২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সেই বিবেচনা আজ কোথায়?

-

‘দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন’ বহুল উচ্চারিত একটি নীতিবাক্য। তবে আজকের সমাজ দর্শন আর বাস্তব অবস্থার নিরিখে এই নীতিবাক্য কতটা আমাদের জীবনাচরণে নিত্য প্রতিফলিত হচ্ছে তা অবশ্যই বিচার্য বিষয়। যাই হোক, বহুকাল থেকে এই স্মরণীয় নীতিবাক্যটি আমাদের এ দেশে অনুশীলন করা হয়েছিল। তার অর্থ এমন যে, এখানে দুষ্টের দৌরাত্ম্য ও পাশাপাশি তার দমন এবং সাধুসজ্জনদের সুরক্ষার বোধটি প্রতিষ্ঠিত ছিল। অতীতে দেশের সাধারণ মানুষ আর সমাজপতিদের ব্যবহারিক জীবন সম্পর্কে যতদূর খোঁজখবর পাওয়া যায়, তাতে তৎকালীন সমাজের মানুষ শান্ত সমাহিত জীবন নিয়ে পরিতৃপ্ত ছিল। সে সময়ও যে দুষ্টের অস্তিত্ব ছিল না এমন নয়, তবে তাদের সংখ্যা ও দৌরাত্ম্য ছিল নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। আর দুষ্টবুদ্ধি সে সময় কোনোভাবেই শুভ চেতনাকে পরাস্ত করতে পারেনি। সেকালে আজকের মতো আয়েশ স্বাচ্ছন্দ্যের আয়োজন ছিল না বটে, তবে নির্মল নির্দোষ সুখ আনন্দের ফল্গুধারা সতত ছিল বহমান। সমাজে বন্ধন আর ভ্রাতৃত্ব ছিল অটুট, সবাই ছিল সবার তরে, পরস্পরের আনন্দ-বেদনায় শরিক থাকত। এসব কথা কেবল অনুমাননির্ভর নয়। সে সময়কার কবি সাহিত্যিক আর ইতিহাসবিদদের কাব্যে, গদ্যে এবং রচনায় তার প্রাণবন্ত বর্ণনা রয়েছে। এখন অতীতের সাথে সম্পর্কের যোগসূত্র ছিন্ন প্রায় বলে সেসব সুখ স্মৃতি বিস্মৃত হতে চলেছে। কোনো জনপদের মানুষ যদি নিজের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তাদের দিকভ্রান্ত হওয়া ভিন্ন গত্যন্তর থাকে না। আজকে এ সমাজের যে হাল, তাতে যেসব উপসর্গ দৃশ্যমান হয়ে উঠছে, যা মূলত আমাদের বৃন্তচ্যুতি হওয়াটাকেই প্রতীয়মান করে তুলছে।

