২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিএনপিকে ধন্যবাদ, ইশরাক-তাবিথকে অভিনন্দন

-

চলতি বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি তারিখটি আমার কাছে ছিল অন্যান্য বছরের চেয়ে ব্যতিক্রমী। আগে দিনটিকে ঘিরে মহান ভাষা আন্দোলন এবং বাংলা একাডেমির বইমেলার উদ্বোধনসংক্রান্ত আবেগ-অনুভূতি কাজ করত। বিশেষ করে গত ১০-১২ বছর ধরে একুশের বইমেলায় নিজের লেখা বইয়ের প্রকাশ নিয়ে আমি পয়লা ফেব্রুয়ারি দিনটিতে একধরনের রোমাঞ্চের মধ্যে থাকি। কিন্তু দুই হাজার কুড়ি সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে আমি অতীতের সব আবেগ-অনুভূতি এবং রোমাঞ্চকে বাক্সবন্দী করে সকাল ৮টায় ভীত-সন্ত্রস্ত মনে খালি পেটে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বাস্তব হালহকিকত নয়নভরে দেখার ইচ্ছায়।

আমার বাসা ঢাকা কলেজের পেছনে নায়েম রোডে। বাসা থেকে বেরুলেই গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যেখানে রয়েছে বেশ বড়সড় একটি ঐতিহ্যবাহী ভোটকেন্দ্র। এই ভোটকেন্দ্রটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। আদি ধানমণ্ডির বনেদি ভোটার ছাড়াও ঢাকা কলেজ, টিচার্চ ট্রেনিং কলেজ, নায়েম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কেন্দ্রে ভোট দিয়ে থাকেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভোটকেন্দ্র এবং এলাকাবাসীর কাছে যারপরনাই কৃতজ্ঞ। কারণ ২০১৫ সালের তথাকথিত সিটি নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণে আমিও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম। সেবার এই কেন্দ্রে আমি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নিজেই চমকিত হয়েছিলাম। কারণ পুরো ঢাকার সব কেন্দ্রের প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট রাতেই দফা করে দেয়া হয়েছিল। বাকিটা ভোটের দিন সকাল বা দুপুরে বুঝে-শুনে কায়দাকানুন করা হয়েছিল এবং প্রায় সব কেন্দ্রেই রেজাল্টশিট তৈরি করা হয়েছিল অদ্ভুত এবং অলৌকিকভাবে যার সমীকরণ আজো আমার মাথায় ঢোকে না।

বাসা থেকে বের হয়ে ধীরলয়ে হাঁটতে আরম্ভ করলাম এবং বর্তমান সরকার বিগত দিনের দু’টি জাতীয় নির্বাচন এবং বহুসংখ্যক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে প্রকৌশল বিদ্যার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে, তা নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। অতীতের অভিজ্ঞতায় স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম, ঢাকা সিটি নির্বাচনে অদ্ভুত চমক থাকবে এবং সেই চমকের সাথে অতীতকালের কোনোই মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্বাচন নিয়ে পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব এবং সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলেছি। তারা কেউই নির্বাচন বা প্রার্থীর ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখাননি। উল্টো প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন- কিসের নির্বাচন! কার নির্বাচন! নির্বাচনে কোনো ভোটার তো লাগে না! সব কিছুই তো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যায়। আমাদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লাঞ্ছিত কিংবা অপমানিত হয়ে ফিরে আসব...।

