১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তালেবান ও আমেরিকার সমঝোতা চুক্তি

-

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে ১৯ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটতে চলেছে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উপস্থিতিতে আফগান বিষয়ে মার্কিন বিশেষ দূত জালমি খলিলজাদ এবং তালেবানের পক্ষে মোল্লা আবদুল গনি বারাদার চুক্তিতে সই করেন। এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তালেবান ও আফগান সরকার তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারে, তাহলে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে আমরা আমাদের সেনাদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারি।’

আন্তর্জাতিক রাজনীতির খেলায় কখনো শত্রু বন্ধুতে পরিণত হয়; আবার কখনো বন্ধু হয়ে যায় শত্রু। ২০১০ সালে সিআইএ মোল্লা আবদুল গনি বারাদারকেই ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তান সরকারের মাধ্যমে করাচিতে গ্রেফতার করিয়েছিল। আট বছর জেল খেটে তিনি মুক্তি লাভ করেন। বারাদার ছিলেন আফগান তালেবান নেতা মোল্লা মুহাম্মদ ওমরের সহ-অধিনায়ক। সেই সিআইএ’র অনুরোধে বারাদার সমঝোতা চুক্তিতে তালেবানদের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন।

চুক্তি করলেও তালেবান যোদ্ধারা ঘরে ফিরে যায়নি। স্বদেশের পর্বতচূড়া ও গিরি উপত্যকার সব ক্যাম্পে রয়েছে তাদের সতর্ক অবস্থান। পরিস্থিতি তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। চুক্তির নেপথ্যে প্রতিপক্ষের কোনো কূটকৌশল আছে কি না তা পরখ করে দেখা হচ্ছে। সমঝোতা চুক্তির পরপরই আফগানিস্তানের ৯টি প্রদেশে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর ১৪ সদস্য প্রাণ হারায়। মার্কিন বাহিনী হেলমান্দ প্রদেশে তালেবান ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। গত ৬ মার্চ আফগানিস্তানে অপর এক হামলায় ৩২ জন মানুষ প্রাণ হারায়। আইএস এর দায়ভার স্বীকার করেছে। ট্রাম্প এ নিয়ে ৬ মার্চ এক অভূতপূর্ব মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়ার পর তালেবান ‘হয়তো’ সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। হোয়াইট হাউজে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আফগানিস্তানের নিজের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। কিছু সময়ের জন্য একজনের হাত ধরে রাখতে পারেন। সব সময়ের জন্য নয়।’ ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখলে নিতে পারে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন যে পথে তারা এগোচ্ছে, তা হয়তো সম্ভব নয়। আবার এই সম্ভাবনা উড়িয়েও দেয়া যায় না।’ এসব কথা বেশ গুরুত্বের দাবি রাখে।

বিশ্লেষকদের মতে, মাঝে মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হলেও চুক্তি সফল হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। আফগান কারাগারে বন্দী পাঁচ হাজার তালেবান যোদ্ধার মুক্তির ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির নেতিবাচক মন্তব্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। তালেবানদের আলোচনায় বাধ্য করার জন্য হয়তো তিনি এমন মন্তব্য করে থাকবেন। তালেবান কমান্ডার জবিহুল্লাহ মুজাহিদ ঘোষণা দিয়েছেন, তালেবান বন্দীদের মুক্তি না দিলে আফগান সরকারের সাথে কোনো আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না। সরকার মূলত জনপ্রতিনিধিত্বহীন মার্কিন বশংবদ হিসেবে অভিহিত। ট্রাম্প ও পম্পেওর সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার শক্তি তার নেই, সাহসও নেই। মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহার করা হলে যোদ্ধাদের হাতে সরকারের পতন হতে পারে। চুক্তির অংশ হিসেবে তালেবানরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর এক হাজার বন্দী সদস্যকে মুক্তি দেবে।

টুইন টাওয়ারে হামলার পর ২০০১ সালে ন্যাটো বাহিনীর সহযোগিতায় আমেরিকা আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালায়। সামরিক ও বেসামরিক বিপুলসংখ্যক মানুষের রক্ত ঝরিয়েও মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী জয়লাভ করতে পারেনি। দেশের ৭০ শতাংশ এলাকা তালেবানের দখলে। এ পর্যন্ত আড়াই হাজার মার্কিন সেনা তালেবান যোদ্ধাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। আহত ২০ হাজার সেনা। এখনো আফগানিস্তানে ১২ হাজার মার্কিন সৈন্যসহ ন্যাটোর ১৭ হাজার সৈন্য রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের মতে, আফগান যুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ৫৮ হাজার সদস্য এবং বিরোধী পক্ষের ৪২ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার জোটভুক্ত দেশগুলো ‘পছন্দের সরকার’ গঠন করেও ১৯ বছরে আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে এবং সাড়ে তিন কোটি মানুষের চাহিদা মেটাতে চরমভাবে ব্যর্থ। ২০০৯ সালে সমাজবিজ্ঞানী থমাস এইচ জনসন ফরেন পলিসি জার্নালের এক নিবন্ধে তদানীন্তন কারজাইয়ের সরকারকে ‘সম্পূর্ণ অবৈধ ও অদক্ষ চোরের সরকার’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ১৪ মাসের মধ্যে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী পর্যায়ক্রমে সব সেনাসদস্য ফিরিয়ে আনবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমেরিকার সামরিক ব্যয় হয়েছে ৮২২ বিলিয়ন ডলার।

