২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভাইরাস, জীবাণু মারণাস্ত্র : বৈশ্বিক নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ

-

[গতকালের পর]

৪.
করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতি। সেনাবাহিনী, পুলিশ বা আইন দিয়ে মহামারী দমন করা যায় না। এটা ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার পরিস্থিতি নয়। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি ঘটেনি যাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। জনগণকে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ করার প্রশ্ন বাদ দিয়ে এই সময় ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা উচিত নয়। এই যুদ্ধে জয়ের একমাত্র উপায়, নিজের সুবিধা বা অসুবিধার চেয়ে সবার জীবন রক্ষাকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া। চাই দায়িত্ববোধ, যাতে নিজে মহামারী বিস্তারের কারণ না হয়ে উঠি এবং নিজেকেও রক্ষা করতে পারি। এই বোধ বলপ্রয়োগ করে কিংবা আইন জারি করে হয় না। মানুষকে বোঝানোর ও সচেতন করবার কোনো বিকল্প নাই। কোনো শর্টকাট নাই।

টেলিভিশন টক শো’তে একটি প্রস্তাব শুনে আশঙ্কিত হয়েছি। বাংলাদেশে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থাকে আরো কঠোর ও গণবিরোধী করবার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, চিনের মতো বাংলাদেশেও ‘রেজিমেন্টাল’ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হোক। প্রথমত চিনের সাফল্যের প্রধান কারণ ‘রেজিমেন্টেড’ ব্যবস্থা নয়, জনগণের সচেতনতা, শিক্ষা, সরকারের সময়োচিত ব্যবস্থা এবং দায়িত্ববোধ। বিশেষভাবে ভূমিকা রয়েছে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। অথচ চিনের বরাত দিয়ে বাংলাদেশে বলা হচ্ছে ব্যক্তির একক নিয়ন্ত্রণে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এমন ব্যবস্থাই তো বাংলাদেশে চালু রয়েছে। তার পরও আরো রেজিমেন্টেড ব্যবস্থা চাই? আশ্চর্য! এই বিদ্যমান সাংবিধানিক ব্যবস্থায় এরা সন্তুষ্ট নন। এক ব্যক্তির হাতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দিয়ে তারা দমন-পীড়ন ব্যবস্থাকে আরো অসহনীয় করতে চান। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আছে কি নাই, সেটাও কি রেজিমেন্টাল সিদ্ধান্তে হয়নি? তাতে একটি দলের ইচ্ছার বাইরে কেউ করোনার উপস্থিতি সম্পর্কে জানতেও পারেনি। যারা কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট কিম্বা ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য টাকা খরচ না করে কোটি কোটি টাকা আতশবাজিতে উড়ালেন, তাদের দিয়ে আপনি ১৭ কোটি মানুষ রক্ষা করবেন? তার পরও ক্ষমতা আরো কেন্দ্রীভূত করবার জন্য প্রচার প্রপাগান্ডার কমতি নাই। গণমাধ্যমেরও অভাব নাই। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।

বাংলাদেশের জনগণকে বুঝতে হবে, এই মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা একা। এক দিকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা আর অন্য দিকে কোভিড-১৯। নিজেরা ছাড়া তাদের সাহায্যের জন্য কেউ নাই।

কোভিড-১৯ মহামারী শুধু ডাক্তারি বিদ্যা বা কারিগরি দিয়ে মোকাবেলা করার ব্যাপার মোটেও নয়। রোগ (disease) আর মহামারী (epidemic ev pandemic) এক নয়, সমার্থকও নয়। দরকার জনগণের সচেতনতা বাড়ানো, নিজ নিজ ভূমিকার ভালোমন্দ ফলের জন্য দায় বোধের শিক্ষা দেয়া। নিজের জীবন ছাড়াও অন্যের জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে নিজের দায়িত্ব উপলব্ধি, নিজেদের মধ্যে ঐক্য এবং সর্বোপরি অদৃশ্য ভাইরাস যেন আমাদের নিজেদের কারণে ছড়াতে না পারে তার জন্য নিজেকে নিজে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন করা এবং করতে শেখা। দরকার অন্যদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা যাতে করোনা কোনোভাবেই না ছড়ায়। যেন আমরা নিজেরা মহামারীর কারণ না হই।

নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন। যাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন মনে হয় তাদের বোঝাতে চেষ্টা করুন। অসুখের উপসর্গ না থাকলেও যে কেউই করোনা ভাইরাসের বীজ বাহক হতে পারে। মহামারী তাদের মাধ্যমে ছড়ায়। একজন রোগী শনাক্ত হওয়ার মানে আরো দশজন শনাক্তহীন হয়ে কোনো উপসর্গ ছাড়াই আপনার আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের কেউ নাই। কিন্তু আমরা আছি পরস্পরের জন্য। এটাই আমাদের প্রবল শক্তির জায়গা।