বলা হয়েছে, অতীতের সেই সুদিন আর শুভ চেতনাকে আমরা ধরে রাখতে পারিনি। ঘটেছে অবনতি ও অবক্ষয়। ফলে সেই শুদ্ধ বোধ বিবেচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। হারিয়ে যাওয়া দিনে যেসব মূল্যবোধ জীবনাচরণে চর্চা করা হতো। তার স্থলে এখন জায়গা করে নিয়েছে অনিয়ম আর অনাচার। ফলে এক ভয়াবহ নৈতিক দূষণ ছেয়ে ফেলেছে আমাদের সমাজজীবন। সুনীতির যে স্বাভাবিক চর্চা ছিল দৈনন্দিন জীবনে, সেখানে দুর্নীতির বিষবাষ্প গ্রাস করেছে পরিবেশকে। শিষ্টের সুরক্ষার নীতির বদলে দুষ্ট আর দুরাচারীদের দৌরাত্ম্য হয়ে উঠেছে সীমাহীন। এদের শক্তি ও প্রতিপত্তি আজ অপ্রতিরোধ্য। সমাজে এদের দাপট শুধু সর্বব্যাপীই হয়নি, সমাজপতিদের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদেরই একচ্ছত্র প্রভাব। এই বলয়ের বাইরে যাওয়ার শক্তি সামর্থ্য তারা হারিয়ে ফেলেছে। কারণ তাদের ক্ষমতার ভিত্তি এখন আর জনগণ নয়, এসব সমাজবিরোধীরাই। এমন পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষ হয়ে পড়েছে অসহায়। একটি দেশের প্রাণশক্তির উৎস হচ্ছে জনগণ, এই বোধ বস্তুত এখন মূল্যহীন; এটা কেবলই কথার কথা হয়ে পড়েছে। দেশের এই অধোগতির কারণে আন্তর্জাতিক সমাজের কাছেও বাংলাদেশ অবহেলার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীর বুকে এই দেশ এখন দুর্নীতিবাজ আর দুরাচারীদের অভয়ারণ্য বলে চিহ্নিত। এ জন্য দেশবাসীকে অপমানিত অপদস্ত হতে হচ্ছে। কিন্তু যাদের এ নিয়ে বোধোদয় আর সম্বিৎ ফিরে পাওয়ার কথা, তাদের আসলে কোনো চেতনা জাগ্রত হচ্ছে- এমন আভাস ইঙ্গিত নেই। কেননা সব কিছু সেই একই লয় তালে চলছে, কোনো আত্মোপলব্ধির উন্মেষ ঘটছে না। অথচ পরিস্থিতি কতটা সঙ্গীন, তা কল্পনা করা যায় না। ইদানীং কিছু দুরাচারীর যে অন্ধকার জীবনকাহিনী প্রকাশ পেয়েছে তা যদিও অপরাধের ছিটেফোঁটা মাত্র, তা এ ধারণা আরো দৃঢ় করে তুলেছে যে, প্রশাসন আসলে কতটা নিষ্ক্রিয় আর দুরাচারীদের শত অপরাধ অপকর্মকে ঢেকে রাখতে এবং সমাজ তাদের মদদ দিতে কতটা মৌনতা অবলম্বন করে আসছে। এটা বিবেচনা করার কোনো কারণ নেই যে, এসব বিষয়ে শুধু প্রশাসনের একক দায় রয়েছে। অবশ্যই তাদের এক্ষেত্রে সাহস শক্তি জুগিয়েছে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ। তাদের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা ভিন্ন কারো এত দুঃসাহস হওয়ার কথা নয়। এসব অপকর্মের শেকড় অনেক গভীরেই প্রোথিত রয়েছে। তা ছাড়া আমাদের রাজনীতিতে নীতি-নৈতিকতার অনুশীলন এতটাই কম যে তা অনৈতিকতাকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ। বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষমতাসীনদের সত্যিকার কোনো প্রতিপক্ষ নেই যারা ক্ষমতাসীন নেতাকর্মী সমর্থকদের নীতিগর্হিত কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তাদের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেবে। এ ক্ষেত্রে আরো একটি সমস্যা হলো ক্ষমতাসীনদের মধ্যে এমন একটা ভাব লক্ষ করা যায়, যা প্রকৃতপক্ষে অহমিকার শামিল। সমালোচনাকে তারা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে না। এমন অসহিষ্ণুতা পোষণকারীদের ক্ষেত্রে আত্মশুদ্ধি ঘটানোর কোনো প্রয়াসই কার্যকর হবে না। আজকে এই পরিবেশ থেকে উদ্ধার পাওয়া আসলেই অসম্ভব। অথচ এর বিকল্প তো নেই।