আফগানরা বীরের জাতি। তাই বিদেশী কোনো শক্তি তাদের বেশি দিন পদানত করে রাখতে পারেনি। তিনটি সুপার পাওয়ার সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পরিশেষে আমেরিকাকে তারা আফগানিস্তান ত্যাগে বাধ্য করেছে। খ্রিষ্টের জন্মের ৩৩০ বছর আগে গ্রিক বীর আলেকজান্ডার আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে ভারতে আগমন করেন কিন্তু আফগানিস্তান দখল করে রাখার সাহস করেননি। (১৮৩৯ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আফগানিস্তান দখল করার দুঃসাহস দেখায়। কিন্তু ১৮৪২ সালে আফগান গেরিলাদের প্রতিরোধের মুখে তাদের পাততাড়ি গুটাতে হয়। ১২ হাজার সৈন্যের মধ্যে মাত্র একজন সৈন্য জীবিতাবস্থায় ব্রিটেনে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তাদের সব লাশই আফগানিস্তানের গিরিকন্দরে ফেলে যেতে বাধ্য হয়। ব্রিটিশ কমান্ডার মেজর জেনারেল স্যার এলফিনস্টোন গেরিলাদের হাতে তখন প্রাণ হারান।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর সোভিয়েত ইউনিয়ন এক লাখ ৪০ হাজার সেনাসদস্য নিয়ে আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল। তারা পাহাড়-পর্বতে এবং গুরুত্বপূর্ণ Strategic Point-এ এক কোটি শক্তিশালী মাইন পুঁতে রাখে এবং ১৫ লাখ আফগানকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে। এত কিছু করেও কমপক্ষে ১৫ হাজার সৈন্যের লাশ ফেলে সোভিয়েত পরাশক্তিকে আফগানিস্তান ছাড়তে হয়। স্বদেশী প্রতিরোধ আন্দোলনকারীদের মোকাবেলায় ভাড়াটিয়া ও হানাদার বাহিনী বেশি দিন টিকতে পারেনি এবং পারে না। ইতিহাসে এর প্রমাণ একটি নয়, বহু। একটানা ১০ বছর বোমা বর্ষণ করে এবং ৫০ হাজার মার্কিন সৈন্যের লাশের বিনিময়েও ভিয়েতনামকে পরাজিত করা আমেরিকার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এ তিক্ত স্মৃতি নিশ্চয়ই আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রকে ধাওয়া করছে। আফগানিস্তানেও ভিয়েতনামের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল- ইতিহাসের শিক্ষা কত নির্মম!

দোহা চুক্তির নানা দিক রয়েছে। প্রথমত, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী ১৯ বছর ধরে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। অর্থ ও প্রাণ-এ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মনোবলে ভাটা পড়েছে। এ চুক্তির মাধ্যমে বিদেশী বাহিনীর নিরাপদ প্রস্থানের সুযোগ তৈরি হলো। অপর দিকে আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণ যুদ্ধে যুদ্ধে অধৈর্য হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় তালেবানরা পাবলিক সেন্টিমেন্টের প্রতি সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়েছে। দ্বিতীয়ত, এ চুক্তির কৃতিত্ব দেখিয়ে ট্রাম্প আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে রাজনীতির হাওয়া নিজের অনুকূলে নিয়ে আসার সুযোগ পেতে পারেন। আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা তার প্রচেষ্টায় হয়েছে- এমন বার্তা তিনি জনগণকে দিতে পারবেন। তৃতীয়ত, চুক্তির মাধ্যমে পরাশক্তি আমেরিকা তালেবানকে অনস্বীকার্য রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হলো। হানাদার ও আগ্রাসী বিদেশী শক্তির জন্য এ চুক্তিটি এক ‘নির্ভুল বার্তা’। যে তালেবান নেতা সিরাজুদ্দীন হাক্কানীকে ধরার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, সে তালেবানদের সাথে চুক্তি করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতিস্বীকার করাকে ‘করুণ প্রতিরোধ’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। চতুর্থত, তালেবানদের যে করেই হোক আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ হলো। সৃষ্টি দেশের গোত্রপ্রধানদের ‘লয়া জিরগা’ ডেকে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।

পঞ্চমত, এ চুক্তিতে আফগান সরকার পক্ষভুক্ত ছিল না। তালেবানরা এ সরকারকে ‘বিদেশী শক্তির পুতুল’ মনে করেন। প্রমাণিত হলো হামিদ কারজাই ও আশরাফ গনিরা জনবিচ্ছিন্ন ও পরাশক্তির এজেন্ট। ষষ্ঠত, ভিয়েতনামের পর আফগানিস্তানেও আমেরিকার কার্যত পরাজয় তাদের সাম্রাজ্যবাদী নীতি আর নানা ছলছুতায় বিভিন্ন দেশে সামরিক আগ্রাসন চালানোর উচ্চাভিলাষের লাগাম টেনে ধরতে সহায়ক হওয়ার কথা। সপ্তমত, এশিয়ার বুকে শরিয়াহ আইনভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হলো।