৫.
করোনাভাইরাস, জীবাণু মারণাস্ত্র এবং বৈশ্বিক নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ‘নতুন করোনাভাইরাস কোনো কৃত্রিম উপায়ে নয়, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে’- এই কথা আমরা কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মারী শুরুর প্রথম দিন থেকেই শুনে আসছি।

বাংলাদেশের একটি পত্রিকায় দেখলাম, স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (The Scripps Research Institute বা সংক্ষেপে Scripps Research) বরাতে একই শিরোনামে একটি খবরও ছাপা হয়েছে। এই ইন্সটিটিউট একটি অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বৈজ্ঞানিক মহলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কেউ কেউ দাবি করেছিলেন, চীনের উহানের ল্যাবরেটরিতে জেনেটিক কারিগরির মাধ্যমে এই ভাইরাস চিনই তৈরি করেছে। দুর্ঘটনা বশে বেরিয়ে গিয়ে এই মহা বিপদ ঘটেছে। বিজ্ঞানীদের মধ্যে শুরু থেকেই এই মতৈক্য ছিল যে, কোভিড-১৯ কোনো ল্যাবরেটরিতে তৈরি ভাইরাস নয়।

তবে তথ্য হিসেবে জানানোর চেয়েও কথাটা বারবার প্রচারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, জৈব মারণাস্ত্র সংক্রান্ত তর্ককে আড়াল করা, ধামাচাপা দেওয়া। প্রকারান্তরে দাবি করা, যেহেতু রসায়নাগারে তৈরি হয় নি, অতএব কোভিড-১৯ জৈব মারণাস্ত্র নয়। অথচ এটি জৈব মারণাস্ত্র কিনা কিম্বা কোন দেশ থেকে এই ভাইরাসের উদ্ভব ঘটেছে, সেই তর্ক বিশেষভাবে চিন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে তীব্রভাবেই চলছে। কোভিড-১৯ বিজ্ঞানাগারের তৈরি না হবার প্রচার এই গুরুত্বপূর্ণ তর্ককেও আড়াল করছে।

আমাদের সকল পক্ষের কথা শুনতে হবে। ‘ল্যাবরেটরির বানানো ভাইরাস নয়’ বলে কোভিড-১৯ ‘জৈব মারণাস্ত্র নয়’ বলা যায় না। কিংবা কোন দেশ থেকে এর উদ্ভব ঘটেছে সেই তর্ক আড়াল করাও ঠিক নয়। কোভিড-১৯ জৈব মারণাস্ত্র হওয়া না হওয়ার সঙ্গে ল্যাবরেটরিতে বানানো বা না বানানোর সম্বন্ধ নাই। এটা সঠিক যে, আধুনিক কালে সমরাস্ত্র গবেষণায় ল্যাবরেটরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু আজ অবধি যে সকল জৈব মারণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে তার প্রায় সবই প্রাকৃতিক। তাই আমদের উচিত মার্কিন প্রপাগান্ডার ‘প্রচারপত্র’ না হয়ে চিন এবং ইরানের বক্তব্যও পাশাপাশি প্রকাশ করা। পাঠক নিজে বুঝে নিক কী হচ্ছে। অনুমাননির্ভর হয়ে বা গালগল্প দিয়ে আমরা জনগণকে রক্ষা করতে পারব না। এই ধারণা ঠিক নয় যে, এই অ্যাটম বোমার মতো জৈব মারণাস্ত্রই শুধু ল্যাবরেটরিতেই বানানো হয়।

অনেকে কেন জৈব মারণাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করতে চান না, সেটা বুঝা যায়। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আমরা একমত নই। তাঁরা ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ দিয়ে ঘটনাঘটনের ব্যাখ্যা করতে চান না, তাঁদের এই উৎকণ্ঠার সঙ্গে আমরা একমত। জটিল বিষয়কে ব্যাখ্যা করতে না পারার ব্যর্থতা থেকে কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক আলস্যজনিত সস্তা অনুমানের কারণে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ পয়দা হয়।

কিন্তু অন্যদিক থেকে ভেবে দেখুন। জৈব মারণাস্ত্র নিয়ে নিরপেক্ষ আলোচনা পর্যালোচনার অনুপস্থিতিও চরম অজ্ঞতা তৈরি করতে পারে। এর ক্ষতি বুদ্ধিবৃত্তিক আলস্যের চেয়েও শতগুণ বেশি ক্ষতিকর এবং বিপজ্জনক। তাই মনে রাখতে হবে, এই পর্যন্ত ইতিহাসে আমরা যেসব জৈব মারণাস্ত্রের ব্যবহার দেখেছি তার অধিকাংশই ‘প্রাকৃতিক’। ল্যাবরেটরির পয়দা নয়। তাই বাংলাদেশের একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকের খবর পাঠ করে কেউ যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, যেহেতু ল্যাবেরেটরিতে তৈরি হয় নি, অতএব কোভিড-১৯ জৈব মারণাস্ত্র নয়- তারা মহা ভুল করবেন। তথ্যটি জৈব মারণাস্ত্র সম্পর্কে অজ্ঞ ও অসচেতন থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে যাচ্ছে।