অন্যায় অপরাধ দমনে অতীতের সেই নীতি ও ব্যবস্থা এখন আর বহাল নেই। আগে সব অপরাধীকেই সমাজ অস্পৃশ্য জ্ঞান করত এবং তাদের সংস্রব পরিহার করে চলাই ছিল সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু আজ এসব বিবেচনা পাল্টে গেছে। এখন যে যতটা অপরাধ অনিয়ম করতে পারে সমাজে তাদের জন্য নির্দিষ্ট থাকে বড় ‘পিঁড়িটা’। তাদের শাস্তি দণ্ড দেখা দূরের কথা। এসব ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করার যত বিধিবিধান রয়েছে, তার সবই এদের থেকে শত যোজন দূরে থাকে। এমন সব অপরাধী সুরক্ষার জন্য নিজেদের ঘিরে এক দুর্ভেদ্য দেয়াল তুলে নিয়েছে। ফলে তাদের গায়ে এখন টোকাও পড়ে না। ফলে দুষ্টের দমন করার সেই সুনীতির কথা এবং তার চর্চার বিষয় ভাবাই যায় না। তা ছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে যে হাল তাতে এটা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, অপকর্মে যারা দুর্বিনীত তাদের বিশেষ যোগ্যতা হিসেবেই এটাকে বিবেচনা করা হয়। তাই রাজনীতিতে অপরাধ সংক্রামক হলে সেটা প্রশাসনে শতগুণ বৃদ্ধি পায়। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ করে যাদের অপরাধ দমনের দায়িত্ব, সেই প্রশাসন বিভাগের কোনো সাড়া শব্দ নেই।

চালুনে যত ছিদ্র তার গণনা করা যায় না। তেমনি এখন এই জনপদের দুষ্ট দুর্বৃত্ত আর দুরাচারীর সংখ্যার হিসাব করা সম্ভব হবে না। এদের সংখ্যাপ্রাবল্য আর দুষ্কর্মের প্রভাব খুবই ব্যাপক। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আজকের দেশের সমাজের অবস্থা। মোটা দাগে একটি নজির তুলে ধরা যেতে পারে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে, বাণিজ্যে কারসাজির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এর পরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রফতানির সময় এমন কারসাজি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি-রফতানিতে কারসাজির মাধ্যমে কিভাবে এই বিপুল অর্থ পাচার হয়ে গেছে, তার একটি চিত্র সেই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে টাকা বেরিয়ে গেছে দুই ভাবে। একটি উপায় হচ্ছে, পণ্য আমদানির সময় কাগজপত্রে বেশি দাম উল্লেখ করে টাকা পাচার। আরেকটি হচ্ছে, পণ্য রফতানি করার সময় তার কাগজপত্রে দাম কম দেখিয়ে অর্থ পাচার করা হয়েছে। রফতানির সময় দাম কম দেখানোর ফলে বিদেশী ক্রেতারা যে অর্থ পরিশোধ করেছে, তার একটি অংশ বিদেশেই থেকে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আসছে শুধু সে অর্থ, যে পরিমাণ অর্থের কথা দেখানো হচ্ছে। স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা উল্লেখিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বলেছেন, প্রতি বছর যে পরিমাণ অর্থ বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে বাংলাদেশ পেয়ে থাকে, তার প্রায় তিন গুণ টাকা পাচার হয়ে থাকে। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে সেটি খুবই কম একটি হিসাব। কারণ তারা যতটুকু আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান পেয়েছেন তার ভিত্তিতে অর্থ পাচারের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক কারসাজি হয়ে থাকে, যেগুলোর প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু বাণিজ্যের পরিসংখ্যান দিয়েই পাচারকৃত অর্থের পুরো পরিমাণ জানা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা এই অর্থ পাচারের হিসাবের ব্যাপারে মনে করেন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এর কারণ। দেশের যে অবস্থা তাতে নিরাপদ বোধ করা হয় না। নিজেদের এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেও অনেকে টাকা পাচার করে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তা ছাড়া এই অপরাধপ্রবণতা দমনের ক্ষেত্রে যে অব্যবস্থা আর শিথিলতা রয়েছে তাতে প্রকৃতপক্ষে এমন সব দুরাচারীকে দমন করা সম্ভব হয় না।

একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী কর্মীর আনুমানিক সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। এদের বেশির ভাগ অবৈধভাবে এখানে কাজ করছেন। এই হিসাবে এরা দেশ থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স অবৈধভাবে পাচার করেন এবং তাদের কর ফাঁকির ফলে বছরে ন্যূনতম ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা অনেক। তাদের কর্মসংস্থান কঠিন। অথচ সেখানে বিদেশীদের এভাবে কাজের সুযোগ করে দেয়ার বিষয়টি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। অথচ বাংলাদেশে বিদেশী কর্মী নিয়োগের কোনো সমন্বিত ও কার্যকর নীতিকৌশল এবং বিদেশী কর্মী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। বিদেশীদের এমন অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাজ করার বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অপরাধ। এভাবে সরকারি কর্তৃপক্ষের গোচরে থেকে এমন ক্ষতিকর কার্যক্রম অব্যাহত থাকা কোনোভাবেই অনুমোদনযোগ্য নয়। সরকারের এ ব্যাপারে সঠিক এবং উপযোগী নীতি না থাকা কোনো সাধারণ অবহেলা নয় বরং বড় একটি স্খলন।