আমি যখন গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের গেটের সামনে এলাম, তখন সেখানকার পরিস্থিতি দেখে হৃদয়ের মর্মবেদনা হু হু করে উঠল। পুরো রাস্তায় কেবল সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থীর পোস্টার। ধানের শীষের একটি পোস্টার নজরে এলো না। ভোটারদের সাহায্য করার জন্য গেটের বাইরে নৌকা প্রতীকের ঢাউস আকৃতির দুটো বুথ তৈরি করা হয়েছে। ২০-২৫ জন তরুণ যুবক গলায় নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরে বিষণ্ন মনে হাঁটাচলা ফিসফাস করছে। পুলিশ-বিজিবি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন কমিশনের একাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এবং সরকারি দলের স্বেচ্ছাসেবকরা বিরস বদনে দাঁড়িয়ে রোদ পোহাচ্ছেন। অদূরে কয়েকটি বেওয়ারিশ নেড়ি কুকুর দলবেঁধে এমনভাবে পায়চারি করছে, যা দেখে আপনার ভ্রম হতে পারে যে, তারাও হয়তো বিশেষ উদ্দেশ্যে এবং বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। একধরনের নিস্তব্ধতা, ভয়-আতঙ্ক এবং গুমোট বাঁধা পরিবেশের কারণে সেখানে একজন ভোটারকেও দেখতে পেলাম না।

নায়েম রোড পাড়ি দিয়ে বলাকা সিনেমার দিকে রওয়ানা দিলাম। সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না যে কোন দিকে যাবো। আমি নীলক্ষেত হয়ে আজিমপুর, লালবাগ এবং বকশীবাজারের দিকে যেতে পারতাম। অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শহীদ মিনার-কার্জন হল হয়ে গুলিস্তানের দিকেও যাওয়ার কথা ভাবলাম। কিন্তু রাস্তার নির্জনতা আমার মনে ভয় ধরিয়ে দিলো। ঢাকাতে কি ভোট চলছে নাকি কার্ফ্যু চলছে তা বোঝা যাচ্ছিলো না। গাড়িঘোড়া তো সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। রিকশা চলার অনুমতি ছিল কিন্তু রাস্তায় রিকশা ছিল না বললেই চলে। করোনাভাইরাসের আক্রমণের পর চীনের উহান শহরের সড়কগুলো যেমন ভুতুড়ে হয়ে পড়েছে ঠিক তেমন অবস্থা হয়েছে মিরপুর রোডের। কাজেই বলাকা পর্যন্ত না গিয়ে বাম দিকে মোড় নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগন্যালের দিকে যেতে আরম্ভ করলাম। কারণ এই রাস্তাটিতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মানুষে গিজ গিজ করে। ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট এবং চাঁদনী চক মার্কেটের শ্রমিক-কর্মচারী, মালিক, দালাল-ফড়িয়া, ট্রাক কোম্পানি এবং হকাররা এই রাস্তাটিকে সব সময় ব্যস্ত রাখেন। রাস্তার দু’পাশের খাবার-হোটেলগুলো রাত ১টা-২টা পর্যন্ত চলে। আবার ভোর ৪টা থেকে পুনরায় তা চালু হয়। সুতরাং লোকজন দেখার আশায় আমি এই ব্যস্ত সড়কটিতে ঢুকলাম।

আমি বাসা থেকে বের হয়েছিলাম সকাল ৮টায়। ইবনে বতুতার মতো পথে দু’ধারের সব কিছু অবলোকন করা এবং মাঝে মধ্যে দু-এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আশপাশের পরিবেশ অনুধাবনের চেষ্টা করার কারণে আমার এগোতে বেশ সময় ব্যয় হচ্ছিল। সকাল ৯টার দিকে গাউসিয়া মার্কেট-সংলগ্ন রাস্তায় ঢুকে আরেক দফা হোঁচট খেলাম। এখানেও কোনো জনমানব নেই। কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁয় খরিদ্দার নেই- এমনকি এই রাস্তায় অবস্থিত স্টার কাবাবের মালিকানাধীন বিখ্যাত রেস্টুরেন্টটিও খাঁ খাঁ করছিল। পরিস্থিতি দেখে আমার গা ছমছম করতে আরম্ভ করল। একা একা হাঁটতে সাহস পাচ্ছিলাম না। সুতরাং একটি রিকশার জন্য দাঁড়ালাম এবং বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর একটি রিকশার দেখা পেলাম। তারপর রিকশায় চড়ে মৎস্য ভবনের সামনে দিয়ে সেগুনবাগিচা হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে এলাম। সেখানে জনা পঞ্চাশেক ষণ্ডাগুণ্ডা মার্কা লোকের বাকবিতণ্ডা দেখে তোপখানা রোডের একটা গলিতে ঢোকার চেষ্টা করলাম। দেখলাম কিছু লোক দৌড়াচ্ছে। শুনলাম ধানের শীষের লেকাজনকে চলাপেটা করে অর্থাৎ গাছের বাকল দিয়ে পিটিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। লোকজনের দৌড়াদৌড়ি দেখে আমার পেটের ক্ষুধা চোঁ চোঁ করে উঠল। আমি তোপখানা রোডের নামকরা একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম নাশতা করার জন্য।

রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখি গড়ের মাঠ- ওখানেও আকাল লেগেছে। পুরো রেস্টুরেন্টে একাই খরিদ্দার। অথচ অন্যান্য বন্ধের দিনে রেস্টুরেন্টটিতে তিলধারণের জায়গা থাকে না। আর ভোটের দিন হলে তো কথাই নেই- বাইরে পর্যন্ত লাইন পড়ে যায়। কিন্তু আজকের অবস্থা দেখে তোপখানা রোড এলাকায় আমার দুই যুগের অভিজ্ঞতা দারুণভাবে আহত হলো। আমার কাছে মনে হলো, পুরো এলাকা যেন শোক পালনের জন্য স্তব্ধ হয়ে রয়েছে এবং এলাকার বাসিন্দারা শোকাতুর হয়ে নিজ নিজ ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ করে অভুক্ত অবস্থায় আহাজারি করছেন। ইতোমধ্যে আমার টেবিলে খাবার এসে গেল। আমি গরম পরোটা এবং খাসির পায়ার অর্ডার দিয়েছিলাম। ওগুলো দেখার পর মনের অবদমিত হতাশা এবং দু-চোখের নিদারুণ অভিজ্ঞতার কারণে খাওয়ার প্রতি আমার রুচি উঠে গেল। আমার মনে হলো পরোটা পচা তেল দিয়ে ভাজা হয়েছে এবং খাসির পায়া হয়তো খাসির পা বা নলা দিয়ে করা হয়নি অন্য কোনো পশু বা প্রাণীর হাড্ডিগুড্ডি দিয়ে করা হয়েছে। আমি দ্রুত বিল পরিশোধ করে ওখান থেকে যখন বের হয়ে গেলাম তখন ঘড়িতে ১২টা বেজে গেছে।

পয়লা ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালের সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা অবধি ঢাকা সিটি নির্বাচন যতটুকু দেখেছি এবং যতটুকু বুঝেছি তাতে মনে হয়েছে আমার আর নতুন করে কোনো কিছু দেখার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন সম্পর্কে আমি যে আশঙ্কা করেছিলাম অথবা নির্বাচনের কলাকৌশল এবং প্রকৌশল সম্পর্কে যেভাবে আশ্চর্য হতে চেয়েছিলাম, তার চেয়েও অধিক মাত্রার বিস্ময় নিয়ে অনুভব করলাম, পয়লা ফেব্রুয়ারি সাত সকালের ৪টি ঘণ্টা আমাকে গণতন্ত্র এবং নির্বাচন সম্পর্কে যে শিক্ষা দিতে পেরেছে তা আমার শরীরের প্রতিটি কোষে এমনভাবে ঢুকে গেছে যার ব্যথা-বেদনা আমার পরবর্তী প্রজন্মও অনুভব করবে।

