২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনায় প্রণোদনা কাকে দেবেন

করোনায় প্রণোদনা কাকে দেবেন - সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে দুনিয়াজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত শুক্রবার সারা দুনিয়ায় মৃত্যু এক লাখ ছাড়িয়েছে। এ দিকে বাংলাদেশেও করোনাবিষয়ক খবরে সবচেয়ে প্রচলিত শব্দ ‘লকডাউন’। এটা একটা গোটা জেলাশহর তো বটেই, আবার একটা পাড়া বুঝাতেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

কিন্তু লকডাউন শব্দটার অর্থ একটি নয়, দুটি। এমনকি এমন এক দ্বৈত অর্থের শব্দ যে সাধারণত দেখা যায় যে, একটা অর্থে ব্যবহৃত হলে শব্দের অন্য অর্থটা সেখানে আর হাজির থাকে না। কিন্তু লকডাউন শব্দটার দুই-অর্থ সবখানে বজায় থেকে চলে। লকডাউন কথার মূল অর্থ কোনো এলাকা যেটা একটা দেশ বা জেলা বা পাড়াও হতে পারে, সেই এলাকাকে ওর পড়শি সব এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করা। আমরা শব্দটা তাই ব্যবহার করছি স্বাস্থ্য সুরক্ষার অর্থে যেমন, ল্যাবে কোনো পরীক্ষিত ফলে, প্রমাণিত কোনো ভাইরাস সংক্রমণের কেস, এটা এরপর যাতে সেই পরিবার-সমাজে আর না ছড়িয়ে পড়ে তাতে বাধা দেয়ার জন্য, একে বিচ্ছিন্ন করা অর্থে আমরা বলি, লকডাউন করা হয়েছে।

লকডাউনের দ্বিতীয় অর্থ হলো, অর্থনৈতিক অর্থে অর্থনীতিতে লকডাউন। কাজেই একটা পাড়াকেও যদি লকডাউন করা হয় এর মানে ওই পাড়ার সাথে (ভাইরাসের ছড়ানোকে বিচ্ছিন্ন করার সাথে সাথে) অর্থনৈতিক লেনদেন-বিনিময়ও বন্ধ করা হয়েছে, বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে কেবল খুবই সীমিত পর্যায়ের একটা ‘একমুখী কিছু ভোগ্যপণ্য সরবরাহ’ সেখানে চালু রাখা হয়। লকডাউন শব্দটা সবসময় একই সাথে এ দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়ে যায়।

তাই দুনিয়াজুড়ে ভাইরাসের আতঙ্ক মানে একই সাথে অর্থনীতিও বিচ্ছিন্নকরণ। তাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আতঙ্ক এখন দুনিয়াজুড়ে। অর্থনীতিকেও ‘বিচ্ছিন্ন’ করার অর্থ হলো অর্থনীতির ঢলেপড়া স্তব্ধ স্থবির মৃত হয়ে যাওয়া। তাই লকডাউনের ফলে দুনিয়াজুড়ে এখনকার সবচেয়ে বড় শঙ্কা হলো করোনার দশায় পড়া অর্থনীতি কি দুনিয়াজুড়ে আবার জীবিত হবে, চালু হবে? হলে কবে, কিভাবে হবে? নাকি অর্ধেক বা ত্রিশ ভাগের বেশি আর কখনোই চালু হবে না? নাকি একে কোনো চাবুক দিয়ে চাবকাতে হবে মানে প্রণোদনা দিয়ে চালু করতে হবে ইত্যাদি অসংখ্য প্রশ্ন এখন চার দিকে। এই আশঙ্কা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

একটা উদাহরণ নেয়া যাক। বাংলাদেশে এখন চৈত্র-বৈশাখের গরম চলছে। এরই মধ্যে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি পর্যন্তও পৌঁছেছিল কয়েক দিন। আমরা তা খেয়ালও করেছি হয়তো কেউ। প্রতি বছরের মতো এবারো আমাদের টিভিগুলোতে চৈত্র- বৈশাখের মতো করে বিজ্ঞাপনের ধরনও বদলে ছিল। নতুন এসি ধরনের হোম অ্যাপ্লায়েন্স বা ট্যালকম পাউডার কিংবা বৈশাখী উৎসব আসন্ন বলে ক্রেতার মনে সুড়সুড়ি তোলা, পণ্যের লোভ দেখানোও শুরু হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ তাতে ছন্দপতন। প্রায় সব বন্ধ এখন। ওদিকে টিভিতে গান-নাটক ইত্যাদির বিনোদন ধরনের প্রোগ্রামে নতুন রেকর্ডেড অনুষ্ঠান প্রায় শেষ হয়ে আসছে। কারণ নতুন রেকর্ডিং বন্ধ। আর এসব মিলিয়ে টিভির আয় হিসাবে পাওয়া বিজ্ঞাপনে টান পড়তে শুরু করেছে। এই টানাটানি এখন কর্মী মানে তাদের পরিবার পর্যন্ত পৌঁছাবে। এর ফলাফল এই পরিবারগুলো এখন সাবসিস্টেন্স মানে ন্যূনতম খাওয়ার পণ্য ছাড়া অন্য কিছু কিনবে না। এটা কিন্তু হাজার হাজার এমন উদাহরণের একটি মাত্র। এভাবে সবাই যদি টিকে থাকার ক্রেতা হয়ে যাই, এর মিলিত ফলাফল সবাই মিলে ডুবে মরার মতো হবে। এটাই অর্থনীতির ঢলে পড়া।
আসলে এর উল্টোটা ছিল এমন, পণ্যের ভোক্তা যখন বাড়ে তাতে উৎপাদনও পাল্লা দিয়ে বাড়ে, তাতে নতুন কাজ সৃষ্টিও ঘটে আর তাতে আবার নতুন ভোক্তাও বাড়ে। এভাবে সব মিলিত ফলাফল হলো, সবার প্রবৃদ্ধি বেড়ে চলা।