উপরে দু’টি উদাহরণ টেনে এই ধারণা দেয়ার চেষ্টাই হয়েছে যে, আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন নীতিভ্রষ্ট হয়ে দোষী আর অপরাধীদের অনুকম্পা দেখিয়ে থাকে। ফলে সব অন্যায় করেও এ দেশে নিরাপদে নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করা যায়। এটা যেমন পরিতাপের বিষয়, সেই সাথে আরো গভীর অনুতাপও রয়েছে যে, দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করলেও তার স্বীকৃতির মূল্যায়ন নেই। যে জনপদে এমন বৈপরীত্য বিরাজ করে সেখানে দুরাচার ক্রমে বৃদ্ধি পেতেই থাকবে আর সৎকর্মের সব উৎসাহ উদ্যম স্তিমিত হয়ে যাবে। জাতির জন্য ছুটে আসবে সব দুঃসংবাদ। অথচ এটাই স্বাভাবিক ছিল যে, যারা সমাজে সৎকর্মশীল তাদের প্রণোদনা দেয়া হবে। কিন্তু সচরাচর এমন উদাহরণ লক্ষ করা যায় না। এ ছাড়া আরো একটি ব্যাপার নিয়ে বেদনাবোধ করার বিষয়। তা হচ্ছে, যারা নীতিহীন হয়ে নিজ স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত, তারা সবাই সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণীর প্রতিনিধি। আর যাদের মধ্যে কল্যাণ চিন্তা, সততা ও সদাচরণ লক্ষ করা যায় তাদের বেশির ভাগ মানুষই সাধারণ শ্রেণীর।

এই সাধারণ শ্রেণীর মানুষের মধ্যে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। দেশ আর স্বজন ছেড়ে বিদেশ বিভূঁইয়ে এক বৈরী পরিবেশে হাড়ভাঙ্গা খাটছেন তারা। এর বিনিময়ে যে পারিশ্রমিক লাভ করেন তার সবটুকু দেশে পাঠান, বিদেশে পাচার করেন না। এভাবেই এই সাধারণ মানুষগুলো জাতির কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। জানা গেছে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই প্রবাসী মানুষগুলো দেশে পাঠিয়েছেন ১৬০০ কোটি ডলার যা একটি রেকর্ড। এই অর্থ দিয়ে আমাদের দেশের জাতীয় বাজেট প্রণীত হয়ে থাকে, বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা হয়। আর জাতির এই সুসন্তানদের প্রতি কতটুকু মর্যাদা আর সহানুভূতি দেখানো হয় তা বিরাট জিজ্ঞাসার ব্যাপার। এর পাশাপাশি দেশের লাখ লাখ শ্রমিক কৃষক আর শ্রমজীবী জাতির উন্নয়নের ধারায় নীরবে নিভৃতে অবদান রেখে চলেছেন। তার খোঁজখবর কতটুকু নেয়া হয়? কিংবা কতটা প্রণোদনা তারা পেয়ে থাকেন? যে কৃষক তার ফসলের ক্ষেত্রকে ঠিকভাবে পরিচর্যা করেন, তার প্রতিদান তিনি পাওয়ার কথা। আর যে কৃষক হেলা অবহেলায় কাল কাটান, পরিশেষে তিনি দেখতে পান সব কিছু তার বিরান হয়ে গেছে। এটাই সব ক্ষেত্রের নিয়ম। এ থেকে সমাজ ও রাষ্ট্র শিক্ষা গ্রহণ করাটা শুধু উচিত নয়, অপরিহার্য।

ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement