১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

রাষ্ট্রপতি সুপারিশ করতে পারেন কি?

ইকতেদার আহমেদ - সংগৃহীত

সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রযুক্ত হয়ে থাকে। পৃথিবীর কোনো কোনো রাষ্ট্রে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধানরূপে রাষ্ট্রের অন্য সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করে থাকেন। আবার কোনো কোনো রাষ্ট্রে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় রাজা বা রানী রাষ্ট্রের প্রধানরূপে অন্য সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করে থাকেন। উভয় ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি অথবা রাজা বা রানীর পদটি আলঙ্কারিক।

যুক্তরাজ্যের সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় রাজা বা রানী হলেন, রাষ্ট্রপ্রধান। যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত, প্রধানমন্ত্রী দ্বারা প্রযুক্ত হয়। ইউরোপের অপর কিছু রাষ্ট্র যেমন- নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, হল্যান্ড, বেলজিয়াম প্রভৃতিতে রাজা বা রানী বিগত কয়েক শ’ বছর ধরে আলঙ্কারিক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন রয়েছেন। আমাদের এশিয়ার দু’টি রাষ্ট্র যথা- জাপান ও থাইল্যান্ডে রাজাই রাষ্ট্রপ্রধান। উভয় দেশে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধান এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রযুক্ত হয়।
সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি অথবা রাজা বা রানী কোনো ধরনের নির্বাহী ক্ষমতা ভোগ না করার কারণে তাদের অবস্থান নিরপেক্ষ এবং দেশ বা জাতির যেকোনো ধরনের দুর্যোগে তাদের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় একটি দেশের সংবিধান ও আইন রাষ্ট্রপতি অথবা রাজা বা রানীকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছে, তাদের কাউকে সাধারণত এর অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে কখনো দেখা যায় না।

দক্ষিণ এশিয়ায় সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা চালু আছে। এ তিনটি রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংবিধান ও আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশ অভ্যুদয়-পরবর্তীকালে সংবিধান প্রণীত হলে বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। অতঃপর ১৯৭৫ সালের প্রথম ভাগে সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনী আনয়নপূর্বক একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করা হলে রাষ্ট্রের সব নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়। পরে এ দেশে সামরিক ফরমানের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হলেও ১৯৯১ এর প্রথমার্ধ অবধি রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থা অক্ষুণœ থাকে। ১৯৯১ এর পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনÑ পরবর্তী সময়ে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানে দ্বাদশ সংশোধনী আনয়নপূর্বক পুনরায় সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। উল্লেখ্য, পঞ্চম সংসদে এককভাবে দেশের বৃহৎ দু’টি দলের একটিরও সংবিধানে সংশোধনী আনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। সম্মিলিতভাবে বিএনপি ও জামায়াতেরও দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। ফলে, সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের ঐকমত্য অপরিহার্য ছিল।

১৯৯১ সালে দ্বাদশ সংশোধনী আনয়ন-পরবর্তী অষ্টম ও নবম সংসদে যথাক্রমে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের এককভাবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও এ দু’টি দলের কেউ সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এমনকি বড় দু’টি দলের কোনোটিরই নির্বাচনী ইশতেহারে এ বিষয়ে কখনো কোনো ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়নি। সুতরাং ধরে নেয়া যায় বাংলাদেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে অনড়।

আমাদের সংবিধানের বর্তমান বিধান অনুযায়ী, একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাগুলো থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ সদস্য এবং নির্বাচিত সদস্যদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসনসহ সর্বমোট ৩৫০টি আসন সমন্বয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত। জাতীয় সংসদের যেকোনো সাধারণ নির্বাচন-পরবর্তী রাষ্ট্রপতির কাছে যে সংসদ-সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে প্রতীয়মান হন, তিনি তাকেই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন- এ বিষয়ে সংবিধানে বাধ্যবাধকতা দেয়া আছে। অপরাপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যেরূপ নির্ধারণ করবেন রাষ্ট্রপতি সে অনুযায়ী নিয়োগদান করবেন- সংবিধানে এমনটিই বলা হয়েছে।