আমার কর্মস্থলে এসে আপন মনে বিএনপির কথা ভাবতে আরম্ভ করলাম। সিটি নির্বাচনে বিএনপির দুই তরুণ মেয়রপ্রার্থী ইশরাক এবং তাবিথকে নিয়েও ভাবলাম। বিএনপি কেন এমন একটি নির্বাচনে অংশ নিলো এবং ইশরাক ও তাবিথ কিভাবে এত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে শেষদিন পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকার হিম্মত দেখাল তা নিয়ে চিন্তা করার চেষ্টা করলাম। যখন রিকশা করে এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগন্যাল থেকে তোপখানা রোড এলাকায় আসছিলাম তখন রিকশাওয়াকে জিজ্ঞাসা করলাম- ভোটে কী ফলাফল হবে। রিকশাওয়ালা নির্দ্বিধায় বলে দিলেন যে, ৫০% সুষ্ঠু ভোট হলেও বিএনপি জিতবে এবং সরকার সেটি খুব ভালো করে জানে। সুতরাং ভোট কেমন হবে তা সন্ধ্যার সময় ফলাফল দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমি রিকশাওয়ালার বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর শুনে অভিভূত হলাম এবং ভাবলাম বিএনপি কি এসব জানে না! আমার মনে হয় বিএনপি সব জানত এবং মেয়রপ্রার্থী হিসেবে তাবিথ ও ইশরাকও বিষয়টি জানতেন।

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল, ভোটার উপস্থিতি এবং ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার পর্যালোচনা করলে বিএনপিকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যায় না। কারণ তারা কোনো সঙ্ঘাত-বিবাদ-বিসম্বাদ এবং বিতর্ক এড়িয়ে এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিপক্ষের নৈতিক অবস্থানের ওপর এমন আঘাত দিতে পেরেছে যার সুদূরপ্রসারী ফলাফল বিএনপিকে অনাগত দিনে অন্য রকম সফলতা দান করবে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকা এবং সাধ্যমতো প্রচার-প্রপাগান্ডায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি সাধারণ মানুষের যে সহানুভূতি লাভ করেছে তা সময়ের পরিবর্তনে তাদের প্রতিপক্ষের জন্য যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে তা ক্ষমতাসীনরা কল্পনাও করতে পারছে না।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীদ্বয়কেও আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি তাদের সাহসিকতা, পরিশ্রম, নেতৃত্ব গুণ এবং আত্মত্যাগের জন্য। দুই প্রার্থীই ধনীর দুলাল এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। তাবিথের বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং ইশরাকের বাবা মরহুম সাদেক হোসেন খোকা বাংলাদেশে অত্যন্ত সুপরিচিত এবং নন্দিত মানুষ। তাদের সন্তানরা ইচ্ছে করলে রাজনীতির মতো জটিল, কুটিল এবং শ্রমসাধ্য বিষয়ের সাথে না জড়িয়ে আরাম-আয়েশ, বিত্তবিলাস এবং বৈভবের মধু-মেওয়ার গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিন পার করতে পারতেন। কিন্তু ঢাকাবাসী দেখেছেন যে, সব বিখ্যাত পিতামাতার সন্তান কুখ্যাত হয় না- সব ধনীর দুলাল-অপদার্থ-অকর্মণ্য এবং অটিস্টিক প্রকৃতির হয় না। আমাদের মহানগরীর রাজপ্রাসাদগুলোতেও যে সুপুত্র জন্ম নেয় এবং সুসন্তান হিসেবে বেড়ে ওঠে তার প্রমাণ ঢাকাবাসী এবার চাক্ষুস করলেন তাবিথ-ইশরাকের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে।

আমি ইরশাক এবং তাবিথকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এ কারণে যে, একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন, একটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন, কতগুলো ইভিএম এবং নানা রকম অশরীরী ও অন্ধকারের জাদুমন্ত্রের রসায়নে সিটি নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক না কেন জনগণ কিন্তু তাদের অন্তরের অন্তঃস্তলে স্থান দিয়ে ফেলেছে। তাদের নির্বাচনী পথসভাগুলোতে জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার জনগণের আবেগ-উচ্ছ্বাস এবং সহানুভূতি দেখে মনে হচ্ছে তারা জনতার মেয়র হয়ে গেছেন। খাতা-কলমে যা-ই লিখা থাক না কেন- ঢাকাবাসীর বৃহত্তম অংশের মন-মানস-স্নেহ-ভালোবাসা এবং সমর্থনের স্থানটিতে ইশরাক ও তাবিথ যে স্থান করে নিতে পেরেছেন, এ জন্য তাদের আবারো অভিনন্দন জানাচ্ছি।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরো সংবাদ



premium cement