে কবর দিতে পারবে এমন বিধানে ঐকমত্য জানিয়েছে। যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, ইরান ও ইতালির মতো বহু দেশে করোনার মৃতদেহ কবরে রেখে সৎকারে কোনো বাধা নেই। ফিলিপাইনেও মুসলমানদের ধর্মীয় সম্মান প্রদর্শন করে তাদের কাছে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুসলমানদের জন্য গঠিত কমিশনের প্রধান মুসলমান নেতাদের সাথে বসে আলাপ-আলোচনা করে দুর্যোগের শুরুতে বিষয়টি সমাধান করেছেন। এসব দেশের উদাহরণ থেকে লঙ্কার অনেক শেখার আছে। শ্রীলঙ্কায় করোনা রোগীদের মৃতদেহ দাহ করার মাধ্যমে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। এ জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় মুফতি ও লঙ্কার ইসলামী স্কলারদের সাথে আলোচনা করা হয়নি। ফলে দ্বীপরাষ্ট্রে নিগৃহীত মুসলিম সংখ্যালঘুরা একটি রাষ্ট্রীয় নিষ্পেষণের শিকারে পরিণত হলো।

শ্রীলঙ্কায় মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। এই বিশাল সংখ্যালঘুকে উপেক্ষা করা শাসক দলের উচিত হয়নি। মুসলমানরা সরকারের সব রাষ্ট্রীয় কাজে সবসময় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছে। তথাপি করোনা রোগী দাহ নিয়ে সরকারের এই অবস্থান মুসলমানরা সহজভাবে নিচ্ছেন না। শ্রীলঙ্কায় মুসলমানরা সরকারের আহ্বান বা নির্দেশনায় সহায়তা করছেন যা আগেই বলা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মতে, সংখ্যালঘু মুসলমানরা মসজিদ বন্ধ রেখেছেন, জুমার নামাজ বন্ধ করেছেন, এমনকি পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে নামাজও বন্ধ করেছেন। কিন্তু করোনা মৃতদেহ দাহ করা খুব সহজ বিষয় নয়। এটা মুসলমানরা মেনে নেননি, এ নিয়ে একটি উত্তেজনা দ্বীপরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে।

সমালোচকরা বলছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা দ্বীপরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছে এবং মুসলমানদের হত্যা, তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধসহ নানা ধরনের দমন-পীড়ন করেছে। বৌদ্ধরা মৃতদেহ পুড়িয়ে থাকে। করোনার এই সুযোগটিকে ব্যবহার করে তারা মুসলমানদের মৃতদেহ পোড়ানো শুরু করেছে।
মুসলমানদের জন্য মৃতদেহ দাহ করা নিষিদ্ধ। কোনো পরিস্থিতিতে কখনো কোনো মুসলমানের মৃতদেহ পোড়ানো হয়নি। এমন কোনো ইতিহাস ও ঘটনাও নেই। মৃতদেহ খুব তাড়াতাড়ি মাটিতে কবরস্থ করার বিধান রয়েছে। মৃতদেহকে সম্মান দেখাতে বলা হয়েছে। মৃতদেহ দাহ করাকে এক প্রকার অঙ্গহানি ও নির্যাতন মনে করে মুসলমানরা। একইভাবে সব কিতাবি ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের বেলায় মৃতদেহ কবরে রেখে সৎকারের বিধান প্রতিপালিত হয় সারা দুনিয়ায়। কোনো সরকারের পক্ষে এ ধরনের একটি নীতি চাপিয়ে দেয়া সুবুদ্ধির পরিচায়ক নয় বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। শ্রীলঙ্কা সরকারের উচিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা।

শ্রীলঙ্কায় কিছু হেইট গ্রুপ এমন বক্তব্য দিচ্ছেন যে, মুসলমানরা দ্বীপরাষ্ট্রে অনেক সুবিধা ভোগ করে আসছে যা অন্যান্য কমিউনিটির লোকজন পাচ্ছে না। এসব দল বলছে, করোনায় মৃত্যুবরণ ও মৃতদেহ সৎকার করা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ। তারা আরও বলছেন, মৃতদেহের শরীর থেকে জীবাণু ছড়ায়। অনেক সিংহলি বলছেন, মৃতদেহ কিছু পোড়ানোর পর কবর দেয়ার ব্যবস্থা করা। এতে সবাই সন্তুষ্ট হবে। অনেক সিংহলি অভিযোগ করেন, লঙ্কার পূর্বাঞ্চলের মুসলমানরা খুব কড়াকড়িভাবে শরিয়া আইন প্রতিপালন করতে চায় এতে বৌদ্ধরা শঙ্কিত।

সহিংসতা এতদূর বেড়ে যায় যে, উগ্র বৌদ্ধদের দাবির কাছে শ্রীলঙ্কায় মুসলিম সম্প্রদায়ের ৯ মন্ত্রীর সবাই গত ১০ জুন ইস্তফা দিয়েছেন। একই সাথে দুই মুসলিম গভর্নরও পদত্যাগ করেছেন। উগ্র বৌদ্ধদের দাবির মুখে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বলে জানা যায়। মুসলমানরা সঙ্ঘাত এড়াতে নিজেরাই একটি মসজিদ ধ্বংস করেছে। পুলিশ গত রমজানজুড়ে তল্লাশি চালায়, এতে মুসলমানরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, অন্য সম্প্রদায়গুলোর অবিশ্বাসও বেড়ে গেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ন্যাশনাল তাওহিদ জামাতের সদস্যরা এই মসজিদে বেশি যাতায়াত করত, কর্তৃপক্ষ মসজিদ সিলগালা করলে পরে স্থানীয় মুসলমানরা মসজিদ ধ্বংস করে ফেলে। শ্রীলঙ্কান সরকার ২০০ আলেমকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। এরা বৈধভাবে এসে শ্রীলঙ্কায় থেকে যায় বলে অভিযোগ। বোমা হামলার পর ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তাদের বের করে দেয়া হয়। বলা হচ্ছে, এখন থেকে ধর্মীয় ব্যক্তিদের শ্রীলঙ্কায় আসার ক্ষেত্রে ভিসায় কড়াকড়ি কঠোরতর করা হয়েছে।

মুসলমানদের হাজার বছরের সম্প্রীতির স্থানটি ইস্টার সানডে ঘটনায় শেষ হয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। এ জন্য লঙ্কার সব মুসলমানদের এখন কেন দায়ী করা হচ্ছে? এই বিষয়টি মুসলমান নেতা ও ওলামারা শুরু থেকে বলে এলেও কার্যত এখন তাই হচ্ছে। আগেই সব তথ্য হাতে আসার পরও কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি? অথচ লঙ্কায় সিআইএ ও মোসাদের সংযোগ রয়েছে কিনা এসব কেউ বলছে না। মিডিয়াও বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। অথচ বিশ্বব্যাপী এই খেলাই চলছে এখন। এ থেকে মুসলমান, শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত ও সরকার শিক্ষা না নিলে সামনে হয়তো আরো খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে। কিন্তু তত দিনে কত নিরপরাধ মুসলমান কোরবানি হবে কে জানে? শ্রীলঙ্কার মুসলমানরা এখন অভিভাবকহীন, তাদের মাথার ওপর কোনো ছায়া নেই।

শ্রীলঙ্কার সংবিধানের আর্টিকেল ২৯(২) ধারায় ও উপধারাসমূহে ‘মাইনরিটি রাইট ও ‘ধর্মীয় নিরাপত্তার’ কথার উল্লেখ রয়েছে। এখন উগ্র বৌদ্ধদের মহানায়করা সংবিধানেরও সংশোধন চান। ভোট বাক্সের জন্য রাজনীতিবিদরা কখন কেমন সমঝোতা করেন বলা যায় না। এ অবস্থায় বুদু বালা সেনা ও মহা সঙ্ঘকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার বিধান করা উচিত। তা সরকারের পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে কি না বলা যায় না। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করার অঙ্গীকার করেছেন; কিন্তু তার পরও মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ ও নিপীড়ননীতি অব্যাহত রয়েছে।

২০০৯ সালে দেশটির হিন্দু তামিল টাইগার গেরিলাদের সাথে ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি হয়। যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জাতিসঙ্ঘ শ্রীলঙ্কার সমালোচনা করেছে। যুদ্ধের শেষ সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী হাজার হাজার বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে, যাদের বেশির ভাগই তামিল। যৌন সহিংসতা, সংক্ষিপ্ত বিচারে ফাঁসি ও জোরপূর্বক গুমের সাথে জড়িত শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী। কিন্তু সরকার তাদের দায়মুক্তি দিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দাঙ্গার বিষয়গুলোরও কোনো বিচার, সুরাহা হয়নি। দায়মুক্তির সংস্কৃতি যেন অব্যাহত রয়েছে। ফলে ঘটনা ঘটছেই।