বর্তমান সংবিধান মোতাবেক, রাষ্ট্রপতি আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের দ্বারা নির্বাচিত। আমাদের সংবিধানে স্পষ্টত উল্লেখ রয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধানরূপে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করবেন এবং এ সংবিধান ও অন্য কোনো আইনের দ্বারা তাকে প্রদত্ত ও তার ওপর অর্পিত সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালন করবেন।
আমাদের সংবিধান ও অন্যান্য আইন পর্যালোনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানের ৫৬(৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী এবং ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ব্যতীত অপর সব দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সংবিধান প্রদত্ত উপরি উক্ত দু’টি ক্ষমতা ব্যতীত সংবিধান এবং অন্যান্য আইনে রাষ্ট্রপতিকে এমন কোনো ক্ষমতা দেয়া হয়নি যা তিনি এককভাবে স্বীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যকর করবেন। যদিও সংবিধানে বলা আছে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি তার একক সিদ্ধান্তে নিয়োগ দান করবেন, কিন্তু উভয় ক্ষেত্রে একজন সংসদ সদস্যের প্রতি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থা না থাকে এবং উচ্চ আদালতের জ্যেষ্ঠতম ব্যক্তিকে যদি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ না করা হয় তাতে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দেবে এবং এ ধরনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গণ-অসন্তোষে রূপ নিয়ে দেশের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। রাষ্ট্রপতি অপর দলের নির্বাচিত হয়ে থাকলেও অতীতে কখনো রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের আস্থা নেই, এমন কোনো ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিকবার জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটি যে রাষ্ট্রপতির একক সিদ্ধান্তের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর আকাক্সক্ষার প্রতিফলনে ঘটেছে, এ বিষয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক নেই- এমনটি পরিলক্ষিত হয়নি।

আমাদের সংবিধান ছাড়াও রাষ্ট্রের মানক্রম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তি এবং মানক্রমে তার অবস্থান ১. রাষ্ট্রপতির পরে যাদের অবস্থান তারা হলেন পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি।

দ্বাদশ সংশোধনী আনয়নের পর সংসদীয় পদ্ধতিতে প্রত্যাবর্তনের পরবর্তী সময়ে যারা রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ লাভ করেছেন তাদের মধ্যে দু’জন ব্যতীত অপর সবাই দলীয় ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্য ছিলেন। তাদের সবার ক্ষেত্রে দল কর্তৃক রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতিরূপে তার কার্যভার গ্রহণের দিন থেকে সংসদে তার আসন শূন্য হয়ে যায়।
অন্যান্য দেশের সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার মতো বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে কোনো ধরনের নির্বাহী ক্ষমতা না দেয়ার বিষয়ে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মূল বিবেচ্য ছিল তা হলো, রাষ্ট্রপতি পদটির স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্য ও নিরপেক্ষতা যেন কোনোভাবে ক্ষুণœ না হয়। একজন দলীয় ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলেও পদের ভাবমর্যাদা অক্ষুণœ রাখার স্বার্থে এবং তার গ্রহণযোগ্যতা যেন কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে বিষয়ে তাকে সদাসর্বদা সতর্ক থাকতে হয়। একজন দলীয় ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ পরবর্তীকালে তিনি যদি দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারেন সেখানেই নিহিত থাকে তার সার্থকতা। কিন্তু আমাদের দেশে অতীতে কখনো দলীয় ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি নিজেকে পদের মর্যাদা অনুযায়ী সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে সক্ষম হননি। এমনকি নির্দলীয় হিসেবেও যারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদেরও সর্বসাধারণের স্বার্থ রক্ষার চেয়ে দলের নীতি আদর্শ রক্ষায় অধিক সচেষ্ট দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে একজন যে দল দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, সে দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাভূত হলে কেবল তখনই দলীয় প্রধানের আকাক্সক্ষার বিপরীতে অবস্থান করতে দেখা গেছে এবং এর পরিণতি আজো তাকে ভোগ করতে হচ্ছে।
আমাদের দেশের অনেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে সচরাচর একজন ব্যক্তির আবেদনের ওপর সুপারিশ করতে দেখা যায়। এ আবেদনগুলো নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও বাড়িভাড়া বরাদ্দ প্রভৃতি সংশ্লিষ্ট হয়ে থাকে। এ কথাটি বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন যে, একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা সংসদ সদস্য একটি নির্বাচনী এলাকাকে প্রতিনিধিত্ব করলেও একই সংসদ সদস্য যখন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হন তখন তিনি সমগ্র দেশের সব জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। একইভাবে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তার নির্বাচনী এলাকার সব জনগণের প্রতিনিধি। এ ক্ষেত্রে কে তাকে ভোট দিয়েছে এবং কে তাকে ভোট দেয়নি, এটি বিবেচ্য নয়।