এই হলো অর্থনীতির চাকা ঘুরানোর অদ্ভুত ও কঠিন খেলা। সামগ্রিকভাবে চাকা স্থবির হয়ে আসছে। চাকা ঘুরার বা ঘুরানোর নিয়ম হলো এক চাকা অসংখ্য চাকাকে ঘুরিয়ে তুলতে পারে। তাহলে নির্ধারক প্রশ্ন হলো- কোন চাকা সবার আগে ঘুরানোর চেষ্টা করব? অনেকে প্রসঙ্গটা চাহিদার দিক থেকে শুরু করতে চাইতে পারেন। চাহিদা নতুন চাহিদা সৃষ্টি করে; ফলে তা নতুন উৎপাদন আর নতুন কাজও। কোনো চাহিদা পূরণ করে দেয়া সহজ যাতে তা চালু করে দিলে বা বাড়িয়ে তুললে তা অন্যসব চাহিদার চাকাকে ঘুরাতে, চালু করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থাৎ একটা প্রাইম মুভার বা মূল চাকার সন্ধান পেতে হবে সবাইকে।

একইভাবে গ্লোবাল অর্থনীতিতেও চাকা আবার সচল রাখা বা দেখতে চাওয়া যাদের প্রসঙ্গ সেই পরিসরে যেমন আই এমএফ বা জি২০-এর সভায়, যেখানে ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তাদের ঐকমত্য হলো বাজারে অর্থঢালা ব্যয় বাড়ানোতে যেতে হবে। মানে কৃচ্ছ্রতার উল্টোটা। যেমন গ্লোবাল পরিসরে সরকারি বন্ড বাজারে থাকলে তাতে লাভ বেশি দিয়ে এগুলোকে সরকার কিনে নিয়ে বাজারে অর্থ সরবরাহ বাড়াতে পারে। এভাবে মোট ব্যয় পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে সেখানে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশ-ভারতের মতো দেশে অর্থনৈতিক স্থবিরতা ভাঙার ক্ষেত্রে কোথায় আঘাত করা উচিত, মানে কোথায় প্রাথমিক চাহিদা বাড়াবার উদ্যোগ নিলে অন্য সব চাকাকে সে সবচেয়ে বেশি কার্যকরভাবে সচল করে ফেলতে পারেÑ সেই জায়গাটা কী হতে পারে?
এর আগে গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে কলকাতায় জন্ম নেয়া অভিজিত-এস্থার নোবেল দম্পতির কথা বলেছিলাম। ভারতের ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সমিতি মানে চেম্বার অব কমার্সের কলকাতা রাজ্য শাখা গত সপ্তাহে অনলাইনে কথা বলার এক ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। যেখানে অভিজিত-এস্থার ছিলেন মূল বক্তা-অতিথি তাদের (আমেরিকায়) বোস্টনের বাসাতে বসেই।

ভারত বা বাংলাদেশে আমরা ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক প্রণোদনা দিয়ে শুরু করে দিয়েছি, প্যাকেজ ঘোষণা শুরু হয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রমাণ সাথে না দিলেও এই সরকারি উদ্যোগগুলো বুঝাতে চাইছে, এই প্রণোদনা নাকি প্রাইম মুভার ফলাফল আনবে।

কিন্তু এই প্রসঙ্গে অভিজিতের প্রস্তাব এখানে একেবারে রেডিক্যাল এবং আলাদা। তার সাহসী পরামর্শ হলো, গরিবের হাতে টাকা পৌঁছানো, যাদের এটা এখন সবচেয়ে বেশি দরকার। তার ন্যূনতম চাহিদা মেটানোটা আমাদের প্রায়োরিটি হতে হবে। মোদির গত টার্মে ২০১৫ সালের একটা সফল প্রকল্প হলো ‘জনধন প্রকল্প’। যেখানে গরিব কৃষককে ১০ টাকা দিয়ে একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল সরকার যাতে সরাসরি এমন উৎপাদকের হাতে যেকোনো অর্থ সরাসরি পৌঁছাতে পারে। অভিজিত এই প্রকল্পের অবকাঠামো সুবিধা নিয়ে সরাসরি গরিব কৃষকের চাহিদা পূরণ করে দিয়ে অর্থনীতির প্রাইম চাকাকে ঘুরাতে চাওয়ার পক্ষপাতী। এটা তার আসল কথা।

কিন্তু তার বক্তব্যের এই মূল অংশ চাপা পড়ে যায় তার অন্য এক মন্তব্যের কারণে। করোনা আক্রমণে ছেয়ে ওঠার আগে থেকেই ভারতের অর্থনীতি স্থবির হয়েই ছিল। তাই প্রশ্ন ওঠা ছিল স্বাভাবিক যে, সরকারের হাতে এখন এমন বাড়তি অর্থ নেই। সে কথা চিন্তা করে আগাম তাই অভিজিত বলেছিলেন, ‘নতুন টাকা ছাপিয়ে হলেও’ সরকারের এটা করা উচিত।
এটা এখন গ্লোবালি প্রতিষ্ঠিত সত্য বলে ধরে নেয়া হয়েছে যে, আমরা এখন এক গ্লোবাল অর্থনৈতিক মহামন্দায় প্রবেশ করে গেছি। বিশেষত আইএমএফের প্রধানের এ নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যের পরে আর কোনো তর্ক নেই। সে কথা মনে রেখে অভিজিত বলছেন, এই অবস্থায় ভারতের ম্যাক্রো বা সামগ্রিক অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কায় ডুবে গিয়ে চিন্তা করার চেয়ে কিছু সদর্প সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই তিনি বলেছেন, ‘প্রথাগত, সাবধানি পথে হেঁটে এই পাহাড়প্রমাণ সমস্যার মোকাবেলা করা শক্ত। চাহিদার চাকা সচল রাখতে প্রয়োজনে টাকা ছাপিয়েও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো জরুরি। তাতে মূল্যবৃদ্ধির হার মাথাচাড়া দেবে কি না, সেসব ভাবার সময় এখন নয়। কারণ, এই অবস্থায় তা না করলে, অর্থনীতিকে চড়া মাশুল দিতে হতে পারে বলে সম্ভাবনা থাকছে।’ কলকাতার আনন্দবাজারে এভাবেই লেখা হয়েছে।

এমনকি তিনি ‘আর্গু’ করছিলেন- তিনি মানছেন স্বভাবতই একটা মুদ্রাস্ফীতি হবে এতে। কিন্তু তিনি বলছেন, এটা পরে আলাদা করে মোকাবেলা করা যাবে এবং তা সম্ভব। এ কথা অবশ্য তা সত্যি, একালে প্রত্যেক রাষ্ট্রে একটা কেন্দ্রীয় (রিজার্ভ) নিয়ন্ত্রক ব্যাংক থাকায় এবং এর ম্যাক্রো অর্থনীতির পরিচালনার কারণে বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ানো বা কমানোর মেকানিজমে যদি সদিচ্ছা থাকে তবে তা তুলনামূলক সহজ কাজ। কিন্তু অভিজিতের পরামর্শের উজ্জ্বল দিকটা হলো তিনি চাহিদা বাড়ানো বা ধরে রাখার প্রাথমিক চাকা হিসেবে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনার কথা বলেননি। সে দিকে যাননি। তিনি বলেছেন, গরিব মানুষের পকেটে টাকা দিতে। তিনি আসলে জোর দিয়েছেন তাদের সংখ্যাটায়। এক বিরাট ভোক্তা বাজার এটা। এই শক্তিকে তিনি ব্যবহার করতে রেডিক্যাল হতে চেয়েছেন। সারা পশ্চিমের কোনো রাষ্ট্রের সে সুবিধাটা নেই। এ কারণে এটা অপ্রচলিত, কিন্তু বাস্তব।

বাংলাদেশে চিত্রটা এর কাছাকাছিই। আমাদের লকডাউন করেছিল; কিন্তু দিন এনে খাওয়া লোকগুলোর ঘরে চাল নেই। তারা চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে আকুতি জানিয়ে রাস্তায় ভিড় করছে, সৈনিকের পায়ে ধরে আকুতি জানাচ্ছে তাকে রাস্তা ছাড়া না করতে। এই চিত্রটা খুবই মর্মান্তিক। নিশ্চয় লকডাউনের বাস্তবায়ন মানে, সমাজের সবার ঘরে থাকা। কিন্তু এখানে গরিব-বড়লোকের সুপ্ত একটা ইস্যু আছে। বড়লোকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার খাতিরে তাদের ভাইরাসমুক্ত থাকার স্বার্থে গরিবকে খালি পেটে ঘরে থাকার নিদান দিচ্ছি, জোর করছি আমরা। তাই নয় কী? কেন? এটা যুক্তিযুক্ত হয় কী করে? আমরা অন্তত এক মাসের রেশন বরাদ্দের কথা তুলছি। কিন্তু সরকার এটা না যেন বাকি সব কিছুই করতে আগ্রহী। প্রতিদিন ‘দশ টাকার চাল’ চুরি করার ঘটনা রিপোর্টেড হচ্ছে। আমরাও কি আমাদের গরিবের হাতে চাল তুলে দিয়ে একটা প্রোগ্রাম চালু করতে পারি না? এমন চার কোটি লোকের চাহিদা মেটানো আমাদের অর্থনীতিতে এক প্রণোদনা হতে পারে। এ জন্য এক-দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের সক্ষমতা আমাদের অর্থনীতির আছে। আবার চাইলে বিশ্বব্যাংকের করোনা ‘রিকভারি ফান্ড’ আছে। সেখান থেকে চাওয়া যেতে পারে। কোনো অনুদান ফান্ড আছে কি না, তাও চেক করা যেতে পারে।
অভিজিতের মতো করে এই প্রস্তাবের সারকথাটা হলো, আমাদের সমাজের যেসব চাহিদা প্রবল তাকে কাজে লাগানো, হারিয়ে যেতে না দেয়া। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বাঁচতে বা উদ্ধার পেতে চাইলে কোনো স্বাভাবিক অর্থনৈতিক চাহিদাকে আমরা মেরে ফেলতে দিতে পারি না। কারণ বিপুল জনসংখ্যার দেশে এটাই আমাদের অ্যাসেট।

তবে অভিজিতের প্রস্তাবে আইএমএফ খুশি হয়নি, তাদের আলাদা কারণে। আর ওটা ছিল ব্যবসায়ী উৎপাদকদের চেম্বার সমিতির কর্মসূচি, ফলে তারাও তেমন খুশি হয়েছে মনে হয়নি। তবে আইএমএফের অভিজিতকে সমর্থন না দেয়ার কারণ একেবারেই ভিন্ন।

অভিজিত-এস্থারসহ অনেকেই মনে করেন চলতি গ্লোবাল মহামন্দায় প্রবেশ যেটা এখন ঘটে গিয়েছে, সেটা ১৯৩০ সালের মহামন্দার সাথে ব্যাপকতার দিক থেকে তুলনীয়। ওই সময় ইউরোপের প্রায় সব রাষ্ট্র আয়ের চেয়ে যুদ্ধে ব্যয় বেশি করাতে তা মিটানোর অক্ষমতায় যার যার মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটিয়েছিল। মানে, তারা বিস্তর টাকা ছাপিয়েছিল তখন। আর সবাই মিলে একসাথে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটানোয় এই মূল কারণেই গ্লোবাল মহামন্দা হাজির হয়েছিল বলে মনে করা হয়। আর এই মূল্যায়নের ওপরে দাঁড়িয়েই বিশ্বযুদ্ধ শেষে ১৯৪৪ সালে আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের জন্ম হয়েছিল। তাই ‘সম্মিলিত মুদ্রা অবমূল্যায়ন’ ঘটানো আইএমএফের চোখে হারাম ধরনের কাজ মনে করা হয় সেই থেকে।

ফলে আইএমএফ-অভিজিতকে বলতে চাইবে- অবমূল্যায়ন নয়, সে বরং ঋণ দিতে চাইবে। তবে সেটা যা হোক, অভিজিতের কথা আমরা আক্ষরিকভাবে না নিয়ে তার মূলকথা গরিব মানুষের হাতে অর্থ পৌঁছানো; এর বাস্তবায়ন করতে পারি। এটাকে একটা সাহসী ও কার্যকর পদক্ষেপ মনে করতে পারি আমরা। বাংলাদেশের লকডাউনে অভুক্ত গরিবদের জন্য এটা কি আমরা করতে পারি না? ভেবে দেখুন।


আরো সংবাদ



premium cement
অভিযোগ করার পর ইনসুলিন ইঞ্জেকশন কেজরিওয়ালকে! হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা তালায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের সহায়তা প্রদান শেরপুরের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট আবারো বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ সিদ্ধিরগঞ্জে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা মানিকগঞ্জে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রকৌশলী নিহত ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন সমাজ বিপ্লবী পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে : মন্ত্রী মোস্তাফিজ চলে আসাটা যেভাবে দেখছেন চেন্নাইর কোচ

সকল