শ্রীলঙ্কার সহিংস সঙ্ঘাত বন্ধ ও সামাজিক শান্তিপূর্ণ অবস্থানের জন্য দাঙ্গা ও বিদ্বেষ দূর করার জন্য ইসলামোফোবিয়া বিষয়টির প্রকৃত রূপ সিংহলিদের বোঝাতে হবে। যেসব পুলিশ ও গোয়েন্দা অফিসার গোপন আঁতাত করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের দায়মুক্তি দেয়া যাবে না। রেজিস্ট্রি করা সব রাজনৈতিক দলনেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করতে হবে। নেতাদের মধ্য সিরিসেনা, রনিল বিক্রমাসিংহে, মাহিন্দ্র রাজাপাকশে, আর সামাপান্থান, রাউফ হাকিম, এন এম আমিন, আরোমুগাম থোন্ডামান, অনুরা কুমারা প্রমুখ নেতাদের অবশ্যই সম্মেলনে রাখা প্রয়োজন। বর্তমান অবস্থা উত্তরণের জন্য একটি শীর্ষ ধর্মীয় সম্মেলনের আয়োজন করা উচিত, যেখানে বৌদ্ধ ও ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী আলোচিত হয়ে ‘হিংসা’ ও ঘৃণার বিষয়গুলো উন্মোচিত করে তা দূরীভূত করার নীতিনির্ধারিত হতে পারে। মুসলমান একাডেমিকদের চিন্তা-ভাবনাপ্রসূত লেখনীকে গুরুত্বসহকারে প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্যও সম্মেলন পদক্ষেপ নিতে পারে। সর্বোপরি সব পক্ষকে সচেতন করা, পারস্পরিক জানাশোনার দ্বার প্রসারিত করা, আপত্তিকর বিষয়গুলো চিহ্নিত করা, সর্বজনীন ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোকে প্রসারিত বক্ষে গ্রহণ করার ব্যবস্থা করা।

বিশেষ করে করোনায় মৃত মুসলমানদের ধর্মীয় বিধান অনুসারে জানাজা ও দাফনের জন্য সরকারি উদ্যোগ এবং এসব কাজের আঞ্জাম দেয়ার জন্য সমন্বয়-সচিবালয় বা রিকনসিলিয়েশন সেক্রেটারিয়েট গঠন করে আশু সমাধান করা। এই সচিবালয় সবার সাথে বসবে, মসজিদ, মন্দির, আশ্রম, গির্জা। কলেজ, ভার্সিটির তরুণদের দিয়ে আমেরিকান পিস কোরের আদলে শ্রীলঙ্কা পিস কোর তৈরি করে তাদের ছুটির সময়ে কাজে লাগানো যেতে পারে। ফলে তরুণরা মনস্তাত্ত্বিক, নৈতিক ও চেতনার অবক্ষয় থেকে বাঁচতে পারবে। সিংহলি ও অসিংহলি, বহিরাগত বা মুসলিম এভাবে কোনো বিভক্তি না টানা। মনে রাখতে হবে, শ্রীলঙ্কার মুসলমানরা সার্বভৌমত্বের জন্য সবসময় কাজ করেছে এবং অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। উদাহরণস্বরূপ, কর্নেল ফজলে লতিফ, শ্রীলঙ্কা বিশেষ ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা, তিনি ১৯৯৬ সালে রেসকিউ মিশনে প্রাণ হারান, তাকে ‘পরমা বীরা বিভূষণীয়া’ সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব দেয়া হয়েছিল। সবাইকে এক দেশ স্লোগানের আওতায় আনার আগে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে একই মঞ্চে টেনে আনা। এখন শাসকশ্রেণী ও সিংহলি বৌদ্ধরা কোনো সুযোগ ও ঘটনা পেলেই সেটিকে রাজনৈতিক মেরুকরণ ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, এমনটিই প্রতিভাত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা উপেক্ষা করে করোনায় মৃত মুসলমানদের দেহ আগুনে পোড়ানোও এমন একটি বাজে উদাহরণ। অবস্থা দেখে মনে হয়, শ্রীলঙ্কার মুসলমানদের দুর্ভোগ সহজেই শেষ হচ্ছে না। 

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
টি-২০ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল খুলনায় হিটস্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কী বলল যুক্তরাষ্ট্র? জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা বৃষ্টির জন্য রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলির নিন্দা জামায়াতের রাজধানীতে তৃষ্ণার্তদের মাঝে শিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ রাজশাহীতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক গ্রেফতার এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

সকল