প্রাচীনকালের যুদ্ধের কথাই ধরুন। প্লেগ আক্রান্ত রোগীকে যুদ্ধকূপে ফেলে প্রতিপক্ষকে বিষাক্ত পানি খাইয়ে প্লেগ আক্রান্ত ও পরাজিত করার নজির আছে। এই ক্ষেত্রে প্লেগ আক্রান্ত লাশ জৈব মারণাস্ত্রের ভূমিকা পালন করেছে। সম্রাট বারবারোসা খ্রিষ্টীয় ১১৫৫ সালে এই জৈব মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। ১৩৪৬ সালে মোঙ্গলরাও প্লেগ আক্রান্ত শরীর দিয়ে প্রতিপক্ষের মধ্যে প্লেগ ছড়িয়ে পরাজিত করতে চেয়েছিল। স্পেনিশরা তাদের দুশমন ফরাসিদের বিরুদ্ধে রক্তের সঙ্গে কুষ্ঠ রোগীর রক্ত মিশিয়ে তাদের কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত করতে চেয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সৈন্যরা চিনা গ্রামগুলোতে কমপক্ষে এক হাজার কূপ দূষিত করেছে। তারা দেখতে চেয়েছে, কিভাবে কলেরা ও টাইফাস ছড়ায়। ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাঁর সাম্প্রতিক একটি লেখায় আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, ঢাকার মহাখালী কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রাক্কালে ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কলেরা জীবাণুর মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধের বিস্তারের জন্য ব্যাপক গবেষণা করেছিল যা এখন আইসিডিডিআর-বি নামে পরিচিত। ভুলে যাবেন না, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় থেকেই অর্থাৎ ষাট দশক থেকেই বাংলাদেশ জীবাণুযুদ্ধের গবেষণা কেন্দ্র। সেসব চলে জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণার নামে এবং দাতাদের পয়সায়।

কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর প্রথম দিন থেকেই তর্ক রয়েছে, কোথা থেকে এই ভাইরাস এলো। মিউটেশানের মধ্য দিয়ে এর বর্তমান ভয়ঙ্কর রূপের কারণ কী? এ নিয়ে চিন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে তীব্র তর্কবিতর্ক চলছে। ইরান কোভিড-১৯ মহামারীতে বিধ্বস্ত। ট্রাম্প নানাভাবে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার টালবাহানা করছিলেন। ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ জারি রয়েছে। ইরানকে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক চাপের অধীনে থেকে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে।

‘নিউজ উইক’ পত্রিকায় দেখলাম, পরস্পরকে দোষারোপ করার মাত্রা এখন আগের চেয়ে আরো তীব্র হয়েছে। চিন দাবি করেছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর জন্য চিন অনুসন্ধান বা তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলী শামখানি একটি টুইটার বার্তায় কোভিড-১৯-এর জন্য চিন এবং ইরানকে মহামারী ছড়িয়ে যাবার জন্য দায়ী করার তীব্র সমালোচনা করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরো উসকানি দেবার জন্য কোভিড-১৯-এর নাম দিয়েছেন ‘চিনা ভাইরাস’। শামখানির দাবি, যুক্তরাষ্ট্র চিন ও ইরানের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে, কারণ আন্তর্জাতিকভাবে জোরদার দাবি উঠেছে- যুক্তরাষ্ট্র ভাইরাস নিয়ে যেসব গবেষণা এতকাল চালিয়েছে সেই সবের আন্তর্জাতিক তদন্ত হোক। ট্রাম্প জৈব মারণাস্ত্র বিষয়ে তদন্তের দাবি নাকচ করতে বদ্ধপরিকর। অতীতে মার্কিন যুক্তাষ্ট্রের কুকর্মের বিস্তর প্রমাণ রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত খুবই যুক্তিসঙ্গত দাবি। এর আগে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দাবি করেছে কোভিড-১৯ ভাইরাস উহানে এনেছে মার্কিন সেনাবাহিনীই।

বিশ্বব্যাপী বিপর্যয়ের কালে পরস্পরকে ঘায়েল করবার এই প্রচার যুদ্ধকে আমরা নানা দিক থেকে বিচার করতে পারি। কিন্তু জীবাণু মারণাস্ত্রের প্রশ্নকে ভুলে যাওয়া, উপেক্ষা করা কিংবা আড়াল করার মধ্যে বিশ্ববাসীর কোনো মঙ্গল নাই। সে কারণে জৈব মারণাস্ত্রের প্রশ্ন আমাদের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্যই জানতে হবে, কোভিড-১৯ ভাইরাসের জন্ম বা উদ্ভব কোথা থেকে?
[সমাপ্ত]

লেখক : কবি, কলামিস্ট


আরো সংবাদ



premium cement
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত

সকল