অষ্টমত, সমঝোতা চুক্তিতে চীন ও পাকিস্তান লাভবান হবে। এ দুই দেশ তাদের অর্থনৈতিক করিডোরের সাথে আফগানিস্তানকে যুক্ত করার সুযোগ লাভ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অবকাঠামো নির্মাণে চীন সুযোগ পেতে মরিয়া হয়ে উঠবে। পাকিস্তানের সাথে তালেবানের সম্পর্ক ভালো। অপর দিকে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত আফগান সরকারের সাথে সখ্য গড়ে তুলতে দেরি করেনি। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ভারত এ পর্যন্ত তিন হাজার মিলয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে আফগানিস্তানে। পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের রয়েছে দুই হাজার ৪৩০ কিলোমিটার সীমান্ত রেখা (Durand Line)। দুই দেশের সীমান্তবিরোধ পুরনো। সীমান্তের উভয় দিকে পশতুন জাতির অধিবাস। মার্কিন সহযোগিতা ছাড়া এ সঙ্কট সমাধান একা পাকিস্তান করতে পারবে না। তাই সমঝোতা চুক্তিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে পাকিস্তান।

নবমত, সমঝোতা চুক্তির ফলে চীন, ভারত ও ইরানের উদ্বেগ কিছুটা বাড়বে বলে মনে হয়। ভূরাজনৈতিক কারণে এ তিন দেশ তালেবানদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী হবে। উইঘুরদের কেউ যাতে আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র হয়ে জিনঝিয়াংয়ে ঢুকতে না পারে, চীন তালেবানদের কাছে এ নিশ্চয়তা চাইতে পারে। রাশিয়াও চাইবে না উজবেক ও চেচেন গেরিলারা স্বদেশে ফিরে আসুক। ভারতের চাওয়া-পাওয়া হলো আফগান মুজাহিদরা যেন কাশ্মিরমুখী না হয়। ইরান তালেবান সরকারের কাছে শিয়া মতাবলম্বী হাজারাদের শক্তিশালী অবস্থান চাইবে। স্মর্তব্য, ১৯৯৮ সালে মাজার-ই-শরিফে তালেবানদের হাতে ইরানের ৯ জন কূটনীতিক প্রাণ হারিয়েছিলেন। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি স্বাভাবিকভাবেই ইরান চাইবে না। দশমত, এ চুক্তির মাধ্যমে ইরান ও পাকিস্তানে আশ্রিত ৩০ লাখ শরণার্থী নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ অবারিত হতে পারে।

একাদশ, চুক্তি পরবর্তী সময়ে আফগানিস্তানে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯ বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রদেশে মার্কিন, ন্যাটো বাহিনী ও সিআইএ পরিচালিত ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দীদের ১৯ বছরব্যাপী নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্ত পরিচালনা এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হতে পারে। গত ৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) এই যুদ্ধাপরাধের তদন্ত পরিচালনার পক্ষে সায় দিয়েছে। নির্যাতন ও নিগ্রহের বিশ্বাসযোগ্য ও যৌক্তিক কারণ আছে- এমন তথ্য দিয়েছে আইসিসি।

দ্বাদশ, ১৯ বছরব্যাপী মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হামিদ কারজাই ও আশরাফ গনির সরকার আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতায় ছিল ও আছে। এদের কেন্দ্র করে একটি এলিট সোসাইটি গড়ে উঠেছে, যারা কোটি কোটি ডলার লুটপাট করেছে। আগামীতে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হওয়ার কথা।

আরো কিছু বিষয় আছে যেগুলো সমাধানের লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা বৈঠকের প্রয়োজন পড়বে হয়তো। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে, আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষকগণ তালেবান-মার্কিন সমঝোতা চুক্তিতে ‘সুড়ঙ্গের ওপারে আলোর ঝলকানি’ দেখতে পাচ্ছেন।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ওমর গণি এম ই এস ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রাম


আরো সংবাদ



premium cement
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ : রাশিয়া পিকআপচালককে হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেল গেল দুর্বৃত্তরা এক মাস না যেতেই ভেঙে গেলো রাজকীয় বিয়ে! ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭ নোয়াখালীতে মেলায় সংর্ঘষ নিহত ১ কবরস্থান থেকে বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উন্মোচন : পুত্রবধূ ও নাতনি গ্রেফতার মিরসরাইয়ে বজ্রপাতে কৃষকের তিন গরুর মৃত্যু হবিগঞ্জে বাসচাপায় পিকআপের চালক ও হেলপার নিহত মধ্যরাতে ১ ঘণ্টা ধীরগতি থাকবে ইন্টারনেট

সকল