’৯১-এর পূর্ববর্তী আমাদের কোনো রাষ্ট্রপতি এবং ’৯১-এর পরবর্তী আমাদের কোনো প্রধানমন্ত্রী কখনো কোনো ব্যক্তির আবেদনের ওপর নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও বাড়িভাড়া বরাদ্দ বিষয়ে সুপারিশ করেছেন, এমনটি শোনা যায়নি এবং উভয়ের জন্য এটি প্রত্যাশিতও নয়। একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা সংসদ সদস্য একজন ব্যক্তির আবেদনের ওপর নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও বাড়িভাড়া বরাদ্দ বিষয়ে সুপারিশ করলে তা তার সংবিধানের অধীনে স্বপঠিত শপথের সাথে সাংঘর্ষিক বিবেচিত হয়। সম্ভবত এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ’৯১ পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি এবং ’৯১ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে যারা আসীন হয়েছিলেন তারা বিষয়টি পরিহার করে চলতেন।

সাম্প্রতিককালে দেখা যায় দু-একজন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও বাড়িভাড়া বরাদ্দের ক্ষেত্রে সুপারিশ করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির সংবিধান ও আইন অনুযায়ী এ ধরনের সুপারিশ দেয়ার অবকাশ আছে কি? সংবিধান ও আইন বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান রাখেন এমন সবার ধারণাÑ এমন ধরনের সুপারিশ যখন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত, অনাকাক্সিক্ষত, আইনের পরিপন্থী এবং তাদের স্বপঠিত শপথের সাথে সাংঘর্ষিক, সে বিবেচনায় তা কী করে রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে আইন ও সংবিধান দিয়ে সমর্থিত বলা যায়? আর যদি আইন ও সংবিধান দিয়ে সমর্থিত না হয় তবে এ ধরনের সুপারিশ দিয়ে রাষ্ট্রপতি নামক সম্মানজনক প্রতিষ্ঠানটিকে বিতর্কিত করা সমীচীন নয়। হ

লেখক : সাবেক জজ ও সাবেক রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
E-mail: iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
ফ্রান্সের হয়ে রেকর্ড ম্যাচ খেলা হলো না গ্রিজম্যানের স্বর্ণের দাম এবার কমলো গণ-ইফতার কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ছাত্রশিবিরের পাবনায় একরাতে কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল উধাও! সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল হলে দুর্নীতি উৎসাহিত হবে : টিআইবি ফিলিপাইন ও জাপানের নেতাদের সাথে বৈঠকে বসছেন বাইডেন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের ভাড়া বেশি নিলে সেই বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিক সমিতির যুক্তরাষ্ট্রে প্রীতি ম্যাচে খেলা হচ্ছে না মেসির ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে মূলহোতাসহ ৩৫ জন গ্রেফতার মে মাসে মেলবোর্নে নিউক্যাসলের মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম

সকল